অলিভ অয়েল কিভাবে খেতে হয়
আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা জানে না যে অলিভ অয়েল কিভাবে খেতে হয় ও অলিভ অয়েল কিভাবে ব্যবহার করব এটাও জানে না। আমরা কোন বেশি সবাই জানি অলিভ অয়েল হচ্ছে স্বাস্থ্যসম্মত একটি তেল যা আমাদের ত্বক ও শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। আসুন তাহলে আজকে আমরা অলিভ অয়েল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিনঅ আর তথ্য জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে পুরো পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুব মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
অলিভ অয়েল কে রান্নার তেল হিসাবে ব্যবহার করা হয় অলিভ অয়েল হচ্ছে জলপাইয়ের তেল যা আমাদের খাবারের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয়।
ভূমিকা
অলিভ অয়েল এটি রান্না থেকে শুরু করে আমাদের ত্বকের যত্নে রয়েছে এর বিশেষ ভূমিকা। যাদের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে যেমন ব্রণ খুশকো ভাব তারা যদি অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করে তাহলে তাদের ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও যদি চুলে যত্নে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করা হয় তাহলে চুলের আগা ফাটা চুল পড়ে যাওয়া এগুলো সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যাবে।
এমনকি অলিভ অয়েল তেল আমাদের নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। যারা ওজন কমাতে চায় তারা অলিভ অয়েল তেল রান্নার কাজে ব্যবহার করতে পারে। এছাড়া অলিভ অয়েল তেল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সালাত খেতে পারেন কারণ অলিভ অয়েল আমাদের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে।
অলিভ অয়েল কিভাবে খেতে হয়
অলিভ অয়েল তেলে রয়েছে বিভিন্ন উপকারিতা রান্না থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করা হয় আসুন তাহলে আমরা অলিভ অয়েল তেল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিই। রান্নার সময় অলিভ অয়েল তেল যদি ব্যবহার করা হয় তাহলে রান্নার পুষ্টিগুণ অনেক বেশি বেড়ে যায়। অলিভ অয়েল তেল রান্না তে ব্যবহার করা হয় তাহলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়।
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা অলিভ অয়েল তেল খায় তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে না। অলিভ অয়েল তেল হচ্ছে মনোস্যাচুরেটেড যা উচ্চতা তাপের জন্য অনেক বেশি উপযোগী তাই এটি রান্না করে খেলে অনেক বেশি পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। এটাতে রয়েছে ভিটামিন ই তা ছাড়া রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড অলিভ অয়েল তেলের রয়েছে ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
এক্সট্রা ভার্জিন অয়েল আমাদের হৃদরোগের সাথে লড়াই করে এবং আমাদের হৃদ যন্ত্রকে সুস্থ রাখে। অলিভ অয়েল তেল আমাদের শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়াও রুটি দিয়ে অলিভ অয়েল তেল খাওয়া যায়। এছাড়া সালাতের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়। আপনি প্রতিদিন ৬০ এম এল অলিভ অয়েল তেল খেতে পারবেন এর বেশি খেলে তা ক্ষতিকর হতে পারে। এভাবেই আপনি অলিভ অয়েল তেল খেতে পারেন।
অলিভ অয়েল কিভাবে ব্যবহার করব
আমরা হয়তোবা সবাই জানি যে চুল ও ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েলের রয়েছে বিশেষ ভূমিকা। আমাদের ত্বকের যদি পানির পরিমাণ কমে যায় তাহলে দেখা যায় যে ত্বক অনেক বেশি রুক্ষ হয়ে গেছে আর আমরা যদি রুক্ষ ত্বকে নিয়মিত অলিভ অয়েল ব্যবহার করি তাহলে ভিটামিনের পাশাপাশি ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। আর ভিটামিন ডি আমাদের ত্বকের জন্য অনেক বেশি নিরাপদ।
মাঝেমধ্যে দেখা যায় যাদের আঘাত জনিত ও চামড়া উঠা হাঁটু কোনই ছিলে যাওয়া বিভিন্ন ধরনের ক্ষতস্থানে যদি অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করা হয় তাহলে অনেক বেশি কার্যকারী হয়। এছাড়াও যদি মুখে ব্রণ থাকে ব্রণের রোধ বিশেষ ভূমিকা রয়েছে অলিভ অয়েল তেলের। অলিভ অয়েল তেল আমাদের ত্বকের নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে কারণ এতে রয়েছে অ্যাসিড। অলিভ অয়েল আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয়।
এছাড়া অলিভ অয়েল তেল যেসব মহিলাদের বাচ্চা হয়েছে তাদের পেটে সাধারণের দাগ কমাতে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। আমরা যারা অনেক বেশি মেকআপ করি মেকআপ রিমুভার হিসাবে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারি। কারণ মেকআপ রিমুভার হিসাবে অলিভ অয়েল তেল অনেক বেশি কার্যকরী একটি উপাদান। চুলের যত্নে রয়েছে অলিভ অয়েল অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা যাদের চুল পড়া সমস্যা রয়েছে এছাড়া চুল অনেক বেশি পাতলা তারা চুলের বৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারেন তাহলে চুলের আগা ভাঙ্গা ও চুল ঘন হবে। এভাবে অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করা যায়।
রান্নার জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো
আমরা হয়তোবা অনেকেই জানিনা যে রান্নার জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো রান্নার জন্য সবচেয়ে বেশি ভালো অলিভ অয়েল হচ্ছে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল এটি রান্নার কাজে ব্যবহার করা এক্কেবারে নিরাপদ। সাধারণত স্বাস্থ্যকর তেল হিসেবে আমরা অলিভ অয়েলকেই চিনি। কারণ স্বাস্থ্যকর তেল হিসেবে অলিভ অয়েল হচ্ছে সবার উপরে। চিকিৎসকদের মতে অলিভ অয়েল তেল রান্নার কাজে ব্যবহার করলে আমাদের হৃদরোগ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি কমে যায়।
অলিভ অয়েল তেলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যারা ডায়েট করেন তাদের অলিভ অয়েল খাওয়া অনেক বেশি ভালো অলিভ অয়েল রয়েছে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড যা আমাদের হাটের জন্য অনেক বেশি ভালো। এছাড়া স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। এক্সট্রা ভার্জিন অয়েল আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। এটি রান্না করে খাওয়া যায় তবে রান্না করার সময় অবশ্যই আপনাকে অল্প আচে রান্না করতে হবে তাহলে এর পুষ্টিগুণ পাওয়া যাবে। অলিভ অয়েল আপনি সরাসরি সালাদের সাথে খেতে পারেন।
সুস্থ থাকতে হলে আপনাকে প্রতিদিন ৬০ এম এল অলিভ অয়েল খাওয়া উচিত। কিন্তু এর বেশি খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর হতে পারে। যারা ওজন কমাতে চায় তাদের জন্য অলিভ অয়েল তেল সবচেয়ে বেশি উপকারী কারণ অলিভ অয়েল তেল আমাদের শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে রাখে। যাদের পেটের সমস্যা রয়েছে তারা অলিভ অয়েল তেল রান্নার কাজে ব্যবহার করতে পারেন।
কারণ অলিভ অয়েল তেল রান্না করে খেলে পেটের সমস্যা ভালো হয়ে যায়। আপনি যদি মনে করেন তাহলে অলিভ অয়েল তেল সরাসরি খেতে পারবেন কারণ আমরা জানি যে বেশি তাপে যে কোন জিনিস পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। আপনি চাইলে অলিভ অয়েল তেল বিভিন্ন ধরনের সালাত পাউরুটি এগুলো দিয়ে খেতে পারেন। অবশেষে বলা যায় যে রান্নার জন্য একটা ভার্জিন অলিভ অয়েল সবচেয়ে বেশি ভালো।
অলিভ অয়েল কি কাজ করে
আমরা হয়তোবা অনেকেই জানি যে অলিভ অয়েল তেল আমাদের ত্বক ও চুলের যত্নে অনেক বেশি উপকারী। অলিভ অয়েল হচ্ছে আমাদের কাছে খুব পরিচিত একটি তেল। এটি প্রাকৃতিক উপাদান জলপাই থেকে তৈরি হয় এটি যেমন ত্বকের যত্নে অনেক বেশি উপকারী ঠিক তেমনি রান্নার কাজে রয়েছে এর বিশেষ ভূমিকা। আসুন তাহলে আমরা অলিভ অয়েলের কয়েকটি কাজ সম্পর্কে জেনে নিই।
অলিভ অয়েল তেল আমাদের রোদে পোড়া ভাব কমিয়ে দেয়। রোদের ফলে যে আমাদের ত্বকে চর্ম রোগের মতন সমস্যা দেখা দেয় তা যদি আমরা অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করি ত্বকে তাহলে এই সমস্যাগুলো দূর হয়ে যায়। অলিভ অয়েল আমাদের ত্বকে মশ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে। শীতের দিনে আমরা মশ্চারাইজার বেশি ব্যবহার করি এছাড়াও মেকআপ এর আগে মশ্চারাইজার ব্যবহার করি আমরা যদি অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করি তাহলে আমাদের ত্বকে মশ্চারাইজারের কাজ হয়ে যায়।
ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর করে অলিভ অয়েল। অলিভ অয়েল তেলের রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা খুব সহজে দূর করে। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ যা আমাদের ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারী। এছাড়াও আমাদের ত্বকের ব্রণের সমস্যা দূর করে। যাদের ত্বকে ব্রণ রয়েছে তারা যদি প্রতিদিন অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করে তাহলে ব্রণের সমস্যা খুব সহজে দূর হয়ে যায়।
ত্বকের বিভিন্ন দাগ ছোপ কমাতে অলিভ অয়েল বিশেষভাবে সাহায্য করে আমাদের ত্বকের চর্ম রোগের কারণে বিভিন্ন ধরনের দাগের সৃষ্টি হয় আর দাগ দূর করতে আপনি যদি অলিভ অয়েল মেসেজ করেন চার থেকে পাঁচ মিনিট থাকে তাহলে খুব সহজে দাগ দূর হয়ে যায়। এছাড়াও অলিভ অয়েল এর বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তোবা এত সময় জেনে গেছেন অলিভ অয়েল তেল কিভাবে খেতে হয় অলিভ অয়েল কিভাবে ব্যবহার করা যায় এছাড়াও রান্নার জন্য কোন অলিভ অয়েল সবচেয়ে বেশি ভালো বিভিন্ন ধরনের তথ্য সম্পর্কে আপনারা এত সময়ে জেনে গেছেন। অলিভ অয়েল হচ্ছে জলপাই তেল এটি একটি প্রাকৃতিক তেল এটি আমাদের স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে ত্বকের যত্নে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
অলিভ অয়েল তেল যদি রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয় তাহলে আমাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়। এমন কি আমাদের ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা খুব সহজে দূর করে দেয় অলিভ অয়েল। আজকের লেখা আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। এবং আপনাদের যদি কোন মন্তব্য থাকে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url