ঈদের নামাজ পড়া কি ফরজ

প্রিয় পাঠক আপনি হয়তো বা জানতে এসেছেন ঈদের নামাজ পড়া কি ফরজ ও ঈদুল ফিতরের দিন কয়টি কাজ ওয়াজিব। এই সম্পর্কে তথ্য হয়তো আপনার জানা নেই আসুন তাহলে আমরা সঠিক তথ্যটা জেনে নিই। মুসলমানদের জন্য দুইটি আনন্দের দিন রয়েছে সেগুলো হচ্ছে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার। ঈদের দিনে নামাজ পড়া পুরুষদের জন্য ওয়াজিব। ঈদের দিন দুইটা কাজ ওয়াজিব আমরা কম বেশি সবাই এটা জানি।
ঈদের নামাজ পড়া কি ফরজ
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তা'আলা বলেছেন তোমরা রবের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ো। ঈদের নামাজ হচ্ছে ওয়াজিব। যেমন আমাদের জন্য ফরজ বিধান জরুরী ঠিক তেমনি ওয়াজিব বিধানও অনেক বেশি জরুরী।

ভূমিকা

ঈদ হচ্ছে আমাদের মুসলিমদের ধর্মীয় উৎসব। বছরে দুইটি আনন্দের দিন মুসলমানদের জন্য সেটা হচ্ছে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার এই দিনের নামাজ আদায় করা হচ্ছে ওয়াজিব। আর আমরা সাধারণত জানি ওয়াজিব দুই প্রকার একটা হচ্ছে ফিতরা দেওয়া এবং ২ নম্বর হচ্ছে ঈদের দিন সালাত আদায় করা দুই রাকাত তাকবিরের সাথে। প্রতিটি জাতির এই খুশির ও আনন্দের কিছু নির্দিষ্ট দিন রয়েছে।

মুসলমানদের জন্য ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার আনন্দের দিন একটা মাস রমজান শেষ করে ঈদুল ফিতর আসে। ঈদুল ফিতরে নামাজ আদায় করা ওয়াজিব আমাদের জন্য যেমন ফরজ জরুরী ঠিক তেমনি ওয়াজিবও আমাদের জন্য জরুরী। ঈদের নামাজ সম্পর্কে আরো তথ্য জানতে এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে অনেক তথ্য জানতে পারবেন।

ঈদের নামাজ পড়া কি ফরজ

ঈদ হচ্ছে প্রত্যেকটা মুসলিমদের খুশির দিন। আমরা সবাই ঈদের নামাজ পড়তে যাই। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেক ছোট বড়  মানুষ আছে যারা এখনো জানে না যে ঈদের সামাজ ফরজ ওয়াজিব নাকি কেফায়। আজকে আমরা জানবো যে ঈদের নামাজ ফরজ ওয়াজিব কেফায়া এ বিষয়ে আজকে জানবো আমরা। ঈদের নামাজ পড়া হচ্ছে সুন্নতে মুয়াক্কাদা।

আমাদের জীবনে শুধু পাঁচ ওয়াক্ত নামাজকে ফরজ বলা হয়। আল মুজনি খন্ড নাম্বার ২ পৃষ্ঠা নাম্বার ২২৩ এখানে আমাদের ঈদের নামাজ কে বলা হয়েছে সুন্নতে মুয়াক্কাদা। কিন্তু হামারি মাজারের মতে হয়েছে এটাকে এটাকে বলা হয় ফরজে কেফায়া। অনেকের কাছে এই ঈদের নামাজ যে ফরজ সুন্নত ও কেফায়া। কিন্তু আমাদের সবার এই নামাজ পরা বাধ্যতা মূলক। ছোট থেকে বড় সবার বছরে দুইবার ঈদের নামাজ পেয়ে থাকি।

শহী বুখারীতে বলা হয়েছে যে কেউ নামাজ পরলেও ঈদগাহ জাবে আবার ঈদের নামাজ না পরলেও সে ঈদগাহ জাবে। ঈদের নামাজ আমাদের সবার জীবনে ফরজ সুন্ন ও কেফায়া কারণ কেউ কেউ মনে করে এটা ফরজ কেউ মনে করে সুন্নত আবার কেউ মনে করে কেফায়া। তবে ইসলামের কথা অনুযায়ী এটা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। হানাফী মাযহাব এ ঈদের নামাজ ওয়াজিব হয়। শাফেয়ী মাযহাব মানে ঈদের নামাজ সুন্নত। মুয়াক্কাদা মাযহাব মানে ঈদের নামাজ ফরজ।

ঈদুল ফিতরের দিন কয়টি কাজ ওয়াজিব

ঈদুল ফিতরের দিনে কয়েকটি ওয়াজিব কাজ থাকে সেই কাজ গুলো কি কি আসুন জানি। পুরো মাস আমরা রোজা রাখার পরে যখন আসে তখন ঈদ সবার মনে একটা আনন্দ থাকে। ঈদের দিনে আমরা যেসব ওয়াজিব কাজ করবো তা হচ্ছে ঈদের দিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠব। ফজরের নামাজ আদায় করে নিবো। তারপরে সকাল সকাল গোসল করে নিয়ে নিজেকে সুসজ্জিত ভাবে তৈরি করে নিবো।

শরীরে খুশবু দিবো, সকাল সকাল ঈদগাহ যাওয়া, মিষ্টি মুখ করা, আমরা ঈদগাহ যাবার আগে ফেতরা আদায় করব, তবে একটা মনে রাখতে হবে ঈদগাহ যাবেন এক রাস্তা দিয়ে আর আসার আসবেন আরেটি রাস্তা দিয়ে এটা একটা ওয়াজিব কাজ। যখন ঈদগাহ যাবো আমরা তখন সবাই তাকবীর পরতে পরতে যাবো। ঈদের নামাজ আমাদের দেশে সব জায়গায় ঈদগাহ মাঠে পালন করা হয়। ঈদের নামাজ পরতে হয় ফাকা জায়গায় খোলা আকাশের নিচে সূর্য উঠার কিছু সময় পর। আগে আগে ঈদগাহ মাঠে গিয়ে খুদবা শুনা এটা একটা খুব ভালো কাজ ও সুন্নতের কাজ।

ঈদের নামাজ না পড়লে কি গুনাহ হবে

ঈদের নামাজ আমাদের বছরে দুইবার আসে। ঈদের দিন মানেই সবার খুশির দিন ছোট বড় সবার। আর এই ঈদের নামাজ পড়তে হবে আমাদের সবার। এখানে আমাদের আল্লাহ তায়লা হুকুম করেছে এই ঈদের নামাজের জন্য। অনেক মানুষ আছে যারা ঈদের নামাজ পরে না ইচ্ছা করে। এদের জন্য জাহান্নাম নামক একটা দোযক তাদের জন্য রাখা হয়েছে।

আমরা সবাই ঈদের নামাজ পড়ব এবং আরেক জনকে পড়তে বলব। ঈদের নামাজ সকালে পরতে হয় কারণ আমাদের হাদিসে আছে রোজার ঈদের নামাজ একটু দেরিতে পরা যায় কিন্তু কুরবানি ঈদ যেটাকে ঈদুর আজাহার বলা হয় সেটা দ্রুত পরতে হবে। এই ঈদের নামাজ যেসব ব্যক্তিরা পড়বে না তাদের হাসরের ময়দানে এগুলোর হিসাব নিয়া হবে।

আমাদের দেশের প্রতিটা জায়গায় ঈদের নামাজ অনেক আন্দের সাথে উৎযাপিত করা হয়। আমরা ১ মাস রোজা রাখার পরে এই ঈদুল ফিতর এর নামাজ পরতে পারি এর থেকে খুশির কথা কি হতে পারে। ঈদের নামাজ যে ব্যক্তি পরবে তার কবিরা গুনা হবে। সারা বছর রোজা থেকে যে ব্যক্তি সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে নামাজে গিয়ে আল্লাহর বানিশুনবে সেই হবে সব থেকে ভাগ্যবান।

ঈদের নামাজ কয় তাকবীর

ঈদের নামাজ তো সবাই পরতে যায় কিন্ত কয় জন জানে ঈদের নামাজ কই তাকবীর দিতে হয় আসেন জেনে নেই। আমরা ঈদুর ফিতরের নামাজের সময় বলি ২ রাকার। ঈদুর ফিতরের নামাজ ৬ তাকবিরে সহি এই ইমামের পিছনে আদায় করলাম। প্রথম রাকাত শুরু সময় সাত তাকবীর আল্লাহ আকবার বলে কানের লতি পর্যন্ত হাত তুলে আবার হাত বানতে হয় তারপরে তিন নাম্বার তাকবীরে গিয়ে রুকুতে জাতে হয়। তারপরে দুই নাম্বার রাকাতের সময় আবার ৫ তাকবীর দিতে হয়।

আল্লাহ আকবার বলে কানের লতি পর্যন্ত হাত তুলতে হয়। ৫ তাকবীর দেওয়ার পরে সিজদায় যেতে হবে। ঈদের নামাজ মূলত দুই রাকাত কিন্ত এই নামাজে অতিরিক্ত ৬ তাকবীর থাকে। প্রতি বছরে দুইবার আমরা ঈদ পালন করি। ঈদের নামাজ শুরু করার আগে আমরা কাতার বন্দি করে ভালো ভাবে সোজা করে কাতার করে নিবো। তারপরে কোন জায়গা ফাকা না থাকে সেটা খেয়াল করব। তারপরে হুজুর যেভাবে বলবে সেইভাবে আমরা সবাই ঈদের নামাজের নিয়ত করব। তারপরে হুজুরের সাথে আমরাও তাকবীর দিবো।

ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম

ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ আছে যারা নামাজ পরে ঠিক কিন্ত নামাজের নিয়ম ঠিক করে জানে না। আর কিছুদিন পরে ঈদ আসছে তার আগে আমরা সবাই ঈদের নামাজের নিয়ম গুলো ঠিক মতো জেনে নিব। এই ঈদের নামাজ কিন্ত অন্যান্য দিনের মতো বা অন্যান্য নামাজের মতো না। প্রতিদিন মসজিদে নামাজ পরি আজান দেয় নামাজের আগে ইকামত দেয় কিন্ত ঈদের নামাজে কোন আজান বা ইকামত কোনটাই থাকে না।

ঈদের নামাজ তাকবিরে তাহরিমা পাঠ করে হাত বাধবেন। তারপরে তিন তাকবীর দেওয়া প্রথম তাকবীর আমরা হাত বাধবো না কানের লতি পর্যন্ত হাত তুলে ছেরে দিবো। তারপরে তিন তাকবীরের সময় হাত বাধব। হুজুর সানা পাঠ করতে শুরু করবে। সবার আগে আমাদের এই নামাজের নিয়ত করতে হবে কেবলামুখী হয়ে ঈদুল ফিতরের দুই রাকার নামাজ আদায় করবেন। অনেকে হয়তো মনে হয় ঈদের নামাজ অন্য ভাবে পরে কিন্তু তা নয়। আমরা সবসময় যেভাবে নামাজ পরি ঠিক সেই ভাবেই ঈদের নামাজ পরা হয় শুধু তাকবীর বেশি দিতে হয়।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তোবা এত সময় জেনে গেছেন ঈদের নামাজ পড়া কি ফরজ ও ঈদুল ফিতরের দিন কয়টি কাজ করা ওয়াজিব বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে আপনাদের জানা হয়ে গেছে। আমরা জানি আমাদের মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে দুইটি। একটি হচ্ছে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার আমরা একটি মাস রোজা রাখার পর ঈদুল ফিতর পায় আর সেই দিনে দুই রাকাত নামাজ পড়া সুন্নত।

এছাড়াও আমাদের জন্য যেমন ফরজ জরুরি ঠিক তেমনি ওয়াজিব জরুরী সেজন্য আমাদেরকে ঈদের নামাজ পড়তে হবে এটি না পড়লে গুনাহ হয়। আমার লেখা আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে প্রতিদিন নিত্য নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন এছাড়াও আপনাদের যদি কোন মতামত থাকে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url