নতুন বাইক কেনার পর করণীয়
আমাদের মধ্যে এখনো অনেক মানুষ আছে যারা নতুন বাইক কেনার পর করণীয় ও বাইকের ফ্রেম নাম্বার কিভাবে বের করব এইটা জানে না। আজকে আমরা বাইক সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য আপনাদেরকে জানাবো আর বিভিন্ন ধরনের তথ্য জানতে হলে অবশ্যই আপনাদেরকে পুরো পোস্টটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন।
যারা নতুন বাইক কিনে প্রথমে শোরুম থেকে তাদেরকে বাইকটা ঠিক আছে কিনা চেক করে দেওয়া হয় এরপরও নিজেকে এমন কিছু খেয়াল করে নিতে ,সব কিছু জিনিস।
ভূমিকা
আমরা হয়তোবা সবাই জানি যে শোরুম থেকে যেতে আমরা বাইক নিয়ে তাহলে শোরুমের লোক গুলো আমাদেরকে বাইক চেক করে দেয় কিন্তু আমাদেরকেও মাঝে মধ্যে কিছু জিনিস খেয়াল করে নিতে হয় বাই কোথাও দাগ আছে কিনা বাইক ফেটে গেছে কিনা এছাড়াও লাইট ঠিক আছে কিনা বিভিন্ন ধরনের জিনিস একটু খেয়াল করে নিতে হয় আর বর্তমান আইন অনুযায়ী বাইক রেজিস্ট্রেশন ছাড়া চালানোর কোন অনুমতি নাই একজন নাগরিক হিসেবে আপনার বাইকের রেজিস্ট্রেশন করা খুবই জরুরী।
নতুন বাইক কেনার পর করণীয়
বাইক নামটা আমাদের সবার কাছে একটা প্রিয়। এখনকার প্রত্যেকটা মানুষের কাছে ছোট আর বড় যেমনি হোক সবার কাছে একটা করে বাইক থাকে। অনেক মানুষ আছে যারা নতুন বাইক কেনার পরে কি করবে এগুলো জানে না। শোরুম থেকে বাইক কেনার সময় শোরুম এর লোকজন বাইকটাকে দেখে দিবে ভালো করে তারপরও আপনি নিজে আপনার মতো করে বাইকটাকে দেখে নিবেন। আমরা যখন নতুন বাইক কিনি তখন দেখে শুনে একটা বাইক কিনি। কিন্তু কিছু ভুলের জন্য আমাদের নতুন বাইক খুব তারাতারি বাইকে সমস্যা দেখা যায়।
নতুন বাইক কেনার পরে ৩ ৪ হাজার কিলো চালানো পর্যন্ত বাইকের কিছুদিন পর পর মবেল চেঞ্জ করা লাগে। নতুন বাইক কেনার ৩৫০ থেকে ৪০০ কিলো চালানোর পর একবার চেঞ্জ করবেন। আবার যখন পরবর্তি মবেল দিবার পরে ৮০০ থেকে ৯০০ কিলো পর্যন্ত চালাবেন। তারপরে আবার মবেল চেঞ্জ করে ১৩০০ থেকে ১৪০০ কিলো চালাবেন। এই ভাবেই ৩ ৪ হাজার কিলো চালাবেন।
এতে আপনার নতুন বাইকের ইঞ্জিন আপনার অনেক দিন পর্যন্ত ভালো থাকে। তারপরে যখন গাড়ি চালানো হবে ৫ ৭ হাজার কিলো তারপরে থেকে আপনার ম্যানুয়ারী একটা নিয়ম করে তখন ইঞ্জিন অয়েল চেঞ্জ করবেন। নতুন বাইক কেনার প্রথমত কাজ থাকে এইটা। তারপরে আপনার গাড়িটা প্রতি মাসে একবার করে ফুল গাড়ি সার্ভিস দিবেন। এই ভাবে ৩ ৪ বার প্রতি মাসে একবার করে ফুল গাড়ি মাস্টার সার্ভিস দিবেন।
বাইকের ফ্রেম নাম্বার কিভাবে বের করব
আমরা অনেক মানুষ বাইক চালাই। আবার অনেক মানুষের সপ্ন একটা বাইক। নতুন বাইক কেনার কিভাবে নাম্বার প্লেট নিবেন বা যেকোন বাইক নতুন পুরাতন যেমনি হোক বাইকের নাম্বার প্লেট কিভাবে বের করবেন। এই বিষয়ে অনেক মানুষ আছে যারা এখনো জানে না কিভাবে বাইকের নাম্বার প্লেট বা ফ্রেম বের করবেন এগুলো জানতে চায়।
নতুন বাইক কেনার পর আমরা যেসব শোরুম থেকে বাইক সেই শোরুম থেকে তারাই আপনার বাইকের নাম্বার বা যেটাকে গাড়ির কাগজ বলে সেটা তারাই আবেদন করে বের করে দিবে। আপনার বাইকের ইঞ্জিন নাম্বার আর চেসিস নাম্বার তারপরে যার নামে গাড়ির কাগজ হবে তার ভোটার কার্ড। বাড়ির ঠিকানা পিতা মাতার ভোটার কার্ড এগুলো শোরুমে জমা দিতে হবে।
তারপরে তারা আবেদন করে দিবে ১ মাসের মধ্যে আপনার গাড়ির নাম্বার বের হবে। সেটা আপনাকে এসএমএস এর মাধ্যেমে জানাবে তারপরে সেটা প্রিন্ট করে লাগাতে পারবেন। ২ ৩ মাসের মধ্যে আপনার ফুল একদম গাড়ির কাগজ আবার নাম্বার প্লেট বের হবে ডিজিটাল ভাবে আর এটা নিতে আপনাকে যাতে হবে বিআরটিএ অফিসে সেখানে আপনার নাম্বার ফ্রেম দিয়ে তারা লাগাই দিবে। তারপরে আপনি সেটাকে আপনার মতো করে ফ্রেম করে সুন্দর ভাবে লাগাতে পারবেন।
বাইক ক্রয় করতে কি কি লাগে
বাইক নামক গাড়িটা আমরা ছোট বড় সবাই পছন্দ করি। এখনকার সময় সবাই বাইক কিনছে কিন্ত অনেক মানুষ আছে শোরুম থেকে বাইক কিনবে ভাবে কিন্ত শোরুম থেকে বাইক কিনতে গেলে কি কি কাগজ লাগে এটা হয়তো সবাই জানে না। যারা শোরুম থেকে ক্রয় করতে চান তাদের যেসব কাগজ গুলো লাগবে সেটা হচ্ছে জাতীয় পরিচয় পত্রের একটা ফটোকপি তার সাথে আপনার কাছে আসল জাতীয় পরিচয় পত্রের কার্ডটা রাখবেন অনেক সময় তারা দেখতে চায়।
তারপরে যেটা লাগবে আপনার সরকার অনুমোদিত ড্রাইভিং লাইন্সেস তার সাথে আপনার নিজের কয়েক কপি ছবি। বাইক কেনার সময় আপনাকে কিছু ফরম পূরন করতে হবে যেগুলো আপনার গাড়ির কাগজ করার সময় কাজে লাগবে। আপনি যে ফরমটা পূরন করবেন সেখানে আপনার সব ধরনের তথ্য তারা নিয়ে রাখবে। আপনি শোরুম থেকে নতুন বাইব কিনেন আর পুরাতন বাইক কিনেন না কেন আপনার এই সব কাগজ গুলো লাগবেই। তাই যারা নতুন বাইক কিনবেন তারা অবশ্যই এই সব কাগজ গুলো সাথে নিয়ে জাবেন।
বাইক কিনতে কি ড্রাইভিং লাইসেন্স লাগে
বাইক কিনতে গেলে কি ড্রাইভিং রাইন্সেস লাগে। আমরা যারা বাইক কিনেছি তাদের কি এই ড্রাইভিং লাইন্সেস আছে। ড্রাইভিং লাইন্সেস এর কাজ কি এই ধরনের প্রশ্ন আমাদের সবার মধ্যে থাকে। আবার যারা নতুন বাইক কিনবে তাদের এখন ড্রাইভিং লাইন্সেস ছাড়া কোন শোরুম থেকে গাড়ি দেয় না। কারন আমাদের রাস্তায় চলতে হলে আগে ড্রাইভিং লাগবে এই ড্রাইভিং লাইন্সেস করার মানে হলো সরকার আপনাকে রাস্তায় চলার অনুমোদন দিয়েছে।
এই ড্রাইভিং লাইন্সস ছাড়া কোন বাইক রাস্তায় চালাতে পারবেন না। রাস্তায় বাইক চালাতে আর ড্রাইভিং লাইন্সেস করা রাইডারের মাঝে যে একটা গ্যাপ রয়েছে সেটা পূরন করতে এই ড্রাইভিং লাইন্সেস দরকার। আমরা যারা বাইক চালায় তাদের সবার ড্রাইভিং লাইন্সেস করতে হবে। রাস্তায় যেকোন গাড়ি চালাতে ড্রাইভিং লাগবে। আর অবশ্যই আমরা যারা নতুন বাইক কিনতে চান বা নতুন বাইক কিনবো ভেবেছেন তারা আগেই আপনার ড্রাইভিং লাইন্সেস করে নিবেন আগে। শোরুম থেকে যখন বাইক কিনবেন তখন আগে আপনার ড্রাইভিং আছে কি সেটা দেখবে তারপরে আপনার সব রকম কাগজ ঠিক আছে কি সেটা দেখবে তারপরে তারা আপনাকে গাড়ি দিকে আগ্রহ করবে।
কিভাবে বুঝবো আমার বাইক কোন মডেল
আমাদের দেশে এখন বিভিন্ন মডেলের বাইক আসছে। যত দিন যাচ্ছে তত নতুন নতুন মডেলের গাড়ি আমাদের দেশে দেখা যায়। এখন আমাদের দেশে এত বেশি পরিমানে গাড়ি আসছে যে কোনটা কোন মডেলের গাড়ি সেটা বুঝা অনেকটাই কষ্টের এখনকার মানুষের কাছে। যারা বাইক কিনবেন তারা কিভাবে বুজবেন আপনার বাইকটা কোন মডেলের। আমরা অনেক সময় বিভিন্ন মডেলের গাড়ি দেখতে পায় কিন্ত সেটা দেখে অনেকে ভাবে এটা কি মডেলের গাড়ি হতে পারে।
আর আমরা রাস্তায় যখন কোন গাড়ি দেখি তখন প্রথমে আমরা গাড়ির ডিজাইন গাড়ির লুক এগুলো দেখি। কারণ একটা গাড়ির লুক বা দেখতে যত সুন্দর হবে তত বেশি গ্রাহকদের আগ্রহ জাগে। আর এখন আমাদের দেশে বিভিন্ন মডেলের বিভিন্ন কোম্পানির গাড়ি দিন দিন আসছে। প্রতিটা গাড়ির উপরে প্রতিটা মডেলের বা কোম্পানির নাম থাকে। কারণ নাম না থাকলে কেউ সেটা বুজতে পারবে না যে এটা কোন কোম্পানির গাড়ি।
আর এখন মূলত প্রতিটা গাড়ির একটা করে লুক থাকে যেটা দেখেও অনেক সময় বুঝা যায়। আমরা গাড়ি কেনার সময় সবসময় গাড়ির মডেল দেখি কোন মডেলটা ভালো লাগে। আমাদের সবার পছন্দ এক হয় না। এই কারণে ভিন্ন ভিন্ন মডেলের গাড়ি বের করা হয়। গাড়ির লুক গাড়িটা কোন কেম্পানির গাড়ির নাম কি এগুলো দেখলে আপনি বুজতে পারবেন যে আপনার গাড়িটা কোন মডেলের।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আপনি হয়তো বা এতো সময় জেনে গেছেন নতুন বাইক কেনার পর করণীয় ও বাইকের ফ্রেম নাম্বার কিভাবে বের করতে হয় বাইক ক্রয় করতে কি কি লাগে বিভিন্ন ধরনের তথ্য সম্পর্কে আপনি জেনে গেছেন। বাইক হচ্ছে আমাদের সকলের একটি শখের প্রয়োজনীয় বাহন সবসময় দেখা যায় যে আমরা নিজের পছন্দের উপরে নির্ভর করে বাইক কিনে তবে বাইক কেনার সময় আপনাকে কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হয়। এবং আপনাকে কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
আপনি এটা আমাদের পুরো মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে বাইক সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য জানতে পারবেন। আজকের লেখা আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন এবং আপনাদের কোন মন্তব্য থাকলে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেনা।
Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url