প্রাকৃতিক উপায়ে আঙ্গুল সুন্দর রাখার উপায়

আমাদের মাঝে অনেকে আছে যারা রূপচর্চা করতে অনেক বেশি পছন্দ করে এছাড়াও আমাদের উচিত যে শরীরের সাথে সাথে আমাদের রূপচর্চা করা কিন্তু অনেকে জানে না যে প্রাকৃতিক উপায় আঙ্গুল সুন্দর করার উপায় ও ১ দিনে হাত-পা ফর্সা করার উপায় আসুন তাহলে আজকে আমরা সঠিক তথ্যটা জানবো। আর সঠিক তথ্য জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে পুরো পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুব মনোযোগ সহকারী করতে হবে।

আমরা সবাই চাই যে আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে। এছাড়া ত্বকে যাতে কোন দাগ ছোপ না থাকে সেটাও চাই। সেজন্য আমাদেরকে প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের যত্ন নিতে হবে।

আমরা কমবেশি ত্বকের যত্ন সবাই নেই তবে ত্বকের যত নেওয়ার জন্য আমরা পার্লারে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের ট্রিটমেন্ট নিয়ে থাকি। নামিদামি হাজার হাজার টাকা খরচ করে তারপরও দেখা যায় যে আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে না। এছাড়াও দেখা যায় যে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের দামি দামি ক্রিম ফেসওয়াশ ব্যবহার করি তারপরও দেখা যায় যে আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে না। কারণ নামিদামি ক্রিমে থাকে কেমিক্যাল।

আর এই কেমিক্যাল আমাদের ত্বকের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকারক। আমরা যদি ঘরোয়া উপায়ে আমাদের ত্বকের যত্ন নেই তাহলে আমাদের অনেক বেশি ফর্সা হবে  উজ্জ্বলতা বেড়ে যাবে। আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্যই লেখা কিভাবে আপনি ঘরোয়া উপায়ে নিজের ত্বকের যত্ন নিবেন আসুন তাহলে আমরা বিস্তারিত জেনে নিই।

প্রাকৃতিকভাবে যদি আপনি আপনার আঙ্গুল সুন্দর করতে চান তাহলে আপনাকে কিছু টিপস ফলো করতে হবে তাহলে আপনি খুব সহজে আপনার আঙ্গুল সুন্দর করতে পারবেন। আমরা যেমন ত্বক ও চুলের যত্নে অনেক বেশি সচেতন হয় ঠিক তেমনি আমাদের উচিত নখের যত্নেও আমাদের সচেতন হওয়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নখ হচ্ছে আমাদের ব্যক্তিত্ব। নখের যত্ন নেওয়ার জন্য আপনাকে অতিরিক্ত কোন খরচ করতে হয় না ঘরোয়া কিছু উপায়ে আপনি ঘরে বসেই খুব সহজে নখের যত্ন নিতে পারবেন। আসুন তাহলে আমরা জেনে নি কিভাবে ঘরে বসে নখের যত্ন নেওয়া যায়।

লেবু আমাদের মাঝে অনেকেই হয়তোবা জানে লেবু আমাদের চুলের যত্নে অনেক বেশি উপকারী। কিন্তু এই লেবু রসের সাথে যদি আপনি বেসন মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করেন তারপর সেই পেস্টটি নখের উপরে লাগিয়ে রাখেন ১০ থেকে ১৫ মিনিট তারপরে ধুয়ে ফেলেন তাহলে দেখবেন আপনার নখ অনেক বেশি সুন্দর হয়ে গেছে।

মশ্চারাইজার আমরা সব সময় মশ্চারাইজারের ব্যবহার করে থাকি শীতের সময়। তবে মশ্চারাইজার আপনি শীত বা গ্রীষ্মকালে ব্যবহার করতে পারবেন আপনি যদি হাত পায়ের নখে মশ্চারাইজার ব্যবহার করেন তাহলে আপনার হাত ও পায়ের নখ অনেক বেশি পরিষ্কার থাকবে। এবং দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগবে।

টুথপেস্ট আমরা সাধারণত দাঁত পরিষ্কার করার জন্য বা দাঁত ব্রাশ করার জন্য যে পেস্ট ব্যবহার করি সেই পেস্ট যদি আপনি আপনার নখের জন্য ব্যবহার করেন তাহলে দেখবেন আপনার নখ অনেক বেশি পরিষ্কার হয়ে গেছে। আপনি সামান্য একটু পেস্ট নিয়ে নদীর উপরে ঘষাঘষি করেন কিছুক্ষণ তারপরে দেখবেন যে আপনার নখ অনেক সুন্দর ও পরিষ্কার হয়ে গেছে। এইভাবে আপনাকে সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন করা লাগবে।

মধু মধুতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ময়শ্চারাইজার বৈশিষ্ট্য। মধু আমাদের ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এর সাথে সাথে আমাদের আঙ্গুলের জন্য অনেক বেশি ভালো। আপনি যদি মধুর একটি পাতলা পেস্ট তৈরি করে ১০ থেকে ২০ মিনিট আঙুলে লাগিয়ে রাখেন তারপর ধুয়ে ফেলেন দেখবেন আপনার আঙ্গুল অনেক বেশি পরিষ্কার হয়ে গেছে।

সাধারণত দেখা যায় যে আমরা হাত-পা সুন্দর ও পরিষ্কার রাখার জন্য পার্লারে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের ট্রিটমেন্ট নিয়ে থাকি সেখানে অনেক টাকা খরচ করি কিন্তু তারপরও আমরা ভালো রেজাল্ট পাই না। সেজন্য আপনাদেরকে আজকে আমরা জানাবো যে ঘরে বসে খুব সহজেই কিভাবে আপনি হাত-পা ফর্সা করতে পারবেন ১ মধ্যে।

আমাদের শরীরের তুলনায় দেখা যায় যে হাত-পা অনেক বেশি কালো কিন্তু বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট ব্যবহার করেও দেখা যায় যে আমাদের হাত-পা ফর্সা হয় না। হাত পা ফর্স করার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি বাটিতে হালকা গরম পানি নিয়ে নিতে হবে তারপর একটি টাওয়ালের সাহায্যে ফুল বডি পরিষ্কার করতে হবে। এই ভাবেই আপনি যদি দুই থেকে তিন মিনিট হাত-পা পরিষ্কার করেন তাহলে দেখবেন যে আপনার হাত পা অনেকটা বেশি পরিষ্কার হয়ে গেছে এবং হাত-পায়ের ময়লাগুলো দূর হয়ে গেছে।

যখন ভালোভাবে পরিষ্কার হয়ে যাবে হাত-পা তখন আপনি তেল মাসাজ করতে পারেন। যাকে বলে অয়েল মাসাজ এর জন্য প্রয়োজন হয় কোকোনাট অয়েল বা নারিকেল তেল। কিছুটা নারকেল তেল নিয়ে আপনার পুরো বডিতে মালিশ করতে হবে এভাবেই যদি আপনি হাতে পায়ে নারিকেল তেল মাসাজ করেন তাহলে আপনার হাত ও পায়ের কালো ভাব খুব সহজে দূর হয়ে যাবে। আর আমরা জানি যে নারিকেল তেল আমাদের ত্বককে অনেক ভালোভাবে মশ্চারাইজার করে।

আপনার যখন হাত পা য়ে তেল মালিশ করা হয়ে যাবে তারপরে আপনাকে একটি স্ক্রাব লাগাতে হবে। সেজন্য প্রথমে একটি বাটিতে বেসন নিতে হবে তার সাথে দিতে হবে চালের গুড়ো তারপরে মুলতানি মাটি এড করতে হবে। তারপর মসুর ডালের পেস্ট এক চামচ মসুর ডালের পেস্ট তার সাথে হলুদের গুঁড়ো ও সবশেষে এড করতে হবে টক দই। এরপর সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে মিক্স করে নিতে হবে তারপরে যখন মিক্সটা তৈরি হয়ে যাবে ঠিক তখন আপনার হাত ও পায়ে ভালোভাবে মিশ্রণটি লাগাতে হবে মাসাজ করতে হবে। এভাবে যদি আপনি ব্যবহার করেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি আপনার হাত-পা ফর্সা হয়ে যাবে।

যাদের ত্বক অনেক বেশি কালো বা শ্যামলা তারা চায় যে তাদের ত্বকের আর একটু বেশি উজ্জ্বলতা বাড়াতে এর জন্য দেখা যায় যে অনেকে অনেক ধরনের ক্রিম ব্যবহার করে কিন্তু তাতেও কোন কাজ হয় না। কারণ ক্রিমে থাকে অনেক কেমিক্যাল এটি আমাদের ত্বকের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর হতে পারে। আজকে আমরা জানাবো যে প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বক ফর্সা করার উপায় সম্পর্কে আসুন তাহলে আমরা জেনে নিই।

মধু ও গুড়া দুধের ফেসপ্যাক একটি পাত্রে আপনাকে এক চামচ গুড়া দুধ ও দুই চামচ মধু নিতে হবে তার সাথে আপনি চাইলে এক থেকে দুই চামচ লেবুর রস মিশাতে পারেন। তারপরে আপনাকে ভালোভাবে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে। এরপর মিশ্রণটি আপনার মুখে দশ মিনিট লাগিয়ে রাখুন তারপরে দশ মিনিট পর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন যে আপনার ত্বক আগের থেকে অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়ে গেছে। আপনি যদি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এভাবে মধু ও গুড়া দুধের ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখেন তাহলে অনেক ভালো ফলাফল পাবেন।

পেঁপে আর ডিমের মাক্স আমাদের মাঝে অনেকে জানে না যে পেঁপে আর ডিম আমাদের ত্বকের জন্য কতটা বেশি উপকারী। পেঁপে আমাদের ত্বকের রং আস্তে আস্তে ফর্সা করে দেয়। এছাড়াও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয় ডিমে প্রোটিন আমাদের ত্বক টানটান করে রাখে এবং স্কিন ভিতর থেকে পরিষ্কার করে। একটি পাত্রে তিন চামচ পেঁপে রস ও দুই চামচ টক দই তিন চামচ আমন্ড অয়েল অথবা গ্লিসারিন ডিমের সাদা অংশ নিন।

তারপরে একটি মিশ্রণ বানিয়ে সেটি ফ্রিজে এক থেকে দুই ঘন্টার মতন রেখে দেন তারপরে বের করে আপনি মুখে লাগিয়ে রেখে দিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। তাহলে দেখবেন যে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা অনেক বেশি বেড়ে গেছে এবং ত্বক ফর্সা হয়ে গেছে।

বেসন আর লেবুর রসের প্যাক আমরা হয়তোবা অনেকেই জানি যে আমাদের ত্বকের যত্নে বেসন হচ্ছে অনেক বেশি উপকারী পাশাপাশি লেবু আমাদের ত্বককে অনেক বেশি পরিষ্কার করে। একটি পাত্রে আপনি দুই থেকে তিন চামচ বেসন ও এক চামচ লেবুর রস এ ছাড়া হলুদের গুঁড়ো সামান্য গোলাপজল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নেন তাহলে সে পেস্ট যদি মুখে আলতো ভাবে মাখেন তারপরে ১০ থেকে ২০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ফেলেন। তাহলে দেখবেন যে আপনার মুখ অনেক বেশি পরিষ্কার হয়ে গেছে এবং ত্বকের খুব সহজে দূর হয়ে যাবে।

মধু ও লেবুর রসের প্যাক আমরা সকলেই জানি যে লেবুর রস আমাদের মুখ পরিষ্কার করে সঙ্গে মধু আমাদের ত্বকের মশ্চারাইজারের কাজ করে। মধু আমাদের ত্বকে যদি মার্ক্স হিসাবে ব্যবহার করা হয় তাহলে অনেক বেশি কার্যকারী হয়। দুই চামচ মধু ও এক চামচ লেবুর রস এই দুটি উপকরণ একসাথে একটি মিক্স তৈরি করতে হবে তারপরে আপনার ত্বকে হালকা করে লাগিয়ে দিতে হবে। লাগানোর পর ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এটা যদি আপনি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করেন তাহলে দেখবেন যে আপনার ত্বকে কোন দাগ চোখ থাকবে না এবং ত্বক উজ্জ্বল হয়ে যাবে সাথে সাথে ত্বক ফর্সা হবে।

কফি হচ্ছে আমাদের কাছে অনেক প্রিয় একটি পানীয় খাবার তবে কফি দিয়ে রূপচর্চা করা অনেক বেশি সহজ এবং কফি আমাদের রূপচর্চায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। কফি দিয়ে বিউটি উপকরণ তৈরি করা যায় কফি আমাদের মুখের দাগ দূর করে এছাড়াও হাত-পা ফর্সা করার জন্য রয়েছে কফির বিশেষ ভূমিকা। আসুন তাহলে আমরা আজকে জেনে নেই কফি দিয়ে হাত-পা ফর্সা করার উপায় সম্পর্কে।

কফি যেমন আমাদের ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারী ঠিক তেমনি যদি আমরা হাত পায়ে ব্যবহার করি তাহলে আমাদের হাত-পা অনেক বেশি ফর্সা হয়ে যায়। এক চামচ কফি পাউডার তার সঙ্গে শসার রস আরো হলুদের গুঁড়ো লেবুর রস দিয়ে যদি একটি মিশ্রণ তৈরি করা হয় তারপর সে মিশ্রণটি আমরা হাত ও পায়ে লাগিয়ে রাখি ১০ থেকে ১৫ মিনিট। তারপরের নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলি তাহলে দেখা যাবে যে আমাদের হাত-পা আগের তুলনায় অনেক বেশি ফর্সা হয়ে গেছে। তবে আপনাকে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এভাবে ব্যবহার করতে হবে তাহলে আপনি ভালো একটি রেজাল্ট পাবেন। কফি আমাদের ত্বককে ন্যাচারাল ভাবে পরিষ্কার রাখে এবং ফর্সা করে।

প্রিয় পাঠক এত সময় হয়তো বা আপনার জেনে গেছেন যে প্রাকৃতিক উপায়ে আঙ্গুল সুন্দর করা উপায় ও প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বক ফর্সা করার উপায় এ ছাড়া কফি দিয়ে হাত পা ফর্সা করার বিভিন্ন ধরনের উপায় সম্পর্কে। আমরা সাধারণত ত্বকের জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ফেসওয়াশ ব্যবহার করে কিন্তু সেগুলোতে থাকে কেমিক্যাল যা আমাদের ত্বকের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকার হয়ে দাঁড়ায়।

সেজন্য যদি আমরা প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের যত্ন নিই তাহলে আমাদের ত্বক অনেক বেশি ফর্সা হয়ে যাবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বেড়ে যাবে। আজকের লেখা আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে প্রতিটি নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন এবং আপনাদের কোন মন্তব্য থাকলে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।