বাংলাদেশের কোথায় সবচেয়ে বেশি গরম পড়ে

বাংলাদেশে বিভিন্ন জায়গাতে দেখা যায় প্রচন্ড গরম পড়ছে। কিন্তু আমাদের মাঝে অনেকে জানেনা বাংলাদেশের কোথায় সবচেয়ে বেশি গরম পরে ও কোন জেলায় গরম বেশি এ সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে পুরো পোস্টটা খুব মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত। তাহলে আপনি জানতে পারবেন কোথায় সবচেয়ে বেশি গরম পড়ছে।

বাংলাদেশের প্রায় বিভিন্ন জায়গাতে অনেক বেশি তীব্র তাপ প্রভাব বয়ে যাচ্ছে। এতে করে দেখা যায় যে মানুষ অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে ছোট থেকে বড় প্রায় সব বয়সী মানুষই অসুস্থ হয়ে পড়ছে গরমের কারণে।

বাংলাদেশে প্রায় প্রতিবারই প্রচন্ড গরম পড়ে শীতের সময় দেখা যায় প্রচন্ড শীত ও গরমের সময় অনেক বেশি গরম পড়ে। গরমের কারণে মানুষের জীবনযাত্রা অনেক বেশি কঠিন হয়ে পড়েছে। যারা মাঠে-ঘাটে কাজ করে তাদের সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে। ধানের জমিতে ফাটল ধরছে পানির অভাবে সেজন্য অনেক কৃষক টেনশনে পড়ে গেছে তাদের ধানের অনেক বেশি ক্ষতি হচ্ছে।

বাংলাদেশ ও দক্ষিণ ও পশ্চিম জেলা গুলোতে প্রতিবছরই প্রায় তীব্র তাপদাহ থাকে। ঢাকার রাজশাহী খুলনা চুয়াডাঙ্গা যশোর এইসব এলাকাতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া কয়েক দিন ধরে তীব্র তাপ প্রবাহে নাকাল হয়ে পড়ছে সারা দেশের মানুষ এখন এর থেকে রেহাই মিলবে না বলেও জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গাতেই তীব্র তাপদাহ পড়ে। রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি রেকর্ড করা তাপমাত্রা ছিল ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ১৯৬৫ সালের পর থেকে এটি হচ্ছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাজধানীতে। ১৯৬৫ সালে ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। তীব্র গরমের কারণে বাংলাদেশের দক্ষিণ ও পশ্চিম অঞ্চলের জেলজেলা গুলোতে জীবন যাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে তীব্র তাপদাহের কারণে। যশোর চুয়াডাঙ্গা রাজশাহী এইসব জায়গাতে দিন দিন তাপমাত্রা বেড়েই চলছে।

শনিবারে যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ ডিগ্রী সেলসিয়াস আর অন্যদিকে দেখা যায় যে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ছিল ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এসব অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪২° ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিবারই গরমের সময় দেখা যায় এইসব অঞ্চলে অনেক বেশি তাপদাহ থাকে। বাংলাদেশের তীব্র তাপদাহের কারণে স্কুল কলেজ ছুটির ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশের এপ্রিল মাসে সবচেয়ে বেশি গরম পরে এটিকে গরমের মাস বলেই মনে করা হয়। এই সময়ে দেখা যায় পৃথিবী সূর্য থেকে রশ্মি বা কিরণ পায় সেটি লম্বালন্বিত ভাবে পায়। আর এ কারণে বাংলাদেশে অতিরিক্ত গরম পড়ে।

গরমের কারণে মানুষের জীবনযাত্রা অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সূর্যের এই গরম তাপে মানুষ বাইরে বের হয়ে কোন কাজ করতে পারছে না ছোট থেকে বড় সবাই গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বাংলাদেশ কছু কিছু জেলা আছে যেখানে প্রচন্ড গরম পরে সেখানে সূর্যের তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে। এতটাই গরম যে বাইরে বের হওয়া অনেক বেশি কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে গরমের সময় তীব্র গরম পরে ও শীতের সময় প্রচন্ড শীত পড়ে শীতের জন্য থাকায় যায় না দেখা যায়। তবে বাংলাদেশের সব জেলাগুলোতে এক রকম গরম পড়ে না  কিছু কিছু জেলা রয়েছে যেগুলোতে সূর্যের তাপ গরম অনেক বেশি। এই জেলাগুলোকে বাংলাদেশের সবচেয়ে গরম জেলা বলা হয়। গরমের সময় এসব জেলাগুলোতে এমন ভাবে গরম পরে যে আপনি বের হতে পারবেন না। আসুন তাহলে জেনে নিই কোন জেলায় সবচেয়ে বেশি গরম।

তীব্র তাপদাহের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে রাজধানীর সহ বাংলাদেশের কয়েকটি বিভাগের জনজীবন। এই গরমের কারনে খেটে খাওয়া মানুষগুলো অনেক বেশি কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে। তারা সীমাহীন কষ্ট ভোগ করছেন এই তীব্র তাপদাহে তারা মাঠে-ঘাটে বাইরে কাজ করছে রিকশা চালাচ্ছেন। প্রয়োজন ছাড়া অনেকেই বাইরে বের হচ্ছে না কারণ তীব্র গরমে মানুষের শরীরের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের প্রভাব পড়ছে ঠিক তেমনি ধানের খেতেও ফাটল ধরছে অতিরিক্ত গরমে।

চৈত্র শেষ দিকে ঢাকা সহ বিভিন্ন ধরনের এলাকাতে ভ্যবসা গরম পরে আর এই গরমে মানুষের অবস্থা অনেক বেশি খারাপ হয়ে যায়। রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলের তাপ প্রবাহ আরো এক সপ্তাহ মতো অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি তীব্র তাপদাহ বয়ে যেতে পারে সারাদেশে ঢাকা সহ কিছু জায়গাতে ৪২ ডিগ্রি উঠে গেছে তাপদাহ। রাজশাহী খুলনা ঢাকা এসব জায়গাতে তাপদাহ বেড়ে যেতে পারে। তাপমাত্রা যদি ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়া থাকে তাহলে তাকে মৃদু তাপ প্রবাহ বলা হয়।

৩৮ থেকে যদি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস কে বলা হয় মাঝারি। আর যদি ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয় তাহলে সেক্ষেত্রে বলা হয় তীব্র তাপপ্রবাহ। চুয়াডাঙ্গা তে মঙ্গলবারে দেশের সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকাতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮.৫° সেলসিয়াস। এদিকে আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয় আকাশ স্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা এবং সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

ঢাকা খুলনার রাজশাহী চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ সহ নীলফামারী জেলার উপর দিয়ে মৃদু ও মাঝারি তাপদাহ ও বয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকবে সারা দেশে দিন ও রাতে তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা যাচ্ছে তাপমাত্রা পারদ হয়ে উঠছে। বেলা তিনটার সময়ও দেখা যায় যে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এইদিকে ধানের জমিতে ফাটল দেখা দিচ্ছে বৃষ্টি না থাকার কারনে জমিতে ঘন ঘন সেচ দিতে হচ্ছে এটা নিয়ে কৃষকরা অনেক বেশি চিন্তায় পড়েছে। প্রচন্ড তাপের কারণে জমিতে ফাটল ধরছে। এভাবেই তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে জনজীবন।

বাংলাদেশের বেশি গরম পড়ছে এতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। প্রচন্ড গরমের কারণে মানুষ বাইরে বেরোতে পারছে না। আবহাওয়া পরিবর্তন পরিসংখ্যানের প্রভাব ও সম্পদগুলির সম্পদ ব্যবহার ইত্যাদি একেবারে তাপমাত্রা বৃদ্ধি হাসের কারণ হতে পারে। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বর্তমানে দেশের একটি ভৌগলিক অবস্থান এটি ঋতু ও পরিবেশ পরিস্থিতির ওপরে নির্ভর করে। বাংলাদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২-৪৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস যা ঢাকা ও রাজশাহী এলাকায় সংঘটিত হয়েছে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯-১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস যা সিলেট এলাকায় সংঘটিত হয়েছে।

প্রিয় পাঠক আপনারা এত সময় জেনে গেছেন বাংলাদেশে কোথায় সবচেয়ে বেশি গরম পরে ও কোন জেলায় গরম বেশি তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কত বিভিন্ন ধরনের তথ্য সম্পর্কে আপনাদের জানা হয়ে গেছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ ও পশ্চিম অঞ্চলে মানুষের জীবন যাপন বিপজ্জন তো হয়ে পড়েছে গরমের কারনে যত দিন যাচ্ছে তত গরম বেড়েই চলেছে।

এতে করে মানুষের জীবন যাপন খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। এই গরম থেকে বাঁচতে হলে আপনাকে একটু সাবধান হয়ে চলতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়াটাই ভালো। আজকের লেখা আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। এবং আপনাদের যদি কোন মন্তব্য থাকে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।