আম খেলে কি গ্যাস হয়
আমাদের মাঝে অনেক মানুষ আছে যারা আম খেতে বেশি পছন্দ করে কিন্তু তারা আসলে জানে না যে আম খেলে কি গ্যাস হয়। এছাড়া আম খেলে ঘুম হয় এগুলা সম্পর্কে তাদের কোন ধারণা নেই। আজকে আমরা আপনাদেরকে আম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাবো আর জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে পুরো পোস্টটা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুব মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
আমে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আমাদের দেহে গেলে তার বিক্রিয়া করে এতে হজমের ব্যাঘাত ঘটায়। আর এটা থেকেই গ্যাস্টিকের সমস্যা শুরু হয় আবার দেখা যায় ত্বকেরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা।
ভূমিকা
ছোট বড় সবাই আম খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে। আম প্রেমী মানুষ মানেই বাঙালি। আম কাঁচা ও পাকা অবস্থায় খাওয়া যায় গ্রীষ্মে যদি কাঁচা আম খাওয়া হয় তাহলে শরীর শুধু সুস্থই থাকে না তার সাথে সাথে শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকেও বাঁচা যায়। কাঁচা আমাদের শরীরে পানি সরবরাহ করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে ও হজমের জন্য অপরিহার্য। গ্রীষ্ম মানে আমের মৌসুম চলে পাকা আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেল, কার্বোহাইডেট আম আমাদের শরীরে ইনসুলিন এর মাত্রা বৃদ্ধি করে। পাকা আম খেলে তা আমাদের মস্তিষ্ক শীতল ও ঠান্ডা রাখে আর এর জন্যই পাকা আম খেলে ঘুম পায়। আসুন সম্পর্কে আরো তথ্য জেনে নিই।
আম খেলে কি গ্যাস হয়
আমাদের প্রিয় একটি ফল হচ্ছে আম। আম বছরে একবার হয়। আম যদি বেশি খাওয়া যায় তাহলে কি আমাদের গ্যাস হয়। এটা অনেক মানুষ জানে না যে অতিরিক্ত বেশি আম খেলে গ্যাস হয় কি না। যেগুলি মাথায় না রাখলে গরমের দিনে মুশকিলে পড়তে হবে আমাদের সবাইকে তাই জেনে নিন। বেশি আম খেলে গ্যাস অম্বলের সমস্যা হয় থাকে অনেকের। আম বেশি খেলে যে কোন সময় পেটের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটাতে পারে এই আম।
যাদের প্রতিনিয়ত গ্যাস, বুকজ্বালা, পেটফাপার সমস্যা সব লেগেই থাকে তাদের আম খাওয়া থেকে দূরে থাকাই ভালো হবে। আম খাওয়া যাবে কিন্ত খুব কম পরিমানে খেতে হবে। যাদের সমস্যা আছে তারা আম থেকে একটু দূরে থাকার চেষ্টা করবেন সবসময়। অতিরিক্ত গরমে যদি বেশি আম খাওয়া যায় তাহলে গরম উঠে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। গরমের সময় দিতে ২ ৩ টা আম খাওয়া শরীরের জন্য ভালো হবে। অতিরিক্ত আম খেলে গ্যাসের সমস্যা বেশি হবে আমাদের আমে থাকা যে একটা গরম ভাব থাকে সেটা যখন আমাদের শরীরে শুট করবে না তখন গ্যাসের সমস্যা দেখা দিবে।
আম খেলে ঘুম হয়
আমের সময় হলে আমরা সবাই কিন্ত অনেক বেশি বেশি আম খেয়ে থাকি। আম বছরে এক বার পাওয়া যায় দেখে সবাই আম খেতে পছন্দ করে। আম খেলে কি বেশি ঘুম এই বিষয়ে অনেক মানুষ আছে জানে না। আমে আছি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার করে। আমে থাকা ট্রিপটোফ্যান থাকায় পর্যাপ্ত সেরোটোনিন তৈরি করে সেই সেরোটোনিন আমাদের ঘুমের জন্য দায়ী একটি নিউরোট্রন্সমিটার।
আমরা যারা আম খেতে পছন্দ করি বেশি ঘুমাতে পছন্দ করি তাদের এটা অনেক বেশি কাজে দিবে কারন আমে যে সেরোটোনিন আছে সেটা আমাদের ঘুমের কাজ করে।কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেল আমাদের শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত গরমে বেশি আম খেলে আবার সমস্যা হতে পারে। সেজন্য আমাদের উচিত গরমের সময় পরিমাণ মতো আম খাওয়া। সেরোটোনিন আমাদের মস্তিস্ত ঠান্ডা রাখার কারণে আম খেলে এতো বেশি ঘুম আসে।
আম খেলে কি ওজন বাড়ে
আমাদের জাতীয় একটি ফল আম। এটি আমরা সবাই খেতে পছন্দ করি কিন্তু আম খেলে কি ওজন বাড়ে এরকম ধারনা অনেকের থাকে তারা মনে করে যে আম যদি বেশি খাওয়া যায় তাহলে তাদের শরীরের ওজন বেশি হয়ে যেতে পারে। আম খেলে মূলত আমাদের পেট ভরা থাকে অনেক সময় ধরে। ছোট সাইজের একটি আম খেলে আমরা ২০০ ক্যালোরি পায়। প্রতিদিন যদি আমরা এমন দুটি করে আম খাওয়া হয় তবে এক সপ্তাহ পরেই আমাদের বেড়ে যাবে।
তবে আমরা যদি প্রতিদিন ছোট এক কাপ পরিমাণ আম খেয় এবং মিষ্টি জাতীয় অন্য খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিই আমাদের যে বাড়তি ওজন থাকে সেটার চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে অনেকে মনে করেন আম খেলেই মোটা হয় মানুষ। কিন্ত পুষ্টিবিদদের মতে জানা গেছে যে অনেকে ওজন কমানোর জন্য প্রতিনিয়ত ডায়েট করেন তাদের ডায়েটে যদি আম রাখে তাহলে চলবে না । আমে আছে ক্যালোরির মাত্রা অনেক বেশি যা আমাদের ওজনকে বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। তবে প্রতিদিন না খেয়ে মাঝে মাঝে আম খাওয়া হলে সেটা আমাদের ওজন বাড়ায় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আম খেলে কি হয়
আমাদের সবার পছন্দের একটি ফল আম। আমে আছে পুষ্টিতে ভরপুর বিপুল পরিমাণে পুষ্টি উপাদান ক্যালরি সাধারণত অধিকাংশ ফলে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। রোগ প্রতিরোধ বাড়িয়ে দেয়। আমে থাকা ভিটামিন ই, কপার, ভিটামিন বি, এবং ফলেট রোগ প্রকিরোধক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। হৃদপিণ্ড সুস্থ্য থাকে আমে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম। আম খেলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ভিটামিনের চাহিদা পূরন করে দেয়।
আমে থাকা সকল ভিটামিন আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে। তবে অতিরিক্ত বেশি আম খাওয়া আবার শরীরের জন্য ক্ষতি হয়ে যায়। প্রতিদিন ২ ৩ টা করে আম খাওয়া উচিত আমাদের। অতিরিক্ত আম খাওয়ার ফলে আমাদের পেটে ব্যথা ,বদহজম এবং ডায়রিয়া হয়ে জাবার সম্ভবনা থাকে। আবার অনেক মানুষ আছে যাদের আম খাওয়ার পরে গলা ব্যথা বা অ্যালার্জি আরও বিভিন্ন রকম সমস্যা তাদের দেখা যায়। সাইট্রাস ফল বা টক স্বাদযুক্ত যেসব আম থাকে সেগুলোকে এরিয়ে চলুন কারণ এটি আমাদের শরীরের পিএইচ ভারসাম্য হস্তক্ষেপ দিতে পারে।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তো এত সময় জেনে গেছেন আম খেলে কি গ্যাস হয়। এছাড়া আম খেলে কি ওজন বাড়ে আম খেলে ঘুম হয় বিভিন্ন ধরনের তথ্য সম্পর্কে আপনাদের জানা হয়ে গেছে। বাঙালি মানেই আমরা জানি আম প্রেমী মানুষ বাঙালিরা গ্রীষ্মকালে সবচেয়ে বেশি আম খেতে পছন্দ করে কারণ গ্রীষ্মকালী ফল হচ্ছে আমরা বছরে একবারই হয় কাঁচা ও পাকা দুইটাই খাওয়া যায়। তবে অতিরিক্ত আম খেলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।
এছাড়া পাক আম খেলে ঘুম আসবে এটা স্বাভাবিক। আপনি যদি আমাদের পুরো পোস্টটা পড়েন তাহলে অনেক উপকৃত হবেন। আজকের লেখা আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। এবং আপনাদের যদি কোন মন্তব্য থাকে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url