নাইলোটিকা মাছ চাষ কেন লাভজনক
প্রিয় পাঠক আমরা আজকে জানবো নাইলোটিকা মাছ চাষ কেন লাভজনক ও কিভাবে মাছ তাড়াতাড়ি বড় হয় এ সম্পর্কে আমাদের এই পোস্টটি লিখা আপনি যদি পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে মাছ সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য জানতে পারবেন। আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় প্রায় সবার বাসাতেই মাছ থাকে।
মাছ হচ্ছে প্রোটিন জাতীয় একটি খাবার এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী। আপনি যদি চান তাহলে মাছ চাষ করে অনেক বেশি লাভ করতে পারবেন। আমাদের বাঙালিদের বলা হয় মাছে ভাতে বাঙালি। কারন আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মাছ থাকবেই।
ভূমিকা
মাছ হচ্ছে আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় থাকে। মাছ খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী। আপনি যদি চান তাহলে মাছ চাষ করে খুব তাড়াতাড়ি অনেক বেশি আয় করতে পারবেন। কিন্তু আপনাকে মাছ চাষ করতে গেলে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে সে নিয়মে যদি আপনি মাছ চাষ করেন তাহলে অল্প সময়ে আপনি লাভবান হতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন মাছ বাজারজাত করতে পারবেন। মাছ চাষ করতে হলে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা করতে হবে। পরিকল্পনা করে আপনি মাছ চাষ করতে পারবেন। মাছ চাষ সম্পর্কে আরো তথ্য জেনে নিব আমরা আসুন।
নাইলোটিকা মাছ চাষ কেন লাভজনক
আমরা যেসব পুকুরে কাপ মাছ করি সেই পুকুরে কাপ মাছের সাথে নাইলোটিকা এই মাছ খুব সহজে আপনারা চাষ করতে পারবেন। এই মাছ দ্রুত বৃদ্ধির জন্য মাছকে প্রাকৃতিক খাদ্যের সাথে দৈনিক মাছ ৪ থেকে ৫ সম্পরক খাবার দিতে হবে। কম সময়ে যারা বেশি ফলন চায় বা বেশি মুনাফা চায় তারা এই নাইলোটিকা মাছ চাষ করতে পারবে। এই মাছ আপনাকে কম সময়ে বেশি মুনাফা দিবে।
এই মাছ প্রতিকূল পরিবেশেও টিকে থাকতে পারে। খালবিলে এই মাছ অনেক সময় দেখা যায়। আপনি যদি মনে করেন পুকুরে এই মাছ চাষ করবেন তাও পারবেন। যে পুকুরে এই মাছ চাষ করবেন সেই পুকুর হতে হবে শক্ত মুক্ত। প্রজনন পুকুর গুলোতে প্রতি হাজার বর্গ কিলোমিটারে ২৫ থেকে ৩০ টি পরিপক মাছ করতে পারবেন। যে পুকুরে ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বজায় রাখার ক্ষমতা থাকে।
সেই পুকুরে যদি ব্যবস্থাপনা সঠিক ভাবে থাকে তাহলে সেখানে ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে উন্নত মানের মাছ প্রজনন করা যায়। নাইলোটিকা চাষের জন্য পুকুরে ২০ থেকে ২৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকলে এটা ভালো হবে। এই রকম নিদিষ্ট তাপমাত্রা থাকলে বছরব্যপী প্রজনন করা যাবে। নাইলোটিকা চাষ করতে সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ লবণাক্তকতা বয়ঃসন্ধিক্ষণে গিয়েও এটা প্রজনন ঘটতে পারে।
মাছ চাষের জন্য কোন পদ্ধতি ভালো
আমাদের দেশের অন্যতম একটা চাষ হচ্ছে মাছ চাষ। মাছ চাষের পদ্ধতি সবার জানা নাই তো আজকে জানবো মাছ চাষের পদ্ধতি। এখনকার সময়ে সবথেকে ভালো মাছ চাষ পদ্ধতি হচ্ছে রাস পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে আপনি যেসব মাছ চাষ করতে পারবেন সেগুলো হচ্ছে দেশি বিদেশি মাগুর মাছ, পাবদা, সিংরা, মাছ আরো বিভিন্ন ধরনের কিছু মাছ আছে যেগুলো আপনি এই রাস পদ্ধতি ব্যবহার করে চাষ করতে পারবেন।
এইসব মাছগুলো আপনি বিশুদ্ধ পানিতে স্বাস্থ্য সম্পর্কে ভাবে চাষ করতে পারবেন। মনোকালচার পদ্ধতিতে মাছ চাষ করা যায়। এ পদ্ধতিতে আপনারা যদি মাছ চাষ করেন তাহলে উৎপাদন ও গুনমান ভালো হয়। এই মাছগুলো ভোক্তাদের কাছে অনেক বেশি জনপ্রিয়। মাছ চাষ হলো ঘরোয়া ও বাণিজ্যিক। এর জন্য মাছ চাষ প্রজনন এটাকে লালন পালন করতে হবে।
তবে অবশ্যই মাছ চাষ করার আগে অবশ্যই আপনাকে এর পদ্ধতি গুলো ভালোভাবে জানতে হবে। আমাদের দেশে বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন রকমের মাছ চাষ করা যায়। মনোকালচার মনোসেক্স পরিকালচার বিভিন্ন মাছ চাষ করার পদ্ধতি আছে। খাচা করে মাছ চাষ করতে পারবেন, পুকুরে চাষ করা যাবে, ক্লাসিক ফাই ফামিং ভাবেও মাছ চাষ যায়।
কোন মাছ তাড়াতাড়ি বড় হয়
বাজারে সব থেকে বেশি যেসব মাছ সেগুলা হচ্ছে রুই,কাতলা, সিলভার কাপ প্রভৃতি ধরনের মাছ বাজারে বেশি আসে। এই ধরনের মাছ গুলো খুব দ্রুত বড় হয় এদের রোগ কম হয় খাদ্য জায়গার জন্য এরা একে অপরের সাথে প্রতিযোগী না। এতে পুকুরের পানি ভালো থাকে আবার মাছ গুলো খেতে ও
অনেক সুস্বাদু লাগে। যে কোন মাছ আপনি ঠিক মতো খাবার দিলে তারাতারি বড় হবে। মাছ তারাতারি বড় করতে মাছকে ভিটামিন দিতে হবে।
মাছের খাবারের সাথে এক্টিভিট পাউডার ও মাছের খাবার ভাসমান খাবার যেটা খাওয়াবেন সেটা একসাথে মিশিয়ে নিয়ে পুকুরে ভালো করে ছিটিয়ে দিবেন এই ভিটামিন গুলো দিলে মাছ খুব দ্রুত বড় হবে। কম রাইট্রেট ও ভালো ব্যাবটেরিয়া এগুলো মাছের বৃদ্ধির জন্য খুব ভালো কাজ করে। স্তিতিশীল পরিবেশের মাছ চাষ করলে মাছ গুলো দেখবেন অনেক শক্তি শালী ও খুব দ্রুত বড় হয়। এতে আপনার মাছ মরবে কম ক্ষতি হবে কম। বায়োফ্লক পদ্ধতিতে এখন অনেক মাছ চাষি মাছ চাষ করছে।
এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে চাষিরা লাভবান অনেক মাছ দ্রুত বড় হয় আবার শক্তি শালী হয়। বায়োফ্লক এমন একটা পদ্ধতি যেখানে জৈব বর্জ্যের পুষ্টি থেকে পুনঃব্যবহার যোগ্য হয়ে ওঠে। বায়োফ্লক এর জন্য পানিতে যেটা তৈরি হয় ব্যাকটেরিয়া ও শৈবাল তৈরি হয় তা থেকে পানিতে উৎপাদিত জৈব বর্জ্যকে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে। তা দিয়ে অ্যামোনিয়া গ্যাস পানিতে তৈরি হতে না দিয়ে নিজেদের বংশ বৃদ্ধি করে।
মাছের বৃদ্ধি কম হয় কখন
আমাদের দেশে এখন সবাই কমবেশি মাছ চাষ করতে চায়। কিভাবে মাছ চাষ করলে মাছের বৃদ্ধি বাড়ে বা কখন কমে এই বিষয়ে জানেন। আধুনিক ভাবে মাছ চাষে মাছের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন সম্পূরক খাদ্য। মাছের তাপমাত্রার সাথে জলের তাপমাত্রার কম বেশি হয়ে থাকে। আকাশে রোদ বেশি হলে তাপমাত্রা বেশি হয় আর যখন তাপমাত্রা বেশি হয় তখন মাছের বৃদ্ধি ভালো হ।য় আবার যখন তাপমাত্রা কমে য্য় তখন মাছের বৃদ্ধি কমে যায়।পুকুরে যদি গভীরতা কম থাকে তখন অক্সিজেনের পরিমান কমে যায়। আর যদি আপনার পুকুরে পানির গভীরতা বেশি থাকে তাহলে পুকুরে অক্সিজেনের সমস্যা হয় না। এই রকম হলে মাছের উৎপাদন ও মাছের বৃদ্ধি কমে যায়। মাছের বৃদ্ধি বারানোর জন্য দরকার আমাদের ভাসা খাবার। ভাসা খাদ্য মাছের জন্য ভালো কারন খাবার উপরে ভেসে থাকে মাছের খেতে সুবিধা হয়। আমরা যদি মাছকে ভালো ভাবে ঠিক মতো খাবার দেয় তাহলে বৃদ্ধি বারবে খাবারের উপরে নির্ভর করে মাছের বৃদ্ধি। আমরা যদি ঠিক মতো খাবার না দিয়ে মনে করি যে মাছের বৃদ্ধি হবে তাহলে এটা ভুল। মাছের বৃদ্ধির উপরে প্রথম হচ্ছে কাবার।
মাছ চাষের জন্য পুকুর প্রস্তুতি
আমরা যারা মাছ চাষ করবো তাদের আগে পুকুর প্রস্তুত করতে হবে। আগে পুকুর ভালো ভাবে কেটে নিতে হবে আর পুকুরের গভীরতা করতে হবে। ভালো করে পুকুরের চারিদিক বানতে হবে। আর যখন পুকুর কাটবেন বা পুকুর তৈরি করবেন তখন পুকুরটাকে বন্যামুক্ত রাখতে হবে মানে পুকুর টাকে শুকনা রাখতে হবে। তারপরে পুকুর কাটার কাজ করবেন পুকুরের চারিদিক ভালো করে বানতে হবে।
পুকুরের চারিদিক একটু উচু করে নিবেন যাতে পুকুরে বেশি বষ্যার সময় পানি উপরে উঠে না যায়। পুকুরের তলা ভালো করে সমান করে নিবেন। পুকুরের গভীরতা করতে হবে। যখন পুকুর কাটা হয়ে যাবে তখন পুকুরে পানি দিতে হবে। তারপরে পানি দিবার পরে পুকুরে চুন দিয়ে রাখতে হবে যাতে পানিটা পরিষ্কার হয়ে যায়। যখন পানি পরিষ্কার হয়ে যাবে তখন পুকুরে মাছ ছাড়তে পারবেন। এতে আপনার মাছের কোনো ক্ষতি হবে না।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আপনি এত সময় হয়তোবা জেনে গেছেন মাছ চাষের জন্য কোন পদ্ধতি ভালো কিভাবে মাছ তাড়াতাড়ি বড় হয় ও মাছ চাষের জন্য পুকুর প্রস্তুতি বিভিন্ন ধরনের তথ্য সম্পর্কে আপনি এত সময় জেনে গেছেন। আমাদের দেশে এখন মাছ চাষ করে বিভিন্ন মানুষ খুব তাড়াতাড়ি অনেক বেশি লাভবান হতে পারছে। এবং বিভিন্ন ধরনের মাছ তারা বাজারজাত করছে এ থেকে তারা আয় করতে পারছে। মাছ হচ্ছে আমাদের বাঙ্গালীদের প্রিয় একটি খাবার।
আমাদের বাঙ্গালী দের সবাই বলে মাছে ভাতে বাঙালি তাই মাছ আমাদের অনেক বেশি প্রিয় খাবার। আপনি যদি মাছ চাষ করেন সঠিক পদ্ধতিতে তাহলে অল্প সময়ে অনেক বেশি লাভ করতে পারবেন। আমার লেখা আজকের আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। এবং আপনাদের যদি কোন মন্তব্য থাকে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url