ভিটামিন ই এর সবচেয়ে ভাল উৎস কোনটি
আমাদের মাঝে অনেক মানুষ আছে তাদের শরীরের ভিটামিন ই এর অভাব রয়েছে কিন্তু তারা জানে না ভিটামিন ই এর সবচেয়ে ভালো উৎস কোনটি ও ভিটামিন এ জাতীয় সবজি কোনগুলো। আসুন আজকে আমরা জানবো ভিটামিন ই এর উৎস সম্পর্কে। আর জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে পুরো পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুব মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন।
বিভিন্ন ধরনের খাদ্য থেকে আপনি ভিটামিন ই পেতে পারেন তবে ভিটামিন ই সবচেয়ে ভালো পাওয়া যায় সূর্যের আলো থেকে। আপনি যদি প্রতিদিন ভোরের বেলাতে সূর্যের আলোতে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন তাহলে আপনার শরীরে ভিটামিন ই এর ঘাটতি হবে না
ভূমিকা
ভিটামিন ই হচ্ছে আমাদের শরীরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি একটি ভিটামিন। আপনার শরীরে যদি ভিটামিন এর ঘাটতি থাকে তাহলে আপনার কে কিছু খাওয়াবের মাধ্যমে ঘাটতি মেটাতে হবে। যেমন আমন্ড, সূর্যমুখী বীজ, এভোকাডো, এগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ই রয়েছে। চুল ও ত্বকের যত্নে ভিটামিন ই জুরি মেলা ভার। ভিটামিন ই এর অভাবে পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। ভিটামিন ই আমাদের শরীরে অনেক বেশি উপকার করে। ত্বক চুলের যত্নে অনেকে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করে থাকে এছাড়া যদি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ই না পৌঁছায় সেক্ষেত্রে। ভিটামিন ই সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য জেনে নিই।
ভিটামিন ই এর সবচেয়ে ভালো উৎস কোনটি
মানুষের শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের প্রয়োজন রয়েছে। আর এই ভিটামিন গুলো আমরা বিভিন্ন ধরনের খাদ্যের মাধ্যমে পেয়ে থাকি। ভিটামিন ই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। অনেক রকম খাবারের মধ্যে ভিটামিন এ উপস্থিত থাকে। ভিটামিন ই গ্রহণ করা সবচেয়ে ভালো। আসুন আমরা জানবো এখন ভিটামিন ই এর সবচেয়ে ভালো উৎস কোনটি। আমরা বিভিন্ন ধরনের খাদ্যে ভিটামিন ই পেতে পারি যেমন গম, সয়াবিন, সবুজ শাকসবজি, সূর্যমুখীর বীজ, উদ্ভিদ তেল, আখরোট, চিনা বাদাম, ডিমের কুসুম এগুলো হচ্ছে ভিটামিন ই এর ভালো উৎস।
ভিটামিন ই জাতীয় সবজি
সুস্থ থাকতে হলে শরীরে প্রয়োজন হচ্ছে ভিটামিন ও মিনারেল। ভিটামিন শরীরের অংশকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের রোগ সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। শরীরের কোষগুলো সঠিকভাবে কাজ করছি কিনা সেটা দেখে ভিটামিন। ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর গুণাবলী রয়েছে আমাদের শরীরে। শরীরকে অনেক রোগের হাত থেকে বাঁচায় ভিটামিন ই। কারো যদি ভিটামিন এর অভাব হয় তাহলে তার পেশি দুর্বল হয়ে যায় ত্বকে বিভিন্ন ধরনের বলিরেখা দেখা যায় ও চুলের ক্ষতি হয়। আসুন আমরা আজকে জেনে নিব কোন সবজিতে ভিটামিন ই থাকে।
পালং শাক পালং শাক এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এটা আমরা কম বেশি সবাই জানি। কিন্তু পালং শাকের রয়েছে ভিটামিন ই এক কাপ রান্না করা পালং শাকে ১.৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই থাকে। এছাড়াও সালাদে দিয়ে তরকারিতে অথবা পালং ধাকের ডাল করেও খেতে পারেন এতে আমাদের শরীরে ভিটামিন ই এর খালটি পূরণ হবে।
ব্রকলি ব্রকলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই ও প্রোটিন পাওয়া যায়। বিভিন্ন রকম সবুজ রংয়ের সবজিতে রয়েছে অ্যান্টি ক্যান্সার এন্টি ইনফ্লামেন্টারি। ব্রকলি আমাদের শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়।
এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের সবজি রয়েছে যেগুলোতে ভিটামিন ই পাওয়া যায়। যেমন লেটুসপাতা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, সবুজ রঙের শাক সবজি, শালগাম, বিট, মুলা, লালমরিচ, পালং শাক, বেদেনা রস, কাজলের রস রসুনের পাতা। এই সকল জিনিসের ভিটামিন ই পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে এই সবজিগুলো যদি আপনি খান তাহলে আপনার কখনোই ভিটামিন ই এর ঘাটতি হবে না। ভিটামিন এ আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম
রূপচর্চায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ব্যবহার করা হয়। ভিটামিন ই ক্যাপসুল দেখতে ছোট সবুজ রংয়ের ক্যাপসুল এর মতন হয় যে কোন ফার্মেসিতে এই ক্যাপসুল গুলো পাওয়া যায়। আসুন তাহলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারে নিয়ম জেনে নেই প্রথমে ভিটামিন ই ক্যাপসুল টা ফুটো করে নিতে হবে। তারপর যে তেলটা পাওয়া যাবে সেটা ব্যবহার করতে হবে একটি ক্যাপসুল ফুটো করলে প্রায় আধা চামচ তেল পাওয়া যায় আর ভিটামিন ই খুবই ভারী। সেজন্য আপনাকে নিজের ত্বকের ধরন অনুযায়ী সেখানে কতটুকু ব্যবহার করবেন সেটা আপনাকে বুঝে নিতে হবে।
নখের যত্নে আমরা সারাদিন হাত দিয়ে অনেক কাজ করে থাকি প্রায় সব কাজেই হাতের নখের উপরে প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে রান্না করা থালা বাসন মাজা কাপড় ধোয়া বাগান পরিচর্যায় এগুলো কাজে নখের ওপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। সেজন্য নখের যত্ন নেওয়াটা সবচেয়ে বেশি জরুরী। ভিটামিন ই এর ক্যাপসুল খুলে তার ভেতরে যে তেলটা রয়েছে সেটি নখের চারপাশে ভালোভাবে মাখতে হবে রাতে ঘুমানোর আগে আপনাকে এই কাজটি করতে হবে। এতে আপনার নখ সারারাত ময়েশ্চার পাবে।
চুলের যত্নে ভিটামিন ই ক্যাপসুল আমাদের চুল পড়া বন্ধ করে চুলের রুক্ষতা দূর করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। আমরা চুলে যে সাধারণত তেল ব্যবহার করি সে তেলের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশাতে হবে। তারপরে মাথার ত্বকে প্রয়োগ করতে হবে দুই তিন ঘণ্টা রাখার পর হালকা গরম পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। সপ্তাহে এটি দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করতে হবে তাহলে এর সুফল পাওয়া যাবে।
ত্বকের যত্নে ত্বকের বিভিন্ন বলিরেখা কুচকে যাওয়া এছাড়াও ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল উপকারী আন্টি এজিং ক্রিম হিসাবেও এটি ব্যবহার করা যায়। আপনি যদি আপনার ত্বকের ভিটামিন ই তেল ব্যবহার করেন তাহলে ত্বকের গঠন ও স্বাস্থ্যকর হয়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যায়।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ক্ষতি হয়
সাধারণত ভিটামিন ই ক্যাপসুলে তেমন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। তবে অত্যাধিক পরিমাণে যদি ক্যাপসুল সেবন করেন তাহলে আমাশয় এলার্জি এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ভিটামিন ত্বকের জন্য স্বাস্থ্যকর হলেও মাঝে মাঝে মনে রাখা জরুরী সরাসরি এটি ত্বকে লাগালে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে। তবে সবার ক্ষেত্রে নয় কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এমনটা হতে পারে,। যাদের ত্বক খুব সংবেদনশীল ভিটামিন ই সরাসরি তাদের ত্বকে ব্যবহার করা যাবে না সরাসরি ভিটামিন ই ব্যবহার না করে। দই মধু লেবুর রসের মিশ্রণ মুখে লাগাতে পারেন। এতে আপনার উজ্জ্বল হবে ও অন্যান্য দাগ কমাতে পাকা পেঁপে মধুর এগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল কখন খেতে হয়
ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার সঠিক সময় হচ্ছে সকাল ও রাতে। অবশ্যই আপনাকে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাবার আধা ঘন্টা পরে খেতে হবে এতে ভিটামিন ই শরীরে গিয়ে সঠিকভাবে কাজ করে। তবে ডাক্তাররা সবসময় ভিটামিন ই ক্যাপসুল রাতে খাবার পরামর্শ দিয়ে থাকে। সেজন্য আমাদের উচিত ভিটামিন ই ক্যাপসুল সকালে ও রাতে খাওয়ার।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তোবা এত সময় জেনে গেছেন ভিটামিন ই এর সবচেয়ে ভালো উৎস কোনটি। এছাড়াও ভিটামিন এ জাতীয় সবজি ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ক্ষতি হয় বিভিন্ন ধরনের তথ্য সম্পর্কে আপনাদের জানা হয়ে গেছে। আমাদের শরীরে যেমন পুষ্টির দরকার আছে ঠিক তেমনি বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের প্রয়োজন আছে। ভিটামিন আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
যাদের শরীরে ভিটামিনের ই অভাব রয়েছে তারা ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারেন। আপনি যদি পুরো পোস্টটা পড়েন তাহলে অনেক উপকৃত হবেন। আজকের লেখা আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। এবং আপনাদের যদি কোন মন্তব্য থাকে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url