রাসেল ভাইপার সাপের কামড় থেকে বাঁচার উপায়

বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার। আমাদের মাঝে অনেক মানুষ আছে যারা জানতে চায় রাসেল ভাইপার সাপের কামড় থেকে বাঁচার উপায়। এছাড়া রাসেল ভাইপার কামড়ালে কি হয় এগুলো সম্পর্কে মানুষ বিভিন্ন ধরনের তথ্য খোঁজাখুঁজি করছে। আপনি যদি আমাদের পুরো পোস্টটা পড়েন তাহলে রাসেল ভাইপার থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন।
বর্ষার মৌসুমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন রকমের আতঙ্কের নাম হলো রাসেল ভাইপার। গত কয়েক বছরের দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই সাপটি। বিশেষ করে নদীতে দেখা মিলছে এই সাপের।

ভূমিকা

রাসেল ভাইপারের উপস্থিতি হলেও এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে মানুষের সঙ্গে এই সাপের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম। এইসব সাধারণত নিচু ভূমিতে থাকে যেমন ঝোপ ঝাড় বন কৃষি এলাকায় বাস করে এরা মানুষের বসতি এড়িয়ে চলে। রাসেল ভাইপার দেখতে মেটে রঙের হওয়ায় মাটির সঙ্গে খুব সহজেই মিশে যেতে পারে মানুষ খেয়াল না করে সাপের খুব কাছাকাছি যদি চলে যায় তাহলে আক্রমণ করে। নদীর স্রোতে বা বন্যার পানিতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিস্তৃত হয়েছে।

রাসেল ভাইপার কামড়ালে দংশিত অঙ্গ নাড়াচড়া করা যাবে না। পায়ে দংশনে বসে যেতে হবে হাঁটাচলা করা যাবে না হাতে দংশন করলে হাত নড়াচড়া করা যাবে না। হাত পায়ের গিরা নড়াচড়া মাংস পেশির সংকোচনের ফলে দুটো রক্তের সাথে ছড়িয়ে যেতে পারে। সাপে কাটলে ওঝার কাছে গিয়ে অযথা সময় নষ্ট করবেন না যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে যেতে হবে।

রাসেল ভাইপার সাপের কামড় থেকে বাঁচার উপায়

হঠাৎ করে এই বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে এক আতঙ্ক আর এই আতঙ্কের নাম হচ্ছে রাসেল ভাইপার। ধানক্ষেত থেকে শুরু করে আঙ্গিনা যেকোনো জায়গায় মিলছে এই সাপের দেখা আর এতে করেই সৃষ্টি হয়েছে আতঙ্কের আর এর ফলে কৃষকরা জমিতে কাজ করতে ভয় পাচ্ছে। বর্ষার মৌসুমে দেখা যায় যে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন রকমের সাপের দেখা মিলে। কিন্তু গত কয়েকবছরে ছড়িয়ে পড়েছে এই সাপ আমাদের সবারই রাসেল ভাইপার থেকে বাঁচার উপায় জেনে নেওয়া খুবই জরুরী।

শুধু যে রাসেল ভাইপোর এমনটাই নয় যেকোনো সাপের কামড়ের শিকার হলে আপনাকে ওঝার কাছে যাওয়া যাবে না। ওঝার কাছে না গিয়ে নিকটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জেলা সদর হাসপাতাল বা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে আপনাকে চিকিৎসা পরামর্শ নিতে হবে অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়াও যে সাপ দংশন করেছে সেই সাপের ছবি তুলে নিয়ে স্থানীয় বন কর্মকর্তার কাছে পরামর্শ দেওয়া হয়।

চিকিৎসকদের মতে রাসেল ভাইপার কামড়ালে আক্রান্ত ব্যক্তির হাত-পা স্বাভাবিক ফুলে উঠতে পারে। এছাড়া ও রাসেল ভাইয়ের দংশনের পর চিকিৎসা নিতে যদি দেরি হয় তাহলে রোগী মারা যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আর এই মৃত্যুর কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে বেশি প্যারালাইসিস রক্তক্ষরণ কিডনি এগুলো।রাসেল ভাইপার দংশনের শিকার ব্যক্তির কিডনি অকেজো হতে শুরু করে শরীর জ্বালা পোড়ার পাশাপাশি ক্ষতস্থানে পচন ধরে। আর এই সঙ্গের দংশনের শিকার ব্যক্তির রক্ত জমাট বাঁধতেও শুরু করে।এসব ক্ষেত্রে আপনাকে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে।

রাসেল ভাইপারের অ্যান্টি ভেনোম থাকলেও সেটি খুব দ্রুত কাজ করে না বলে মনে করা হয়। ভয়ংকর বিষধর সাপ হচ্ছে রাসেল ভাইপার। এটি দক্ষ সাধারন হওয়ার নদীর স্রোতে ও বন্যার পানিতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে। রাসেল ভাইপার উপস্থিতি উদ্বেগ জনক হইলো এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে মানুষের সঙ্গে এই সাপের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকই কম। এইসব সাধারণত নিচু ভূমিতে ঘাস বন ঝপ জঙ্গল কিসে এলাকায় বাস করে মানুষের বসতি এড়িয়ে চলে। সাপটি মেটে রঙের হওয়ার কারণে মাটির সঙ্গে খুব সহজে মিশে যেতে পারে। আসুন তাহলে আমরা জেনে নেই সাপের কামড় এড়াতে করনীয় কি?

  • যে কোন গর্তের মধ্যে হাত-পা ঢুকাবেন না
  • রাতে চলাফেরা করার সময় অবশ্যই টস লাইট ব্যবহার করুন
  • বাড়ির চারপাশে আবর্জনা পরিষ্কার করুন
  • সাপ দেখলে তা মারার চেষ্টা করবেন না
  • জ্বালানির লাকড়ি আর সরানোর সময় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করুন

রাসেল ভাইপার কামড়ালে কি হয়

সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে রাসেল ভাইপার নামের সাপের আতঙ্ক এটি একটি বিষধর সাপ। এটি বাংলাদেশে দীর্ঘদিন না দেখা গেলেও নতুন করে বেশ কয়েকটি জেলায় এই সাপের আবির্ভাব ঘটেছে। পদ্মা তীরবর্তী কয়েকটি জেলা চর অঞ্চলে গত কিছুদিন যাবত বিষাক্ত রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রাসেল ভাইয়ের সাপ চন্দ্রবোড়া বা উলুবড়া নামেও পরিচিত।

দেশের ২৭ টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে রাসেল ভাইবার। সবচেয়ে বেশি ছড়ছে পদ্মা নদীর তীরবর্তী জেলাগুলোতে এইসব কামরালে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। আসলেই কি এতটা ভয়ানক রাসেল ভাইপার সাপ? বাংলাদেশের মধ্যে তিনটি সাপ হচ্ছে বিষাক্ত গোখরা কোবড়া কেউটে ও রাসেল ভাই পারবা চন্দ্রবোড়া। 

রাসেল ভাইপার অপেক্ষা বেশি বিষক্ত এই সাপটির প্রখর বেড়ে গেছে অনেক বেশি তবে এই সাপটি নিচ থেকে তাড়া করে কাউকে দর্শন করে না। এই সাপের গায়ে পাড়া দিলে এই সাপটির ছোবল দেয়। রাসেল ভাইপার সাপের বিষ শরীরে প্রবেশ করলে মূলত শরীরের রক্ত পাতলা হয়ে যায়। বিভিন্ন জায়গা থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে, কিডনি বিলক হতে পারে স্নায়ুবেষ ফুসফুসের কার্যকারিতা হারিয়ে যেতে পারে এমনকি হার্ড অ্যাটাক সম্ভাবনা রয়েছে।

রাসেল ভাইপার চিনবেন কিভাবে

রাসেল ভাইপার সাপটির চন্দ্রবোড়া নামে পরিচিত। এটি দেখতে মোটাসোটা তবে লেজ সরু হয়ে থাকে মাথা ত্রিভুজের মত এবং V আকৃতির সাদা রেখা আছে। শরীরের পৃষ্টতল বাদামি এবং বৃত্তাকার এছাড়াও তিনটি লম্বা শাড়ি রয়েছে সাপটির গায়ে ছোপ ছোপ গোলাকার কালো দাগ থাকে। রাসেল ভাইপার সাপটি লম্বাই তিন থেকে পাঁচ ফুট পর্যন্ত হয়। মাথার তুলনায় ঘাড় বেড়ে সরু হয়ে থাকে এর গায়ের রং হালকা হলদে বাদামী। এর জন্য ঘাস পাতার মধ্যে নিজেকে খুব সহজে লুকিয়ে রাখতে পারে।

মে থেকে জুলাই মাসে এর ওজন কাল স্ত্রী সাপ ডিম দেওয়ার পরে পরবর্তীতে ৫ থেকে ৫০ টি বাচ্চা প্রসব করে। সাপটি আতঙ্কিত হলে বা হুমকি অনুভব করলে জিব্বা বের করে প্রচন্ড হিমশিম শব্দ করে। এই সাপটি সম্পর্কে যার কোন ধারনা নেই সে এটিকে অজগর ভেবেই ভুল করবেন এই সাপ স্বীকার কিংবা খাদ্য সন্ধানে রাতে বিচরণ করে থাকে ফসলের খেতে ধান খেতে রাসেল ভাইপার এর উপস্থিতি বেশি। ইদুর ব্যাঙ ছোট পাখি টিকটিকি রাসেল ভাইপারের প্রিয় খাবার বেশি হয় তাই খাবারের খোঁজে সেখানে গিয়ে হাজির হয় রাসেল ভাইপার।

রাসেল ভাইপার কামড়ানোর চিকিৎসা

আমরা সাধারণত যে কোন সাপ কামড় দিলে বাধ দিই কিন্তু রাসেল ভাইপারের কামড় নিশ্চিন্ত হলে আক্রান্ত অংশে গিট বা বাধ দিতে নিষেধ করা হয়। কারণ বাঁধের কারণে মাংসপেশীর ভিতরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে পারে। সাপ মেরে ফেলে সাপের বংশ শেষ করা যাবে না সিদ্ধান্ত হয়েছিল অথরিটি ঘটা করে সাপ মারা হয়েছিল কিন্তু সর্প দংশনের সংখ্যা ও সাপের বংশ কোনটাই কমেনি। সাপের কামড়ের চেয়ে বাংলাদেশে আরো বহু স্বাস্থ্য সমস্যা আছে।

রাসেল ভাইপার কামড় দিলে শান্ত স্থির থাকতে হবে। আতংক কিন্তু না হয়ে শান্ত থাকার চেষ্টা করুন বেশি নাড়াচাড়া করলে বিষ দ্রুত সারা শরীরে ছড়িয়ে যেতে পারে। আক্রান্ত অংশ স্থির রাখুন আক্রান্ত অংশটি নাড়াচাড়া না করে স্ত্রীর রাখার চেষ্টা করুন। সাপে কামড়ানোর স্থানে ফার্মেন্টেশন ব্যান্ডেজ প্রয়োগ করতে পারেন এতে বিষ ছড়িয়ে পড়া ধীরে ধীরে কমবে। যত দ্রুত সম্ভব কাছের হাসপাতাল বা চিকিৎস্র কেন্দ্রে যান রাসেল ভাইপার কামড়ানো আক্রান্ত হতে পারে তাই দূর্ত এন্টিভেনম প্রয়োগ করতে হবে।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তোবা এত সময় জেনে গেছেন রাসেল ভাইপার সাপের কামড় থেকে বাঁচার উপায়। এছাড়া রাসেল ভাইপার কামড়ালে কি হয় রাসেল ভাইপার চিনবেন কিভাবে এগুলো সম্পর্কে যদি আপনাদের কোন তথ্য জানা না থাকে তবে এত সময় বিভিন্ন ধরনের তথ্য আপনাদের জানা হয়ে গেছে। বাংলাদেশে হঠাৎ করেই ছড়িয়ে পড়েছে বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার ধানক্ষেত থেকে শুরু করে যে কোন জায়গায় এই সাপের দেখা মিলছে।

রাসেল ভাইপার কামড়ালে আক্রান্ত ব্যক্তির হাত পা ফুলে উঠছে। এছাড়াও সাপ দংশনের পর চিকিৎসা নিতে দেরি হলে মানুষ মারাও যাচ্ছে। আপনি যদি আমাদের পুরো পোস্টটা পড়েন তাহলে অনেক বেশি উপকৃত হবেন। আজকের লেখা আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। এবং আপনাদের যদি কোন মন্তব্য থাকে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url