লং টেল কিওয়ার্ড কি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
প্রিয় গ্রাহক আপনি হয়তো বা জানেন না লং টেল কিওয়ার্ড কি ও আর্টিকেল রাইটিং এর টপিক খোঁজার নিয়ম সম্পর্কে আসুন তাহলে আমরা বিস্তারিত জেনে নিই। যে কোন শব্দ কে বলা হয় কিওয়ার্ড। আর সেটাকে যদি বড় করে লেখা হয় তাহলে তাকে বলা হয় লং টেল কিওয়ার্ড। আরো তথ্য জানতে পুরো পোস্টটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
কিওয়ার্ড সাধারণত ছোট হয় আর লং টেল কিওয়ার্ড একটু বড় হয় ও সুনির্দিষ্ট হয়ে থাকে সেগুলোকে আমরা লং টেন কিওয়ার্ড বলি। কিওয়ার্ডের মধ্যে অন্তত তিন থেকে চারটি শব্দ থাকতে হবে।
লং টেল কিওয়ার্ড কি
সাধারণত একটি কি ওয়ার্ডের পাশাপাশি আরো কয়েকটি শব্দ থাকা কে লং টেল কিওয়ার্ড বলা হয়। আপনার যদি কিওয়ার্ড সম্পর্কে জানা না থাকে তাহলে আসুন আমরা কিওয়ার্ড সম্পর্কে জেনে নিই আজকের আর্টিকেলটি শুধু আপনার সুবিধার জন্য। একটি শব্দকে একটি কিওয়ার্ড বলা হয় সেই শব্দের পাশাপাশি যদি তিন থেকে চারটি শব্দ রাখা হয় তাহলে সেটি দেখতে সুনির্দিষ্ট হয়ে থাকে।
আপনি একটি কিওয়ার্ড লেখার পরে তার পাশে যখন লং টেল কিওয়ার্ড বসাবেন তখনো আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে সেটিও নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড কি না। সে ব্যাপারে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে। গুগলের rank করতে হলে আপনাকে লং টেল কিওয়ার্ডের মধ্যে নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড রাখাটাও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ব্লগিং এবং ব্লগিং করে কিভাবে টাকা উপার্জন করা যায়।
এই দুই টির মধ্যে বুঝতে পারছেন যে কোনটি নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড ও কোনটি লং টেল কিওয়ার্ড। ব্লগিং এটি হচ্ছে নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড আর ব্লগিং করে কিভাবে টাকা উপার্জন করা যায় এটি হচ্ছে লং টেল কিওয়ার্ড এই কিওয়ার্ড দিয়ে গুগলে খুব তাড়াতাড়ি rank করানো সহজ। আশা করি এখন বুঝতে পেরেছেন কিওয়ার্ড ও লং কিওয়ার্ড সম্পর্কে।
আর্টিকেল রাইটিং এর টপিক খোঁজার নিয়ম
আর্টিকেল রাইটিং হচ্ছে যে কোন বিষয়ের উপরে লেখা। এই লেখা সাধারণত ৫০০ থেকে ১০০০ শব্দে হতে পারে অথবা এর কম বেশি হতে পারে। আপনার ইচ্ছে মতন আপনি যেকোন টপিকের উপর শব্দ সংখ্যা রাখতে পারেন। আপনার যদি মনে হয় যে আপনি বেশি শব্দ নিয়ে লিখবেন তাহলে সেটি করতে পারেন। বেশি শব্দ নিয়ে লিখলে গুগলে rank করা খুব সহজ হয়ে যায়।
একটি বিষয়ে আর্টিকেল লেখার আগে আপনাকে ভালো করে নির্বাচন করে নিতে হবে আসলেও এই কিওয়ার্ড মানুষ গুগলে সার্চ করে কি না। আপনি যদি এমন কিওয়ার্ড দিয়ে লেখেন তাহলে মানুষ আপনার লেখাটি পড়বে। আর আপনি যদি এমন কীওয়ার্ডে লেখেন যেগুলা মানুষ সার্চ করেনা বা তাদের জানার ইচ্ছা নেই তাহলে কখনোই আপনার আর্টিকেলটি তারা পড়বে না।
আর সেই বিষয়ে লেখা মানে আপনার বসে বসে সময় নষ্ট করা। এছাড়াও আপনি কন্টেন লেখার সময় এমনভাবে লিখেছেন যেভাবে লিখলে মানুষ আসলে সার্চ করে না। সেক্ষেত্রে লোকজন যেভাবে লিখে সার্চ করবে তাহলে আপনার পোস্ট আসবে না কারণ আপনি অন্যভাবে লিখেছেন। আপনি যদি জানেন কিভাবে পোস্ট লিখতে হয় বা কিভাবে রিসার্চ করতে হয় কিওয়ার্ড।
কিন্তু আপনি জানেন না কিভাবে কোন বিষয়ে লিখবেন। সে ক্ষেত্রে আপনি গুগলে গিয়ে যে বিষয়ে লিখবেন সে টপিক টা google সার্চ অপশনে লিখবেন তারপর দেখবেন তার নিচে অনেকগুলো সাজেশন চলে আসে এই সাজেশন গুলো গুগল আপনাকে দেয় কারণ এইসব বিষয়ে লোকজনের জানার আগ্রহ অনেক বেশি। সুতরাং আপনি চাইলে এসব কিওয়ার্ড দিয়ে পোস্ট লিখতে পারেন।
গেস্ট ব্লগিং কি ও এর সুবিধা অসুবিধা
আমরা জানি ব্লগিং মানে লেখালেখি করা আর গেস্ট ব্লগিং মানে এক কথায় বলা যায় অতিথি পোস্টিং অন্য কোন ওয়েবসাইটে গিয়ে আমরা অতিথি হিসাবে কাজ করব তার বিনিময়ে আমরা উপার্জন করতে পারব এটাকেই বলা হয় গেস্ট ব্লগিং। অনেকেই সফলতার গল্প শুনে এসব বিষয়ে অনেক আগ্রহী হচ্ছেন। আমরা জানি গেস্ট মানেই অতিথি আর এখানে গেস্ট ব্লগিং বলতে অতিথি হিসাবে অন্য কারো ওয়েবসাইটে গিয়ে লেখালেখি করাকে বোঝানো হচ্ছে।
যেমন আপনি কারো ওয়েবসাইটে গিয়ে আর্টিকেল লিখে দিবেন এবং তার বিনিময়ে আপনি বেনিফিট পাবেন। এটা একটি জবের মতন। আপনি কাজ করবেন তার বিনিময়ে অর্থ পাবেন। এক একটা আর্টিকেল থেকে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করা যায়। গেস্ট ব্লগিং এর সুবিধা গেস্ট ব্লগিং এর অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে তার মধ্যে আমরা কিছু সুবিধার সম্পর্কে জানব এই সুবিধাগুলো আপনাকে পোস্ট লেখার ব্যাপারে অনেক আগ্রহী করে তুলবে এবং আপনার ওয়েবসাইটের জন্য অনেক বেশি উপকার হবে আসুন তাহলে জেনে নিন।
- নিজেকে প্রকাশ করা
- ব্লগের মান উন্নয়ন করা
- ব্লগের জনপ্রিয়তা অর্জন করা
- স্ট্রং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা
- ব্লগের ট্রাফিক বৃদ্ধি করা
- লেখার মান উন্নত করা
নিজেকে প্রকাশ করা গেস্ট ব্লগিং এর মধ্যে আপনি নিজেকে সবচেয়ে বেশি প্রকাশ করতে পারবেন। কারণ আপনি নিজে একটি পোস্ট লিখবেন একটি বিষয়ে এর জন্য আপনার অনেক বেশি সম্মান সুপরিচিত হবে। এছাড়াও আপনি পোস্ট লিখে একটি বড় প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে পারবেন আপনার নিজের জন্য।
ব্লগের মান উন্নয়ন করা আপনি যখন একটি বিষয়ের পড়ে লেখালিখি করবেন তখন আপনি এমন ভাবে নিশ্চিত করবেন যে সে বিষয়ে আপনি অনেক কিছুই জানেন। তাহলে যখন আপনি আর্টিকেল লিখবেন তখন আপনার জন্য অনেক বেশি সুবিধা হবে সেটা বুঝতে । আপনি খুব সহজে একটি আর্টিকেল লিখতে পারবেন এবং সবকিছু ব্যাখ্যা করতে সফল হবেন। আপনারা আর্টিকেলের সৌন্দর্য বাড়ায় বেড়ে যাবে। এছাড়াও আপনার লেখার আগ্রহ অনেক বেশি বেড়ে যাবে।
ব্লগের জনপ্রিয়তা অর্জন করা আপনি যখন একটি আর্টিকেল লিখবেন বা একটি ওয়েবসাইটে পোস্ট প্রকাশ করবেন তখন আপনি সহ আপনার সমস্ত আত্মীয়-স্বজনরা আপনার ওয়েবসাইটে যাবে। এর মানে হলো আপনার ওয়েবসাইটে অনেক বেশি ভিজিটর বাড়বে সাথে সাথে আপনার ওয়েবসাইটা জনপ্রিয়তা লাভ করবে অনেক কম সময়ে।
স্ট্রং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা এখনকার মানুষ বেশি সময় তারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে থাকে দিনে ও রাতে বেশিরভাগ সময় তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢুকে থাকে। ইন্টারনেট নিয়ে সবসময়ই থাকে বলতে গেলে সেজন্য আপনি যদি আপনার পোস্ট সামাজিক প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করেন তাহলে আপনার পোস্ট খুব সহজে শত শত মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। এতে করে আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি হবে এবং এটি শক্তিশালী হবে।
ব্লগে ট্রাফিক বৃদ্ধি করা আপনার ব্লগে ট্রাফিক বাড়াবে আপনি যখন একটি আর্টিকেল সুন্দর করে উপস্থাপন করবেন বা মানসম্মত হবে আর্টিকেল তখন আপনার ট্রাফিট অনেক বেশি বেড়ে যাবে বা বৃদ্ধি পাবে।
লেখার মান উন্নত করা আপনি যদি নিয়মিত পোস্ট লেখেন তাহলে আপনার লেখার মান অনেক বেশি বেড়ে যাবে। এভাবেই আপনি নিজেকে একটি পোষ্ট রাইটার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন খুব সহজেই। আপনার লিখার মান যখন বেড়ে যাবে ঠিক সে সময় আপনার পোস্টের মান অনেক বেশি ভালো হবে। এর সাথে সাথে আপনি অনেক বেশি ট্রাফিক পাবেন এছাড়া গুগলের কাছে থেকে বিশ্বস্ততা অর্জন করতে পারবেন খুব সহজেই।
গেস্ট ব্লগিং এর অসুবিধা গেস্ট ব্লগের অসুবিধা হচ্ছে আপনি যাকে আর্টিকেল লিখে দিবেন তার একটি আর্টিকেলের জন্য হাজার হাজার টাকা সে ইনকাম করতে পারবে। আর আপনার লিখার বিনিময়ে আপনাকে অল্প কিছু টাকা দিবে। আর আপনার লেখা আর্টিকেল নিয়ে সে লাইফ টাইম অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবে। কিন্তু আপনি অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে আর্টিকেলটি অন্য কারো ওয়েবসাইটে লিখে দিবেন এটাই হচ্ছে গেস্ট ব্লগিং এর সবচেয়ে বড় অসুবিধা।
অ্যাডভান্স আর্টিকেল ফরমেটিং টেকনিক
আমরা যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখব সেগুলো যাতে মানুষকে আকৃষ্ট করে সে বিষয়গুলো আর্টিকেলের মধ্যে রাখার চেষ্টা করব । পুরো আর্টিকেল জুড়ে এমন কিছু তথ্য লিখব যা মানুষকে অনেক বেশি আকৃষ্ট করবে পোস্টটি পড়ার জন্য। আর এর জন্য আমরা আমাদের আর্টিকেলের শুরুতেই একটি ম্যাজিক্যাল টাইটেল ব্যবহার করতে পারি। ম্যাজিকাল টাইটেল বলতে বোঝায় কেউ যদি গুগল এ কোন কিছু লিখে সার্চ করে তা পড়তে পড়তে যখন নিচের দিকে চলে আসে তখন যদি তার মনে হয় যে এই পোস্টটা আমার পড়া উচিত তখন সে টাইটেল দেখে পোস্ট ওপেন করবে এবং পড়বে।
আপনার আর্টিকেল যেন খুব বেশি অ্যাটাকটিভ হয় যাতে মানুষ দেখে তা পড়ে। এছাড়াও আর্টিকেল পড়ার জন্য ইন্টারেস্ট ধরে রাখা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনি যদি ইন্টারেস্ট ধরে না রাখেন তাহলে মানুষ আপনার আর্টিকেল কিন্তু পড়বে না আর মানুষ যদি না পড়ে তাহলে আপনার আই ইনকাম হবে না। সুতরাং বলাই যাই ইন্টারেস্ট ধরে রাখার জন্য আপনার একটি ম্যাজিকাল টাইটেল রাখা উচিত। এছাড়াও পুরো পোস্ট পড়ার জন্য আপনার পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখতে হবে।
সেজন্য আপনাকে আর্টিকেলের মধ্যে আমি আপনি এরকম শব্দ ব্যবহার করতে হবে। আপনি যখন কোন আর্টিকেল লিখবেন তখন এর মধ্যে যদি আপনি বলেন যে আপনি এই কাজটা করবেন এটা করবেন এ কাজ করবেন না আপনার এভাবে করা উচিত । এরকম আমি আপনি যখন শব্দের ব্যবহার করবেন তখন যে ব্যক্তি পড়বেন তার মনে হবে আপনি তার সামনে কথা বলছেন এবং তাকে বুঝাচ্ছেন। এছাড়াও রয়েছে অন্যান্য পেজের লিংক আপনি যদি অন্যান্য পেজের লিংক দেন তাহলে গুগলের rank করা অনেক সুবিধা হয়ে যায়।
এরপরে আপনাকে একশন বাটান যোগ করতে হবে আমরা যখন আর্টিকেলে ছোটখাটো লিংক যুক্ত করি এগুলো অনেক সময় মানুষের নজর এড়িয়ে যায় তখন মানুষ বুঝতে পারে না যে এটা একটা লিংক। কিন্তু তখন যদি আমরা একটা বাটন তৈরি করে দিই তাহলে তারা খুব সহজে বুঝতে পারে এবং সেখানে ক্লিক করবে। আপনি আপনার পোস্টের ভিতর বিভিন্ন বাটন যুক্ত করে রাখতে পারেন। আশা করছি এ ব্যাপারটা বুঝতে পারছেন। এত সময় যে নিয়ম কারণগুলো বলা হলো এগুলো সবই অকার্যকর হবে আপনি যদি এসইও অপটিমাইজেশন এবং এডসেন্স এড অপটিমাইজেশন না করেন।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক এত সময় অবশ্যই জেনে গেছে লং টেন কিওয়ার্ড কি ও আর্টিকেল রাইটিং এর টপিক খোঁজার নিয়ম এছাড়াও অ্যাডভান্স আর্টিকেল ফর মিটিং টেকনিক বিভিন্ন ধরনের তথ্য আপনারা জেনে গেছেন। লং টেন বলতে সাধারণত কিওয়ার্ডের পাশাপাশি যে কয়েকটি শব্দ থাকে সেগুলোকে লং টেল বলা হয় আর গেস্ট বড়দিন সম্পর্কে অবশ্যই আপনারা বুঝতে পেরেছেন।
গেস্ট ব্লগিং হচ্ছে অতিথি ব্লগিং আপনি একটি আর্টিকেল লিখে তা অন্য কারো ওয়েবসাইটে ছাড়বেন এবং সে থেকে তারা আপনাকে কিছু টাকা দিবে এটাই হচ্ছে গেস্ট ব্লগিং। আমার লেখা আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন এবং আপনাদের যদি কোন মতামত থাকে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url