ভিটামিন ডি এর অভাবে কোন রোগ হয়

আমাদের মাঝে অনেকে জানে না যে ভিটামিন ডি এর অভাবে কোন রোগ হয়। এছাড়াও ভিটামিন ডি এর অভাবে শিশুদের কি রোগ হয় এগুলো সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। আজকে আমরা আপনাদেরকে ভিটামিন ডি সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য জানাবো। আর সঠিক তথ্য জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে পুরো পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুব মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন।
ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের বেশ গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। এর অভাব হলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় যদি ভিটামিন ডি এর অভাব থাকে।

ভূমিকা

আমাদের শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর অভাব থাকে তাহলে হাড় দুর্বল হয়ে যায়। আর শিশুদের হাড়ের বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন ডি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর অভাব থাকে তাহলে হারে বিকৃতি বার রিকেট রোগ হয়। ভিটামিন ডি যদি আমাদের শরীরে অভাব থাকে তাহলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। সাধারণ সময়ের থেকে শীতের সময়ের ভিটামিন ডি এর ঘাটতি বেশি দেখা যায়। এর কারণ হলো শীতে তেমন রোদ উঠে না ফলে ভিটামিন ডি মিলে না।

ভিটামিন ডি এর অভাবে ক্লান্তিবোধ হয় চুলের সমস্যা ও ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও শরীরে যদি অতিরিক্ত ভিটামিন ডি হয়ে যায় তাহলে রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে দেখা দিতে পারে পেটের সমস্যা ক্লান্তি বোধ দুর্বলতা ও বমি ভাব। এজন্য আমাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন ডি খেতে হবে।

ভিটামিন ডি এর অভাবে কোন রোগ হয়

সরাসরি সূর্যের আলো থেকে আমাদের শরীরে প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন ডি উৎপন্ন হয়। এছাড়াও কিছু খাবার থেকেও আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি উৎপন্ন হতে পারে এবং কিছু সাপ্লিমেন্ট থেকেও ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। আমাদের শরীরে ভিটামিন দিয়ে অনেক বেশ গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। ভিটামিন ডি আমাদের হাড় শক্ত করে। এছাড়াও শরীরে ক্যালসিয়াম ফসফরাস শোষণের জন্য প্রয়োজন হয় ভিটামিন ডি। ভিটামিন ডি এর অভাব যদি থাকে আমাদের শরীরে তাহলে হাড় দুর্বল হয়ে যাবে। ভিটামিন ডি এর অভাবে যেসব রোগ হতে পারে আসুন তাহলে আমরা জেনে নিই।

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় এ ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে। প্রায় মানুষের বিভিন্ন ধরনের রোগে ভুগে যেহেতু ভিটামিন ডি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর ঘাটতে হয় তাহলে রোগ জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে না।

ক্লান্তি ভিটামিন ডি এর অভাব যদি আপনার শরীরে থাকে তাহলে ক্লান্তি বোধ হবে। ভিটামিন ডি এর অভাবে শক্তি স্তরের পাশাপাশি আমাদের নতুন কাজের প্রতি মেজাজকে প্রবাহিত করতে পারে।

চুল পড়ে চুল পড়ার প্রধান কারণ হচ্ছে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি। আপনার যদি শরীরে ভিটামিন দিয়ে ঘাঁটি থাকে তাহলে চুলে অনেক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। যদি দেখেন আপনার চুল লম্বা হচ্ছে না অত্যাধিক চুল পড়া সমস্যায় ভুগছেন তাহলে আপনাকে নিয়মিত ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ত্বকের ক্ষতি যাদের শরীরে দেখা যাবে ভিটামিন ডি এর ঘাড়তি রয়েছে তাদের ত্বককে ফুসকুড়ি ব্রণ এগুলো সমস্যা দেখা যাবে এবং ত্বকের আদ্রতা নষ্ট। এবং ত্বক শুষ্ক হয়ে যাবে।

হাড়ে ফাটল ভিটামিন ডি এর অভাবে আমাদের হার্ট দুর্বল হয়ে যায়। এমনকি অনেক সময় দেখা যায় যে খুব সহজে হাড় ভেঙে যেতে পারে। যদি দেখেন মাঝেমধ্যে আপনার হাড় ব্যথা করছে তাহলে বুঝবেন যে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি রয়েছে।

ভিটামিন ডি এর অভাবে শিশুদের কি রোগ হয়

শিশুর বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি এর অবদান রয়েছে । শিশুদের হাড়ের বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন ডি এর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ভিটামিন ডি এর অভাবে শিশুদের হারে বিকৃতি রোগ হতে পারে। আজকাল দেখা যায় শিশুদের শরীরে ভিটামিন ডি পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই আর এ কারণেই একাধিক রোগে ফাঁদে পড়তে হয়। আপনার সন্তানের যদি ভিটামিন ডি এর অভাব থাকে তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন হলো ভিটামিন ডি। হাড়ের গঠন থেকে শুরু করে ইউনিটি বৃদ্ধি দেহের একাধিক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন ডি। শিশুদের ভিটামিন ডি এর অভাব হলে চলবে না যদি শিশুদের ভিটামিন ডি এর অভাব হয় তাহলে বিভিন্ন ধরনের অসুখ হতে পারে। আসুন তাহলে জানি শিশুদের কি ধরনের রোগ হয় ভিটামিন ডি এর অভাবে
  • মাংসপেশি ব্যথা
  • হাটতে সমস্যা
  • হারে হারে ব্যথা
  • হাড় ভঙ্গুর হয়ে পড়া
  • রিকেটস
ভিটামিন ডি এর অভাবে সাধারণত শিশুদের এই ধরনের সমস্যা হয়। ভিটামিন ডি এর অভাব হলে ক্যালসিয়াম ফসফরাস হারের গঠনের ঠিকমতো অংশ নিতে পারে না পরে হাড় ব্যাকা হয়ে যায়। সাধারণত শিশুদের এক বছর বয়সের রিকেটজ দেখা যায়। ভিটামিন ডি ত্বকের নিচে শুক্তো অবস্থায় অবস্থান করে। শিশু ছয় মাস পর্যন্ত মায়ের দুধ খেয়ে ক্যালসিয়াম পেয়ে থাকে।

এবং গর্ভ অবস্থায় শিশুর দেহে যে পরিমাণ ক্যালসিয়াম জমা হয় তা শিশুকে এক বছর পর্যন্ত এ রোগ থেকে দূরে রাখে। কিন্তু যখন দেখা যায় শিশুর এক বছর পার হয়ে গেছে সূর্যের আলো থেকে বঞ্চিত হয়। অর্থাৎ তার ত্বকে যদি সূর্যের আলো না লাগে তাহলে কার্যকর ভিটামিন ডি তৈরি হতে পারবেনা। এর ফলে হবে বিভিন্ন ধরনের রোগ।

ভিটামিন ডি কখন খেতে হবে

ভিটামিন ডি যুক্ত রয়েছে এমন কিছু খাবার যেমন সামুদ্রিক মাছ, মাশরুম, এগুলোতে রয়েছে অল্প পরিমাণে ভিটামিন ডি। সূর্যের আলো থেকে আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি উৎপন্ন হয়। আর কারো শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর অভাব হয় সেক্ষেত্রে তাকে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে হবে। মানবদেহে জৈবিক কার্যকর রাত সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য আমাদের প্রয়োজন হচ্ছে ভিটামিন ডি। ভিটামিন ডি শরীরের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ভিটামিন ডি হার মজবুত করে এছাড়াও আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। অনেক মানুষ আছে যারা ভিটামিন ডি এর অভাবে ভোগেন। যাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব রয়েছে তাদেরকে ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাওয়ার পরামর্শ দেয় চিকিৎসকর । তবে এটা নির্দিষ্ট সময়ে খেতে হবে তাহলে কার্যকর হবে। সকালে ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাওয়ার সবথেকে বেশি ভালো। যদি আপনি সকালে ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খান তাহলে সবথেকে বেশি পুষ্টিগুণ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সকালে খাওয়ার পর ও দুপুরে খাবার পর আপনি ভিটামিন ডি খেতে পারেন।

ভিটামিন ডি এর অভাব হলে করণীয়

ভিটামিন ডি হচ্ছে সানসাইন ভিটামিন হিসেবে পরিচিত। কারণ সূর্যের আলো থেকে শরীরে ভিটামিন সি উৎপন্ন হয়। যদিও বিভিন্ন ধরনের খাবার থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় কিন্তু সূর্য হচ্ছে এর প্রধান উৎস। শরীরের ভিটামিন ডি এর অভাব হলে আপনাকে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করতে হবে। এর জন্য প্রথমে জানতে হবে ভিটামিন ডি এর উৎস কি কি? ভিটামিন ডি এর ঘাটি মেটাতে হল অবশ্যই আপনাকে মাশরুম. কমলার রস. ডিম. চর্বিযুক্ত মাছ. দই, দুধ সোয়া এসব ধরনের খাবার খেতে হবে।

এছাড়াও আপনি চাইলে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খেতে হবে। শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর অভাব হয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। এছাড়া শরীলের ক্লান্তিবোধ হয় মানসিক স্বাস্থ্যর ওপর প্রভাব ফেলে। যদি আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হয় তাহলে দেখা যায় চুল পড়ে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। এইসব সমস্যা থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই আপনাকে ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খেতে হবে নয়তো ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট দিতে হবে।

ভিটামিন ডি বেশি খেলে কি হয়

ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী হাড় মজবুত করে। এছাড়াও শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়ভ ভিটামিন ডি সূর্য লোকের প্রভাবে শরীরের কোষ তৈরি হয়। ভিটামিন দিয়ে অন্যান্য ভিটামিন গুলোর থেকে কিছুটা আলাদা। আপনি যদি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে একবার রোদে গিয়ে দাঁড়ান তাহলে সূর্যের আলো ছাড়াও কিছু কিছু খাবার আছে যা খেলে শরীরে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।

ভিটামিন ডি যদি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে তাহলে ক্যালসিয়ামের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। ক্যালসিয়াম আমাদের হাড় খেয়ে সুস্থ রাখে এটা আমরা সবাই জানি তবে শরীরে ভিটামিন ডি অতিরিক্ত হয়ে গেলে রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা ও বেড়ে যায়। আর এই থেকে দেখা দিতে পারে শারীরিক সমস্যা বমি পেট ব্যথা অতিরিক্ত ক্লান্তি দুর্বলতা। এছাড়াও যদি শরীরে ভিটামিন ডি এর পরিমাণ বেড়ে যায় খিদে কমে যাবে। আপনি যদি খুব বেশি সাপ্লিমেন্ট খান তাহলে এরকম হতে পারে। সেজন্য আমাদেরকে সঠিক পরিমাণে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খেতে হবে।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আপনারা এত সময় জেনে গেছেন ভিটামিন ডি এর অভাবে কোন রোগ হয় ও ভিটামিন ডি এর অভাবে শিশুদের কি রোগ হয়। ভিটামিন ডি এর অভাব হলে করণীয় বিভিন্ন ধরনের তথ্য সম্পর্কে আপনারা এত সময় জেনে গেছেন। সব ভিটামিনের থেকে একটু আলাদা হচ্ছে ভিটামিন ডি। ভিটামিন ডি আমাদের হাড় মজবুত রাখে এছাড়াও শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করে দেয়।

আপনি যদি পুরো পোস্টটা পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন ভিটামিন ডি অভাব হলে কি ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। ও অতিরিক্ত ভিটামিন ডি ছেলে কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে। আজকের লেখা আর্টিকেল কেউ যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। এবং আপনাদের যদি কোন মন্তব্য থাকে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url