এই গরমে ঠোঁট ফাটার কারণ কি

প্রিয় পাঠক আপনি হয়তো বা জানতে চাচ্ছেন এই গরমের ঠোট ফাটার কারণ কি ও ঠোঁট ফেটে গেলে কি করা উচিত সেই সম্পর্কে। আসুন তাহলে আমরা সঠিক তথ্যটা জেনে নিই। আমরা সবাই জানি সাধারণত শীতকালে ঠোঁট ফাটে কিন্তু গরমেও ঠোঁট ফাটা এই বিষয়টা আমরা জানি না এ বিষয়টা জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে এই পোস্টটা মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন।

ঠোঁট ফাটা হচ্ছে একটি সমস্যা এর জন্য আমরা অনেক ধরনের ক্রিম ব্যবহার করে থাকি বা ঠোঁট ফাটার আগে বিভিন্ন ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করে। কিন্তু ঘরোয়া উপায়ে ঠোট ফাটার সমস্যার সমাধান করা যায়।

সাধারণত আমরা জানি যে শীতকালে শুষ্কতাই ঠোট ফাটে কিন্তু এই গরমে ঠোঁট ফাটে কিসের জন্য এটা হয়তো বা সবাই জানে না। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এখন সব ঋতুতে ঠোঁট ফাটার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আমাদের শরীরের অন্যান্য স্থানের থেকে ঠোঁটের চামড়া অনেক বেশি পাতলা সেজন্যই খুব সহজেই ঠোঁট ফেটে যায় ।

এমনকি ঠোঁট শুকিয়ে যায় এই সমস্যা থেকে সমাধান পেতে হলে আমাদেরকে লিপ বাম ব্যবহার করতে হবে। ও ঠোঁটে বিভিন্ন ধরনের স্ক্রাব ব্যবহার করতে হবে তাহলে ঠোঁটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এছাড়া অতিরিক্ত পরিমাণে পানি পান করলে গ্রীস্মের দিনে ঠোঁটে ফাটার সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।

ঠোঁটের চামড়া অনেক বেশি পাতলা থাকে সেজন্যই সাধারণত ঠোঁট ফাটে। তবে আমরা জানি যে শীতকালে আদ্রতা অনেক বেশি শুষ্ক থাকে আর সে কারণেই ঠোঁট ফেটে যায়। আদ্রতা শুষ্ক থাকার কারণে ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার ফলে সেখান থেকে ঠোঁট ফাটা শুরু হয়। বাতাসের আদ্রতা খুব তাড়াতাড়ি ঠোটের উপরে প্রভাব ফেলে। আবার অনেক সময় দেখা যায় যে শীতকালে যদি পরিচর্যা না করা হয় তাহলে খুব ঠোঁট ফেটে যায়।

গ্রীষ্ম কালের গরমে অনেকেরই ঠোট ফাটে শুধু যে ঠোঁট ফাটে এমনটাও না ঠোঁটের চামড়া উঠে যায়। মূলত এই সমস্যাটা দেখা দেয় গরমের আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে এইসব সমস্যা দেখা দেয় ঠোঁটের। গ্রীষ্মের প্রচন্ড রোদের তাপে আমাদের ঠোঁট অনেক বেশি রুক্ষ হয়ে যায়। গরমের সময় আমাদের শরীরে পানি অনেক বেশি কম থাকে। সেজন্যই চামড়া পাতলা হয়ে যায় সে থেকে রুক্ষ হয়ে ঠোঁট ফাটার সমস্যা দেখা দেয়।

আপনি যদি এই ঠোঁট ফাটার সমস্যা থেকে সমাধান পেতে চান বা ঠোঁটের সৌন্দর্য ধরে রাখতে চান তাহলে আপনি ঠোঁটে স্ট্রবেরি স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। কারণ স্ট্রবেরিতে রয়েছে ভিটামিন সি আর ভিটামিন সি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য যেমন বেশি উপকারী ঠিক তেমনি আমাদের ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারী। স্ট্রবেরি স্ক্রাব ব্যবহার করলে ঠোঁটের গোলাপী ভাব ফিরে আসে এবং বিভিন্ন ধরনের রুক্ষতা দূর করে দেয়। অবশেষে এটাই বলা যায় যে ঠোঁট ফাটার মেন সমস্যা হচ্ছে আবহাওয়া পরিবর্তন। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেই শীত ও গরমে ঠোঁট ফাটে কারণ আমাদের শরীরের তুলনায় ঠোঁটের চামড়া অনেক বেশি পাতলা সেজন্য একটু রুক্ষ হলে ঠোঁট ফাটা শুরু হয়ে যায়।

সাধারণত শীতকালে রুক্ষতায় আমাদের ঠোঁট ফেটে যায়। কিন্তু দেখা যায় যে গ্রীষ্মকালের গরমে আমাদের ঠোঁট ফাটে সেটার মূল কারণ হচ্ছে আবহাওয়া পরিবর্তন। আবহাওয়া পরিবর্তন কারণে ঠোঁট ফাটার সমস্যা দেখা দেয়। গরমকালে গ্রীষ্মের প্রচণ্ড রোদের তাপে আমাদের ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। সেজন্য ঠোঁট ফেটে যায় আর সাধারণত ত্বকের চামড়া থেকে ঠোঁটের চামড়া অনেক বেশি পাতলা থাকে সেজন্য খুব সহজেই ঠোঁট ফেটে যায়।

ঠোঁট ফাটার সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়ার একটি উপায় হচ্ছে যে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে ও ঠোঁটের যত্ন নিতে হবে এছাড়া তীব্র সূর্যের তাপ যাতে ঠোঁটে না লাগে। পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে আর নিয়মিত ঠোঁটে ভ্যাসলিন ব্যবহার করতে হবে। আসুন ঠোঁট ফেটে গেলে কি করা উচিত সেই সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জেনে নেই।

কফি স্ক্রাব কফি আমরা সাধারণত সবাই খেয়ে থাকি সকালে নয়তো বিকালের নাস্তায়। তবে কফি যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ঠিক তেমনি আমাদের ঠোঁটের জন্যও অনেক বেশি উপকারী কফি। আপনি যদি কফির সাথে মধু মিক্স করে একটি স্ক্রাব বানিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখেন ১০ থেকে ১৫ মিনিট সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার যদি ব্যবহার করেন তাহলে সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

পানি গরমের সময় ঠোঁট অনেক শুষ্ক তার কারণে ফেটে যায়। গ্রীষ্মকালের প্রচণ্ড গরমের তাপে আমাদের ঠোট কাটার সমস্যা দেখা দেয়। সেজন্য আমাদেরকে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে গরমের সময় এমনি ও আমাদের শরীরে পানির পরিমাণ কম থাকে। আপনি যদি প্রচুর পরিমাণে পানি খান তাহলে ঠোঁট ফাটার সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

ব্রাউন সুগার স্ক্রাব আমাদের ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সবচেয়ে বেশি ভালো কাজ করে ব্রাউন সুগার। এছাড়াও ত্বক কোমল রাখে ব্রাউন সুগার। আপনি যদি এক চামচ ব্রাউন সুগার এর সাথে এক থেকে দুই চামচ মধু ব্যবহার করে একটি মিশ্রণ তৈরি করে ১০ থেকে ১৫ মিনিট আলতো ভাবে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখেন কিংবা ঘষাঘষি করেন। তারপরে নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়। তাহলে এতে ঠোঁট ফাটার সমস্যা থাকে না খুব সহজে দূর হয়ে যায়।

স্ট্রবেরি স্ক্রাব স্ট্রবেরি হচ্ছে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি ফল। এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং আমাদের ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারী। ভিটামিন সি আমাদের ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে সমাধান দেয়। আপনি যদি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন স্ট্রবেরি স্কাউট ঠোঁটে ব্যবহার করেন তাহলে ঠোঁটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যাবে এমনকি আপনার ঠোঁট পাতার সমস্যা দূর হয়ে যাবে সেটি গরমে বা শীতে আপনার ঠোঁটকে অনেক বেশি ভালো রাখবে।

শীতের আবহাওয়া শুষ্ক থাকার কারণে আমাদের ঠোঁট ফেটে যায়। আবার ঠোঁট থেকে রক্ত বের হয় অনেকের তবে যে শীতের শুধু ঠোঁট ফাটে এইরকম কিন্তু নয় গরমে গ্রীষ্মের প্রচন্ড রোদে আমাদের ঠোঁট ফাটে। গরমের সময় সূর্যের তাপ অনেক বেশি থাকে সূর্যের তাপ যদি ঠোঁটে লাগে তাহলে ঠোঁটের ত্বক অনেক বেশি শুকনো হয়ে যায়। আর সেই থেকে ঠোঁট ফাটা সমস্যা দেখা দেয়।

এছাড়াও যদি আমরা গরমের সময় পানি কম খায় তাহলে ঠোঁট ফাটতে পানির শরীরে পানির ঘাটতি কম থাকলে ঠোঁট ফাটবে। গরমের সময় আমাদের শরীর থেকে পানি বের হয়ে যায় সেজন্যে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। আর পানির ঘারতি  দেখা দিলেই তা আমাদের ঠোঁট ফাটার সমস্যা হতে পারে। আসুন তাহলে আমরা জেনে নিই গরমের ঠোঁট ফাটার দূর করার কিছু উপায় সম্পর্কে।

নারিকেল তেল ঠোঁট ও চুলের যত্নে নারিকেল তেলের রয়েছে অনেক বেশি ভূমিকা। যদি আপনার শীতে বা গরমে ঠোঁট ফাটার সমস্যা দেখা দেয় সেক্ষেত্রে আপনি নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। রাত্রে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে নারিকেল তেল লাগিয়ে রেখে তারপরে সকালে তা ধুয়ে ফেলতে হবে এভাবে যদি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার করেন তাহলে আপনার ঠোঁট ফাটার সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

লিপবাম আপনি যদি ঠোঁটে নিয়মিত লিপ বাম ব্যবহার করেন তাহলে খুব সহজে ঠোঁট ফাটার সমস্যা দূর হয়ে যায়। লিপবাম ব্যবহার করতে হবে অবশ্যই আপনাকে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ বা স্ট্রবেরি ফ্লেভারের। কারণ ভিটামিন সি আমাদের ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারী। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যদি ব্যবহার করেন যে কোন সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

সানস্ক্রিম আমাদের মাঝে অনেকেই দেখা যায় গরমের সময়ের সূর্যের তাপ থেকে নিজের ত্বককে রক্ষা করার জন্য সানস্ক্রিম ব্যবহার করে। তবে আমরা হয়তোবা জানিনা সানস্ক্রিন ত্বকের সাথে সাথে আমাদের ঠোঁটের জন্য অনেক বেশি উপকারী। ঠোঁটকে রোদে পোড়ার হাত থেকে রক্ষা করে এবং ঠোঁট ফাটার সমস্যা খুব সহজে দূর হয়ে যায়। সেজন্য আপনি সানস্ক্রিম ও ব্যবহার করতে পারেন।

আমাদের দেহের অন্যান্য স্থানে থেকে ঠোঁটের চামড়া অনেক বেশি পাতলা হয়। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে আমাদের ঠোঁট শুকিয়ে যায়। ঠোঁট ফেটে গেলে অনেক সময় দেখা যায় ঠোঁট থেকে রক্ত বের হয়। সাধারণত শীতকালে ঠোঁট অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে পড়ে। এছাড়াও গ্রীষ্মের অতিরিক্ত সূর্যের তাপেও ঠোঁট শুকিয়ে যায়। তাহলে ঠোট শুকিয়ে যাওয়ার কিছু কারণ সম্পর্কে আমরা জেনে নেই। ঠোঁট ফাটার কারণ জানতে হলে আপনাকে পোস্টটা মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তাহলে আপনি তার কারণ গুলো জানতে পারবেন।

আপনি যদি ঠোঁটে ভুল লিপ বামের ব্যাবহার করেন তাহলে ঠোঁট শুকিয়ে যেতে পারে ।সেজন্য আপনাকে ভালো নির্ধারণ করে ব্যবহার করতে হবে তাহলে ঠোঁটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। এছাড়াও আপনি যদি সানস্ক্রিম ব্যবহার না করেন সেক্ষেত্রে আপনার গ্রীস্মের সময় ঠোঁট শুকিয়ে যেতে পারে। আপনি যদি গ্রীস্মের সময় সূর্যের তাপ থেকে ঠোঁটকে রক্ষা না করেন। সেক্ষেত্রে সূর্যের রশ্মির সংস্পর্শে ঠোঁট অনেক বেশি শুকিয়ে যেতে পারে।

সেজন্য আপনাকে সান প্রটেকশন ব্যবহার করা উচিত। এমন কিছু ওষুধ আছে যেগুলো সেবন করলে আপনার মুখ বা ঠোঁট শুষ্ক করে দিতে পারে। এছাড়াও ঠোঁট ফেটে যেতে পারে। যারা বেশি বেশি ওষুধ সেবন করেন সেক্ষেত্রে ও ঠোঁট শুকিয়ে যেতে পারে। এছাড়াও ঠোঁট ফাটার আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে। যেমন আপনি যদি অতিরিক্ত লিপস্টিক ব্যবহারের কারণে আপনার ঠোট শুকিয়ে যেতে পারে।

সেজন্য আপনাকে লিপ বাম অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। লিপস্টিক দেওয়ার আগে তাহলে ঠোঁট শুকিয়ে যাবে না। অনেক সময় দেখা যায় আমরা অনেক ভুলভাল টুথপেস্ট ব্যবহার করি তবে টুথপেস্ট ব্যবহার করলে কিন্তু তা ঠোঁটের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর হতে পারে। সেজন্য আপনাকে অবশ্যই সঠিক টুথপেস্ট ব্যবহার করতে হবে। তাহলে আমাদের ঠোঁটের সমস্যা থাকবে না এবং ঠোঁট শুকিয়ে যাবে না।

প্রিয় পাঠক আপনিও হয়তোবা এত সময় জেনে গেছেন এই গরমে ঠোঁট ফাটার কারণ কি ও ঠোট ফেটে গেলে কি করা উচিত বিভিন্ন ধরনের তথ্য আপনার জানা না থাকলেও এত সময়ে আপনি জেনে গেছেন। আমাদের যেমন ত্বকের যত্ন নেওয়া উচিত ঠিক তেমনি আমাদের ঠোঁটের যত্ন নেয়া উচিত। আমরা অনেক সময় ঠোঁটের যত্ন নিতে ভুলে যাই তবে ঠোঁটের যত্ন নেওয়া অবশ্যই উচিত ।

এর জন্য আপনাকে ভালো লিপ বাম ব্যবহার করতে হবে ও বিভিন্ন ধরনের স্ক্রাব ব্যবহার করতে হবে যাতে ঠোঁটে কোন রকমের সমস্যা না হয়। আমার লেখা আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন এবং আপনাদের যদি কোন মতামত থাকে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।