বাচ্চাদের পেটের সমস্যা হলে কি খাওয়া উচিত

আপনারা হয়তোবা জানেন না বাচ্চাদের পেটের সমস্যা হলে কি খাওয়া উচিত ও চার বছর বাচ্চার গ্যাসের ব্যথায় কি খাওয়া উচিত আসুন তাহলে আমরা এই সম্পর্কে সঠিক তথ্যটা জেনে নিই। বাচ্চাদের যদি অস্বাস্থ্যকর জিনিস খাওয়ানো হয় সে ফলে বাচ্চাদের পেটের সমস্যা ও বমি বমি ভাব হতে পারে। এজন্য চেষ্টা করতে হবে বাচ্চাদের খাবার যেন স্বাস্থ্যসম্মত খাওয়া বার খাওয়ানো হয়।
বাচ্চাদের পেটের সমস্যা হলে কি খাওয়া উচিত
আমরা হয়তোবা অনেকেই জানি যে বড়দের থেকে ছোটদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি দুর্বল তাইতো তারা কিছুদিন পরপরই অসুস্থ হয়ে পড়ে।

ভূমিকা

প্রত্যেকটা শিশুরই জন্মের পর গ্যাস্টিকের সমস্যা হয়। এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার জন্য দেখা যায় তারা কান্নাকাটি করে খাওয়া-দাওয়া করে না তাদের মেজাজ খিটমিটে হয়ে থাকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আরে গ্যাস্টিকের সমস্যা বেশি দেখা যায় বাচ্চার মায়ের কিছু অনিয়মিত খাওয়া দাওয়ার জন্য যেসব খাবারে গ্যাসের সমস্যা হয় সেগুলো খাবার যদি বাচ্চার মা খায়।

তাহলে তা বাচ্চার সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও যদি বাচ্চাদেরকে বিভিন্ন ধরনের তেল মশলা জাতীয় খাবার খাওয়ানো হয় তাহলেও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু ঘরোয়া টিপস রয়েছে সেগুলো ফলো করলে আপনি বাচ্চার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বা পেট ফাঁপার সমস্যা দূর করতে পারবেন।

বাচ্চাদের পেটের সমস্যা হলে কি খাওয়া উচিত

প্রতিদিন খাবার তালিকায় পুষ্টিকর খাবার রাখা উচিত কারণ বড়দের থেকে ছোটদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি দুর্বল। সেজন্য তারা বেশ কয়েকদিন পরপরই অসুস্থ হয়ে পড়ে। বাচ্চাদেরকে যদি বাইরের খাবার খাওয়ানো হয় সেক্ষেত্রে দেখা যায় তাদের পেটের সমস্যা অনেক বেশি হয় এছাড়াও ডায়রিয়া বা পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা সৃষ্টি হয়। শিশুদের যদি পেট খারাপের সমস্যা হয় সেক্ষেত্র তাদের খাদ্য তালিকায় অনেক কিছু পরিবর্তন করতে হবে।

এ বিষয়টা শিশুর পরিবারকে খেয়াল রাখতে হবে শিশু কি খাচ্ছে না খাচ্ছে এইসব বিভিন্ন ধরনের খেয়াল রাখতে হবে। তবে শিশুদের খাদ্য তালিকায় তেল যুক্ত বা মিষ্টি জাতীয় খাবার না রাখাই ভালো। মিষ্টি জাতীয় বা তেল জাতীয় খাবার যদি খাওয়ানো হয় তাহলে তা পেটের সমস্যা হতে পারে। আসুন তাহলে জেনে নি ই বাচ্চাদের পেটের সমস্যায় কি খাওয়ানো উচিত।

ফলমূল বাচ্চাদের যদি ডায়রিয়া বা পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় সে ক্ষেত্রে আপনাকে ফল জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে তাহলে শরীরের পানি শূন্যতা দূর হয়ে যাবে। পেটে সমস্যা হলে বাচ্চাদের শরীরে পানি থাকে না । এই সময়ে তরল জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে সেজন্য বাচ্চার খাওয়ার তালিকায় আপনি ডাব রাখতে পারেন।

স্যুপ খাওয়াবেন আপনার বাচ্চাদের যদি দেখেন যে পেটে সমস্যা দেখা দিচ্ছে সেক্ষেত্রে আপনি হালকা গরম স্যুপ খাওয়াতে পারেন। স্যুপ আমাদের হজমের সমস্যা বমি বমি ভাব খুব সহজে ভালো করে দেয় । আপনি বাচ্চাকে স্যুপ খাওয়াতে পারেন যদি বাচ্চার পেটের সমস্যা হয় তখন।

সিদ্ধ সবজি আমরা সবাই জানি যে সিদ্ধ সবজি বাচ্চাদের জন্য অনেক বেশি উপকারী। যদি বাচ্চার পেটের সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন রঙের সবজি সিদ্ধ করে খাওয়াতে পারেন। এতে বাচ্চার পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হবে এমন কি পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

ফাইবার যুক্ত খাবার বিশেষজ্ঞদের মতে ফাইবার যুক্ত খাবার খেলে আমাদের পেটের সমস্যা হয় না পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ভালো হয়ে যায় ফাইবার হচ্ছে আঁশ যুক্ত খাবার আঁশ যুক্ত খাবার আমাদের পেটের জন্য অনেক বেশি ভালো।

যেগুলো খাওয়ানো উচিত নয় কিছু কিছু খাবার আছে যা শিশুদের যদি খাওয়ানো হয় তাহলে তাদের পেটের সমস্যা হতে থাকবে। আপনি ভুল করে বাচ্চাকে এসব খাবার খাওয়াবেন না ।যেমন ভুট্টা ফুলকপি ব্রকলি এছাড়াও কোল্ড ড্রিংকস এই সব জাতীয় খাবার বাচ্চাকে কখনোই খাওয়াবেন না সুগন্ধ  পণ্য এড়িয়ে চলবেন এগুলো খেলে বাচ্চার অনেক বেশি ক্ষতি হতে পারে।

৪ বছর বাচ্চাদের গ্যাসের ব্যথায় কি খাওয়া উচিত

ছোট থেকে বড় সবারই পেটে গ্যাস হলে অনেক ব্যথা হয়। কারণ পেট ব্যথার বিভিন্ন কারণ হতে পারে সেটা ডায়রিয়া আমাশয় গ্যাস এসিডিটি এলার্জি কোষ্ঠকাঠিন্য বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে পেট ব্যথা হতে পারে। ৪ বছর বয়সী শিশুদের যদি ঘন ঘন পেট ব্যথা হয় সেক্ষেত্রে আপনি শিশুকে ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়াতে পারেন। কারণ ফাইবার যুক্ত খাবার আমাদের পেটের জন্য অনেক বেশি ভালো।

ফাইবার যুক্ত খাবার খেলে পেটে গ্যাস বা পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয় না। এছাড়াও চার বৎসরের বাচ্চা শিশুদের অনেক সময় এমনি কারণেও পেট ব্যথা হতে পারে। এই ব্যথা হলে পিঠে হাত বুলিয়ে মালিস করলে তলপেট চেপে ধরে শিশু আরাম পায় বা পেটব্যথা ভালো হয়ে যায়। এছাড়াও আপনি যদি শিশুকে বিভিন্ন ধরনের বাইরের খাবার খাওয়ান সে ক্ষেত্রে তাদের গ্যাসের জন্য পেটব্যথা হতে পারে। যেমন মসলাযুক্ত খাবার ঝাল তেলযুক্ত খাবার খেলে পেটে গ্যাস হবে আর এ গ্যাস থেকে পেট ব্যথা শুরু হয়।

এর জন্য আপনাকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ বাচ্চাকে খাওয়াতে হয় এমনকি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হয়। আপনি যদি চান তাহলে ঘরোয়া উপায় শিশুর গ্যাস্টিকের সমস্যা ভালো করতে পারেন বা পেট ব্যথার সমস্যা ভালো করতে পারেন। যেমন ডাব আপনার শিশুর যদি পেটের সমস্যা হয় বা পেট ব্যথা হয় গ্যাস্টিকের জন্য সেক্ষেত্রে আপনি ডাবের পানি খাওয়াতে পারেন। পেট ব্যথার সমস্যা হলে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয়।

সে ক্ষেত্রে যদি আপনি ডাব খাওয়ান পানির শূন্যতা পূরণ হয়ে যায় এবং শিশু পেট ব্যথার সমস্যা থেকেও মুক্তি পায়। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সবজি আপনি সেদ্ধ করে খাওয়াতে পারেন। সবজি এমনিতেও শিশুদের জন্য অনেক বেশি উপকারী যদি পেটের সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন রকমের সবজি শিশুকে খাওয়াতে পারেন তাহলে খুব সহজে পেট ব্যথার সমস্যা ভালো হয়ে যাবে। এছাড়াও যদি অতিরিক্ত পেট ব্যথা হয় সে ক্ষেত্রে আপনি শিশুর পেটে মালিশ করতে পারেন তাহলে গ্যাস বের হয়ে যাবে।

বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হলে কি করা উচিত

বাচ্চাদের সাধারণত তাদের জন্মের পর কিছু না কিছু সমস্যা দেখা দেয় যেমন গ্যাসের সমস্যা। শিশুদের গ্যাসের সমস্যা বেশিদিন থাকে না কয়েকদিন থাকে আবার কোন সময় দেখা যায় এই সমস্যা অনেক দিন পর্যন্ত থেকে যায়। যদি ব্যথা অনেকদিন পর্যন্ত থেকে যায় তাহলে পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে শিশুদের। বাচ্চার মায়ের অনিয়মিত কিছু খাবার খাওয়ার জন্য শিশুর পেটে গ্যাস্টিকের সমস্যা হতে পারে।

এছাড়াও যদি ঠিকমতো দুধ পান না করানো হয় তাহলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। তখন আমরা বিভিন্ন ধরনের ঔষধ শিশুদেরকে খাওয়ায় কিন্তু কিছু সহজ উপায়ে বাচ্চাদের গ্যাস্টিকের সমস্যা বা পেটে ব্যথা সমস্যা ভালো করা যায়। শিশুদের পেটে যদি ব্যথা বা গ্যাস্টিকের সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে কিছু লক্ষণ দেখা দেয় আসুন তাহলে আমরা সে লক্ষণ গুলো জেনে নিই কি?
  • শিশুর ঘুমের অসুবিধা
  • পেট ফুলে যাওয়া
  • পেটের ব্যথায় কাদা
  • দুধ পান না করা
  • পেট থেকে গ্যাস নির্গত হওয়া
  • শিশুর মেজাজ খিটমিটে হয়ে যাওয়া
অনেকেই শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো বাদে বাইরে দুধ খাওয়ান। শিশুকে দুধ খাওয়ানোর সময় শিশুর পেটে বাতাস ঢুকে যেতে পারে আর সে থেকে পেট ব্যথা বা পেটে গ্যাস জমতে পারে। আর এই থেকে শিশুর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে পেটের। আসুন এবার আমরা জেনে নেই কিভাবে পেট ব্যথা বা গ্যাসের সমস্যা কমানো যায় বা কি করা উচিত।

ঢেকুর তোলানো শিশুর পেটে যখন গ্যাস বা বাতাস বের করতে প্রথমে আপনাকে শিশুর পিঠে আলতো ভাবে চাপড়ে ঢেকুর তোলাতে হবে। এক কথায় বলা শিশুকে কোলে তুলে নিয়ে তার ঢেকুর তুলাতে হবে এমন ভাবে কোলে নিতে হবে যাতে মা ও শিশু জন্য দুজনেরই আরামদায়ক হয়। সোজা হয়ে বসে শিশুকে বুকের বিপরীতে এমন ভাবে নিতে হবে যেন শিশুর থুথনি মায়ের কাঁধের উপরে থাকে। আর মা তার এক হাত দিয়ে বাচ্চাকে সাপোর্ট দিবে এভাবে আলতো ভাবে পিঠে চাপ দিতে হবে তাহলে ঢেকুর উঠে যাবে।

আয়োডিন যুক্ত খাবার শিশুর যদি পেটে গ্যাস হয় সেক্ষেত্রে আপনি গ্যাস কমানোর জন্য তাকে আয়োডিন যুক্ত খাবার দিতে পারেন। আয়োডিন যুক্ত খাবার আমাদের পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা খুব সহজে দূর করে দেয়। এটি ছোট থেকে বড় সকলের জন্যই আয়োডিন যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত যদি তাদের পেটের সমস্যা থাকে।

পেটে মালিশ আপনার শিশুর যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় বা পেটে ব্যথার সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে আপনি পেট মালিশ করতে পারেন। পেটে আলতোভাবে হাত দিয়ে আপনি খুব জোরে জোরে মালিশ করবেন না হালকা হাতে মালিশ করতে হবে তাহলে পেট থেকে গ্যাস বের হয়ে যাবে।

নবজাতকের পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায়

বাচ্চাদের পেট ফাঁপা বা পেট ফুলে যাওয়া এইটা প্রতিটি পরিবারেরই একটি দুশ্চিন্তার ব্যাপার হয়ে পড়ে। তখন বাচ্চার কান্না থামাতে পারেনা বাচ্চা একদম অস্থির হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে দেখা যায় যে বাচ্চার পরিবার বিভিন্ন ধরনের ঔষধ তাকে খাওয়ায় পেটের ব্যথা কমানোর জন্য। কিন্ত ঘরোয়া উপায়ে বাচ্চার পেট ব্যথা বা পেট ফাঁপা  সমস্যা দূর করা যায়। বাচ্চার পেট ফাঁপার বিভিন্ন ধরনের কারন হতে পারে।

যেমন আপনি যদি আপনার বাচ্চাকে বাড়তি কোন খাবার দেন এমন কোন খাবার যেটাতে বাচ্চার গ্যাস হতে পারে গরুর দুধ ডাল ব্রকলি এগুলো ধরনের খাবার দিলে বাচ্চার পেটে গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয়। আবার অনেক সময় দেখা যায় শিশুর পেটে যদি বাতাস ঢুকে সেক্ষেত্রে শিশুর পেট ফুলে যেতে পারে পেট ব্যথা হয়।

সে থেকে আবার পেট কামড়ায় তখন শিশুরা অতিরিক্ত কান্না করে। আর এই সমস্যা সারা দিনে না হয়ে সন্ধ্যের বেলায় দেখা দেয়। যদি মায়ের বুকের দুধ কম আসে সে কারণেও ধীরে ধীরে বাচ্চার পেটে অনেক বাতাস প্রবেশ করে আর সে থেকে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা শুরু হয়। আসুন তাহলে আমরা গ্যাস্টিকের সমস্যা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানি।

ঘরোয়া উপায়ে নবজাতকের পেট ফাঁপা দূর করা আপনার বাচ্চার পেটে যদি সমস্যা হয় বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা পেট খারাপ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রে আপনি আপনার বিদ্যা আঙ্গুলের সাহায্যে বাচ্চা নাভির উপরের অংশে হালকা করে মেসেজ করতে পারেন নাভির উপরে ও নাভির নিচে দুইবার করে মেসেজ করবেন এর বেশি মেসেজ করা যাবে না। বাচ্চার যদি পেট ফাঁপা সমস্যা হয় তাহলে এই পদ্ধতিতে যদি আপনি মালিশ করেন অনেকটাই পেট ব্যথা বা পেটে গ্যাসের সমস্যা কমে যাবে।

নবজাতককে দুধ খাওয়ানোর পরে চেষ্টা করতে হবে যে সোজা করে কাঁধে নিয়ে পিঠ চাপড়ে দেওয়ার তাহলে সে ক্ষেত্রে পেট ফাঁপার সমস্যা দূর হয়ে যায়। নবজাতকের শরীর যদি হালকা গরম পানি দিয়ে মুছে দেন তাহলেও পেটে গ্যাস থাকে না গ্যাস বের হয়ে আসে অনেকটাই। এছাড়াও শিশু পিঠে হালকা করে মেসেজ করুন কিছুক্ষণ। উপর করে শুয়ে রাখুন তারপর আঙ্গুল দিয়ে আলতো করে উপর দিক থেকে নিচের দিকে টেনে টেনে বাতাসটা বের করে দেন এতে গ্যাসের সমস্যা ভালো হয়ে যাবে। এইভাবে আপনি ঘরোয়া উপায়ে নবজাতকের পেট ফাঁপা বা পেটে গ্যাসের সমস্যা দূর করতে পারবেন।

বাচ্চাদের পেটের গ্যাস কমানোর ব্যায়াম

জন্মের পর থেকে দেখা যায় বাচ্চাদের পেটে গ্যাস থাকে সেজন্য দেখা যায় বাচ্চাটা ঠিকমতো ঘুমাচ্ছে না খাবার খাচ্ছে না বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আপনারা যদি বাচ্চাদেরকে কিছু ব্যায়াম করান তাহলে তাদের পেটে গ্যাস থেকে সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে। প্রথমে আপনাকে একটু হাতে তেল মাসাজ করে নিতে হবে তারপর  পেট থেকে আস্তে আস্তে নিচের দিকে নামিয়ে নিয়ে আসতে হবে।

হাত দিয়ে আস্তে আস্তে চেপে চেপে নিচের দিকে নিয়ে আসতে হবে আলতোভাবে তারপরে হাতে দুইটা আঙ্গুল দিয়ে হালকা ভাবে পেট চারিপাশে একটু চাপ দিতে হবে। এভাবেই যদি আপনি ব্যায়াম করান শিশুকে তাহলে শিশুর পেটে গ্যাস অনেকটাই বেশি কমে যাবে। গ্যাস্টিকের সমস্যার জন্য অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চা ঠিক মতন ঘুমাতে চায় না ও ঠিক মতন খেতেও চায় না অনেক কান্নাকাটি করে। সেক্ষেত্রে আপনারা এভাবে ব্যায়াম করাতে পারেন। ব্যায়াম করালে বাচ্চা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আপনারা এত সময় জেনে গেছেন বাচ্চাদের পেটে সমস্যা হলে কি খাওয়ানো উচিত ও নবজাতকের পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায় বাচ্চাদের পেটে গ্যাস কমানোর ব্যায়াম বিভিন্ন ধরনের তথ্য সম্পর্কে আপনারা জেনে গেছেন। আসলে বাচ্চার জন্মের পর থেকে পেটের সমস্যা হয় তবে কারো বেশি হয় কারো কম হয়।

আপনি যদি এই সময়ে ঘরোয়া উপায়ে কিছু টিপস ফলো করেন তাহলেই বাচ্চার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা পেট ফাঁপা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে পারবেন আশা করি আমার এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আমার লেখা আছে কেউ যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। এবং আপনাদের যদি কোন মন্তব্য থাকে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url