আম গাছ কোন মাটিতে ভালো হয়
আমাদের মাঝে অনেক মানুষ আছে যারা আমগাছ লাগাতে চাই কিন্তু তারা জানে না আমগাছ কোন মাটিতে ভালো হয় এছাড়াও আম গাছে কখন কখন সার দিতে হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গাতে আমি চাষ করা হয় তবে রাজশাহী হচ্ছে আমের জন্য সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত এখানে অনেক বেশি আমের চাষ করা হয় আসুন তাহলে আমরা আম সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জেনে নেয়ার সঠিক তথ্য জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে পুরো পোস্টটা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুব মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
আমের বাগান কেমন হবে তা নির্ভর করে মাটির অবস্থা ও পানির উৎসের উপরে। সাধারণত পলিযুক্ত বেলে দোআঁশ মাটিতে আমগাছ ভালো হয় ও ভালো ফলন পাওয়া যায় যদি আম গাছ ছয় থেকে সাত মাস থাকে তাহলে।
ভূমিকা
সারা দেশে আমের চাষ হয়ে থাকলেও আমের বাণিজ্যিক চা শুরু হয়েছিল সবচেয়ে বেশি চাপায় নবাবগঞ্জ জেলায় আম বিভিন্ন জাতের হয়ে থাকে তবে আমের ফলন ভালো পাওয়ার জন্য সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে সবচেয়ে বেশি ফলন পাওয়া যায় তখন হেক্টর প্রতি ছয় থেকে সাত টন আমতোলা যায় মার্চ এপ্রিলের দিকে আমের ফলন কিছুটা কমে যায় আর সে সময়ে হেক্টর প্রতি দুই থেকে তিন টন আম পাওয়া যায়। আমের ফলন যখন কমে যায় ঠিক সেই সময় আমের দামটা বেশি বেড়ে যায়। সৃজনের আমটা যখন শেষ হয়ে যায় তখন ১২ থেকে ১৩০০০ টাকা মন আম কিনতে পাওয়া যায়। আমের মৌসুমে আম চাষ করে অনেক কৃষক ক্ষতির মুখে পড়লেও কাটি আম চাষ করে ক্ষতির সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়।
আম গাছ কোন মাটিতে ভালো হয়
আম আমাদের দেশীয় একটা ফল। এটা আমরা সবাই খাইতে পারি। আম সবাই পছন্দ করে। বাংলাদেশের সব জায়গায় কমবেশি আম চাষ করা হয়। আবার অনেকে অনেকে আছেছ যারা বড় বড় বাগান করে আমের সময়। আম গাছ কোনমাটিতে লাগালে সব থেকে ভালো হয় এটা কি জানেন আপনারা। অনেক মানুষ আছে যারা এটা জানে না।
গভীর,সনিষ্কিাশিত উর্বর দোআশ মাটিতে আম চাষের জন্য খুব ভালো হয়। উচু ও উচু যেসব জমি বা জায়গা আছে সেখানে চাইলে আপনারা নির্বাচন করতে পারেন। চাষ ও মই দিয়ে সুন্দর করে আগে জমিটাকে সমতল েএবং আগাছাম করে নিতে হবে। চাষ দিতে বলা হয় কারণ চাষ দিণে সেই জায়গাটা নরম থাকে আম গাছ লাগানোর পরে পানি দিলে সেই অণ্য কোন দিকে জায়না।
গাছের সিকর তারাতারি ছরাতে পারে সব দিকে। আম চাষ করার জন্য সব থেকে ভালো মাটি হচ্ছে দোআশ মাটি। দোআশ মাটিতে আম গাছ লাগালে মাটি নরম থাকে গাছে শক্তি পায় ভালো। যেসব মাটির গভীরতা নরম থাকে মাটি উর্বর হয়ে থাকে সেসব সব জায়গায় আমরা আম গাছ লাগানোর চেষ্টা করব তাহলে গাছের জন্য ভালো হবে।
আম গাছে কখন কখন সার দিতে হয়
আম হচ্ছে আমাদের একটা সুস্বাদু ফল। আমে আছে অনেক ধরনের প্রটিন। যেটা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রকম পুষ্টি তৈরি করে। আম বছরে একবার হয়। আমরা অনেক মানুষ আছি যারা আমের সময় আম বাগান নেয় কিন্ত আম বাগানে কখন সার দিতে এটা অনেকের জানা নাই। আম গাছে মকুল ঝরে পড়েই উৎপাদন বহুলাংশে হ্রাস পায়।
ফসল সংগ্রহের পর আগস্ট মাসে রোগক্রান্ত মরা ও অপ্রয়োজনীয় ডালপালা,শাখা, প্রশাখা এবং পরগাছা জাতীয় যেসব ডাল থাকে সেগুলোকে কাটা হয়। তারপরে গাছে পর্যাপ্ত পরিমানে গাছে জাতে আলো বাতাস লাগে সেই ব্যবস্থা করে দিয়া হয়। সেপ্টেম্বর মাসের শেষে সপ্তাহ থেকে অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহ হতে নিম্ন বর্ণিত উপায়ে প্রতিটা গাছে পরিমান মতো সার দিতে হবে।
সার দিবার আগে গাছের গোড়া ভালো করে পরিষ্কার করে একটু খুলে কুবিয়ে একটু দূর দিয়ে ঘিরে দিতে হবে তারপরে গাছের গোড়ায় পানি দিতে হবে। পানি দিবার পরে সার প্রযোগ করতে হবে।মুকুল আসার আগেই গাছে সার দিতে হবে যখন গাছের ডালে কুশি আসে নতুন পাতার জন্য তখন সার দিতে হবে আর বেশি বেশি করে গাছে পানি দিতে হবে।
আম চাষ পদ্ধতি
আম আমাদের দেশে বছরে একবার চাষ করা হয়। আমাদের সবার প্রিয় একটা ফল। আমাদের দেশের অনেক মানুষ আছে যারা আমের সময় হলেআম চাষ করে। জ্যৈষ্ঠ থেকে আষাঢ়/ ভাদ্র তেকে আশ্বিন মে জুন/ আগস্ট-সেপ্টেম্বর। এই সময় আমরা কিভাবে আম চাষ করব। আমের বাগানে চাষ ও মই দিয়ে সমতল এবং আগাছামুক্ত করে নিতে হবে। কারন এই সময় যদি আপনি আম গাছের যত্ন না নেন তাহলে গাছে ফল ভালো আসবে না।
তাই গাছের আগাছা কেটে ফেলে আছে আলো বাতাস লাগার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। চারা থেকে চারা ৮ থেকে ১০ দূরে রোপন করতে হবে আম গাছ যখন লাগাবেন তখন এটাকে খেয়াল রাখবেন। গর্তের আকার হবে ১মি থেকে ১মি গর্ত ভর্তির ১০ থেকে ১৫ দিন পর চারার গোড়ার মাটির বলসহ গর্তের মাধখানে রোপন করতে হবে। এই ভাবে যদি আমরা আম চাষ করতে পারি তাহলে আমাদের আমের চারা রোপন করে খুব তারাতারি গাছে শক্তি পাবে। তবে আমাদের অনেক রকমেন আম পাওয়া যায়। সব আমে এক রকম স্বাদ থাকে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদে আম খেয়ে থাকি।
আম গাছে সার প্রয়োগ পদ্ধতি
আমের বাগানে কিভাবে সার প্রয়োগ করবে এটা অনেক মানুষ জানে না । যে কারণে তাদের আম বাগানে ঠিক মতো ভালো ফলনটা আসে না। আম আসার আগে থেকে গাছের যত্ন নিতে হবে। কারন সেই সময় যদি যত্ন না নেন তাহলে গাছে আম দারাবে না। যখন আগে ফুল আসা শুরু হবে তার কিছু দিন আগে থেকে গাছের গোড়া ভালো করে কুবিয়ে গিরে দিতে হবে। ঘিরে দিবার পরে কিছু দিন পরপর গাছের গোড়ায় পানি দিতে হবে।
যখন ফুল আসা শুরু হবে তখন থেকে গাছের গোড়ায় সার প্রয়োগ করতে বিষ দিতে হবে। পানি দিলে আমের গোড়ার বোটা শক্ত হবে তখন আমটা পরে জাওয়ার ভয় কম থাকবে। আর পানি সার দিয়ে কিছু দিন পরে আবার পানি দিবেন তাহলে গাছে একটা শক্তি পাবে যেটা ফল কে শক্তি দিবে। যখন গাছে পোকা লাগা দেখতে পাবেন তখন বিষ দিবেন। কিছু দিন পরপর বিষ দিবেন জাতে গাছের পোকা নাথাকে পোকা থাকলে আম নষ্ট করে দিবে। তবে আম চাষ করার কিছু দিন আগে থেকে গাছে সার দিতে হবে। এই ভাবে যদি সার প্রয়োগ করেন তাহলে গাছে একটা ভালো মানের ফলন দেখতে পোবেন।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তোবা এত সময় আম গাছ কোন মাটিতে ভালো হয় এছাড়া আম গাছে কখন কখন সার দিতে হয় আম চাষ পদ্ধতি আম গাছে সার প্রয়োগ পদ্ধতি বিভিন্ন ধরনের আম সম্পর্কে তথ্য আপনাদের জানা হয়ে গেছে আর আমরা কম বেশি সবাই খেতে পছন্দ করি কিন্তু অনেকে আছে যারা জানেনা কোন পদ্ধতিতে আম চাষ করতে হয়।
এছাড়াও আমগাছ কোন মাটিতে ভালো হয় এগুলো সম্পর্কে অনেকের ধারণা থাকে না আপনি যদি আমাদের পুরো পোস্টটা পড়ে থাকেন তাহলে আমি চাষ সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য জানতে পারবেন এবং আপনার অনেক বেশি উপকারে লাগবে। আজকের লেখা আটিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন এবং আপনাদের যদি কোন মন্তব্য থাকে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url