মুখমণ্ডল শুকিয়ে যাওয়ার কারণ
আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যাদের মুখমণ্ডল শুকিয়ে যায় কিন্তু তারা বুঝতে পারে না যে আসলে মুখ শুকিয়ে যাওয়ার কারণ কি ও দুশ্চিন্তায় মানুষের ওজন কমে কেন বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন তাদের মনে থেকে যায়। আসুন তাহলে আপনাদের সব মনের প্রশ্নের উত্তর আমরা আজকে দিব। সেজন্য আপনাকে পড়া পোষ্ট প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুব মনোযোগ সবার করতে হবে।
অনেক সময় আমাদের সময় দেখা যায় অতিরিক্ত গরমের জন্য আমাদের মুখমন্ডল শুকিয়ে যায়। এছাড়াও মুখমণ্ডল শুকিয়ে গেলে বারবার পিপাসা লাগে মুখের মধ্যে আঠালো ভাব হয়।
ভূমিকা
সুস্থ থাকতে হলে আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। আমাদের শরীরে যদি পুষ্টির অভাব হয় তাহলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি কমে যায়। আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি কমে যায় তাহলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বাঁধে। সুস্থ জীবন যাপন করতে সবাই চায়। সুস্থ জীবন যাপন করতে হলে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন পুষ্টিকর ও ক্যালোরি জাতীয় খাবার খেতে হবে।
যেমন ফলমূল বাদাম মধু এসব জাতীয় খাবার যদি আপনি খান তাহলে আপনার স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। তবে অবশ্যই একটা জিনিস খেয়াল রেখে আপনাকে খেতে হবে আপনি যাতে সঠিক পরিমাণে ভিটামিন জাতীয় খাবার খান। এগুলো যদি অধিক পরিমাণে খেয়ে ফেলেন তাহলে এতে ক্ষতির আশঙ্কাও থেকে যায়।
মুখমণ্ডল শুকিয়ে যাওয়ার কারণ কি
অনেকের দেখা যায় পর্যাপ্ত পানি পান করার পরও মুখমণ্ডল শুকিয়ে যায়। তবে এইটা সাধারণত ডায়াবেটিসের লক্ষণ বলে ধরে নেয়া হয়। ডায়াবেটিসের কারণ হলে প্রথমে এই কারণটায় দেখা দেয় প্রথমে মুখ শুকনো হয়ে যায় পুরো মুখমণ্ডলী শুকনো হয়ে যায় এ সমস্যা যদি আপনার দীর্ঘদিন হয় তাহলে মারাত্মক বিপদ হতে পারে। এই সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
অনেকের আবার দেখা যে মুখে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে নালা থাকে তারপরও মুখমন্ডল শুকিয়ে যায় অস্থিরতা অবস্থা তৈরি হয়। আমাদের মুখের ভেতরের লালা ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রণ করে এবং যেকোনো রোগের সংক্রমণ হতে বাধা দেয়। যখন কেউ মুখে পর্যাপ্ত পরিমাণে লালা তৈরি করতে পারে না তখন তাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় দেখা যায় যে এলার্জি ডাইরিয়া উচ্চ রক্তচাপ হাঁপানি রোগের জন্যও মুখ শুকিয়ে যায়।
এছাড়াও যদি আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে ঘুমের ঔষধ খান তাহলেও মুখ ও জিহ্বা শুকিয়ে যাবে। আপনার যদি কোন আঘাত জনিত বা সার্জারি জনিত সমস্যা হয়ে থাকে তাহলেও আপনার জিব্বা ও মুখ শুকিয়ে যেতে পারে। বিভিন্ন কারনে যেমন ঘাম বমি ডাইরিয়া উচ্চ রক্তচাপ এগুলোর কারণেও দেখা যায় যে মুখ্য জিব্বা শুকিয়ে গেছে। মুখ শুকিয়ে যাওয়ার আগে আপনার মুখের মধ্যে আঠালো শুকনো অনুভূতি হবে।
আর এছারাও বারবার পিপাসা লাগবে গলাতে শুষ্ক অনুমতি হবে। অবশেষে বলা যায় যে বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতার কারণেও মুখমন্ডল শুকিয়ে যায়। এছাড়াও যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করা হয় সে ক্ষেত্রে মুখমণ্ডল শুকিয়ে যায়। আপনার যদি ডায়াবেটিস রোগ থাকে তাহলে ডায়াবেটিসের জন্য আপনার মুখমন্ডল শুকিয়ে যাবে।
দুশ্চিন্তায় মানুষের ওজন কমে কেন
কথায় বলে মানুষ চিন্তায় চিন্তায় অনেক বেশি শুকিয়ে গেছে। চিন্তার কাজটা মানুষের মস্তিষ্কই করে। মস্তিষ্ক যে কোন কাজের শক্তি ব্যয় হয় সে ক্ষেত্রে বলা যায় যে চিন্তায় অনেক বেশি শক্তি ক্ষয় কের তার সাথে সাথে আমাদের ওজন অনেক বেশি কমে যায়। চিন্তার কারনে মানুষের ওজন কমে যায়। উচ্চতা অনুযায়ী প্রত্যেকটা মানুষেরই ওজন সীমাবদ্ধ থাকা উচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে এক কথায় বলা যায় যে বডি মাস ইনডেক্স বা বিএমাআই।
অনেকের দেখা যায় যে ধীরে ধীরে তাদের শরীরের ওজন অনেক বেশি কমে যাচ্ছে কিন্তু সেটা অনেক বেশি চিন্তার বিষয়। ওজন কমে যাওয়া কিন্তু সুস্থতার লক্ষণ নয় আপনি যদি স্বাভাবিক খাদ্য খেয়ে জীবন যাপন করেন তাহলে আপনার ওজন কমতে থাকবে। আপনি যদি অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করেন অতিরিক্ত মানসিক চাপ নেন তাহলে আপনার ওজন অনেকটা বেশি কমে যাবে।
হঠাৎ ওজন কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে মানসিক চাপ। ওজন কমে গেলে আমাদের শরীরে নানা রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। মানুষ যখন অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করে সেই প্রভাব তার মস্তিষ্কে গিয়ে পড়ে আর মস্তিষ্ক থেকে সরাসরি শরীরে পড়ে। আর সেজন্যে মানুষের শরীরে ওজন কমে যায় যদি দুশ্চিন্তা করে। এটি আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর হতে পারে।
ওজন কমে গেলে কি করব
আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যাদের শরীরের ওজন হঠাৎ করেই কমে যায়। হঠাৎ করে যদি শরীরের ওজন কমে যায় তাহলে এ থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি থেকে যায়। আপনার ওজন যদি হঠাৎ করে কমে যায় তাহলে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আপনি কি ধরনের খাবার খাচ্ছেন। আপনার খাবার গ্রহণ কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা যদি কোন কারণ ছাড়াই আপনার ওজন কমে যায় তবে তা খেয়াল রাখতে হবে।
কোন বিষয়ের জন্য আপনার ওজনটা কমে যাচ্ছে সেক্ষেত্রে আপনাকে চিকিৎসার পরামর্শ নিতে হবে। ওজন কমার সাথে সাথে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। এবার আমরা জানবো যে হঠাৎ করে যদি ওজন কমে যায় তাহলে কি করবেন। হঠাৎ করে যদি ওজন কমে যায় সে ক্ষেত্রে আপনাকে আঁশ জাতীয় খাবার খেতে হবে। আপনি যদি দেখেন কয়েক মাসের মধ্যে আপনার শরীরের ওজন কমে যাচ্ছে।
সেক্ষেত্রে আপনাকে আশ জাতীয় খাবারগুলো খেতে হবে। যেমন ফলমূল, আটা, শস্য দানা, কমলা, টমেটো বিভিন্ন ধরনের খাবার গুলো খেতে হবে। এছাড়াও আপনাকে টাটকা সবজি খেতে হবে টাটকা সবজি হলুদ শাকসবজি যদি আপনি খান তাহলে আপনার ওজন বেড়ে যাবে এবং পাকিস্তলি পরিষ্কার থাকবে ক্যান্সার প্রতিরোধ করবে। ভিটামিন সি জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে তাহলে আপনার ওজন সঠিক নিয়ন্ত্রনে থাকবে। এছাড়াও আপনাকে ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য ব্যায়াম করতে হবে ব্যায়াম করলে মানুষের স্বাস্থ্য ভালো থাকে শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি কমে যায়।
দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছি কেন
আমাদের মাঝে অনেকেই দেখা যায় যে দিন দিন তারা শুকিয়ে যাচ্ছে। শুকিয়ে যাওয়ার মেন সমস্যা হয আপনার শরীরের পুষ্টি নাই আপনাকে পুষ্টিকর বেশি খাবার গ্রহণ করতে হবে।পুষ্টিকর খাবার যদি খাওয়া হয় তাহলে খুব তাড়াতাড়ি ওজন বৃদ্ধি পায়। যাদের শরীরে পুষ্টি অনেক বেশি কম এছাড়াও যারা অনেক বেশি মানসিক চিন্তা করে তাহলে মানুষ শুকিয়ে যায়। তবে আপনাকে ওজন বাড়ানোর জন্য কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।
শরীরের নিয়মিত খাবার সাপ্লাই করতে হবে শরীরে পর্যাপ্ত পানির যোগান দিতে হবে। এছাড়াও আঁশ জাতীয় খাবার বেশি বেশি খেতে হবে যেমন ফলমূল বাদাম মধু এগুলো জাতীয় খাবার খেলে শরীরের ওজন খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে যাবে। পরিমাণ মতো পানি ও সুষম খাবার যদি খাওয়া হয় তাহলে শরীরের ওজন ঠিক থাকে। ক্যালরি যুক্ত খাবার যদি বেশি করে পান করা হয় তাহলে শরীরে ওজন ঠিক থাকে।
চকলেট স্ট্রবেরি চিংড়ি মাছ এইসব জাতীয় খাবারে অনেক বেশি ক্যালরি থাকে। আর এগুলো খাবার খেলে আপনার শরীরের ওজন বেড়ে যাবে এবং শরীরে ক্যালরি চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে। শরীর দিন দিন শুকিয়ে যাওয়া এছাড়া শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া খুবই চিন্তার একটি বিষয়। আমরা সবসময় চাই যে আমাদের শরীর সুস্থ থাকুক। তবে শরীর সুস্থ রাখতে হলে আমাদেরকে শরীরের পরিচর্যা অবশ্যই করতে হবে।
শরীরের পরিচর্যা যদি না করা হয় তাহলে কখনোই শরীর সুস্থ থাকবে না শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বাঁধবে। যাদের ডায়াবেটিকস রয়েছে তাদের শরীর অনেক বেশি শুকিয়ে যায় কারণ তাদের শরীরে হিউম্যানিটি সিস্টেম অগ্নাশয়ের কোষ গুলোকে আক্রমন করে যা আমাদের শরীরে ইনসুলেন্স তৈরি করে। আসেন তাহলে আমরা জেনে নিই যে দিন দিন শুকিয়ে যাওয়ার কারণ গুলো কি?
- ডায়াবেটিস
- বিষন্নতা
- থাইরয়েড
- ক্যান্সার
- কনজেস্টিভ হার্ট ফেইলর
কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর শুকিয়ে যায়
ভিটামিন ই, ভিটামিন ডি, ভিটামিন সি, বি ভিটামিন ও ভিটামিন এ এর অভাবে শরীর শুকিয়ে যায়। আমাদের শরীরে অন্যতম প্রয়োজন হলো ভিটামিন ই আর এ ভিটামিনের ই এর অভাব যদি আমাদের শরীরে হয় তাহলে আমাদের শরীর অনেক বেশি শুকিয়ে যায়। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের রোগের আশঙ্কাও বেড়ে যায়। ভিটামিন ডি আমাদের ত্বকের কোষের বৃদ্ধি করে। এবং ত্বকের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করে ত্বক অনেক বেশি ভালো রাখে।
ক্ষতিকর জীবাণুগুলো রোধ করে ভিটামিন ডি এর অভাবে অনেক সময় দেখা যায় একজিমা হতে পারে যা আমাদের ত্বকের বড় কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ভিটামিন সি হচ্ছে একটি শক্তিশালী ভিটামিন যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। আমাদের শরীরে দূষিত পদার্থ গুলোকে খুব সহজে বের করে দেয়। এমনকি আমাদের শরীরে কোলাজেন উৎপাদন করে যা আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
অনেক সময় দেখা যায় যে সুস্থ স্বাভাবিক মানুষও ভিটামিনের অভাবে অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। ভিটামিনের অভাবে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ খুব সহজে বাসা বাঁধে। মানুষের শরীরে যদি ভিটামিনের অভাব থাকে তাহলে তার মুখ দেখলেই বোঝা যায় এটা বিশেষজ্ঞদের কথা। সেজন্য আমাদের উচিত ভিটামিন জাতীয় খাবার খাওয়া তাহলে শরীর শুকিয়ে যাবে না। এবং শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে যদি আমরা নিয়মিত ভিটামিন জাতীয় খাবার খা।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আপনি হয়তো এত সময় জেনে গেছেন মুখমণ্ডল শুকিয়ে যাওয়ার কারণ কি ওজন কমে গেলে কি করনীয় ও কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর শুকিয়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের তথ্য সম্পর্কে এত সময় আপনার জানা হয়ে গেছে। আমাদের শরীরে ভিটামিন পুষ্টি ক্যালরি সবগুলোই প্রয়োজন যদি একটার কমতি থাকে তাহলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ খুব সহজে বাসা বাঁধে।
সেজন্য আমাদের উচিত প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় ভিটামিন পুষ্টি ও ক্যালোরি জাতীয় খাবার খাওয়া তাহলে আমাদের শরীর স্বাস্থ্য দুটোই ভালো থাকবে। আজকের লেখা আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। এবং আপনাকে কোন মন্তব্য থাকলে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url