মধু খাওয়ার উপযুক্ত সময় কখন
অনেকের হয়তো জানা নেই মধু খাওয়ার উপযুক্ত সময় কখন। মধু আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোগক্ষমতা বাড়ায়। মধু নিয়মিত খেলে ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়ে যায়। মধু হচ্ছে আল্লাহর দেওয়া নেয়ামত। মধুতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। মধুতে আছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ক্যালসিয়াম যা আমাদের মস্তিষ্ক ভালো রাখে হজম শক্তি বাড়ায়। মধু কে প্রাচীনকাল থেকে মানুষ প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবেই চিনে। মধুর উপকারিতা ও ব্যবহার আমরা প্রাচীনকাল থেকেই জানি কমবেশি।
শরীরের সুস্থতায় মধুর রয়েছে বিশেষ উপকারিতা। বিভিন্ন ফুল থেকেও মধু হয় শুধু মৌচাক থেকে নয়। তবে এইসব মধুর পুষ্টিগুণ এক। মধুতে রয়েছে প্রায় ৫০ টি খাদ্য উপাদান থাকে।
ভূমিকা
মধু হচ্ছে তাপশক্তির উৎস। মধু তে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য উপাদান গ্লুকোজ, অ্যামাইনো এসিড, খনিজ লবণ, ফ্রুক্টোজ, প্রোটিন, ক্যালোরি ও চর্বি। মধুতে থাকা শর্করা আমাদের হজম শক্তি বাড়ায়। পেটের সমস্যার জন্য মধু বিশেষ উপকারী। ডায়রিয়া কোষ্ঠকাঠিন্য রক্তশূন্যতায় বেশ উপকারি এই মধু। প্রতিদিন সকালে এক থেকে দুই চামচ মধু খেলে বিভিন্ন রকমের সমস্যা দূর হয়ে যায়। দাঁতের ক্ষয় রোধে মধুর রয়েছে বিশেষ ভূমিকা।
এক থেকে দুই চামচ মধু হালকা গরম পানিতে খেলে শরীর ও স্বাস্থ্য ভালো থাকে। মধু আমাদের উত্তর রক্তচাপ কমায় হাঁপানি রোধ করে পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করে। হৃদরোগের জন্য বিশেষ উপকারী এই মধু হৃদরোগে এই মধুর টনিক হিসেবে কাজ। মধু আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। মধুতে রয়েছে অ্যান্টিভাইরাল যা গলা ব্যথা সর্দি-কাশির বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিলে এ মধু খেলে ভালো হয়ে যায়। আরে মধু খাওয়ার উপযোগ তো সময় হচ্ছে সকাল ও বিকালে।
মধু খাওয়ার উপযুক্ত সময় কখন
মধু খাওয়ার উপযুক্ত সময় রাতে ঘুমানোর আগে ও সকালে ঘুম থেকে উঠে। এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে দুই থেকে তিন চামচ মিশিয়ে খাওয়া সবচেয়ে উপকারী এতে আমাদের শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বাঁধতে পারে না। মধুর সকাল ও রাত অথবা বিকালে খাওয়া যায় নিয়মিত সকালে যদি খালি পেটে মধু খাওয়া হয় তো বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে আমরা বাঁচতে পারি।
বিশেষ করে শীতের সময় মধু খাওয়ার নিয়ম টা একটু ভিন্ন থাকে শীতের সময় যদি এক চামচ মধু হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে খাওয়া হয় তাহলে বেশ উপকার পাওয়া যায় তাহলে শীত লাগে না শরীরে। মধুতে আছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল এনজাইম ও ভিটামিন যা আমাদের শরীরকে বিভিন্ন অসুস্থতার হাত থেকে রক্ষা করে।
প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু খেলে ঠান্ডা,সর্দি,কফ,গলা ব্যথা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা কমে যায়। সকালে মধু খাওয়ার অভ্যেস করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে শরীরের দুর্বলতা কাটাতে মধু খাওয়ার সবচেয়ে ভালো। সকালে মধু খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায় এ ছাড়া হজমের সমস্যাও দূর হয়ে যায়।
মধুর উপকারিতা ও ব্যবহার
মধু কে প্রাকৃতিক গুণের উৎস হিসেবে আমরা চিনি। মধু খেতে অনেক সুস্বাদু এটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী এটার রয়েছে বিশেষ ওষুধি গুণ। মধুর উপকারিতা বলে শেষ করা যাবেনা। শীতের সময় মধু আমাদের শরীরকে উষ্ণ রাখে মধু নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা অরুচি ভাব বুক জ্বালাপোড়া হাঁপানি ফুসফুসে সমস্যা দূর হয়ে যায়।
মধু যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো তেমন আমাদের ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী মধু খেলে ত্বকে ভাজ পড়ে না আবার ক্ষতস্থানে মধু লাগিয়ে দিলে সে ব্যথা থাকে না। মধু হয়েছে মৌমাছির সেবা ব্রতী জীবনের দান। সর্দি-কাশির জন্য মধু বেশ উপকারী সর্দি কাশি হলে এক দুই চামচ মধু আদার রসের সাথে মিশিয়ে খেলে তা ভালো হয়ে যায়।
আবার কাশির সমস্যায় তুলসী পাতার সাথে মধু মিশিয়ে খেলে কাশি ভালো হয়ে যায়। এক দুই চামচ হালকা গরম দুধের সাথে মধু খেলে সর্দি কাশি বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়ে যায়। মধু খাওয়ার উপযুক্ত সময় যেমন রাত রাতে পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে পাকস্থলী ভালো থাকে মধু আমাদের চোখের জন্য ভালো মধু খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় মধু আমাদের পেটের সমস্যাও দূর করে দেয়।
মধুতে রয়েছে গ্লুকোজ ভিটামিন বি আরো বিভিন্ন ধরনের উপাদান। পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম সিয়াম ফরফরাস ম্যাঙ্গানিজ এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন উপাদান ও মধুতে রয়েছে। মধু আমাদের প্রাকৃতিকভাবে শরীরের রোধ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় মধুতে রয়েছে অধিক মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ক্যান্সার রক্তচাপ সমস্যা দূর করে মধু শরীরের ক্যালসিয়াম শোষণের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
মধু কি কি কাজে লাগে
মধু আমাদের শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী মধু খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি হয় সর্দি কাশি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায় মধু খাওয়ার উপযুক্ত সময় হচ্ছে রাতের রাতে মধু খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হৃদরোগের সমস্যা এমনকি বড় বড় সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। মধু আমাদের ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে মধুতে রয়েছে ভিটামিন বি যা আমাদের ডায়রিয়া কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে দেয়।
প্রাচীনকাল থেকে মানুষ মধুকে খাদ্য হিসেবে ও চিকিৎসার হিসাবে চিনে এসেছে । এছাড়াও রূপচর্চা সহ বিভিন্নভাবে মধুর ব্যবহার হয়ে আসছে সে প্রাচীন কাল থেকেই। মধুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদেরকে সুস্থ রাখতে বিশেষভাবে সহায়ক এন্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। মধু মানুষ বিভিন্ন ভাবে খায় কেউবা দই পাউরুটি মাখন সালাত কেক বাদাম বিভিন্ন খাবারের সাথে মধু মিশিয়ে খাই।
তবে মধু খাওয়ার উপযুক্ত সময় হচ্ছে রাত রাতে মধু খেলে ঠান্ডা লাগার সমস্যা দূর হয়েছে যেমন জ্বর সর্দি কাশি গলা ব্যথা মাথা ব্যথা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়ে থাকি। মধু আমাদের ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী প্রতিদিন যদি নিয়ম করে মধু মুখে লাগানো হয় তাহলে ত্বক উজ্জ্বল থাকে। মধু খেলে হজমের শক্তি বেড়ে যায় কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয় হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় কোলেস্ট্রল নিয়ন্ত্রণে রাখে মধুতে রয়েছে বিশেষ খনিজ উপাদান যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী।
রাতে মধু খাওয়ার উপকারিতা
রাতে মধু খেলে ঘুম ভালো হয় মধুতে আছে মেলা টনিক নামক একটি হরমোন তাই মধু খেলে আমাদের ঘুম ভালো হয়। মধুতে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি। রাতে মধু খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। প্রতিদিন রাতে ঘুমোনোর আগে এক থেকে দুই কাপ হালকা গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে প্রাচীনকালের মানুষ মধুকে ঔষুধ হিসেবে ব্যবহার করত।
প্রাচীনকাল থেকে এখনো মধুর ও সূচি গুণ অপরিসীম রয়েছে। রাতে ঘুমানোর আগে মধু খেলে আমাদের লিভার ভালো থাকে মস্তিষ্ক ভালো থাকে। আবার অনেক সময় মধুকে আমরা কাশির ঔষধ হিসেবেও ব্যবহার করে থাকে শিশুদের ছোট বাচ্চাদের যখন কাশি হয় তখন এই মধু খাওয়ালে তাদের গলা ব্যথা ও শুকনো কাশি ভালো হয়ে যায়।
রাতে মধু খেলে দাঁতের ব্যথা দূর হয় এলার্জি সমস্যা দূর হয়ে যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এই মধু। মধু চিনি যুক্ত খাবার তাই খাওয়ার সময় একটু খেয়াল রাখতে হবে যাতে খাওয়ার পরিমাণ অতিরিক্ত না হয়ে যায় কারণ যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের জন্য এটি খুবই ক্ষতিকর দিক হতে পারে। রাতে ঘুমানোর আগে মধু খেলে আমাদের ওজন খুব সহজেই কমে যায়।
শীতের সময় মধু খেলে মধু আমার শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। মধু খাওয়ার সঠিক সময় রাতে ঘুমানোর আগে ও সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা গরম পানিতে এক থেকে দুই চামচ এতে আমাদের স্বাস্থ্য ঠিক থাকে । শরীরে কোনো রোগ বাসা বাঁধতে পারে না। মধু খাওয়ার উপযুক্ত সময় হিসেবে রাতকেই বলা হয়।
মধুর উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম
নিয়মিত সকালে এক থেকে দুই চামচ মধু খেলে বিভিন্ন ধরনের উপকার পাওয়া যায়। মধু হচ্ছে তাপ শক্তির উৎস মধু দেহের তাপ শক্তি বাড়ায় মধুতে রয়েছে শর্করা। যে নামাজের হজম শক্তি বাড়ায় মধুতে রক্তশূন্যতা দূর হয়ে যায়। ফুসফুসে যাবতীয় রোগ ও শ্বাসকষ্ট ভালো হয়। দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে মধুর রয়েছে বিশেষ ভূমিকা মধু আমাদের চর্বি কমানোর কাজে বেশ উপকারী।
মধু হচ্ছে পৃথিবীর সকল মানুষের কাছে আল্লাহর দেওয়া একটা নিয়ামত। মধু পান করাল ফলে রাতে আমাদের ঘুম ভালো হয়। মধুতে আছে হচ্ছে মেলাটোনিন নামক এক বিশেষ হরমোন যা আমাদের ঘুমের জন্য কাজ করে। মধু খাওয়ার ফলে আমাদের মস্তিষ্কে নিসরণ বাড়ে জেটা ঘুমের সাহাড়্য করে থাকে। আপনে যদি ঘুমানোর আগে মধু খেয়ে ঘুমান তাহলে ঘুমরে মাঝে বারবার যেহে উঠার সমস্যা থাকবে না।
প্রাচীনকাল থেকে মানুষ মধুকে ওষুধ হিসেবে চিনে। এছাড়াও শরীরকে সুস্থ রাখতে মধুর রয়েছে বিশেষ ভূমিকা। ফুল থেকে ও মৌচাক থেকে মধু হয় এইসব মধুর প্রায়ই সব গুলোর পুষ্টিগুণ এক। মধুতে প্রায় ৫০ টি খাদ্য উপাদান থাকে। হৃদরোগ হৃদরোগ প্রতিরোধ করে এই মধু। ক্যালসিয়াম আমাদের মস্তিষ্ক ভালো রাখে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে মধু।
আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। মাথাব্যথা দূর করে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে দেয় মধুর ক্যালরি রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ অধিক পরিমাণে বাড়িয়ে দেয়। মধুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন সকালে এক থেকে দুই চামচ হালকা গরম পানিতে মধুর খাওয়ার সবচেয়ে বেশি উপকারী এতে আমাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় গ্রাহক মধু সম্পর্কে এ তথ্য আপনাদের জানা ছিল কি যদি মধুর সম্পর্কে এই তথ্য আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে আজ থেকে নিয়মিত মধু খাওয়া শুরু করুন কারন মোদিও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
মধুর নিয়মিত খেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি। যেমন হৃদরোগ কোষ্ঠকাঠিন্য হজমের সমস্যা মাথা ব্যথা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি এই মধু খেলে। সেজন্য প্রতিদিন মধু খাওয়ার অভ্যেস গড়ে তুলুন নিজেও খান এবং আপনার আত্মীয়-স্বজনদের কেউ খাওয়ার পরামর্শ দেন। মধু সম্পর্কে আমার এই তথ্য যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে সবার সাথে শেয়ার করে দিন।
Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url