কোন দেশের আইফোন সবচেয়ে ভালো

সম্মানিত পাঠক আপনি হয়তো বা iphone কিনতে চাচ্ছেন কিন্তু বুঝতে পারছেন না কোন দেশের iphone সবচেয়ে বেশি ভালো। এছাড়াও একটা আইফোন কত বছর ব্যবহার করা যায় এটা সম্পর্কেও আপনার ধারণা নে।ই তবে আর নয় চিন্তা আজকে আমরা iphone সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা করব।


অ্যাপল এমন একটি কোম্পানি যারা এক বছরে মধ্যে মার্কেটে কিছু প্রোডাক্ট নিয়ে আসে এবং তারপরে তারা পুরো মার্কেট জুড়ে রাজত্ব করে। আর এই কথাটা অবশ্যই আপনাদের কমবেশি সবারই জানা আছে।

ভূমিকা

বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় একটি ফোন হয়ে উঠেছে আইফোন। ভারতে অ্যাপল স্টোর খুলেছে তারপর থেকে এই দেশে আইফোনের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি বেড়ে গেছে। কিন্তু আমরা জানি না যে বিশ্বের কোন দেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি আইফোন ব্যবহার করে। অ্যাপল হচ্ছে একটি আমেরিকান কোম্পানী কিন্তু একটি আশ্চর্যের বিষয় হলো মার্কিন মুলুকে আইফোনের জনপ্রিয়তা অতটা বেশি নেই।

আমেরিকায় ৫১ শতাংশ নাগরিক আইফোন ব্যবহার করে। এছাড়াও ২৭ শতাংশ মানুষ samsung ব্যবহার করে। আর বাকিরা অন্যন্য ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন ব্যবহার করে। আইফোনের সবচেয়ে বড় বাজার জাপানে রয়েছে। জাপানের মানুষ ৫৯ শতাংশ নাগরিক প্রায় আইফোন ব্যবহার করে এক কথায় বলা যায় যে পাঁচজনের মধ্যে তিন জনের হাতে আইফোন দেখা যায়। আসুন আইফোন সম্পর্কে বা অ্যাপল সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য জেনে নিই।

কোন দেশের আইফোন সবচেয়ে ভালো

iphone হচ্ছে সবারই একটি স্বপ্নের ফোন। তবে আপনি যদি আইফোন কিনার কথা চিন্তা করেন তাহলে প্রথমে আপনাকে জানতে হবে কোন দেশে আইফেল সবচেয়ে বেশি ভালো। অনেকেরই ধারণা থাকে যে ভারতের তুলনায় বাইরের দেশ গুলিতে আইফোন খুব কম বাজেটে সেল করা হয়। তবে ইতিমধ্যেই জানা গেছে জাপান, হংকং, দুবাই, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের আইফোন সবচেয়ে বেশি ভালো। এই দেশগুলোতে আপনি ভারতের থেকেও সস্তা দামে iphone ক্রয় করতে পারবেন।

একটা আইফোন কতো বছর ব্যবহার করা যায়

বলতে গেলে বিভিন্ন দেশের মানুষ আইফোন ব্যবহার করে এক কথায় বলা যায় সারা বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ আইফোন ব্যবহার করে আর মূলত এর প্রধান কারণ হচ্ছে এর কোয়ালিটি। ব্যবহারকারীদের মতে বিভিন্ন ফোনের তুলনায় আইফোনের মান অনেকটা ভালো। এজন্য বলা হয় আপনি যদি অনেক বছর ধরে ফোন ব্যবহার করতে চান তাহলে অবশ্যই আইফোন কিনতে পারেন।

আমাদের মাঝে অনেক মানুষ আছে যারা জানে না একটা iphone কত বছর ব্যবহার করা যায়। সাধারণত আইফোনের কোম্পানি গুলো জানিয়ে থাকে আইফোনের সাথে ios আপডেট দেওয়া থাকে পাঁচ বছরের জন্য। আর এর থেকেই বোঝা যায় যে একটি আইফোন পাঁচ থেকে ছয় বছর টিকে থাকতে পারে।

অ্যাপল কোন দেশের

আমাদের মাঝে অনেক মানুষ আছে যারা এখনো জানে না অ্যাপল কোন দেশের এজন্য তারা বিভিন্ন ওয়েবসাইট খুঁজাখুঁজি করে। তবে আপনি যদি জানতে চান অ্যাপল কোন দেশের তাহলে এই পোস্টটি শুধু আপনার জন্যই। বিশ্বজুড়ে আলোচিত একটি ব্যান্ড হচ্ছে অ্যাপল। আর এই অ্যাপল পণ্য প্রেমেন্ট বিপণনে কাজ করে। আইফোন তৈরি হয় চিনেই আর এটি সংবাদমাধ্যমে তথ্য জানিয়েছে।

আইফোনের যতগুলো পণ্য বাজারে এসেছে সবগুলোই আইপ্যাড পর্যন্ত চিনেই প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। আর এখন চিনেই তৈরি হচ্ছে এন্ড্রয়েড স্মার্টফোন, hp ল্যাপটপ এগুলো সবই চীনের পণ্য। এক কথায় বলা যায় যে অ্যাপলের বেশিরভাগ পণ্যই চীনে প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। আর অ্যাপলের কারখানা সংখ্যা সবচেয়ে বেশি চিনেই রয়েছে।

আইফোন কিভাবে তৈরি হয়

আমরা হয়তো অনেকেই জানি ২০০৭ সালে প্রথম বাজারে এসেছিল একটি ফোন যা সারা বিশ্বের যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিপ্লব এনেছিল সেই ফোন হচ্ছে iphone। আর এই আইফোন জিনিসটা সারা বিশ্বের মানুষের মধ্যে একটি উত্তেজনা তৈরি করেছিল। iphone কিভাবে তৈরি হয় এই কথাটা আসলেই প্রথমে যে নামটি আসে সেটি হল স্টিভ জবস। কারণ তার হাত ধরেই এসেছে আইফোন।

আইফোন তৈরির আগে মানুষ গান শোনার জন্য ব্যবহার করতো অ্যাপলের আরেকটি প্রযুক্তি তার নাম হচ্ছে আইপ্যাড। স্টিভ জব চেয়েছিলেন মিউজিক প্লেয়ার এর সমাপ্তি দেখতে আর এর পরেই স্টিভ জবস এ মিউজিক প্লেয়ার আই প্যাড এর জায়গা দখল করতে পারেন। আপেলের কর্মকর্তারা ভেবে দেখলেন অ্যাপল যদি আইপ্যাডের বিকল্প প্রযুক্তি তৈরি করতে না পারে তাহলে অন্য প্রতিষ্ঠান ছবি তোলা গান শোনা ভিডিও দেখা মেইল আদান-প্রদান করার জন্য মুঠোফোন একটি যন্ত্র আবিষ্কার করে ফেলবে।

সেই ভেবেই স্টিভ জবস আইফোন আবিষ্কার করেছিলেন। অ্যাপলের সেই সময় কার কর্মকর্তারা আশঙ্কায় ছিলেন যে আইপডের বাজার দখল করতে পারে এইরকম প্রযুক্তি যদি অন্য কোন প্রতিষ্ঠান তৈরি করে ফেলে তাহলে সেটি তাদের জন্য অনেক ক্ষতিকর হয়ে উঠবে। এই ভয় থেকেই তারা আইফোন তৈরির রূপরেখা তৈরি করে ফেলেছিল। আর ঠিক এইভাবে শুরু হয়েছিল আইফোনের প্রথম যাত্রা।

আইফোন ব্যবহারের নিয়ম

সারা বিশ্বের নামিদামি ব্রান্ডের যতগুলো ফোন রয়েছে তার মধ্যে বিশ্বব্যাপী সবারই পছন্দের তালিকায় রয়েছে iphone। আর এটি কেনার পর সবাই চাই যেন সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে। আর এই ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ নিয়ে বেশিরভাগ মানুষেরই বিভিন্ন রকম অভিযোগ থাকে। আর এই জন্যই কিছু নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। আইফোনের ব্যাটারি টেকসই করতে গেলে কিছু বিষয় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আর এর মধ্যে প্রথম হচ্ছে যখন আপনি ফোন চার্জে দিবেন সেই  সময় অবশ্যই আপনাকে সতর্ক থাকাটা জরুরী।

অন্যান্য স্মার্টফোনের মতন আপনি কখনোই আইফোনে ১০০ পার্সেন্ট চার্জ দেবেন না। আপনার ফোনে যখন ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ চার্জ হয়ে যাবে ঠিক সে সময়েই চার্জিং বন্ধ করে দিতে হবে। আর এটাকেই বলা হয় পার্সিয়াল চার্জিং। আপনার আইফোনে যদি একশো শতাংশ চার্জ হয় ঠিক সে সময়েই ভোল্টেজের মাত্রা বেড়ে যায়। আর যদি ভোল্টেজের মাত্রা বেড়ে যায় তাহলে ব্যাটারি দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয় না। অতএব আপনি কখনোই আপনার আইফোনে একশ শতাংশ চার্জ দেবেন না।

এরপরে আপনার যদি ফোন নিয়ে অনেক সময় কাজ করতে হয় সে সময় যদি আপনার ফোনে চার্জ করার মতো তেমন সুবিধা না থাকে তাহলে আপনি সেই দিনে ১০০% চার্জ দিতে পারেন। তবে এটি কখনোই ফোনের জন্য ঠিক নয়। অন্যান্য ফোনের মতন iphone চার্জ দিয়ে কখনোই আপনি ফোন ব্যবহার করবেন না। এছাড়াও গেম ভিডিও কথা বলা গান শোনা এগুলো চার্জে বসিয়ে কখনোই করা উচিত নয়।

আর এই অভ্যাস গুলো যদি আপনার থাকে তাহলে আপনার ফোন কখনোই বেশি দিন টিকে থাকবে না ব্যাটারি ও খারাপ হয়ে যাবে। কারণ আপনি যখন ক্রমাগত চার্জ দিতে থাকবেন সে সময়ে যদি ফোন ব্যবহার করেন বা গেম খেলেন তাহলে সেটি ব্যাটারির উপরে চাপ পড়ে তার ফলে দ্রুতই ফোনের ব্যাটারি খারাপ হয়ে যায়। আপনি যদি এই নিয়মগুলো মেনে ফোন ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার ফোন টেকসই হবে।

অ্যাপল কোম্পানির মালিক কোন দেশের

আমরা অনেকেই আইফোন ব্যবহার করি তবে বেশিরভাগ মানুষই জানে না অ্যাপল কোম্পানির মালিক কোন দেশের।  অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড আমেরিকান একটি বিখ্যাত বহুজাতিক প্রযুক্তির কোম্পানি। আর এই কোম্পানির টির হার্ডওয়ারের পণ্যের মধ্যে স্মার্টফোন, iphone, ipad, কম্পিউটার, ট্যাব, ম্যাক অ্যাপল ওয়াচ স্মার্ট ওয়াচ এপল টিভি ডিজিটাল মিডিয়া প্লেয়ার এগুলো রয়েছে। ১৯৭৬ সালে এপ্রিল মাসে স্টিভ জবস ও রোনাল্ড ওজনিয়াকের একটি ব্যক্তিগত অ্যাপল কম্পিউটার ডেভেলপ বিক্রির জন্য অ্যাপেল গঠন করেন। আর এটি ১৯৭৭ সালে জানুয়ারি মাসে অ্যাপল কম্পিউটার ইংক হিসাবে ইনকর্পোরেটেড হয়েছিলো।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তো বা এত সময় জেনে গেছেন কোন দেশের আইফোন সবচেয়ে বেশি ভালো। এছাড়া একটা আইফোন কত বছর ব্যবহার করা যায়। iphone কিভাবে তৈরি হয় এগুলো সম্পর্কে যদি আপনাদের জানা না থাকে তবে আপনি যদি পুরো পোস্টটা পড়েন তাহলে আইফোন বা অ্যাপল সম্পর্কে বিভিন্ন রকম তথ্য জানতে পারবেন।

বিশ্বব্যাপী মানুষের কাছে আইফোন হচ্ছে একটি স্বপ্নের ফোন তবে আপনি যদি এর সঠিক ব্যবহার না জানেন তাহলে কখনোই টেকসই হবে না। আজকের লেখা আঁটিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পেতে ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। এবং আপনাদের যদি কোন মন্তব্য থাকে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url