শরীরে আয়োডিনের অভাবে কি হয়
আয়োডিন হচ্ছে আমাদের শরীরের একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। শরীর যদি আয়োডিনের অভাব হয় সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেসব খাবারে আয়োডিন আছে যেমন সামুদ্রিক মাছ সামুদ্রিক মাঝে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন। আপনার যদি আয়োডিনের অভাব হয় সে ক্ষেত্রে আপনি আয়োডিনযুক্ত লবণ খেতে পারেন। আপনি যদি আমাদের পুরো পোস্টটা পড়েন তাহলে আয়োডিনের অভাবে কি কি সমস্যা হয় এগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জড়বুদ্ধির অভাব রয়েছে বিশেষ করে শিশুদের এসব সমস্যা বেশি হয়। কারণ হবু মায়ের খাদ্য তালিকায় যথাযথ পরিমাণে যদি আয়োডিনের অভাব হয় সেক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ভূমিকা
যখন একজন মানুষের শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি হয় তখন আয়োডিনের ঘাটতি মোকাবেলা করার জন্য সর্বতম উপায় গুলোর মধ্যে আপনার শরীরে প্রয়োজনে পরিমাণে আয়োডিনযুক্ত খাবার খাওয়া নিশ্চিত করা। আয়োডিনের ঘাটতি নির্ণয় করতে ডাক্তাররা একটি শারীরিক পরীক্ষা করেন। পরীক্ষার জন্য প্রথমেই প্রস্রাবের নমুনা নেন। এছাড়া ডাক্তার আপনাকে টিএসএইচ রক্ত পরীক্ষা করার পরামর্শ দিতে পারে। আয়োডিনযুক্ত খাবার খেলে আপনার শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি হবে না। আয়োডিনের অভাব এড়াতে আপনি আপনার খাবারে আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার করতে পারেন।
শরীরে আয়োডিনের অভাবে কি হয়
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়
- আবেগীয় ভারসাম্যহীনতা
- থাইরয়েড রেট বড় হয়ে যায়
- কোষ্ঠকাঠিন্য
- অবসন্নতা
- চুল পাতলা হয়ে যায়
- শরীর প্রচন্ড দুর্বল লাগে
- হাড়ে ব্যথা
- মহিলাদের মাসিক অনিয়মিত হয়ে পড়ে
যেসব খাবারে আয়োডিন আছে
আপনি যদি সুস্থ থাকতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আয়োডিনযুক্ত খাবার খেতে হবে। আয়োডিনযুক্ত খাবার লবন ও খেতে পারেন দেহের সুস্থতা বুদ্ধি বিকাশের জন্য। এছাড়া গড়গন্ড রোগ প্রতিরোধের জন্য বিশেষ করে প্রয়োজন হয় আয়োডিনের। অনেক সময় খাবার লবণে আয়োডিন আছে কিনা এটা পরীক্ষা করা অনেক বেশি জরুরী হয়ে পড়ে। আমাদের মাঝে অনেক মানুষই আছে যে জানেনা দৈনন্দিন অনেক খাবারে কিন্তু আয়োডিনের দারুন উৎস রয়েছে। আসুন তাহলে আমরা জেনে নিই কোন ধরনের খাবারে আয়োডিন আছে।
- টুনা মাছ
- সেদ্ধ ডিম
- দুধ
- টক দই
- চিংড়ি
- স্ট্রবেরি
- ভূট্টা
- কলা
- কমলা
- তরমুজ
- রসুন
আয়োডিন অভাবজনিত রোগের প্রতিরোধ
আয়োডিনের অভাব হচ্ছে আপনার শরীরে আয়োডিন প্রাকৃতিকভাবে তৈরি করতে পারে না। আয়োডিনের ঘাটতি প্রধানত থাইরয়েড গ্রন্থি কে প্রবাহিত করে আর এই প্রভাব গুলোর মধ্যেও প্রথম হচ্ছে গলগন্ডের উপস্থিতি। আয়োডিনের অভাবে পেশি দুর্বলতা ক্রমাগত ক্লান্তি চুল পড়া ঠান্ডা লাগা এই ধরনের সমস্যাগুলো দেখা দেয়। যদি শিশু ও মহিলাদের মধ্যে আয়োডিনের ঘাটতি হয় তাহলে হাইরয়েড অবস্থায় বর্ধিত ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
শিশু ও মহিলাদের মধ্যে প্রধান প্রভাব একই মহিলা এবং শিশু উভয়ের ক্ষেত্রেই গুরুতর অবস্থার কারণও হতে পারে। তাহলে কম আইকিউ মস্তিষ্কের ক্ষতি শারীরিক বিকাশের বৃদ্ধি এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। মহিলাদের গর্ব অবস্থায় সমস্যা গর্ভপাত মস্তিষ্কের ক্ষতি উর্বরতা সমস্যা এগুলো হতে পারে। আর এই ধরনের রোগের প্রতিরোধ করতে হলে অবশ্যই আপনাকে আয়োডিনযুক্ত খাবার খেতে হবে।
আয়োডিনযুক্ত লবণ খেতে হবে এছাড়াও সামুদ্রিক মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন। আপনার আয়োডিনের অভাব হলে যে খাবার গুলোতে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন পাওয়া যায় সে খাবার গুলো বেশি বেশি খেতে হবে। দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় আপনাকে আয়োডিনযুক্ত খাবার রাখতে হবে। তাহলে আপনি আয়োডিনযুক্ত রোগের প্রতিরোধ করতে পারবেন।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তোবা এত সময় জেনে গেছেন শরীরে আয়োডিনের অভাবে কি হয়। এছাড়াও আয়োডিনের অভাবজনিত রোগের প্রতিরোধে সব খাবারে আয়োডিন আছে এগুলো সম্পর্কে আপনাদের বিভিন্ন ধরনের তথ্য জানা না থাকলে এত সময়ে জেনে গেছেন। আপনার শরীরে যদি আয়োডিনের অভাব হয় আর সেটি যদি সময় মত নির্ণয় করা না হয় তাহলে খুব কম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই এটি সম্পূর্ণভাবে উল্টে যেতে পারে।
পরবর্তী সময়ে এটি জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে। আপনি যদি পুরো পোস্টটা পড়েন তাহলে অনেক বেশি উপকৃত হবেন। আজকের লেখা আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। এবং আপনাদের যদি কোন মন্তব্য থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url