কাঁচা আমের উপকারিতা ও অপকারিতা
কাঁচা আমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই ধারণা নেই। কাঁচা আমের যেমন উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমনি পাকা আমের উপকারিতা রয়েছে।প্রচন্ড রোদের তাপে কাঁচা আম খেলে তা আমাদের শরীর কে ঠান্ডা রাখে। কাঁচা আম আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। কাঁচা আম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কাঁচা আম আমাদের ত্বক ও চুল সুন্দর রাখে। আম কাঁচা ও পাকা দুইটাই আমাদের শরীরের জন্য উপকারিতা । কাঁচা আমে আয়রন ও লৌহ থাকে এটি আমাদের রক্তস্বল্পতার সমস্যা সমাধানের বিশেষ ভুমিকা।
কাঁচা আমে রয়েছে ভিটামিন সি যা আমাদের ত্বকের উর্জলতা বাড়াই। কাঁচা আম আমাদের শরীরের কোলেস্টেলর নিয়ন্ত্রণে রাখে। আম মিষ্টি হলেও এতে ভরপুর পুষ্টিগুন রয়েছে। আম আমাদের শারীরিক সমস্যায় অনেক বড় ভুমিকা পালন করে। আসুন জেনে নিই কাঁচা আমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
ভূমিকা
আমে রয়েছে একাধিক এন্ট্রি অক্সিডেন্ট। এই উপাদান গুলো রক্তকণিকার কার্যবিদ্ধিতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। আর আমে রয়েছে ভিটামিন সি যা আমাদের তর্ক ও চুলের সুন্দরজো বাড়াই। ক্যান্সার প্রতি রোধে আমে রয়েছে বিশেষ ভুমিকা। কাঁচা আমের উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে অনেক কাঁচা আমের থাকে দ্বীপ প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই ভালো।আমে আরো আছে ফাইবার যা আমাদের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। আম শরীরের সোডিয়াম, আয়রন ও ক্লোরাইডের ঘাটতি পূরণ করে থাকে। কাঁচা আম আমাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। স্বাস্থ্য ও ত্বকের জন্য কাঁচা আমের উপকারিতার কোনো শেষ নাই। আম যেমন আমাদের জন্য খুবই উপকারী এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও হতে পারে।
পাকা আমের উপকারিতা
আমে রয়েছে অধিক পরিমাণে ভিটামিন সি ও ফাইবার। পাকা আম আমাদের কোলেস্টেরল কে নিয়ন্ত্রণে রাখে।আমরা সবাই জানি ফলের রাজা আম। নানা ধরনের ফলের মাঝে আমের চাহিদা খুব বেশিই থাকে। পাকা আমে রয়েছে বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা। যেমন দেখতো মিষ্টি এটি খেতে আরও বেশি মিষ্টি।
কাঁচা আমের উপকারিতা ও অপকারিতা যেমন রয়েছে এমনি পাকা আমেরও উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। আম শুধু আমাদের দেশে এই বিখ্যাত এমনটি না বিভিন্ন দেশে এই আমের চাহিদা অধিক রয়েছে।আমাদের এখানে বিভিন্ন ধরনের আম পাওয়া যায় যেমন ল্যাংড়া খিরসাপাত সুবর্ণরেখা, মল্লিকা, গোপালভোগ, ফজলী, হিমসাগর ইত্যাদি আরো অনেক রকম আম রয়েছে।
কার্বোহাইড্রেট প্রোটিন চর্বি খাদ্য আঁশ আরো বিভিন্ন ধরনের খাদ্যগুণ যা আমাদের শরীরকে আরও বেশি সুস্থ করতে সাহায্য করে।ক্যান্সার প্রতিরোধ আমাদের ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। আমে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অধিক পরিমাণে ফাইবার যা আমাদের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। আমে রয়েছে ক্যারোটিন।
কোলেস্টোরাল কোলেস্টেরলের মাত্রা কে কমাতে আমে আছে ভিটামিন সি ও ফাইবার যা আমাদের কোলেস্টেরলের মাত্রাকে কমাতে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে।আমে রয়েছে পটাশিয়াম। যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখে আমে মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি যা কোলাজেনের উৎপাদনে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
আমাদের ত্বক থাকে উজ্জ্বল ও সতেজ আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই যা আমাদের ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী । যার জন্য কোন এজিং এফেক্ট পড়ে না আমাদের ত্বকে। ত্বকের লোমকূপ কে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। আমে থাকা ভিটামিন সি জন্য ব্রণের সমস্যা দূর হয়ে যায়। আমি রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ।
আমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
আমের সাথে অন্য কোন ফলের তুলনা চলে না। কারন আম খেতে খুবই সুস্বাদ। সেজন্যই আমরা আমকে বলে থাকি ফলের রাজা। আমের মৌসুমীর ছোট থেকে বড় আমরা সবাই কমবেশি আম খেয়ে থাকি। আমে রয়েছে ভিটামিন সি ভিটামিন এ ভিটামিন বি সেক্স ভিটামিন ই প্রোটিন পটাশিয়াম ফাইবার ইত্যাদি শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান।
আম খেলে হৃদরোগের সমস্যা দূর হয়ে যায়।কারণ আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম।আম যেভাবেই খাওয়া হোক না কেনো তা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। সব বয়সী মানুষের কাছে এই সুস্বাদু ফলটি খুবই প্রিয়। আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ লবণ আমাদের দাঁত নখ চুলকে মজবুত করে। ভিটামিন অক্সিডেন্ট ও মিনারেল।
আমাদের ত্বককে উজ্জ্বল রাখে।যেকোনো পরিশ্রমের পর আম খেলে দুধ ধরে শক্তি পাওয়া যায়।আম আমাদের জন্য বেশ উপকারী একটি ফল। এছাড়া শরীর থেকে বের হয়ে যাওয়া লবণের ঘাটতি পূরণ করে এই আম। শিশুদের সৃষ্টির শক্তি বাড়ানোর কাজে আম খাওয়ানো যেতে পারে এতে করে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
আমে আছে ম্যআলইক অ্যাসিড সাইট্রিক অ্যাসিড শরীরের রাসায়নিক ভারসাম্যকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে। আমে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি ও ভিটামিন এ ঠান্ডা লাগার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। হজমের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আমের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। আমে রয়েছে অধিক পরিমাণে ভিটামিন যা আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যাও দূর করে দেয় খুব সহজেই।
এর জন্য আম খুব উপকারী কারণ আমে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াই এবং ত্বক ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখে।এছাড়াও আম শরীরের ওজন নাম বাড়িয়ে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির যোগান দেয়। হয়েছে বেশ কয়েক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে। এইসব আন্টিঅক্সিডেন্ট এর মধ্যে বিশেষ ভূমিকা পালন করে যেগুলো সেগুলো হল অ্যাস্ট্রাগ্যালিন, মিথাইল গ্যালেট,কোয়েরসেটিন, ও ফাইসেটিন। আমে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা থাকলেও কিছু সময়ে আম খাওয়া থেকে সতর্ক থাকবেন বেশি আম খাওয়া একদমই ঠিক নয় এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর
আম গাছের উপকারিতা
যে আমাদের ফলের রাজা আমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে প্রায় সবারই জানা। কাঁচা আমের উপকারিতা ও অপকারিতা যেমন আছে। তেমন ভাবেই আম গাছের ও উপকারিতা আছে। এমন একটি ফল যার ছোট থেকে বড় সবারই খুব পছন্দের। কিন্তু আম গাছের উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। কথায় আছে গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান।
আম গাছ লাগালে আমরা প্রতিবছরই আম খেতে পারি আবার আমের কাট আমরা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করতে পারি।গরমের সময় অতিরিক্ত রোদে আম গাছের ছায়ায় কেউ বসতে পারে আমরা।আম গাছের যেমন উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমনি আমের পাতারও বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে কারণ আমের পাতায় রয়েছে মেজিফিরিন নামের একটি উপাদান।
যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। বারবার হিচকি এলে তা বন্ধ করার জন্য আমের পাতা পুড়িয়ে ধোয়া গ্রহণ করলে তা ভাল হয়ে যায়।কানে ব্যথা হলে আমের পাতার রস হালকা গরম করে কয়েক ফোঁটা দিলেই তা ভালো হয়ে যায়। আমের পাতাতে রয়েছে হাই হাইপোগ্লাইসেমিক আমাদের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
এর জন্য প্রতিদিন আমের নরম কুচি পাতার পাউডার বানিয়ে এক চামচ জলের সাথে খেলে সুগার ভালো থাকে। প্রতিদিন নিয়ম করে আমের পাতার পাউডার রাতে জলে মিশেয়ে রেখে দিয়ে পরের দিন খেলে কিডনির বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হয়। আমের পাতা হালকা গরম পানিতে ফুটিয়ে সারা রাত রেখে ওই জল পান করলে পেটের সমস্যা দূর হয়ে যায়।
আম খাওয়ার নিয়ম
আম কাঁচা কিংবা পাকা দুটি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে কাঁচা আমের চেয়ে পাকা মিষ্টি হয় আমরা পাকা আমকে বেশি পছন্দ করি ছোট থেকে বড় সবাই। না, আমে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকার কারণে অ্যানিমিয়া কমায়। কাঁচা আমে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপাদান যা আমাদের রক্ত পরিষ্কার রাখে। আম খেলে হার্ট ভালো থাকে।
আমে আছে পটাশিয়াম যা আমাদের হাটকে ঠিক রাখে। আমে থাকা ভিটামিন সি খারাপ কোলেস্টেরলকে কমায়। পাকা আম খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধ হয়। পাকা আম খেলে ভালো ঘুম হয় আমে থাকা ভিটামিন বি তাতে আমাদের শরীর সতেজ থাকে ঘুমও ভালো হয়। আম খেলে মিষ্টি শক্তি বাড়ে কারণ আমে রয়েছে ভিটামিন এ যা আমাদের চোখের জন্য খুবই উপকারী।
পাকা আমে থাকা মিনারেল আমাদের চুল ও দাঁত কে ভালো রাখে। ফল হলেও এটি আমাদের অতিরিক্ত খাওয়া একদমই ঠিক না কারণ আমে চিনির পরিমাণ একটু বেশিই থাকে। প্রতিদিন আমাদের এক থেকে দুই আম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, আর বিভিন্ন রকম ভাবে খাওয়া যায় আমের আচার আমের জুস বা এমনিতে। পাকা আম থেকে সুস্বাদু খাবার হয় সালাত কেক পুডিং কাস্টার্ড বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার।
আমে কোন ভিটামিন থাকে
আমের সাথে অন্য কোন ফলের তুলনা চলে না। আমে রয়েছে অসাধারন সব পুষ্টি উপাদান। কাঁচা আমের উপকারিতা ও অপকারিতা যেমন রয়েছে ঠিক তেমনি রয়েছে আমে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন। এজন্য আমকে বলা হয় ফলের রাজা আমের মৌসুমে আমরা ছোট বড় সবাই আম খেয়ে থাকি। কিন্তু আমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা খুব কম লোকজনই জানি।
আমে এত পরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে যা প্রতিদিন একটি আম খেলেই পুষ্টি চাহিদা মিটে যায়। পৃথিবীতে ৩৫০ বেশি আমের জাত রয়েছে। তবে বিভিন্ন জাতের আমের প্রতিটির স্বাদ ভিন্ন আমে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ। ভিটামিন সি ভিটামিন বি ৬ ভিটামিন এ তাছাড়া আছে অ্যামাইনো এসিড কপাল ও পটাশিয়াম।
আমে থাকা বইটা ক্যারোটিন আলফা ক্যারোটিন ক্যফিক এসিড এবং লুশিয়েন জিলাইক এসিড উপাদান যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। বর্তমান সময়ে আমাদের কম বেশি মানুষের হৃদরোগ একটি ভয়ের কারণ। আমে প্রচুর পরিমাণে বিটা কেরাটিন থাকায় হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। আমে রয়েছে অধিক পরিমাণে ভিটামিন সি প্যাকটিন ও ফাইবার থাকে।
যা রক্তের উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। আঙ্কেলের শরীরের খনিজ উপাদানের ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়। আমে আছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম আম খেলে আমাদের শরীরে এনার্জি পায়। শরীর থেকে লবণ বের হয়ে যাওয়ার ঘাটতি পূরণ করতে আম রয়েছে বিশেষ ভূমিকা। আম আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে দেয়। মস্তিষ্কের বাড়তি চাপ কমাতেও আম বিশেষভাবে সাহায্য করে।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় গ্রাহক কাঁচা আমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে গোপন তথ্য আপনাদের জানা ছিল কি যদি এই তথ্য আপনাদের ভালো লাগে তবে আম খাওয়ার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যাতে অতিরিক্ত না হয়ে যায়। কারণ আমে রয়েছে অধিক পরিমাণে চিনি যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। আবার আমের অনেকগুলো উপকারিতা দিক রয়েছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো তাই সঠিক নিয়মে আম খান নিজেও খান এবং অন্যদেরকেও খাওয়ার পরামর্শ দেন আম নিয়ে আমার এই লেখা যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে আত্মীয়-স্বজনদের সাথে শেয়ার করে দিতে পারেন।
Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url