Google থেকে টাকা ইনকাম করার ৬ টি উপায়

আজকে আমরা আমাদের পোস্টে জানাবো কিভাবে Google থেকে টাকা ইনকাম করা যায় ও স্টুডেন্ট লাইফে ইনকাম সম্পর্কে আপনাদেরকে বিস্তারিত তথ্য জানাবো। আর জানতে হলে অবশ্যই পুরো পোস্টটা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুব মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তাহলে আপনি সঠিক তথ্যটা জানতে পারবেন।

গুগল থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। আপনার দক্ষতার উপর ভিত্তি করেও আপনি পছন্দ মতন উপায় বেছে নিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।

অনেক মানুষ আছে যারা অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করতে চাই কিন্তু তারা আসলে জানে না যে কোন সাইটগুলো বিশ্বস্ত সাইট। বিশ্বস্ত সাইট থেকে ইনকাম করতে হলে অবশ্যই আপনাকে গুগল থেকে ইনকাম করতে হবে। আমাদের দেশে অনেক স্টুডেন্ট আছে যারা পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইন এর মাধ্যমে ইনকাম করতে চাই কিন্তু তারা সে মাধ্যমগুলো খুঁজে পায় না কোন মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা খুব সহজ বা খুব সহজে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করা যায়। আমাদের পোস্টে টাকা ইনকাম করা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো আছে আসুন তাহলে আমরা জেনে নিই।

google আমাদের জীবনধারাকে অনেক বেশি পরিবর্তন করে দিয়েছে। মানুষ সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে শুতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত গুগল ছাড়া কোন কিছু ভাবতেই পারে না। যে কোন দরকার হলে মানুষ প্রথমে ফোনের সার্চ ইঞ্জিলে সার্চ দেয় কিন্তু গুগল শুধু যে একটি সার্চ ইঞ্জিল এমনটা নয় একটি জনপ্রিয় টুলস আপনি এটি বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি চাইলে গুগল থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন গুগলের সাহায্যে আয় করার অনেকগুলো উপায় রয়েছে তাই আপনার দক্ষতার উপর ভিত্তি করে আপনি পছন্দ মতন উপায় বেছে নিতে পারবেন। আসেন তাহলে আমরা কয়েকটি পদ্ধতির সম্পর্কে জেনে নিন ইউটিউব, গুগল এডসেন্স, প্লে স্টোর, ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম।

ইউটিউব google থেকে টাকা উপার্জনের আরেকটি বিশ্বস্ত ও শক্তিশালী উপায় হচ্ছে ইউটিউব। আপনি যদি ইউটিউব এর মধ্যে বিনোদনমূলক তথ্যপূর্ণ ভিডিও আপলোড করে ব্যবহারকারীকে আকৃষ্ট করতে পারেন তাহলে আপনি সফল হতে পারবেন তাহলে গুগল আপনাকে এর জন্য অর্থ দিবে আর অর্ধ পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে ভিডিও মনিটাইজ বিকল্পটি সক্ষম করতে হবে। আর এটি গুগল এডসেন্স একাউন্টের সাথে সম্পর্কিত। আর এর জন্য প্রথমে আপনাকে যে একাউন্ট থেকে আপনার এডসেন্স একাউন্ট তৈরি করেছেন সে একাউন্ট থেকেই আপনাকে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে।

গুগল অ্যাডসেন্স google এডসেন্স হলো একটি বিজ্ঞাপন প্রোগ্রাম আর একটি সাহায্যে আপনি আপনার যে কোন ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করতে পারবেন। যখন একজন ব্যবহারকারী আপনার বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে আপনি তার বিনিময়ে টাকা পাবেন।

গুগল প্লে স্টোর google play হলো একটি ডিজিটাল স্টার যেখানে আপনি মিউজিক, সিনেমা, গেমস অন্যান্য যে কোন সামগ্রী বিক্রি করতে পারবেন আর এর মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারবেন।

গুগল ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম গুগল ক্রাউড প্ল্যাটফর্ম হল একটি কম্পিউটিং পরিষেবা। এটি আপনার ওয়েবসাইটের এপ্স এবং অন্যান্য এপ্লিকেশন চালানোর জন্য কম্পিউটিং, নেটওয়ার্কিং দেয়। আপনি গুগল ক্রাউড প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আপনার গ্রাহকদের কাছ থেকে পরিষেবার চার্জ ফি নিতে পারেন।

গুগল সার্ভে গুগল সার্ভে হল একটি সমীক্ষা প্রোগ্রাম যাকে কাজে লাগিয়ে আপনি পণ্য পরিষেবা মানুষের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া নিতে পারবেন এর জন্য গুগল আপনাকে মোটা অংকের টাকা দিবে। আপনি একটি সমীক্ষা সম্পূর্ণ করলে টাকা আয় করতে সক্ষম হবেন তবে এসব পদ্ধতি সাফল্য পেতে হলে আপনাকে অনেক চেষ্টা করতে হবে। সফল হতে সময় পরিশ্রম দুটাই লাগবে তাই যাই করুন না কেন আয় করতে হলে বেশ কিছুদিন সময় অবশ্যই লাগবে।

স্কিল ডেভেলপ করে ইনকাম যারা স্টুডেন্ট রয়েছে তাদের হাতে যদি ছয় থেকে এক বছর সময় থাকে তাহলে আমরা আপনাকে সাজেস্ট করব আপনি ছোটখাটো একটা স্কিল ডেভেলপ করেন। সেটা হতে পারে গ্রাফিক্স ডিজাইন, ফটোগ্রাফি, ডিজিটাল মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং, প্রেজেন্টেশন তৈরি এনিমেশন,থ্রিডি মডেল এরকম আরো স্কিল ডেভেলপ রয়েছে যেগুলো আপনি করতে পারেন। তারপরে এই টাইপের কাজ করে সোশ্যাল মিডিয়া বা বিভিন্ন গ্রুপে পাবলিশ করতে করতে স্কিল বাড়বে এবং একসময় দেখা যাবে যে এইসব কাজের জন্য লোকজন আপনাকে নক দিয়েছে। তখন সেই কাজ করেই আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

পড়াশুনা দিয়ে ইনকাম স্টুডেন্ট লাইফে ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হচ্ছে টিউশনি করা। আপনি চাইলে ইন্টারমিডিয়েট স্টুডেন্ট পড়াবেন। এছাড়াও নাইন টেন আরও নিচের ক্লাসের স্টুডেন্ট পড়াতে পারেন। আবার দেখা যায় যে ইদানিং বাসায় গিয়েও পড়াতে পারেন এছাড়া আপনি চাইলে একটি কোচিং সেন্টার খুলে ক্লাস নিতে পারেন।

স্মার্ট বার ক্রিয়েটিভ উপায়ে আর্নিং আপনি চাইলে বিজনেস কম্পিটিশন করেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন আপনার দুই বছরের কম্পিটিশন করলে ভালো শোওয়াব হয় টাকা কামানোর জন্য। এছাড়াও ভিডিও গেমসের স্টিমিং ইউটিউবিং করে আপনি চাইলে অনেক ভালো ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি চান আরেকটু স্মার্ট টি ইনকাম করতে তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। তাছাড়াও পেট প্রোডাক্ট রিভিউ ড্রপ শিপিং হয়েও টাকা কামাতে পারবেন।

বিজনেস করে আয় আপনি চাইলে আপনার আশেপাশে হাজার হাজার স্টুডেন্টকে নিয়ে আপনার কাস্টমার বানিয়ে নিতে পারেন। এদের সবাই কিছু না কিছু জিনিসের প্রয়োজন হয় যেমন একটা ইনভেস্টের জন্য টি-শার্ট দরকার এসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার জন্য প্রিন্ট করা দরকার ইভেন্টের জন্য পোস্টার ডিজাইন করা ইভেন্ট খাবার সাপ্লাই দেওয়া। এছাড়া সবাই বই খাতা কিনে মোবাইল কিনে কম্পিউটার কিনে জামা কাপড় কিনে আপনি চাইলে একটি বিজনেস করতে পারেন তাহলে খুব সহজে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম করার জন্য অনলাইনে বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে। আর আপনি চাইলে দেরি না করে সে সকল মাধ্যমগুলো থেকে টাকা ইনকাম শুরু করে দিতে পারেন। বেশ কয়েকটি মাধ্যমের মধ্যে আপনার যেটি পছন্দ হয় সেটি বাছাই করে আজ থেকে শুরু করতে পারেন সেখানে এবং কাজে নেমে পড়া। তাহলে আসুন বিপরীত ছাড়া অনলাইনে আপনি কোন কোন পদ্ধতি ব্যবহার করে ইনকাম শুরু করতে পারবেন সেটা সম্পর্কে জেনে নেওয়া নিই।

আপনি যদি অনলাইনে ইনকামের প্রতি অনেক আগ্রহী থাকেন তাহলে আপনি এগুলোর মধ্যে যেকোন একটা বেছে নিয়ে ইনভেস্ট ছাড়াই টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এর জন্য আপনার দরকার হবে আপনার কাছে থাকা স্মার্টফোন বা কম্পিউটার ল্যাপটপ যে কোন ব্রাউজার থেকে আপনি এগুলোর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি চাইলেই আমাদের উল্লিখিত এই কাজগুলো শুরু করতে পারেন। আপনার নিজের দক্ষতা যোগ্যতার পরিশ্রমকে বাড়িয়ে নিজেদের একটি ভালো পোর্টফোলিও তৈরি করতে পারেন।

যেসব দেশগুলো অনেক উন্নত সে সব দেশগুলোতে দেখা যায় ছাত্র জীবনে নিজের খরচ নিজেরাই বহন করে। আর এই সব দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবসম্মত ছাত্র অবস্থায় থেকে উপার্জন করার কারণে তাদের দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায় ক্যারিয়ার গঠনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তারা। পক্ষান্তরে আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা অনার্স মাস্টার্স করার সময় ও বাসা থেকে টাকা এনে নিজের খরচ চালায়। আজ আমরা আপনাকে উপার্জন করার কয়েকটি স্মার্ট উপায় সম্পর্কে জানাবো।

ফ্রিল্যান্সিং বর্তমান সময়ে টাকা উপার্জন করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ফিনান্সিং। আপনি চাইলে আপনার ইচ্ছামতন প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে মুক্ত ভাবে কাজ করতে পারবেন। যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন তাদেরকে বলা হয় মুক্ত পেশাজীবী। ফ্রিল্যান্সিং কাজের নির্ধারিত কোন মাসিক বেতন নেই আপনার ইচ্ছা মতন ইনকামের সুযোগ আছে আপনি চাইলে আপনার ইচ্ছামতন কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আধুনিক যুগের সব মানুষই চায় মুক্ত পেশার কাজগুলো করতে মুক্ত পেশাজীবীরা ঘরে বসে তাদের কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারে।

কলসেন্টার কন্সেন্টারের জব উপার্জনের জন্য একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ভার্সিটি পড়া স্টুডেন্টের জন্য এটি আশীর্বাদ স্বরূপ হয়ে উঠেছে। ভয়েস কলের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাঙ্ক্ষিত গ্রাহক সেবা দেওয়া এই চাকরির মূল কাজ। স্টুডেন্টরা নিজের সুবিধামত দিনরাত যে কোন শিফট অনুযায়ী কাজ করতে পারবে। এভাবে একজন শিক্ষার্থীর পক্ষে ছাত্র জীবন থেকে উপার্জন করা সম্ভব হয়ে ওঠে।

ব্লগিং সবচেয়ে সুন্দর ও টাকা ইনকাম করার সহজ মাধ্যম হচ্ছে ব্লগিং। ব্লগ হচ্ছে একটি মূলত ওয়েব ডায়েরি যেটির মধ্যে আপনি বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল লিখে বিভিন্ন কোম্পানির মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। পাঁচ দিনের মধ্যে একটি ব্লগ তৈরি করা যায় ব্লগ তৈরি করার জন্য কোন টাকা পয়সা ডলার লাগে না। ব্লগ তৈরি করার জন্য অনেক প্লাটফর্ম আছে তার মাধ্যমেই আপনি যে কোন একটি ভালো ও সহজ প্ল্যাটফর্মে ব্লগিং করতে পারেন।

টিউশন ছাত্র অবস্থায় টাকা উপার্জন করার কথা যদি বলা হয় তাহলে সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে টিউশনি করা। কারণ টিউশনি করলে যেমন সহজে টাকায় উপার্জন করা যায় ঠিক অন্য দিকে দক্ষতা অর্জন করা।

ডাটা এন্ট্রি ডাটা এন্ট্রির কাজ দিন দিন এর চাহিদা বেড়েই চলেছে। ছাত্র অবস্থায় অবসর সময়ে আপনি ঘরে বসে অনায়ে এসে এ কাজটি করতে পারেন। নিজে কোন কোম্পানির হয়ে কাজ কিংবা যদি আপনার কয়েকজন বন্ধু কে কাজে লাগিয়ে আপনি তাদের দিয়ে ডাটা এন্টির কাজগুলো করিয়ে গ্রুপ পরিচালনা করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

সরকারি অনলাইন ইনকাম করতে গেলে ওয়েবসাইট গুলোতে সব সময় নজর রাখতে হয়। এছাড়া সরকারি প্রতি তিন চার বছর পর পরে আদম শুরু জরিপ ও অন্যান্য ছোট ছোট কাজের জন্য কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে। আপনি চাইলে সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে আপনি যদি ছোট কাজের জন্য এপ্লাই করতে পারেন।

তাহলে আদম শরীর জরিপ করে অল্প কিছু কাজ করার মাধ্যমে আপনি মাসে প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার ইনকাম করতে পারবেন। আদমশুমারি ও জরিপ আপনাকে অনলাইনে জমা দিতে হবে আর এ কাজটি করতে হলে অবশ্যই আপনাকে পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এখন আমরা কয়েকটি সরকারি অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে জেনে নিই।

প্রিয় পাঠক আপনি হয়তোবা এত সময় জেনে গেছেন গুগল থেকে টাকা ইনকাম করা এছাড়া স্টুডেন্ট লাইফে ইনকাম ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম সাইট স্টুডেন্ট অবস্থায় আয় করায় ফ্লাক্সিং এগুলো সম্পর্কে আপনাদের বিভিন্ন ধরনের তথ্য জানা হয়ে গেছে। আশা করছি আপনি কিভাবে ইনকাম করতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা আপনারা পেয়ে গেছেন। আপনি যদি আমার দেওয়া পরামর্শের উপর ভিত্তি করে কাজ করেন তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে সফলতার মুখ দেখতে পারবেন।

তবে এর জন্য প্রয়োজন হবে আপনার পরিশ্রম ও ধৈর্য। কারন এইসব কাজ করতে হলে আপনি সাথে সাথে টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। ছয় থেকে এক বছর যদি মনোযোগ সহকারে কাজ করেন তাহলে সফলতা আপনি একদিন পাবেন। আজকের লেখা আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। এবং আপনাদের যদি কোন মন্তব্য থাকে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।