ট্রেনের এক কেবিনে কতো জন বসা যায়

আপনারা যারা হয়তোবা নতুন ট্রেনর যাতায়াত করবেন তারা হয়তোবা জানেন না ট্রেনের এক কেবিনে কতজন বসা যায় ও বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিটের মূল্য কত। এসব বিভিন্ন ধরনের তথ্য আপনারা জানেন না। আসুন তাহলে আমরা সঠিক তথ্যটা জেনে নিই সঠিক তথ্যটা জানতে হলে আপনাকে পোস্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তাহলে আপনি সঠিক তথ্য জানতে পারবেন।

সাধারণত মানুষ কোথাও দূরে রাস্তায় যেতে চাইলে তাকে বাস অথবা টেন নাই তো লঞ্চে যাতায়াত করতে হয় তার গন্তব্য স্থলে পৌঁছাতে হলে।

আমরা যে কোন জায়গায় যদি দূরের পথে কোথাও যায় সে ক্ষেত্রে আমাদের বাসে নয়তো ট্রেনে যাতায়ত করা লাগে। আর ট্রেনে যাতায়ত করতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে ট্রেনের টিকিট কেটে রাখতে হয়। আপনি চাইলে ট্রেনের টিকিট কাউন্টারে গিয়েও সরাসরি টিকিট কাটতে পারেন তবে যদি অনেক বেশি ভিড় থাকে সিট ফাঁকা না থাকে সেক্ষেত্রে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কেটে রাখতে পারেন। এটি একদম সোজা ঘরে বসেই আপনি টিকিট কাটতে পারবেন।

যারা সাধারন মানুষ তাদের পক্ষে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে কেবিনে বসা সম্ভাব হয় না। যাদের অনেক টাকা আছে মূলত তারাই প্রয়োজন হলে কেবিনে বসে নিজের গন্তব্যস্থলে যায়। অন্তরনগড় এক্সপ্রেস ট্রেনে রয়েছে প্রায় দুই ধরনের কেবিনের সুবিধা। কেবিন বুক করার ক্ষেত্রে এতে কোন অনলাইনের প্রসেস থাকে না। আপনি যদি অনলাইনে কেবিন বুকিং করতে চান সেক্ষেত্রে আপনি ব্যর্থ হবেন কারণ অনলাইনে কোন প্রসেস নাই।

কেবিন বুকিং করার জন্য আপনাকে সরাসরি গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। তারপরে আপনি কেবিন বুকিং করতে পারবেন। আর কেবিন বুকিং করার জন্য কিছু শর্ত থাকে বা কারণ থাকে আপনি যদি সে কারণগুলো দেখাতে পারেন তাহলে আপনি কেবিন বুকিং করতে পারবেন। আর কেবিন বুকিং করার জন্য আপনাকে প্রথমে কাউন্টারে যেতে হবে কাউন্টারে গেলে দেখতে পাবেন কেবিন বুকিং এর জন্য আলাদা একটি কাউন্টার রয়েছে।

সেখানে যাওয়ার পরে তাদের যে প্রতিনিধি আছে তার সঙ্গে আপনি কথা বলতে পারবেন আপনার কেবিন বুকিং এর বিষয়ে। আর কেবিন বুকিং করতে গেলে আপনাকে আলাদাভাবে ভ্যাট প্রদান অবশ্যই করতে হবে টিকিটের মূল্য ছাড়া। যারা এই মূল্য দিতে চায় না তাদের কেবিন দেওয়া হয় না। একটা কেবিনে যদি দিনের বেলা হয় সেক্ষেত্রে তিনজন যেতে পারবে আর যদি রাত্রেবেলা হয় সে ক্ষেত্রে দুইজন যেতে পারবে। এছাড়া যদি ডাবল কেবিন নেন সে ক্ষেত্রে সিঙ্গেল কেবিনে ৬ জন যেতে পারবে আর রাতে ৪ যেতে পারবে। তবে প্রতিটি কেবিনে প্রায় ৮ করে বসার জায়গা রয়েছে।

নতুন করে যারা রেলওয়ে টিকিটের জন্য অনলাইনে আবেদন করবেন তাদের জন্য সহজ ট্রেন টিকিট রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে এখন আমরা বলব আসুন তাহলে আমরা জেনে নিই। প্রথমেই আপনাকে একটি ব্রাউজার ওপেন করতে হবে। তারপরে লিখতে হবে eticket.railway.gov.bd এরপর এখানে প্রবেশ করা হয়ে গেলে আপনার কিছু কন্ডিশন আসবে সেগুলোকে এগ্রি করতে হবে। 

তারপরে কিছু অপশন থাকবে home Login Register Train Information contacts Us আমরা যেহেতু নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করব সে ক্ষেত্রে আমাদেরকে Register অপশনে ক্লিক করতে হবে। তারপরে নতুন একটা ইন্টারফেস ওপেন হবে। তারপর ওখানে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রটি ভেরিফাইড করতে হবে। প্রথমেই আপনার মোবাইল নাম্বার দিতে হবে তারপরে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বারটি দিতে হবে।

এরপরে যার রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে তার জন্ম তারিখ দিতে হবে। তারপরে ভেরিফাই অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। তারপরে আপনাকে একটি নতুন পেজে নিয়ে যাবে সেখানে আপনার ব্যক্তিগত ইনফরমেশন গুলো দেখাবে। সেখানে আপনার কিছু তথ্য দেওয়া কমপ্লিট হয়ে গেলে কমপ্লিট রেজিস্ট্রেশন অপশনে ক্লিক করবেন। এরপরে আপনার যে নাম্বারটা দিয়েছিলেন সে নাম্বারে কোড যাবে তারপরে কোড টা দিয়ে কন্টিনিউ অপশনে ক্লিক করতে হবে। তারপরে আপনাকে জানাবে যে আপনার রেজিস্ট্রেশন কনফার্ম হয়েছে কিনা। এভাবে আপনি খুব সহজে ট্রেন টিকেট রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।

আমরা যেকোনো জায়গায় যেতে চাইলে ঘরে বসে বিকাশের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট বুকিং করতে পারি। বিকাশে টিকিট কাটার জন্য অবশ্যই আপনার কাছে থাকা লাগবে কম্পিউটার অথবা আপনার স্মার্টফোন। প্রথমে আপনার কাছে একটু ঝামেলা মনে হবে পরবর্তীতে যখন আপনি টিকিট কেটে ফেলবেন এর পরে যখন করতে যাবেন তখন বেশি আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে।

তাহলে আসুন আমরা জেনে নিই কিভাবে বিকাশের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটতে হয়। প্রথমেই বিকাশ অ্যাপ আপনাকে লগইন করতে হবে তারপরে এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অপশন থাকবে সেখান থেকে আপনার টিকিট সিলেট করে নিতে হবে। কয়েকটি অপশন দেখাতে পারে যেমন বাস স্ট্যান্ড লঞ্চ বিমান ইত্যাদি সেখান থেকে আপনি আপনার ট্রেনের টিকিট অপশন এ ক্লিক করে নিবেন।

টিকিট অপশনে গেলে আপনাকে বাংলাদেশ রেলওয়ে ওয়েবসাইটটি লগইন করতে হবে eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। তারপরে ইমেইল ফোন নাম্বার দিয়ে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এরপরে আপনার প্রোফাইলের তথ্য আপডেট করতে হবে। আপনি কোন তারিখে টিকিট কাটবেন এবং কোন স্থানে যাবেন।

আবার খেয়াল করতে হবে যে ট্রেনের টিকিট কাটছেন ওই ট্রেনের সিট পাওয়া যাবে কিনা এ বিষয়টা আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। সবশেষে আপনার কাছে বিকাশ গেটওয়ে নামে একটি অপশন আসবে সেখানে বিকাশ নাম্বার দিতে হবে। তারপরে ট্রেনের টিকিটে যে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ওই টাকাটা আপনাকে দেওয়ার পরেই টিকিট কনফার্ম হবে। এভাবেই আপনি বিকাশের মাধ্যমে খুব সহজে ঘরে বসে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন।

প্রিয় গ্রাহক আপনি হয়তো এত সময় জেনে গেছেন এক একেবিনে কতজন বসা যায় বা বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিটের মূল্য বিভিন্ন ধরনের তথ্য সম্পর্কে আপনি জেনে গেছেন। এখন ট্রেনের টিকিট কাটা অনেক বেশি সোজা এর জন্য আপনাকে স্টেশনে গিয়ে টিকিট কাটা লাগেনা। আপনি ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে টিকিট করতে পারেন। এছাড়া আপনি বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমেও খুব সহজে ট্রেনের টিকিট রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। আমার লেখাটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে  প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটি ভিজিট করতে পারেন। এবং আপনাদের তো কোন মতামত থাকে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।