কোন খাবারে কত প্রোটিন তালিকা

আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা জানতে চাই যে কোন খাবারে কত প্রোটিন তার তালিকা ও সোলাস ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অনেকে জানে না। আজকে আমরা আপনাদেরকে জানাবো বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন জাতীয় খাবারের তালিকা সম্পর্কে। আর জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে পুরা পোস্টটা খুব মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তাহলে আপনি জানতে পারবেন।
কোন খাবারে কত প্রোটিন তালিকা
আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে অবশ্যই প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে। প্রোটিন আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ভূমিকা

সুস্থ থাকতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই ভিটামিন প্রোটিন ওখানেই জাতীয় খাবার খেতে হবে এগুলো উপাদান আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিন জাতীয় খাবার আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো খাবারে ছোট থেকে বড় সব বয়সে মানুষেরই এলার্জি শুরু হয়। অ্যালার্জির সমস্যা থেকে বাঁচতে হলে আপনাকে সেই সব খাবারগুলো খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।

তাহলে আপনি অ্যালার্জি সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। এছাড়াও আমাদের দেখা যায় শরীরের তুলনায় পেট অনেক বেশি বড় হয়ে যায় পেটে অনেক মেদ জমে এর জন্য। আমরা বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করে থাকি বিভিন্ন ধরনের ডায়েট করে থাকি তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া কখনোই ডায়েট করা উচিত না। আপনি চাইলে কিছু খাবারের মাধ্যমে ডায়েট করতে পারবেন এতে আপনার মেদ অনেক কমে যাবে।

কোন খাবারে কত প্রোটিন তালিকা

প্রোটিন আমাদের শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। প্রোটিন আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। শরীরের ওজন অনুযায়ী প্রতি কেজিতে ০.৮ গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন। যারা সারাদিন অনেক বেশি পরিশ্রম করে তাদের প্রোটিনের প্রয়োজন অনেক বেশি হয়। এছাড়াও গর্ভবতী মা দের প্রোটিনের প্রয়োজন বেশি হয়। প্রোটিন জাতীয় খাবার বলতে আমরা জানি মাছ, মাংস, ডিম, মটর, মসুর ডাল। আসুন তাহলে আমরা আরো বিস্তারিত জেনে নেই কোন খাবারে কত প্রোটিন থাকে।

খাদ্য

প্রোটিনের পরিমান

একটি বড় ডিমে

৬.৪ গ্রাম প্রোটিন থাকে

একটি ৮৬ গ্রাম চিকেনে

২৬.৭ গ্রাম প্রোটিন থাকে

এক কাপ দুধে

৮.৩২ গ্রাম প্রোটিন থাকে

১০০ গ্রাম মসুর ডালে

৯.০২ গ্রাম প্রোটিন থাকে

১০০ গ্রাম শুকনো মটরশুটিতে

২৫.০ গ্রাম প্রোটিন থাকে

১০০ গ্রাম কাচা মটরশুটিতে

৫.৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে

১০০ গ্রাম তেলাপিয়া মাছে

২৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে

১০০ গ্রামের একটি কাপ মাছের টকরায়

২৩ গ্রাম প্রোটিন থাকে

৮৫ গ্রাম গরুর মাংসে

২৪.৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে

এক কাপ কুমড়ার বীচে

৮.৮ গ্রাম প্রোটিন থাকে

১০০ গ্রাম চিনা বাদামে

২৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে

সোলার ট্যাবলেট খাবার নিয়ম

সোলার ট্যাবলেট হচ্ছে একটি কৃমিনাশক ট্যাবলেট আর আমরা হয়তো কম বেশি সবাই জানি কৃমিনাশক ওষুধ  অধিকাংশ ট্যাবলেটগুলোয় চুষে খেতে হয়। কিন্তু সোলার নামের এই ওষুধটি কখনোই চুষে খেতে হবে না অনেক মানুষ আছে যারা ট্যাবলিশ চুষে খেতে একদমই পারেনা। দেখা যায় যে চুষতে গিয়ে গিলে ফেলে তাদের জন্য মূল এই ট্যাবলেটটি।

কৃমি দূর করার জন্য সকল প্রকার মানুষই এই ট্যাবলেটটি খেতে পারেন। আমরা সাধারণত কৃমিনাশক ট্যাবলেট গুলো তিন মাস পর পর খেয়ে থাকি। সোলার ট্যাবলেট প্রতিদিন সকালে ও রাতে একটি করে তিন দিন ছয়টি ট্যাবলেট খেতে হবে এটি অবশ্যই ভরা পেটে খাবেন। আপনি চাইলে সাত দিন অথবা ১৪ দিন পরও নিতে খেতে পারেন।

প্রীতি বছরের কম বয়সী শিশুদের সোলার ট্যাবলেট খাওয়ানোর আগে অবশ্যই আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। কৃমিনাশক  ট্যাবলেট গুলো খাওয়ার পর কখনো মিষ্টি জাতীয় কোন জিনিস খাওয়া যায় না। কিন্তু সোলার ট্যাবলেট খাওয়ার পরে আপনি যেকোনো মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য খেতে পারেন। কিন্তু একটু খেয়াল করে খেতে হবে কোন অস্বাস্থ্যকর খাবার কিন্তু গ্রহণ করা যাবে না।

কোন কোন খাবারে এলার্জি আছে

এলার্জি প্রায় প্রতিটা পরিবারে এরকম আক্রান্ত রোগী রয়েছে। কারো সবজিতে এলার্জি কারো ফল মূলে এলার্জি কারো আবার দুধে এলার্জি। এছাড়া অনেকের দেখা যায় ধুলোবালিতে অ্যালার্জি শুরু হয়। কিছু সবজি আছে যেগুলোতে অ্যালার্জি হতে পারে যেমন বেগুন, কলা, টমেটো, আনারস এগুলো থেকে এলার্জি হতে পারে। মাশরুম বা হাঁসের ডিম খেলে দেখা যায়। একটি মানুষের যে খাবারে এলার্জি শুরু হয় অন্যজনের সেই খাবারের নাও হতে পারে। আসুন আমরা জেনে নেই কোন খাবারগুলোতে মানুষ এলার্জিতে ভুগে।
  • দুধ
  • ডিম
  • বাদাম
  • শেল ফিশ
  • গম
  • সয়াবিন
  • মাছ
  • ফল ও সবজি
দুধ প্রতিদিন এর প্রয়োজনীয় পুষ্টির জন্য আমরা দুধ খাই কিন্তু দুধ খেলে আবার দেখা যায় যে কারো কারো এলার্জির সমস্যা শুরু হয়। বিশেষ করে গরুর দুধে এরকম সমস্যা দেখা দেয়। তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে প্রায় আড়াই শতাংশ শিশুর দেখা যায় গরুর দুধের এলার্জি থাকে।

ডিম ডিম হচ্ছে একটি পুষ্টিকর খাবার যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। ডিম খেলে বিভিন্ন বয়সের মানুষেরই দেখা যায় যে এলার্জির সমস্যা শুরু হয়। তবে ডিমে অধিকাংশ অ্যালার্জির সমস্যা তে ভোগে শিশুরা। ডিমে থাকা সাদা অংশে প্রোটিন থেকে এলার্জি শুরু হয়। যাদের ডিমে এলার্জি সৃষ্টি হয় তাদের মধ্যে ডিম না খাওয়াই সবচেয়ে ভালো।

বাদাম ছোট বড় সবাই বাদাম খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে। বাদাম থেকে বিভিন্ন ধরনের ডেজার্ট বানানো হয় কিন্তু কাজ বাদাম পেস্তা বাদাম আখরোট এই ধরনের বাদাম খেলে অনেকের এলার্জি সমস্যা হতে পারে। তাদের সব মানুষের কিন্তু বাদাম থেকে অ্যালার্জি হয় না। কিছু কিছু মানুষের বাদাম থেকে এলার্জি শুরু হয়।

শেল ফিস সেলফিশ বলতে বোঝানো হয় যে  মাছ শক্ত খোসা আবারন ঢাকা থাকে। এ ধরনের মাছ থেকে এলার্জি হয় এটি খুবই সাধারণ একটি ঘটনা। সেলফিশ বলতে যেমন কাঁকড়া, চিংড়ি, শামুক, জাতীয় শক্ত খোলা থেকে এলার্জি হয়। বিশ্বের প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষের শেলফিশ থেকে অ্যালার্জি সৃষ্টি হয়।

গম গম হচ্ছে আমাদের প্রধান খাদ্য তালিকায় প্রতিদিনই প্রায় থাকে যেমন গমের আটা পাউরুটির এ ধরনের খাবার খেলে দেখা যায় অনেক মানুষের এলার্জি সৃষ্টি হয়। শিশুদের মাঝেমধ্যে দেখা যায় যে গমের আটা খেলে এলার্জি শুরু হয়।

সয়াবিন সয়াবিন বড়দের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি না করে থাকলে সাধারণত দেখা যায় যে শিশুদের ক্ষেত্রে এ খাবার থেকে অ্যালার্জি হয়। যেমন সয়াবিন সয়াবিট এবং সয়া মিল্টে এলার্জি ওদের কামস ক্ষেত্রে ১০ বছর বয়সের পর থেকেই শুরু হয়।

মাছ অনেক মানুষের মাছে এলার্জি থাকে। আবার অনেকের স্যালমন টুনা এসব সামুদ্রিক জাতীয় মাছ থেকে এলার্জি হয়। আপনার যদি কোন মাঝে অ্যালার্জি হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনার মাছ না খাওয়াই ভালো।

ফল ও সবজি বেশ কিছু ফলো সবজি রয়েছে  নুষের এলার্জি সৃষ্টি হতে পারে। যেমন টমেটো, কলা, বেগুন এগুলো খেলে দেখা যায় যে মানুষ এলার্জির সমস্যায় ভুগে।

পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা

যাদের পেটে মেদ রয়েছে তাদের চিন্তার কোন শেষ নেই। ডায়েট করে ব্যায়াম করে দেখা যায় যে শরীরের মেদ কমে না। আবার পেটের মেদ কেমন ওর জন্য দেখা যায় যে বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করে। দেহের তুলনায় দেখা যায় যে পেট অনেক দ্রুত বেড়ে যায়। পেটের অতিরিক্ত চর্বি থেকে মানুষ অসুস্থ হয়ে যায় বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধে শরীরে এর জন্য সুস্থ থাকতে হলে অতিরিক্ত চর্বি কমিয়ে ফেলতে হবে। চর্বি কমানোর জন্য আমরা বিভিন্ন রকমের ডায়েট করে থাকি। আসুন আমরা কিছু খাবারের নাম জানব যেগুলা খেলে পেটের মেদ কমানো যাবে।

খেজুর ডায়েটে যদি খেজুর রাখেন এতে ক্যালোরি খুব বেশিও সহজে পেটে ভরে যায় ক্ষুধা কম লাগে। আপনি যদি কয়েকটি খেজুর খান তাহলে দেখবেন অনেক সময় আপনার পেট ভরে থাকবে ক্ষুধা অনেক কম লাগবে। আপনি প্রতিদিন চার থেকে পাঁচটা খেজুর খেতে পারেন। এতে ওজন কমে যাবে এবং মেদ থাকবে না।

কাজুবাদাম আমাদের শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল কে ভালো কোলেস্টেরলে পরিবর্তন করতে কাজু বাদামের রয়েছে বিশেষ ভূমিকা। শরীরের তেলের প্রয়োজনীয় যোগান দেয় কিছুটা কাজুবাদাম। সেজন্যে আপনি দিনে চার থেকে পাঁচটি কাজুবাদাম খেতে পারবেন। এতে আপনার অতিরিক্ত ওজন কমে যাবে।

কিসমিশ কিসমিস খেতে মিষ্টি বলে অনেকেই এটি খেতে ভয় পায় আসলে চর্বি কমাতে গেলে কিসমিসে রয়েছে অসীম ভূমিকা। কিসমিস খেলে শরীরের রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটতে শুরু করে যেটা শ্বাস-প্রশ্বাসের হারকে কিছুটা কমায়। কিসমিস আমাদের খিদে নিয়ন্ত্রণ করে। সেজন্য আপনি প্রতিদিন কিসমিস তিন থেকে চারটি খেতে পারবেন।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তোবা এত সময় জেনে গেছেন কোন খাবারে কত প্রোটিন থাকে। এছাড়াও সোলার ট্যাবলেট খাবার নিয়ম কোন এসব বিভিন্ন ধরনের তথ্য যদি আপনাদের জানা না থাকে এত সময় অবশ্যই জেনে গেছেন। সুস্থ থাকতে হলে আমাদের পুষ্টি অনেক বেশি প্রয়োজন। সেজন্য প্রতিদিন এমন কিছু খাবার আমাদেরকে খেতে হবে যে খাবারে পুষ্টি আছে।

আজকাল মানুষের শরীরে তুলনায় পেট অনেক বেশি বড় হয়ে যায়। পেটে অনেক বেশি মেদ জমে আর এই মেদ থেকে বাঁচতে হলে আপনাকে কিছু খাবার খেতে হবে চা খেলে আপনার ওজন খুব সহজে কমে যাবে। আজকের লেখা আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। এবং আপনাদের যদি কোন মন্তব্য থাকে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url