দিনে সর্বোচ্চ কয়টি কলা খাওয়া উচিত

আমাদের হয়তো জানা নেই দিনে সর্বোচ্চ কয়টি কলা খাওয়া উচিত। কলা হচ্ছে পুষ্টি গুনে ভরপুর একটি ফল এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও আয়রন যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে হয়তো অনেকের ধারণা নেই। গর্ভাবস্থায় কলা খেলে শিশুর স্বাস্থ্য ভালো থাকে। কলা হচ্ছে একটি ঠান্ডা জাতীয় ফল যাদের বিভিন্ন ধরনের ঠান্ডার সমস্যা থাকে জ্বর সর্দি কাশি ঠান্ডা লাগা তাদের কলা এড়িয়ে চলা ভালো কলা কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যই খুবই উপকারী একটি ফল।
দিনে সর্বোচ্চ কয়টি কলা খাওয়া উচিত
কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও খনিজ উপাদান কলাতে থাকা পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম আমাদের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।

ভূমিকা

অনেকে কলা কে সুপারফুট হিসাবেই চিনে কলাতে থাকা ভিটামিন আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় শরীরের। দিনে সর্বোচ্চ এক থেকে দুইটি কলা খাওয়া উচিত। কলা আমাদের হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয় কলাতে রয়েছে ফাইবার এবং কলাতে রয়েছে খনিজ ও আমিষ কলাতে থাকা ক্যালরি আমাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। মাইগ্রেনের সমস্যা দূর হয়ে যায় কলা খেলে। নিয়মিত কলা খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কলাতে রয়েছে পটাশিয়াম যা আমাদের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ছোট থেকে বড় সব বয়সী মানুষেরই কলা খুবই পছন্দের একটি ফল।

দিনে সর্বোচ্চ কয়টি কলা খাওয়া উচিত

দিনে সর্বোচ্চ দুই থেকে তিনটি কলা খাওয়া উচিত। কলা হচ্ছে ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ একটি ফল এটি আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। আমাদের দেহের শক্তি যোগায় এই কলা পাকস্থলীকে ভালো রাখে। বুক জ্বালাপোড়া বিভিন্ন ধরনের সমস্যা কমে যায় কলা খেলে। কলাতে থাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা আমাদের ক্লান্তি দূর করে ও মাংস পিসিকে আরাম দেয়।

সকাল সন্ধ্যা কিংবা বিকালে কলা খাওয়া সবচেয়ে ভালো কলা সাধারণত সারা দিনে দুই থেকে তিনটা খাওয়া উচিত আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কলা হচ্ছে কলা একটি বারোমাসি ফল যা সারাবছর পাওয়া যায় ছোট থেকে বড় সবারই কলা ফলটি প্রিয়। কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম আর এ পটাশিয়াম আমাদের হার্ড স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে এবং প্রেসার কন্ট্রোল করার জন্য খুবই উপকারী এই কলা।

আমরা কলা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু খাবার তৈরি করে থাকি। রেজাল্ট সালাদ বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করতে এই কলা ব্যবহার করে থাকি আমরা। যাদের আবার গ্যাসের সমস্যা রয়েছে তারা কলা কে এড়িয়ে চলাই ভালো। ফল মানেই আমরা জানি শরীরের জন্য উপকারী কারণ যে কোন ফলের ভিটামিন খনিজ ও প্রোটিন উপাদান রয়েছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।

তবে যে কোন ফল অথবা যেকোনো খাবার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে খেতে হয় যা আমাদের শরীরের কোন ক্ষতি করে না অতিরিক্ত কোন কিছু খেলে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সারাদিনে এক থেকে দুইটি এর বেশি কলা খাওয়া ভালো নয়। কলা যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী ঠিক তেমনি যদি অতিরিক্ত কলা খাওয়া হয় তাহলে তা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকরও হয়ে উঠতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মধ্যে কলাতে থাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা আমাদের শরীরের জন্য খুব একটা বেশি ভালো না যা সরাসরি কিডনিতে প্রভাব ফেলে। কিডনি রোগীদের করলা এড়িয়ে চলা সবচেয়ে ভালো। কলা আমাদের হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। সেজন্য সারা দিনে হয় সকাল বিকালে ব্যায়ামের পর ও রাত্রে এক থেকে দুই কলা খাওয়া উচিত এতে করে আমাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভ অবস্থায় প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সবচেয়ে পুষ্টিকর ও ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল হচ্ছে কলা। কলা আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানের চাহিদা পূরণ করে। গর্ভকালীন অবস্থায় যাদের ডায়াবেটিকস রয়েছে তাদের একটু সতর্কতা ভাবে কলা খাওয়াই উচিত কারণ কলাতে থাকে চিনির পরিমাণ যা ডায়বেটিসের জন্য খুবই খারাপ।

কলা আমাদের দাঁতের ক্ষয় রোধ করে গর্ভ অবস্থায়। গর্ভ অবস্থায় প্রতিদিন ১ থেকে ২ টি কলা খাওয়া উচিত কলাতে ক্যালরি চর্বি কম কিন্তু পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন বি ফাইবার সমৃদ্ধ। ডাক্তাররা গর্ভ অবস্থায় কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে কারণ কলা হচ্ছে একটি ভিটামিন জাতীয় ফল। এটি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ যা গর্ভবতী মায়েদের জন্য খুবই উপকারী।

কাঁচা কলা কে আমরা সবজি হিসাবে রান্না করে থাকি এতে আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী কাঁচা কলা। যে শতকরা শক্তি সবচেয়ে বেশি রয়েছে একটি শরীরের দুর্বলতা দূর করে কাঁচা কলাতে থাকা খনিজ পদার্থ ক্যালসিয়াম আয়রন ম্যাগনেসিয়াম সিয়াম শূন্যতা দূর করে। কাঁচা কলাতে রয়েছে শতকরার উৎস। কাঁচা কলা আমাদের হজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দূর করে। 

পাকা কলার চেয়ে কাঁচা কলাতে রয়েছে ভিটামিন এর পরিমাণ সবচেয়ে বেশি থাকে। আমাদের ক্ষমতা বাড়ায়ও শরীরের ক্ষতি করল জীবাণু ধ্বংস করে। কাঁচা কলাতে রয়েছে অধিক পরিমাণে শতকরা ডায়েটরি ফাইবার এছাড়াও ওমেগা থ্রি ওমেগা সিক্স, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, তামা, সেলিনিয়াম বিভিন্ন উপাদান রয়েছে এইসব পুষ্টি উপাদানগুলো গর্ভ অবস্থায় ভ্রুনের সুস্থতা বিকাশে বিশেষভা বে সহায়ক।

গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এই কাঁচা কলা থেকে। গর্ভাবস্থায় এডেমা কমাতে সাহায্য করে এই কলা এডেমাকারণে গর্ভাবস্থায় পা ফুলে যায়। এই পা ফেলার লক্ষ্য করেন সে ক্ষেত্রে লবণ জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে তাহলে পা ফোলা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। কলা ফোলেটের একটি খুব ভালো উৎস যা শিশুর মস্তিষ্ক ভালো রাখে। গর্ভাবস্থায় কলা খেলে শরীরে ফোলেটের মাত্রার উন্নতি হয়। তাই ডাক্তাররা সবসময় পরামর্শ দেয় কলা খাওয়ার জন্য গর্ভাবস্থায় গর্ভ অবস্থায় হয়তো কাঁচা কলা নয় পাকা কলা সবজি হিসাবে রান্না করে খেতে বলে।

সকলে কলা খাওয়ার উপকারিতা

সকালে কলা খেলে আমাদের শরীরের শক্তি যোগায়। দিনে সর্বোচ্চ এক থেকে দুইটি কলা খাওয়া উচিত। কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবারের উৎস যা আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা খুব সহজেই দূর করে দেয় তাছাড়াও কলাতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষভাবে সাহায্য করে। কলাতে থাকা কার্বোহাইডেট আমাদের শরীরে দ্রুত শক্তি জোগাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

তাছাড়াও সকালে কলা খেলে আমাদের পেট পরিষ্কার থাকে পেটে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়। সারাদিন আপনার শরীরের অবস্থা কেমন থাকবে তা নির্ভর করে আপনার সকালে কি খেয়েছেন তার ওপরে সকালে যদি আপনি পুষ্টিকর খাবার খেয়ে থাকেন তবে সারাদিনে আপনার শরীরে শক্তি যোগাবে শরীরের দুর্বলতা ভাব থাকবে না কাজের গতি ও বেড়ে যাবে। অনেকে সকালে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকে কলা দুধ পাউরুটি খাবার খেয়ে থাকে।

সকালে কলা খেলে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দূর হয়ে যায় হিট যন্ত্র কে ভালো রাখে এই কলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কলা রয়েছে বিশেষ ভূমিকা কলাতে রয়েছে আইরন যার রক্তস্বল্প তার মত লোকের সাথে লড়াই করে কলাতে থাকা ভিটামিন বি সিক্স ভিটামিন বি এর মত স্বাস্থ্যকরী উপাদান ফলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।

আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন এক থেকে দুইটি কলা খাওয়া উচিত। এতে আমাদের হার্ট স্ট্রোকের মত বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে কলা যদি সকালে খাওয়া হয় তাহলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে সকালে নাস্তা হিসেবে কলা রাখা উচিত যারা নিয়মিত রূপচর্চা করেন ত্বকের যত্নে রয়েছে বিশেষ ভূমিকা।

কলা খেলে আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে দূর হয়ে যায়। এমনকি কলা আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে যারা ডায়েট করেন তাদের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন ১ থেকে ২টি কলা রাখা উচিত কারণ কলা আমাদের ওজন বাড়িয়ে দেয় না ওজন কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। কলা আমাদের শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করে। এইজন্য প্রতিদিন সকালে এক থেকে দুইটি কলা খেলে আমাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

দুধ ও কলা খাওয়ার উপকারিতা

আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য দুধ কলা খুবই উপকারী। তবে এই দুধ কলা একসঙ্গে খালি পেটে খাওয়া কখনোই উচিত নাই দুধ করা হচ্ছে একটি পুষ্টিকর খাবার। কারণ দুধ ও কলায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান ও বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ করে উপকরী। সাধারণত দিনে সর্বোচ্চ দুই থেকে তিনটি কলা খাওয়া উচিত।

তবে দুধের সাথে যদি কলা খাওয়া হয় তাহলে তার পুষ্টিগুণ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। কলা হচ্ছে শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান ফাইবারে ভরপুর এই কলা শরীরের শক্তি যোগায় বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে রক্ষা করে কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন আই রুটিন ফাইবার পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন সি ভিটামিন বি সিক্স বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান।

কলা আমাদের অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। কলা যদি প্রতিদিন সকালে খাওয়া হয় তাহলে শরীরের শক্তি পাওয়া যায়। দুধ আর কলা প্রাচীনকাল থেকে মানুষ একটি সুস্বাদু খাবার হিসেবে খেয়ে এসেছে। কলা হচ্ছে উপকারী ফল অনেকে এটাকে সুপার ফুড হিসেবে চিনে কলাতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি ও খনিজ উপাদান যেমন ফাইবার আমাদের শরীরের শক্তি খুব দ্রুত জায়গাতে সাহায্য করে।

অন্যদিকে কলা একটি পুষ্টিকর খাবার এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম ভিটামিন ডিযা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একসাথে খেলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। যারা ওজন বাড়াতে চান তাদের সাধারণত প্রতিদিনের খাবারের দুধ ও কলা একসঙ্গে খেলে খুব সহজে ওজন বেড়ে যায়। দুধ হচ্ছে ডায়েটারি ফাইবার এতে ভিটামিন সি থাকে না এছাড়া কার্বোহাইডেট এর পরিমাণও কম থাকে।

কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন সি পটাশিয়াম ও ডায়েটারি ফাইবার কলা আমাদের রূপচর্চায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। দুধ আর কলা একসঙ্গে ত্বকে লাগানো হয় তাহলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে ডাকছো দূর হয়। বিভিন্ন ধরনের উপকার পাওয়া যায় দুধ কলা যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী ঠিক তেমন আমাদের ত্বকের জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে এই দুধ কলা। দুধও কলার পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে জানানো হলো।

দুধ দুধ হচ্ছে ছোট থেকে বড় সবারই খুব পছন্দের ও পুষ্টিগুণ একটি খাবার। দুধে রয়েছে প্রোটিন ভিটামিন আরো বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান এছাড়াও রয়েছে দুধে বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদান যেমন ক্যালসিয়াম ভিটামিন সি পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।

কলা কাঁচা কলা কে আমরা সবজি হিসেবে খেয়ে থাকি আর পাকা কলা কে ফল হিসাবে ধরে থাকি। কলাতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন সি খাদ্য আঁশ, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি সিক্স, বায়োটিনে পরিপূর্ণ। কলাতে রয়েছে অধিক পরিমাণের ক্যালরি যা আমাদের শক্তি যোগায় তাছাড়া রূপচর্চার কাজেও কলা রয়েছে বিশেষ ভূমিকা।

বেশি বেশি কলা খেলে শরীরের কি কি ক্ষতি হতে পারে

কলা হচ্ছে একটি মিষ্টি জাতীয় ফল যা আমাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে এমনকি দাঁতের ক্ষতি করতে পারে এই কলা। কলাতে যেমন বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে যা আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো ঠিক তেমনি বেশি বেশি যদি কলা খাওয়া হয় এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও হতে পারে আমাদের শরীরে। কলা একটি মিষ্টি জাতীয় ফল এটি খেলে খুব সহজে ওজন বেড়ে যায়।

কলাতে রয়েছে ভিটামিন সি পটাশিয়াম ফাইবার বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান। কলা কে আমরা উপকারী ফল হিসাবে চিনে থাকি। ছোট থেকে বড় সকল বয়সের মানুষেরই একটি প্রিয় খাবার হচ্ছে কলা দিনে দুই থেকে তিনটি কলা খাওয়া উচিত। বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানের ভরপুর হচ্ছে এই কলা শরীরের এনার্জি যোগাযোগ করার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এবার কলা বেশি খেলে কি কি ক্ষতি হতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত।

মাইগ্রেন সমস্যা হতে পারে এই কলা যদি বেশি খাওয়া হয় যাদের মাইগ্রেনর সমস্যা রয়েছে তাদের কলা না খাওয়াই উচিত।

দাঁতের ক্ষয় কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শতকরা যা আমাদের দাঁতের জন্য খুবই ক্ষতিকর দাঁতের স্বাস্থ্য নষ্ট করে দেয় এই কলা। কলা একটি মিষ্টি জাতীয় খাবার এটি দাতের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

অ্যালার্জি কলা খেলে অনেক সময় এলার্জি হতে পারে। অতিরিক্ত কলা খেলে বুক জ্বালাপোড়া গলা জ্বালাপোড়া ও ঠোঁট ফুলে যায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে।

শ্বাসকষ্টের সমস্যা যাদের শ্বাসকষ্ট রয়েছে তারা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খেয়ে ফেলেন তাহলে তাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা খুব দ্রুত বেড়ে যায়। এ জন্য কলাকে একটু এড়িয়ে চলাই ভালো যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে।

কোষ্ঠকাঠিন্য কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ ও খনিজ উপাদান কিন্তু এটি যদি বেশি পরিমাণে খাওয়া হয় তবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য হলে তা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যই খুবই ক্ষতিকর।

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার ও গ্লুকোজ এটি আমাদের শরীরে গ্যাস সৃষ্টি করে খুব সহজে। সেজন্য কলা যদি বেশি খাওয়া হয় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।

পেটে ব্যাথা কলাতে রয়েছে শতকরার পরিমাণ খুবই বেশি কলা যদি অতিরিক্ত খাওয়া হয় এতে আমাদের পেটে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। সেজন্য কলা আমাদের সঠিক নিয়মে খাওয়া উচিত।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় গ্রাহক কলা সম্পর্কে এই বিভিন্ন ধরনের তথ্য আপনাদের জানা ছিল কি যদিও জানা না থাকে তবে আজকে জেনে গেছেন দিনে কয়টি কলা খাওয়া যাবে গর্ব অবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা দুধ কলা খাওয়ার উপকারিতা বেশি কলা খেলে আমাদের শরীরে কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে। সকালে কয়টি কলা খাওয়া যাবে কলার উপকারিতা আরো বিভিন্ন ধরনের তথ্য জেনে গেছেন তাহলে আসুন আমরা সঠিক নিয়মে কলা খাওয়া শুরু করি।

কারণ কলা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকার আবার অতিরিক্ত যদি বেশি বেশি কলা খাওয়া হয় তাহলে তা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকরও হতে পারে। সেজন্য সঠিক নিয়মে কলা খাওয়া শুরু করুন নিজেও খান এবং অন্যদেরকেও খাবার পরামর্শ দিন। কলা সম্পর্কে আমার লেখা আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে প্রতিদিন নিত্যনতুন লেখা পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন এবং এই লেখা যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে আপনার আত্মীয়-স্বজন সবার সাথে শেয়ার করে দিতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url