চিয়া সিড কতোক্ষন ভিজিয়ে রাখতে হয়
অনেকের জানা নেই চিয়া সিড কতোক্ষন ভিজিয়ে রাখতে হয়। চিয়া সিড ভিজিয়ে রেখে বিভিন্ন ধরনের খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। আবার গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম রয়েছে ভিন্ন। তাছাড়াও এক গ্লাস জলে চিয়া সিড সারা রাত ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন। চিয়া সিড আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াই।
চিয়া সিড রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। সেজন্য পেট ভরিয়ে রাখে অনেক সময় ধরে। সেই সঙ্গে আমাদের শরীরের জলের ভারসাম্য বজায় রাখে।
ভূমিকা
ওজন কমাতে চিয়া সিড জনপ্রিয়। চিয়া সিডে আছে অধিক পরিমাণ ওমেগা থ্রি ফ্যাট অ্যাসিড। রয়েছে অধিক পরিমাণে প্রোটিন। ডাক্তাররা গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম একটু আলাদা করে দেয়। সকালের নাস্তায় দুধের সাথে চিয়া সিড খেতে পারেন এটা শরীরের জন্য খুবই উপকারী অথবা চিয়া সিড দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার বানাতে পারেন। সাদা জলে ভিজে ও চিয়া সিডস খাওয়া যায়। ডায়াবেটিসের সমস্যায় খুব ভালো কাজ করে এই চিয়া সিড। যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা নিয়মিত চিয়া সিড খেতে পারেন এতে ওজন খুব সহজেই কমে যায়।
চিয়া সিড কতোক্ষন ভিজিয়ে রাখতে হয়
অনেকের হয়তোবা জানা নেই চিয়া সিড কতোক্ষন ভিজিয়ে রাখতে হয়। এক গ্লাস পানিতে এক থেকে দুই চামচ চিয়া সিড ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হয়। ওজন কমানোর জন্য চিয়া সিডের ভিজানো জল খেলে খুব সহজে ওজন কমে যায়। আবার অনেকে চিয়া সিড আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী রয়েছে প্রোটিন ওমেগা থ্রি ফ্যাটি ও ফাইবার বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ।
চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম সঠিক জানা নেই কখনো কাঁচা অবস্থায় খাওয়া উচিত নয় দুধ কিংবা জল অথবা ভেজে খেতে হয়। আপনি নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন চিয়া সিড খেলে আপনি ঠিক থাকবেন। কাঁচা চিয়া সিড কখনোই খাবেন না। জলে ভিজানো চিয়া সিড খেলে খুব দ্রুত শরীরে পুষ্টিগুন প্রবেশ করে। তাছাড়া চিয়া সিড খেলে খুব সহজেই হজম হয় যায়।
বর্তমান সময়ের স্বাস্থ্য নিয়ে সবাই সচেতন। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের খাদ্য তালিকায় রয়েছে চিয়া সিড। চিয়া সিড দেখতে কালো সাদা ও বাদামী রঙের হয়ে থাকে। আর দেখতেও অনেক ছোট্ট হয়। চিয়া সিড খুবই পুষ্টিগুণ একটি খাবার এতে দুধের থেকে বেশি ভিটামিন থাকে সব্জির থেকেও অধিক মাত্রায় বেশি ভিটামিন থাকে এই চিয়া সিডে।
গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
চিয়া সিডের অনেক গুলো উপকারিতা রয়েছে। গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম ভিন্ন রয়েছে চিয়া সিড খেলে শিশু সুস্থ থাকে।এটি আমাদের রক্ত পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে। গর্ভ অবস্থায় প্রতিদিন এক গ্লাস চিয়া সিড মেশানো পানি খেতে পারেন। চিয়া সিড ও চিয়া বীজের খাদ্যগুণ অপরিসীম গর্ভ অবস্থায় অতি উপকারী এই চিয়া সিড।
চিয়া সিড শক্তি ও কর্ম ক্ষমতা বাড়ায় আমাদের শরীরের গর্ভ অবস্থায় ডাক্তাররা চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম দিচ্ছেন গর্ভাবস্থায় একটি অত্যন্ত সহায়ক মা ও বাচ্চার জন্য।চিয়া সিড হজম শক্তি বাড়ায় ও পাকিস্তনি পরিষ্কার রাখে। চিয়া সিড গর্ভের শিশুর জন্য বিশেষ উপকারী। মাত্র ২ চামচ চিয়া সিডের মধ্যে ৫২ গ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে তা শিশুদের হার ও দাঁত শক্ত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
যে এসিডে আছে অধিক পরিমাণে ফাইবার প্রোটিন ওমেগা থ্রি যা গর্ভ অবস্থায় খাওয়া খুবই উপকারী।
গর্ভ অবস্থায় বিশেষ করে প্রোটিনের প্রয়োজন পড়ে শিশুর ওজন বাড়ানোর জন্য। প্রোটিন জাতীয় খাবার মাংস মাছ। অবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম এটিকে ভিজিয়ে রেখে আপনার যে ভাবে খেতে ইচ্ছা হয় সেভাবেই খেতে পারেন। যদি আপনার পানির সাথে মিশিয়ে খেতে ইচ্ছা হয় সেটাও করতে পারেন।
অথবা এটাকে ফ্রাই করে ও খেতে পারেন।চিয়া সিড কতক্ষন ভিজিয়ে রাখতে হয় চিয়া সিড আমাদের দের জন্য খুবই উপকারী। চিয়া সিডে ওমেগা থ্রি ফাইবার ফ্যাটি এসিড প্রোটিন ও বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে। আমার যে অ্যাসিড কখনো কাঁচা খাওয়া উচিত না হয় এটাকে ভিজিয়ে খেতে হবে নয়তো দুধের সাথে খেতে হবে নয়তো ভেজে খাওয়াটাই ভালো। চিয়া সিড জলে ভিজালে যে জলি উৎপন্ন হয় তা আমাদের শরীরের জন্য খুবই পুষ্টিকর।
তাই ভেজানো চিয়া সিড খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী। দুধ অথবা জলে চিয়া সিড ভেজানোর সঠিক নিয়ম। এক গ্লাস জলে দুই থেকে তিন চামচ চিয়া সিড ভেজানো সঠিক নিয়ম প্রয়োজন এর বেশি নেওয়াটা সঠিক নয়। জলে চিয়া সিড মেশানোর পর ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন। এ সময়ের মাঝখানে একটু মিশ্রণটি চামচ দিয়ে নেড়ে দিবেন।
আর যদি দুধে চিয়া সিড ভেজান তাহলে দুধের মধ্যে বাদাম ও অন্যান্য বিজ মিশিয়ে আপনি খেতে পারেন। শুধু জি আছি জলে মিশে খাওয়া যায় এমনটা চিয়া সিড ভেজেও খাওয়া যায় টক দই ও সালাতের সাথে। আর ভাজা চিয়া সিড খেলে একসাথে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে নয়তো এটা হজমে সমস্যা হতে পারে।।
চিয়া সিড খেলে কি হয়
পুষ্টি ও ভিটামিনের জন্য চিয়া সিড কে বলা হয় সুপার ফুড। চিয়া সিড খাওয়ার খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করে চিয়া সিড আমাদের রক্ত পরিষ্কার করে। আমরা জানি চিয়া সিড সব সময় আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। সিয়া সিডে রয়েছে অধিক পরিমাণে ওমেগা থ্রি। রেগুলার শাকসবজি খেতে পারেন না গ্যাস্টিকের সমস্যা থাকে তাদের জন্য খুবই উপকারী এই চিয়া সিড।চিয়া সিড এ আছে আয়রন ফাইবার ক্যালসিয়াম।
চিয়া সিডে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন আপনার খাদ্য তালিকায় আপনি এই চিয়া সিডকে রাখতে পারেন। কেউ এটাকে টক দই দিয়ে খায় পানিতে ভিজিয়ে খাই কি আবার ফ্রাই করেও খাই এক কথায় বলা যায় যার যেভাবে খেতে পছন্দ সে সেভাবেই খাই।এই চিয়া সিড আপনি সকালেও খেতে পারেন আবার ঘুমানোর এক ঘন্টা আগেও খেতে পারেন আবার এটি বিকালেও খেতে পারেন। চিয়া সিড খেলে শরীরের দুর্বলতা কাটে এনার্জি বাড়ে। চিয়া সিড আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে।
চিয়া সিড কিডনির জন্য কতোটা ভালো
আসলে চিয়া সিড কিডনির জন্য ক্ষতিকর নয় বরং এটা আমাদের কিডনির জন্য খুবই উপকারী। চিয়া সিড চিয়া বীজ থেকে তৈরি হয়। চিয়া সিডে আছে প্রোটিন ভিটামিন মিনারেল ও এসিড উপাদান গুলো উৎস হিসেবে কাজ করে আমাদের শরীরে। বেশিরভাগ মানুষ নিয়মিত চিয়া সিড খাদ্য হিসাবে খেয়ে থাকেন। এটা পানিতে মিশিয়ে দিলে এটি গোটা হয়ে যায়।
চিয়া সিড কিডনির জন্যই খুবই পুষ্টিকর আমাদের শরীরে কিডনির কাজ হল শরীরের বিষাক্ত কীটনাশক গুলোকে শেষ করা। কিডনি রোগের উপযুক্ত চিকিৎসা হচ্ছে চিয়া সিড। উচ্চমাত্রায় ক্যালসিয়াম রয়েছে ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু কখনো যদি এই ক্যালসিয়াম কম হয়ে যায় তাহলে সেটা শরীরের জন্য খারাপ আবার যদি বেড়ে যায় সেটাও আমাদের শরীরের জন্য খুবই খারাপ।
চিয়া সিড জন্য ক্ষতিকর নয় কারণ একটি কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী রয়েছে প্রোটিন ও ফাইবার নিরামিষ ভিটামিন মিনারেল এছাড়াও আরো বিভিন্ন উপাদান তাছাড়া আমাদের কিডনি ভালো রাখে এটি শরীরকে মুক্ত রাখতে খুবই সাহায্য করে। অনেক সময় চিয়া সিড খাওয়ার আগে সর্তকতা অবলম্বন করাটাই ভালো।
চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা
আজকাল অনেকেই স্বাস্থ্য সচেতন থাকে। দেখা যায় করোনা কালীন থেকে মানুষ স্বাস্থ্য নিয়ে একটু বেশি সচেতন। প্রতিদিনের খাবার পুষ্টিগুণ ও ভিটামিন নিয়ে মানুষের সচেতনা দিনের দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের খাবারের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় চিয়া সিড। চিয়া সিড মধ্য আমেরিকাতে বেশি জন্মায়। প্রাচীন কাল থেকেই এটি মানুষ খায়।চিয়া সিড সাদা কালো ও বাদামী কালার হয়ে থাকে এবং দেখতে খুব ছোট্ট।
চিয়া সিড একটি পুষ্টিকর খাবার চিয়া সিড দুধের থেকেও বেশি উপকারী। কমলার থেকে অধিক পরিমাণে ভিটামিন সি ও কলার চেয়ে দ্বিগুণ পটাশিয়াম থাকে। মুরগির ডিম থেকে অধিক পরিমাণে প্রোটিন থাকে। পালং শাকের চেয়ে অধিক পরিমাণে আয়রন এই চিয়া সিডে থাকে।এজন্য বিশেষজ্ঞরা চিয়া সিড কে অধিক পুষ্টির গুণ বলে থাকে। চিয়া সিটে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যার প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
এটি রক্তে চিনির প্রভা ও স্বাভাবিক রাখে বলে ডায়াবেটিস রোগীদেরকে ডাক্তার রাজিত খাওয়ার পরামর্শ দেন। হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এই চিয়া সিড রয়েছে অধিক মাত্রায় ক্যালসিয়াম যা আমাদের হাড়ের জন্য খুবই ভালো। এটা আমাদের শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলোকে বের করে আনে ক্ষতিকর কোলেস্টোরাল দূর করে। দূর করে গ্যাস্টিকের সমস্যা। অনেকে আবার মনে করে চিয়া সেট খেলে অনেক ভালো ঘুম হয় ঘুমের কাজে এটি বিশেষ গুরুত্ব রাখে। হাঁটুর ব্যথা কমায় সুন্দর রাখে আমাদের ত্বক ও চুল।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় গ্রাহক চিয়া সিড কতোক্ষন ভিজিয়ে রাখতে হয় এই সম্পর্কে্ তথ্য আপনাদের জানা ছিলো কি যদি না জানা থাকে তাহলে আজকে অবশ্যই জেনে গেছেন চিয়া সিড বিশেষ উপকারী সম্পর্কে। তাই আজ থেকে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে অথবা ঘুম থেকে উঠে সকালে চিয়া সিড খাওয়া শুরু করেন হয়তো জলে মিশে নয়তো দুধের সাথে না হয় ভেজে চিয়া সিড খাওয়া শুরু করেন। নিজেও খান ও অন্যদেরকেও খাওয়ার পরামর্শ দিন । চিয়া সিড সম্পর্কে আমার লেখা যদি আপনাদের ভাল লাগে তবে আত্মীয়-স্বজনদের সাথে শেয়ার করে দিতে পারেন।
Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url