২৩ বছর বয়সে মেয়েদের চুল পাতলা হয় কেন

অনেক সময় দেখা যায় যে ২৩ বছর বয়স হতে না হতে অনেক মহিলাদের ধীরে ধীরে চুল পাতলা হয়ে যায় এবং চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। আমাদের মাঝে অনেক মানুষ আছে তারা জানতে চাই যে ২৩ বছর বয়সে মেয়েদের চুল পাতলা হয় কেন। এছাড়াও এক মাসে চুল ঘন করার উপায় কি? এগুলো সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা থাকে না। আপনি যদি চুল পড়ার সমস্যায় ভুগেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আপনি যদি আমাদের পুরো প্রস্তাব প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুব মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে চুল পড়ার সমাধান সম্পর্কে জানতে পারবেন।
প্রায় অনেকের জীবনে চুল পড়া সমস্যা রয়েছে। তবে ২৩ বছর মহিলাদের চুল পড়া সমস্যা বেশি দেখা যায়। চুল রুক্ষ শুষ্ক হয়ে যায়। অনেক সময় অল্প বয়সে চুল পাকতে শুরু করে এবং চুল উঠে যায়।

ভূমিকা

বিভিন্ন কারণে অতিরিক্ত চুল পড়তে পারে আর এটির একটি কারণও হতে পারে আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টির ঘাটতি রয়েছে। তরুণ বয়সী ছেলে-মেয়েরাও অনেক সময় ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে অল্প খাবার খায় এতে করে সুষম খাদ্যের ঘাটতি হতে পারে। চুলের জন্য পর্যাপ্ত প্রোটিন ভিটামিন বিশেষ করে বায়োটিন বেশ কিছুক্ষণের নিয়মিত গ্রহণ করা অপরিহার্য। এছাড়াও চুল পড়ার আরেকটি সমস্যা হচ্ছে থাইরয়েডের সমস্যা।

যাদের এই সমস্যা রয়েছে তাদের চুল বেশি পড়ে। অনেক সময় শ্যাম্পুতে সালফার যুক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় কিন্তু এই রাসানিকের কারণে মাথার ত্বক থেকে তেল ধুয়ে যায় এর ফলে চুল শুকিয়ে যায়। ২৩ বছর মহিলাদের চুল অতিরিক্ত পরে কারণ অনেক সময় দেখা যায় কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে চুল ঝরে পড়তে পারে। কিছু কিছু তেল আছে যেগুলো ব্যবহার করলে চুল পড়া সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

২৩ বছর বয়সে মেয়েদের চুল পাতলা হয় কেন

প্রায় মানুষের জীবনে চুল পড়ার সমস্যা রয়েছে চুল পড়া সমস্যা নাই এমন কোন মানুষ পাওয়া যাবে না। অনেক সময় দেখা যায় কারো আবার অল্প বয়সে চুল পাক ধরতে শুরু করে। মহিলাদের ২৩ চুলের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা শুরু হয়ে যায় চুল পাতলা হওয়া চুল উঠে যাওয়া। আর ২৩ ব হতে কেন মহিলাদের এ ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যায় এগুলো সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা থাকে না। যখন ২৩ বছর পার হয়ে যায় তখন মহিলাদের চুল ধীরে ধীরে পাতলা হতে শুরু করে এমনকি চুলের ঘনত্ব কমে যায় তাই এই সময়ে চুলের আরো বেশি যত্নের প্রয়োজন হয়।

  • বিশেষ কোন ওষুধের কারণে চুল পড়া বাড়তে পারে।
  • বয়সজনিত কারনে অনেক সময় প্রাকৃতিক উপায়ে চুল পড়তে পারে
  • যদি হর মনের ভার সাম্য নষ্ট হয় সে কারণেই চুল পড়তে পারে।
  • অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণে ২৩ বছর বয়সী মহিলাদের চুল পড়া সমস্যা দেখা দিতে পারে
  • অনেকে টাইট করে চুল বাধে এতে হেয়ার লাইনে প্রভাব পড়ে
  • হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকলেও কিন্তু চুল পাতলা হতে পারে।
  • হেয়ারস্টাইলিং এবং হেয়ার এক্সটেনশন করলেও চুল পাতলা হতে পারে

আমাদের চুলের প্রধানত দুইটি অংশ থাকে একটি হতে ফলিক এবং শাফট। চুলের ফলিক হলো টিউবের মতো লোম খুব চুলের গোড়াকে ঘিরে থাকে। একজন মানুষের দৈনিক ১০০ টির মতন চুলো করতে পারে যেগুলো আবার সময়ের সাথে সাথে গজিয়েও যায়। কিন্তু চুল পড়ার সংখ্যা যদি অনেক বেশি হয় তাহলে এর কারণগুলো জানা খুবই জরুরী। বিভিন্ন কারণে অতিরিক্ত চুল পড়তে পারে আর এর মধ্যে একটি কারণ হল পর্যাপ্ত পুষ্টির ঘাটতি। আপনার শরীরে যদি পুষ্টির ঘাটতি থাকে তাহলে তাহলে অতিরিক্ত চুল পড়বে।

১ মাসে চুল ঘন করার উপায়

মহিলাদের কাছে লম্বা চুলের একটি আলাদাই গুরুত্ব রয়েছে নারী সুন্দর্য চুলের ওপরে নির্ভর করে। ঘন লম্বা ও কালো চুল সবার পছন্দ। বিজ্ঞানীরা বলে প্রতিদিন ০.৩ থেকে শুরু করে ০.৫ মি.মি চুল লম্বা হয়। মাসে ১ থেকে ১.৫ সেমি লম্বা হয়। আর বছরে ১০ থেকে ১৫ সেমি লম্বা হয়। আমাদের মানবদেহে দ্বিতীয় দ্রুত লম্বা হওয়া টিস্যু হচ্ছে চুল। জন্মগতভাবে কারো কারো চুল অনেক বেশি ঘন হয় আবার কারো চুল অনেক বেশি পাতলা হয় এই বংশগত কারণ পরিবর্তন করা না গেলেও কিছু উপায়ে চুলের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা যায়। এক মাসের মধ্যে ঘন লম্বা চুল পাওয়া সম্ভব। চুলের ক্রোধ ভালো না হওয়ার কিছু কারণ রয়েছে সেগুলো হল।

  • বংশগত
  • বয়সজনিত
  • পুষ্টিহীনতা
  • অতিরিক্ত কেমিক্যালযুক্ত পণ্যের ব্যবহার
  • হরমোনাল চেঞ্জ
  • অতিরিক্ত স্ট্রেস

আসুন তাহলে আমরা এবার জেনে নিয়ে এক মাসের মধ্যে ঘন ও লম্বা চুল পাওয়ার উপায়।

চুল ছোট করতে যেমন কাচির প্রয়োজন হয় কিন্তু লম্বা করতেও কাচির প্রয়োজন আছে। দ্রুত চুল লম্বা করতে হলে অবশ্যই নিয়মিত চুলের ট্রিটমেন্ট করতে হবে আগা ফাটা ক্ষতিগ্রস্ত চুলের অংশ কেটে ফেলতে হবে। এছাড়াও কন্ডিশনারের ব্যবহার করতে হবে অনেকেই মনে করেন চুলে যত বেশি কন্ডিশনার ব্যবহার করা যাবে চুল তত বেশি সিল্কি হয়ে যাবে এটি সম্পূর্ণ একটি ভুল ধারণা। আবার অনেকে মনে করে যে কন্ডিশন আর শুধু রুক্ষ শুষ্ক চুলের জন্য এটিও একদম সঠিক নয়।

সব ধরনের কন্ডিশনার ব্যবহার প্রয়োজন আছে শ্যাম্পু করার পর চুলে অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। চুলের নিয়মিত তেল দেওয়া অনেকেই পছন্দ করে না চুলের গ্রোথের জন্য হেয়ার রুটে প্রয়োজনীয় nutriate provide করে তেল। নিয়মিত হেয়ার মেসেজ করতে হবে কুসুম গরম তেল মাথায় তালুতে মেসেজ করুন এটি মাথার ত্বকের রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে। এছাড়াও তেল চুলে মালিশ করলে দ্রুত চুল লম্বা করতে সাহায্য করে।

চুলে তেল মেসেজ করলে মজবুত হয় পাশাপাশি চুলকে কোমল করে। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন আপনাকে খাঁটি নারিকেল তেল কয়েক ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল মিক্স করে ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও চুলকে নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে সব সময় চুল টাইট করে বাধা যাবে না এটি থেকে বিরত  থাকতে হবে। এটি আপনার চুলকে দুর্বল করে দেয় ভেজা চুল বাধা থেকেও আপনাকে বিরত থাকতে হবে। এতে চুল খুব দ্রুত মাইক্রোবিয়াল ইনফেকশন দ্বারা আক্রান্ত হয়।

চুল ঘন করার তেলের নাম

চিকিৎসকদের মতে প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ টা পর্যন্ত চুল ঝরে পড়া একটি স্বাভাবিক বিষয়। কোন কোন দিন সামান্য বেশি চুলও পড়তে পারে ধুলোবালি লাগলে চুল ঝরে পড়তে পারে চুল বাড়ে না। আবার অনেক সময় দেখা যায় কারো কারো ৫০ টা চুল উঠে না সারা দিনে। আসুন তাহলে আমরা কিছু তেলের নাম সম্পর্কে জানি যেগুলো ব্যবহার করলে চুল ঘন হবে।

ক্যাস্টার অয়েল

চুল ভালো রাখতে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করা খুবই প্রয়োজনীয় চুলের গোড়ার পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টির যোগান দিতে পারে ক্যাস্টর অয়েল তেল। ক্যাস্টর অয়েল একটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করবে আপনার চুলে সেজন্য চুল নরম থাকবে। আপনি চাইলে এই ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করতে পারেন নারকেল তেলের সঙ্গে কয়েক ফাটা মিশিয়ে তা চুলে ব্যবহার করতে পারেন। চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ভালো করে মালিশ করে নিন তারপরে সেই তেল চুলে লাগিয়ে নিন এক ঘন্টা পরে শ্যাম্পু করে ফেলুন আর শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই কন্ডিশনাল লাগাতে ভুলবেন না।

অলিভ অয়েল

একাধিক গবেষণায় জানা গেছে যে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে চুল পড়ার সমস্যা দূর হয়ে যায়। এছাড়াও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এমনকি চুলের জেল্লা বাড়িয়ে দেয় যদি আপনার চুলে খুব বেশি খুশির সমস্যা দেখা দেয় তবে আপনি অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। কারণ অলিভ অয়েলে রয়েছে অ্যান্টিক ফাঙ্গাস উপাদান যা আপনার স্ক্যাল্পকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। অলিভ অয়েল এর থাকা মস্তুরাইজিং উপাদান নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে চুল পড়া বন্ধ হয় এবং কয়েক দিনের মধ্যে নতুন চুল গজায়।

নারিকেল তেল

নারিকেল তেল আমাদের চুলের জন্য অনেক বেশি ভালো চুল ভালো রাখে এই নারিকেল তেল। এছাড়াও কঠিন এর ঘাটতি পূরণ করে নিয়মিত নারিকেল তেল মাথায় মালিশ করলে চুল পড়ার সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়। চুলের আদ্রতা বাজারে এবং চুল রুক্ষ শুষ্ক হলে চুলকে আদ্র করে তুলে। পরিমাণ মতো নারিকেল তেল চুলে মালিশ করুন অতিরিক্ত তেল কখনোই মাখবেন না।

আমন্ড অয়েল

যখন চুলের আগ্রহ তা কমে যায় এবং ডগা ফেটে যায় মাথায় হাত দিলে চুল উঠে আসে সে সময়ে আপনাকে অতিরিক্ত যত্ন নিতে হবে। চুলের আর এই সময় আপনাকে চুলের যত্ন নিতে হবে আর এ সময় চুলের যত নিতে সাহায্য করতে পারে এমন আমন্ড অয়েল। আমন্ড অয়েলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই যা প্রাকৃতিক এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত চুলকে সরিয়ে তুলতে সাহায্য করে।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তোবা এত সময় জেনে গেছেন বয়স যত বাড়তে থাকে চুল পড়ার সমস্যা তত বেশি বাড়তে থাকে। ২৩ বছর বয়সে মেয়েদের চুল পাতলা হয় কেন। এছাড়াও চুল ঘন করা তেলের নাম এক মাসে চুল ঘন করার উপায় এগুলো সম্পর্কে আপনাদের যদি কোন ধারণা না থাকে আপনি যদি আমাদের পোস্টটা পড়েন তাহলে এত সময়ে চুল কেন অতিরিক্ত করে এগুলো সম্পর্কে আপনাদের বিভিন্ন রকমের তথ্য জানা হয়ে গেছে। অনেক সময় দেখা যায় আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে চুল পড়ে আবার খুশকির কারণেও কিন্তু অতিরিক্ত চুল পড়তে পারে।

চুল লম্বা ও ঘন পাওয়ার জন্য আমরা অনেক কিছুই ব্যবহার করি কখনো নামিদামি প্রোডাক্ট ব্যবহার করি। কখনো আবা ঘরোয়া টোটকা করেও ভরসা রাখি আর আসলে এরকম প্রত্যেকেরই একটা অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন আছে যে কারণে চুল ভালো থাকবে। আপনি যদি আমাদের পুরো পোস্টটা পড়েন তাহলে অনেক বেশি উপকৃত হবেন। আজকের লেখা আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। এবং আপনাদের যদি কোন মন্তব্য থাকে তা কমেন্ট করেও জানাতে পারেন


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url