গরমে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ
অতিরিক্ত গরমের কারণে মানুষের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয় অনেকের আবার গরমে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে কিন্তু কেউ জানে না যে হঠাৎ গরমে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ কি ও শরীরে অতিরিক্ত গরম লাগার কারণ এগুলো সম্পর্কে অনেকের ধারণা নেই। আপনি যদি নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার অনেক বেশি উপকারে আসবে। আর সঠিক তথ্যটা জানতে হলে আপনাকে পুরো পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
আবহাওয়া গরম হলে বাতাসও অনেক বেশি গরম হয়ে যায় আর সে কারণে নাক দিয়ে রক্ত বের হয়। এছাড়াও গরমের কারণে মানুষের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
ভূমিকা
যত দিন যাচ্ছে গরম তত বেশি পড়ছে গরমের কারণে ছোট থেকে বড় সব বয়সী মানুষেরই অনেক বেশি সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তারা বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। গরমের সময় বাতাসের আদ্রতা শুষ্ক থাকে আর এ কারণে নাক দিয়ে অনেকের রক্ত বের হয়। তবে এটা কোন অস্বাভাবিক কিছু না বা কোন বড় রোগের লক্ষণ না। গরমের সময় নাক দিয়ে রক্ত পড়ার পাশাপাশি আপনার প্রস্রাব কম হতে পারে।
আপনি গরমের সময় অন্তত তিন লিটার পানি পান করবেন যত বেশি পানি পান করবেন প্রসাব তত বেশি হবে। আপনি যদি প্রসাব আটকিয়ে রাখেন তাহলে ইনফেকশন শুরু হবে। এছাড়াও গরমের সময় যাদের তেলাক্ত ত্বক রয়েছে তারা বেশি বেশি ত্বকের যত্ন নিবেন। এর জন্য সিরাম বা মশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
গরমে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ
গরমের কারনে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে ছোট থেকে বড় প্রায় সব বয়সী মানুষই গরমের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে আর তাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। গরম একটু বেশি পড়লে দেখা যায় যে নাকের সমস্যার শুরু হয় নাকে হাত দিলে নাকে রক্ত বের হয়ে আসে। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয় আবার দেখা যায় কিছু না করলেও নাক দিয়ে রক্ত পড়ে সে ক্ষেত্রে এই বিষয়টা সাধারণ নাও হতে পারে অস্বাভাবিক কিছু হতে পারে।
নাক দিয়ে রক্ত পড়া আসলে বিশেষ কোন নির্দিষ্ট রোগ না। নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কিছু কারণ থাকে আপনার নাকি যদি আঘাত লাগে সেক্ষেত্রে নাক দিয়ে রক্ত বের হতে পারে। এছাড়া যদি বারবার নাকে হাত দেন তাহলে রক্ত বের হবে সাইনাসের সমস্যা থাকলেও মাঝেমধ্যে রক্ত বের হয়। এগুলো কারণেই সাধারণত নাক দিয়ে রক্ত পড়ে। তবে নাক দিয়ে রক্ত পড়া বিশেষ কোনো রোগের লক্ষণ না। অনেক সময় দেখা যায় যে গরমের কারণে নাক দিয়ে রক্ত বের হয়।
আবহাওয়া গরম থাকলে বাতাসের সঙ্গে মিশে যখন বাতাস আমাদের নাকের ভেতরে ঢুকে তখন অতিরিক্ত গরম হয়ে জ্বলনি তৈরি হয়। আর ঠিক সেই সময়ে নাকে হাত দিলে নাক থেকে রক্ত বের হয়। আবার শীতের সময় দেখা যায় যে নাক দিয়ে রক্ত বের হয় বাতাসের কারণে বাতাসের প্রবাহে রক্ত বের হওয়া সমস্যা হয়। আবার অনেক মানুষের দেখা যায় যে স্ট্রোক ডিহাইডেশন নাক রক্ত পড়া এগুলো বেশি দেখা যায়।
গরমে শুষ্ক বায়ুর কারনে সাধারণত নাক দিয়ে রক্ত বের হয় আর এগুলো রক্ত বের হওয়ার কারণে ভয় না পেয়ে এটার প্রতিকারগুলো গ্রহণ করুন । এতে আপনি নাক দিয়ে রক্ত পড়ার সমস্যা ভালো করতে পারবেন। নাক দিয়ে রক্ত বন্ধ করার প্রতিকার গুলোর মধ্যে প্রথম হচ্ছে কোল্ড প্রসেস। আপনি কয়েক মিনিটের জন্য নাকের উপরে একটি ঠান্ডা কম্প্রেসার ধরে রাখলে এটি আপনার নাকের ছোট ছোট রক্তনালীগুলোকে সহায়তা করতে পারে যা রক্তপাত সৃষ্টি করেছে। এভাবে আপনি আপনার নাক দিয়ে রক্ত বের হওয়া প্রতিকার করতে পারেন।
শরীরে অতিরিক্ত গরম লাগার কারণ
আপনার যদি হার্টে কোন ব্লক থাকে তাহলে আপনার শরীরে মাত্রারিক্ত ঘাম হবে ও গরম লাগবে। এছাড়াও যাদের ডায়াবেটিকস রয়েছে তাদের হঠাৎ সুগার কমে গেলে শরীরে অনেক বেশি গরম লাগে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি গরম পরে এর পাশাপাশি এশিয়ার বিভিন্ন দেশেও গরম পড়ছে এতে মানুষ হাঁসফাঁস করছে। বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে মানুষের শরীর ও গরম হয় এর ফলে রক্ত নালীগুলো খুলে যায়।
সারা শরীরের রক্ত সঞ্চালন করা হৃদপিন্ডের জন্য অনেক বেশি কঠিন হয়ে পড়ে। সেজন্য মানুষের শরীরে অতিরিক্ত গরম লাগে। গরমের কারণে দেখা যায় যে ফুসকুড়ি চুলকানি পা ফুলে যাওয়া এসব ধরনের সমস্যা দেখা যায়। এছাড়া প্রচুর ঘাম হওয়ার কারণে শরীরে তরল পদার্থ লবণের পরিমাণ অনেক বেশি কমে যায়। এইসব কিছু একসাথে মিলিয়ে শরীরে অতিরিক্ত গরম লাগে অতিরিক্ত গরম লাগলে আমাদের শরীরে যা যা হয় আসুন জেনে নিই
- মাথা ঘুরে
- বমি বমি ভাব
- মাথাব্যথা
- প্রচন্ড ঘাম
- ক্লান্তি
- নিস্তেজ হয়ে পড়া
গরমের সময় আবহাওয়া দিনে দিনে পরিবর্তন হচ্ছে যতদিন যাচ্ছে তত বেশি গরম পড়ছে। এমনকি দেখা যায় বর্ষাতেও তীব্র গরম পড়ে গরমে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়া ডায়াবেটিস রোগীদেরও অনেক বেশি গরম লাগে গরমের সময়ে শরীরে ঘামের পরিমাণটা অনেক বেশি বেড়ে যায়। যাদের থাইরয়েডের সমস্যা রয়েছে তাদের শরীরে অতিরিক্ত গরম লাগে। এছাড়াও যাদের রক্তে ইনফেকশন রয়েছে তাদের শরীরে প্রায় উত্তপ্ত করে তুলতে পারে কারণ শীতেও তাদের শরীর গরম থাকবে সেই সঙ্গে হালকা ঘাম হবে।
গরমে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন
যাদের ত্বক তেলাক্ত তাদের গরমে অনেক বেশি সমস্যা সৃষ্টি হয়। কিন্তু অনেক মানুষ আছে তারা জানে না যে কিভাবে তেলাক্ত ত্বকের যত্ন নেয়া যায় গরমকলে। অনেকে মনে করে গরমের সময় যত মুখ ধোয়া যায় ততই ভালো হয় কিন্তু আসলেও এটা ঠিক নয়। আপনি যত বেশি মুখ ধোবেন তত আপনার ত্বকের প্রাকৃতিক তেল কমে যাবে ।আর তত বেশি করে তেল উৎপাদন করবে ত্বক। আপনি গরমের সময়ে দিনে দুইবার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে পারবেন আর বাকি সময়টা আপনি মিস্ট ব্যবহার করতে পারবেন অথবা মুখ ধুয়ে ফেলতে পারবেন।
যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাদের ত্বকে সমস্যার কোন শেষ থাকে না। আর গরমকালের তৈলাক্ত ত্বক ঘেমে আরো বেশি তৈলাক্ত হয়ে ওঠে। কিন্তু যে গরমের সময় শুধু তেল ওয়াক্ত ত্বকের সমস্যা হয় এরকমও না অনেক সময় দেখা যায় মিশ্র ত্বকের ক্ষেত্রেও সমস্যা হয় গরমের সময়। তৈলাক্ত ত্বকে যদি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা হয় তাহলে অনেক ভালো হয়।
আদ্রতা কমে গেলে তখন আমাদের ত্বকে তেল উৎপাদন করে আরো বেশি পরিমাণে। তাই ত্বকে ময়েশ্চেরাইজার ব্যবহার করতে হবে আর ময়েশ্চেরাইজার মুখ ধোয়ার পর লাগাবেন। আর চেষ্টা করবেন যে হালকা ময়েশ্চারাইজার লাগানোর জন্য। আপনি চাইলে আপনার ত্বকের বাড়তি তেল নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন একটি সহজ উপায়ে নাক যদি খুব বেশি তেলতেলে করে তাহলে সেটা ব্লটিং পেপার দিয়ে শুষে নিন। তাহলে দেখবেন যে আপনার ত্বক অনেক বেশি সতেজ হয়ে গেছে।
গরমে প্রস্রাব কম হওয়ার
গরমে পানি শূন্যতা হয় আর সে কারণে দেখা যায় প্রসব কম হয়। তীব্র গরমে মানুষ অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে তাদের শরীরে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কিডনি থেকে শুরু করে মূত্রনালী পর্যন্ত যে কোন স্থানে ইনফেকশন হয় সেটাকে বলা হয় ইউরিন ইনফেকশন। প্রসাবে যদি ইনফেকশন হয় তাহলে দেখা যায় প্রসাবে অনেক বেশি জ্বালাপোড়া করে তলপেট ব্যথা করে জ্বর কাঁপুনি ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা যায়।
গরমের কারণে শরীর অতিরিক্ত বেশি ঘেমে যায় আর সে কারণে শরীর থেকে পানি বের হয়ে যায় পরে প্রস্রাব অনেক কম হয়। আর প্রস্রাব কম হলে ইনফেকশন এর আশঙ্কা বেড়ে যায়। আর প্রসাবে ইনফেকশন নারি থেকে পুরুষ সবারই হয় তাই আমাদের সবাইকে সতর্ক হতে হবে। প্রস্রাব কম হলে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে কারণ শরীরে যদি পানির ঘাটতি হয় তাহলে প্রসাব ঠিকমতন হবে না। তখনই প্রসাবে ইনফেকশন শুরু হবে।
প্রস্রাব যদি ঠিক মতন হয় তাহলে শরীরের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া গুলো বের হয়ে আসে। প্রস্রাব যদি কম হয় তাহলে ইনফেকশন হওয়ার ভয় থাকে। গরমের সময় আপনাকে অন্তত তিন লিটার পানি পান করতে হবে। এছাড়াও আপনি চাইলে ডাবের পানি ফলের রস খেতে পারেন পানির পাশাপাশি। কারণ যে শুধু পানি খেলে ইনফেকশন হবে না এরকমটা না পানির সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে ফলের রস ডাবের পানি খেতে হবে।
ফল ও ডাবের পানি আমাদের শরীরে পানির ঘাটতি মিটাই সেইসাথে শরীরের ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতিও মিটাই। আর আপনার প্রস্রাব কখনোই আপনি চেপে রাখবেন না অনেকেরই এই বদভ্যাসটা রয়েছে। দীর্ঘ সময় প্রসাব চেপে রাখার কারণে দেখা দেয় ইনফেকশন। যদি অনেক সময় প্রস্রাব ধরে রাখেন তাহলে ব্লাডারে ব্যাকটেরিয়া থেকে যায়। সেজন্য আপনি কখনো ৩০ মিনিটের বেশি ধরে রাখবেন না প্রস্রাব।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তোবা এত সময় জেনে গেছেন গরমে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারণ ও অতিরিক্ত গরম লাগার কারণ তেলাক্ত ত্বকের যত গরমে প্রস্রাব কম হওয়ার কারণ। বিভিন্ন ধরনের তথ্য সম্পর্কে আপনাদের এত সময় জানা হয়ে গেছে। গরমের সময় মানুষের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা যায় এর মধ্যে হচ্ছে নাক দিয়ে রক্ত পড়া তবে এটা কোন বড় রোগের লক্ষণ না। এটা সাধারণ কারণে হতে পারে অতিরিক্ত গরমের কারণে নাক দিয়ে রক্ত বের হয়।
এছাড়াও যাদের তেলাক্ত ত্বক রয়েছে তারা গরমে মশ্চেরাইজার ব্যবহার করে ত্বকের যত্ন নিতে পারবেন। আর আপনি কখনোই আপনার প্রসব আটকে রাখবেন না প্রসাব আটকে রাখলে প্রসাবে ইনফেকশন হবে। আজকের লেখা আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। এবং আপনাদের যদি কোন মন্তব্য থাকে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url