লিচুতে কোন‌ ভিটামিন থাকে

লিচু হচ্ছে ভিটামিন সি এর সমৃদ্ধ একটি ফল এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। আমাদের মাঝে অনেক মানুষ আছে লিচুতে কোন ভিটামিন থাকে এটি জানে না। এছাড়াও লিচুতে কোন এসিড থাকে এগুলো সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। আমরা আজকে আপনাকে লিচু সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাবো। জানতে হলে অবশ্যই পুরো পোস্টটা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুব মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
লিচুতে রয়েছে একটি ভাইরাস যার নাম লিচিট্যানিন যা ভাইরাস ছড়াতে বাধা দেয়। এছাড়াও লিচুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি যা আমাদের গরমের দিনের পানির ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে।

ভূমিকা

লিচু হচ্ছে একটি গ্রীষ্মকালীন ফল। লিচুতে রয়েছে পটাশিয়াম যা কিডনির রোগীদের জন্য খেতে নিষেধ করা হয়ে থাকে। যদি পটাশিয়ামের লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে সপ্তাহে অল্প পরিমাণে লিচু খাওয়া যেতে পারে। লিচুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ার কারণে এটি শরীরের ধীরে ধীরে রক্তে সুগার প্রবেশ করে। লিচুতে রয়েছে ফ্ল্যাভানল নামক একটি উপাদান যা শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া লিচুতে থাকা উপাদান গুলো ত্বকের বলিরেখা দূর করে বয়সের ছাপ দূর করে এবং ত্বক উজ্জ্বল করে। লিচুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি।

লিচুতে কোন‌ ভিটামিন থাকে

লিচু আমরা সবাই খেতে পছন্দ করি। এটা বছরে একবার পাওয়া যায় গরমের সময় লিচু ফল আসে গরম একটু বেশি হলে তখন লিচুটা বড় হয় তখন থেকে আমরা খাওয়া শুরু করি। ছোট বড় সবাই আমরা লিচু খেতে কম বেশি পছন্দ করি। কিন্তু লিচুতে কোন ভিটামিন আছে এটা কি আপনারা জানেন অনেক মানুষ হয়তো এটা জানে না যে লিচুতে কোন রকম ভিটামিন পাওয়া যায়। লিচুতে কি ভিটামিন আসে আসেন জেনে নিন লিচুতে কি ভিটামিন আছে। লিচুত রয়েছে এসকরবিক এসিড ভিটামিন সি এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

রক্তে সেতক ণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে শরীরে বাইরের কোন ক্ষতিকারক জীবাণু প্রবেশ করতে বাধা দেয়। লিচুর ভিটামিন সি রক্তের সেতু কণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে করে শক্তিশালী। লিচুতে আছে ভাইরাস বিরোধী গুণাবলী এর লিচি ট্রেনিং শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিহত করে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রেখে। লিচুর উপকারিতা পেতে প্রতিদিন দশটি থেকে ১৫ টি লিচু খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই পরিমাণ শর্করা ও কেরলের অতিরিক্ত গ্রহণ ছাড়াই প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে

লিচুতে কোন এসিড থাকে

লিচু আমরা সবাই কমবেশি খাই কিন্তু লিচুতে কি উপকার আছে কি ক্ষতিকর আছে লিচুতে কি এসিড থাকে এটা হয়তো অনেক মানুষ এখনো জানেনা। লিচু একটি সুস্বাদু ফল মিষ্টি জাতীয় এটি সবাই খেতে পছন্দ করে লিচুতে কি এসিড আছে এটা কি জানেন। লিচুতে আছে সাইটিক ও এস করবি এসি লিখিত রয়েছে এসকর্বিক এসিড। ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফলে এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

রক্তে সেত কণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে শরীরে বাইরেল কোন ক্ষতিকারক জীবাণু প্রবেশ করতে দেয় না। আমাদের শরীরকে সবসময় সুস্থ রাখতে সাহায্য করে অতিরিক্ত গরমে যদি আপনি বেশি খেয়ে নেন তাহলে আপনার গরম লেগে যাবে।  দিনে দশটা থেকে ১৫ টি সমপরিমাণ যদি লিচু খান তাহলে আপনার শরীরকে রোগ প্রতিরোধের হাত থেকে রক্ষা করবে। গবেষণায় দেখা গেছে যে লিচুর পাল পেয়ে প্রধান জৈব এসিড হলম্যালিক টাইটানিক সাইটিক এবং এসকরবিক অ্যাসিড যেখানে মালিক এসিড মোট জৈব এসিডের ৮০% সাম্প্রতিক।

গর্ভাবস্থায় লিচু খাওয়া যাবে কি

লিচু আমরা সবাই খাই কিন্তু যারা গর্ব অবস্থায় থাকে তারা কি লিচু খেতে পারবে এটা  অনেকেই জানে না। অনেক মা আছে যারা পেটে বাচ্চা আছে তাদের এটা জানা উচিত যে গর্ভাবস্থায় লিচু হওয়া যাবে কি যারা গর্ভাবস্থায় আছেন তাদের উচিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হবু মা সীমিত পরিমাণে সারাদিনে চারটা থেকে পাঁচটি লিচু খেতে পারবেন।

গর্ভাবস্থায় লিচুসে সুষম করা বাঞ্ছনীয় নয় যেহেতু এগুলি গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্যের উপর কিছু বিশেষ বিরূপ প্রভাব ফেলে। ,গর্ভাবস্থায় খুব বেশি লিচু খাওয়ার নেতিবাচক প্রভাব গুলির উল্লেখ করা হলো, এটি শরীরের মধ্যে তাপমাত্রাকে বাড়িয়ে বেশি করে দেয়। গর্ভাবস্থায় খুব বেশি মাত্রায় যদি আপনি লিচু খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার দেহের মধ্যে তাপমাত্রাকে বাড়িয়ে তুলে দিতে পারবে।

যা আবার আপনার গর্ভাবস্থায় হয়তো বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। রক্তক্ষরণ খুব বেশি লিচু খেলে তা গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণ করতে পারে এজন্য সম্ভাব্য কারণ হয়ে উঠতে পারে। ডায়াবেটিস বা মধুমেহ লিচু আবার করার মতো তাকে বাড়িয়ে তোলে যা গর্ভ অবস্থায় বাড়িয়ে তুলতে পারবে। যাদের শরীরে এলার্জি আছে তারা যদি বেশি পরিমানে লিচু খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার শরীরে সমস্যা দেখা দিবে।

লিচুর বিচি খেলে কি হয়

আমাদের দেশে সবার যেমন আম-কাঁঠাল পছন্দ তেমনি আমাদের দেশে মানুষের কাছে লিচু অনেক বেশি পছন্দ এটা সবাই খেতে পছন্দ করে। কারন তীব্র মিষ্টি ও রসালো সাধের এটা সাধারণত মধ্যমের থেকে মধ্যযুগ সময়ে বাহারে লিচুতে ভরে যায় বাংলাদেশের বাজারগুলো। স্বাধের কারণে শিশুদের প্রিয় খাবারের তালিকাতেও শীর্ষে থাকে  লিচু। তবে লিচুর মৌসুমাস এলেই আশং জনক হারে বাড়তে থাকে লিচুর বিচি গলায় আটকে মারা যাওয়া শিশু সংখ্যা।

গত কয়েক বছর ধরেই লিচু খাওয়ার ফলে শিশু মৃত্যু ঘটনা প্রকাশিত হচ্ছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। এসব ঘটনার কারণে বিশ্লেষণ করে দেখা যায় খোসা বিচি না ছাড়িয়ে শিশুদের খেতে দেওয়া। অরক্ষিত স্থানে লিচুর বিচি ফেলে রাখা বাচ্চাদের সঠিকভাবে খাওয়ার নিয়ম না শেখানো। অর্থাৎ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিভাবকদের অসচেতন তাই দুর্ঘটনা হয় মৃত্যু হতে পারে গলায় বিষক্রিয়া আটকানো। এছাড়াও অন্য একটি কারণে শিশুদের মৃত্যু হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মধ্যে লিখিত আছে হাই প্রগাইসিন নামে একটি রাসায়নিক থাকে যা শরীরের শর্করা তৈরি রোধ করে। এর ফলে শিশুরা যদি খালি পেটে অতিরিক্ত বেশি পরিমাণে যদি লিচু খেয়ে থাকে তাহলে এর ফলে মৃত্যু হতে পারে। আবার যদি খালি পেটে অতিরিক্ত বেশি লিচু খেয়ে থাকেন তাহলে এটাতে অন্যরকম একটা ক্ষতি হতে পারে। তাই আমাদের সব সময় খেয়াল রাখতে হবে যে যখনই ছোট বাচ্চাদের আমরা লিচু খেতে দিব তখন তাদের খেয়াল রাখতে হবে। কারণ যে কোন সময় তারা বিচি খেয়ে ফেলতে কিংবা লিচুর একটা পরিমাণ ভাবে তাকে খেতে দিতে হবে। অতিরিক্ত বেশি লিচু খাওয়ানো যাবে না ছোট বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তোবা এত সময় জেনে গেছেন লিচুতে কোন ভিটামিন থাকে। এছাড়া লিচুতে কোন এসিড থাকে গর্ভাবস্থায় লিচু খাওয়া যাবে কি বিভিন্ন ধরনের তথ্য সম্পর্কে আপনাদের জানা হয়ে গেছে। লিচুতে রয়েছে দুটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ যা গরমে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে। লিচু খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি হয়।

আপনি যদি আমাদের পুরো পোস্টটা পড়েন তাহলে অনেক বেশি উপকৃত হবেন লিচু সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য জানতে পারবেন। আজকের লেখা আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। এবং আপনাদের যদি কোন মন্তব্য থাকে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url