কর্মসংস্থান ব্যাংক অনলাইন লোন আবেদন

আমাদের মাঝে অনেক মানুষ আছে যারা কর্মসংস্থান ব্যাংক অনলাইন লোন আবেদন কিভাবে করতে হয় এটা জানতে চাই। এছাড়াও কর্মসংস্থান ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা কি? এগুলো সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা থাকে না সেজন্য দেখা যায় অনেক মানুষ বিভিন্ন রকমের তথ্য তারা খোঁজাখুঁজি করে। আপনি যদি কর্মসংস্থান ব্যাংক সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের পোস্টটা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুব মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন।
কর্মসংস্থান ব্যাংক বেকার যুবকদের জন্য আত্মকর্মস্থানের লক্ষ্য হিসাবে ঋণ প্রদান করে। আর ঋণ প্রাপ্তির জন্য ব্যাংকের সংস্থার শাখায় আসতে হবে। শাখায় আসার পরে জানা যাবে যেদিন প্রাপ্তির জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হবে।

ভূমিকা

কর্ম কর্মসংস্থান ব্যাংক দেশের বেকার যুবকদের কর্মস্থানের মাধ্যম বিশেষ করে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় অধ্যায়ন করে। এছাড়া সরকারের বিশেষ কর্মসূচির আওতায় কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশু সং নিরসন প্রকল্প। আপনি চাইলে বর্তমানে কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে অনলাইনের মাধ্যমে লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

অনলাইনের পদ্ধতি চালু রয়েছে আর যখন অনলাইনের পদ্ধতি চালু ছিল না তখন ব্যাংকে গিয়ে লোন গ্রহণের আবেদন করতে হতো। ঋণ প্রদানের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানের সৃষ্টি এবং বেকারত্ব দূরীকরণ হয়। অনলাইনে ব্যাংকের ঋণ কার্যক্রমের যাবতীয় তথ্য জানার সুযোগ রয়েছে।

কর্মসংস্থান ব্যাংক অনলাইন লোন আবেদন

কর্মসংস্থান ব্যাংকের গ্রুপ হল সরকারি আধা সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বেকার যুবকদেরকে ও মহিলাদের। মূলত যারা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে না তাদের জন্য যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর বিভিন্ন বেসরকারি সরকারি প্রতিষ্ঠান হতে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মানুষ রয়েছে তাদেরই ব্যাংক হতে ঋণ প্রদান করা হয়। কর্মসংস্থান ব্যাংক বিশেষ করে বেকার যুবকদের আত্মসংস্থানের লক্ষ্যে সহজসাধ্যে তারা ঋণ প্রদান করে থাকে।

ঋণ পাবার জন্য ব্যাংকের যেকোনো শাখায় আসতে হবে। শাখায় আসার পরে ঋণ প্রাপ্তির জন্য কি কি কাগজ প্রয়োজন হবে সে কাগজগুলো নিয়ে আসতে হবে। তারপরেই শাখা দাখিলকৃত কাগজপত্র যাচাই করবে এবং মাঠকর্মী সংকল্প পরিদর্শন করে কি পরিমানে ঋণ দেওয়া যেতে পারে তা নির্ধারণ করবে। এরপরেই গ্রাহক শাখায় উপস্থিত হয়ে তার ঋণের চেয়ে গ্রহণ করবে ঋণের চেয়ে গ্রহণ করা পর্যন্ত গ্রাহককে চার থেকে পাঁচ বার শাখায় আসা-যাওয়া করতে হবে।

বর্তমান সময়ে ঘরে বসে কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া যায়। আর এই পদ্ধতি চালু না হওয়ার আগ থেকে কর্মসংস্থান ব্যাংকে গিয়ে কর্মীদের মাধ্যমে বিভিন্ন কথাবার্তা বলে তারপরে ঋণ নিতে হতো। কিন্তু এখন আপনি চাইলে ঘরে বসে অনলাইনে আপনার ফোন ব্যবহার করে কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ঋণ নেবার জন্য আবেদন করতে পারবেন এটি একটি খুব সহজ মাধ্যম। কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আবেদন করার আগে অবশ্যই আপনাকে একজন বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে।

এরপরে আপনার একটি ব্যবসা অথবা উদ্যোগ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য থাকতে হবে যেটি আপনাকে ব্যাংকের কাছে উপস্থাপন করতে হবে। যদি আপনি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা অর্থ বা অর্থ উপার্জনের মাধ্যম দেখাতে পারেন তাহলে কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে প্রয়োজনমতো লোন আবেদন করতে পারবেন। বাংলাদেশ কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে আপনি দুই ভাবে লোন গ্রহণ করতে পারবেন। একটি হচ্ছে অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করে সেই ফর্ম জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনি লোন নিতে পারবেন।

দ্বিতীয় পদ্ধতি হচ্ছে আপনি সরাসরি অনলাইন এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। যারা অফলাইনে আবেদন করে থাকেন তারা কিন্তু বেশি পরিশ্রম করে থাকে যদি আপনি কম পরিশ্রম করতে চান তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হতে পারে অনলাইনে আবেদন করা। অনলাইনে আবেদন করলে আপনার কোন রকমের ঝামেলা পোহাতে হবে না কিন্তু অফলাইনে অনেক ধরনের আবেদন করতে পারেন।

কর্মসংস্থান ব্যাংকের সুযোগ-সুবিধা

কর্মসংস্থান ব্যাংক হচ্ছে একটি রাষ্ট্রীয় বিশেষায়িত অতফসলি ব্যাংক আরে এটি অর্থমন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেই পরিচালিত হয়। ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই ব্যাংক কর্মসংস্থান ব্যাংক একটি লাভবান ব্যাংক বেকারও অর্ধ বেকারদের প্রকল্প ভিত্তিক ঋণ বিতরণ করে থাকে। এই ব্যাংকের নিয়োগ প্রক্রিয়া ১৩ ও ১৪ গ্রেড এর এই পদগুলিতে অন্যান্য ব্যাংক নিয়োগ এর মতনই এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষা হয়। আর এই পরীক্ষায় আশিটা প্রশ্নে ১০০ মার্কের এমসিকিউ ও ১০০ মার্কের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

১৪ নং গ্রেডের পদে আপনাকে কম্পিউটার টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে। এ সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ভাইবা ফেস করতে হবে যেখানে ব্যাংকের উদ্যতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। ১৩-১৪ গেট থেকে পরবর্তীতে পাঁচ ছয় গ্রেডের প্রমোশন পাওয়া অনেক চাকরিতে চিন্তাও করা যায় না। বর্তমান সময়ে ১৩-১৪ গ্রেডে ঢুকে ৫ ৬ গ্রেডে চাকরি করছেন এমন অনেক কর্মকর্তায় আছেন অন্য অনেক ব্যাংক থেকে এখানে প্রমোশন দ্রুত হয়।

একজন ১৩ নং গ্রেডে ঢুকে ১১০০০ টাকা বেসিক সহ প্রায় ৪০০০ টাকা লাঞ্চ ভাতা এবং প্রায় ২০০০ টাকা দিয়ে বিল পাবেন। এছাড়াও রয়েছে ইনসেন্টিভ এর সুবিধা চাকরির দুই বছর পর বাইক লোন ও তিন বছর পর কম্পিউটার লোনের সুবিধা রয়েছে। চাকরির যখন ৫-৬ বছর হয়ে যাবে তখন হাউজ লোন এর সুবিধা রয়েছে। ১০ গ্রেডের একজন অফিসার আসি লাখ টাকার মতন হাউজ লোন পেয়ে থাকে।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তোবা এত সময় জেনে গেছেন কর্মসংস্থান ব্যাংক অনলাইন লোন আবেদন। এছাড়াও কর্মসংস্থান ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা এগুলো সম্পর্কে আপনাদের তথ্য জানা না থাকলেও এত সময় বিভিন্ন রকমের তথ্য জেনে গেছেন। কর্মসংস্থান ব্যাংক হচ্ছে বেকার যুবকদের আত্মকর্ম স্থানের লক্ষ্য সহজ করে দেওয়া। আপনি অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন ব্যাংকের নিজস্ব ওয়েবসাইটে অনলাইন ঋণ আবেদন নামে একটি মেনু থাকবে।

উক্ত মেনুতে ক্লিক করে উদ্যোক্তা গণ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের চেক লিস্ট অনলাইনে ঋণ আবেদন কিভাবে করবেন এই সম্পর্কিত নির্দেশনা ও ঋণ আবেদন ফরম পাবেন। আপনি যদি আমাদের পুরো পোস্টটা পড়েন তাহলে অনেক বেশি উপকৃত হবেন। আজকের লেখা আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। এবং আপনাদের যদি কোন মন্তব্য থাকে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url