দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত

সারাদিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত এ সম্পর্কে আমাদের তেমন ধারণা নেই। খেজুরে রয়েছে ফাইবার ভিটামিন যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। খেজুর আমাদের কর্ম শক্তি বাড়ায় রূপক প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় দৃষ্টিশক্তি ও বাড়াই হৃদরোগ স্ট্রোক বিভিন্ন রকমের ঝুঁকির কমায়। খেজুর খেলে শারীরিক ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। খেজুর আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ উপকারী। অসুন জেনে নিই দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত সম্পর্কে।
দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত জেনে নিই
খেজুর কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে বদহজমের সমস্যা দূর করতে সহায়ক। খেজুরে রয়েছে অধিক পুষ্টিগুণ ও ভিটামিন। যা আমাদের স্বাস্থ্যে ভালো রাখে।

ভূমিকা

খেজুরে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ যা আমাদের হাটের স্বাস্থ্য ভালো রাখে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে আমাদের শরীরের মস্তিষ্ক ভালো রাখে। শরীরের ক্লান্তি দুর্বলতা দূর করে। কোলেস্টেরল নিমন্ত্রণে রাখে এই খেজুর। জুড়ে রয়েছে পটাশিয়াম খনিজ ভিটামিন আয়রন ক্যালসিয়াম যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াই। খেজুরে রয়েছে ফাইবার যা আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে।

দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত

সারা দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে বিস্তারিত।দিনে ৩-৪ টি খেজুর খাওয়া উচিত এতে স্বাস্থ্য ঠিক থাকে অনেক উপকার মিলে। আর খেজুর উপকার সম্পর্কে আমরা কম বেশি সবাই কিছু না কিছু জানি। আর খেজুর আমাদের রমজান মাসেই বেশি খাওয়া হয়। খেজুরে রয়েছে অধিক পুষ্টিগুণ। আর খেজুরে কম ক্যালোরির জন্য আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। খেজুরে রয়েছে প্রোটিন।

খেজুরে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, তামা, এবং ভিটামিন। একটি খেজুরে পুষ্টি থাকে ৪৪ শতাংশ  খেজুর আমাদের শরীরের দূর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। শিশু থেকে বয়স্কদের জন্য খুব উপকারী এই খেজুর। গর্ভবতী মায়ের জন্য বিশেষ উপকারী খেজুর গর্ভবতী অবস্থায় খেজুর খেলে শরীরের দুর্বলতা কমে যায় বাচ্চার মস্তিষ্ক ভালো থাকে।

খেজুরের পুষ্টিগুণ খেজুর আকারে ছোট হলেও এর অনেক গুণাবলী রয়েছে আমাদের শরীরে ভিটামিন খনিজ ফাইবার, লোহা আজ তোর জন্যই খুবই উপকারী। প্রতিদিন যদি দুই থেকে তিনটি খেজুর খাওয়া হয় তাহলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ বা বিস্তার করতে পারে না। আমাদের শরীরকে সব সময় সুস্থ সবল রাখে। শরীরের ক্লান্তি দূর করে মস্তিষ্ক ঠিক রাখে।

ক্যানসার হৃদরোগ নানা ধরনের অসুস্থতা থেকে আমাদের বাঁচায় এই খেজুর। খেজুর যেমন আমাদের এই স্বাস্থ্যে ঠিক রাখে তেমনি খেজুর আমাদের চুলের জন্য আর ত্বকের জন্য ও সেরা। ক্লান্তি দূর করে খেজুর মিষ্টি ফল হলেও এতে ক্যালোরি রয়েছে। সকাল ও বিকালে একটি করে হলেও খেজুর খাওয়া উচিত। এতে করে আমাদের শারীরিক কোনো সমস্যা হয় না । আর এই খেজুর দিয়ে অনেক ধরনের ডেজার্ট বানানো যায়। যা খেতে ও সুস্বাদু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

খেজুর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে। খেজুর খেলে চোখ ভালো থাকে খেজুরে রয়েছে জিক্সাথিম রেটিনার স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে এই খেজুর। কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে। আমাদের উচিত প্রতিদিন নিয়ম করে সকালে ও বিকালে খেজুর খাওয়া আর সারাদিন ২-৩ টা খেজুর খাওয়া উচিত।খেজুর আমাদের হৃদপিণ্ড ভালো রাখে হার্টের সমস্যায় দূর করে।

রক্ত চাপ কমাই স্ট্রোক প্রতিরোধ করে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।খেজুরের মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম, ফসফরাস যা মস্তিষ্ক ভালো রাখে। খেজুর খেলে চোখের রেটিনা ও ভালো থাকে। খেজুর আমাদের শরীর সুস্থ রাখে। শরীরের পুষ্টিগুণ বাড়ায় শরীরে ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে।আর যে কোন খাবার খাওয়ার পূর্বেই নিজের শরীরের অবস্থা বুঝে নিবেন। আর বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন আমাদের দুই থেকে তিনটি খেজুর খাওয়া উচিত। এতে স্বাস্থ্য ভালো থাকে । বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

দুধ ও খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

দুধ ও খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন দুধ আর খেজুর একসাথে আয়রনের মাত্রা বাড়ায়। ডাক্তারদের মতে রক্তে প্রোটিনের মাত্রা বাড়ায়। দুধ আর খেজুর খাবারটি সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার বলা হয়। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই দুধ আর খেজুর খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। দুধ আর খেজুর একসাথে খেলে সহজে রাতে ঘুম চলে আসে
 
দুধের যেমন পুষ্টিগুণ রয়েছে তেমন খেজুরে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে উভয়েই উপকারী আমাদের শরীরের জন্য খেজুর আর দুধে আয়রনের ভরপুর হার্টের জন্য অনেক ভালো উচ্চ রক্তচাপ কষ্ট কাঠিন্য সমস্যা দূর করে। শরীরের দুর্বলতা কমিয়ে দেয় স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। খেজুর খাবার ফলে ত্বকে আদ্রতা নিয়ে আসে খেজুর রয়েছে ভিটামিন সি ডি আমাদের ত্বকের জন্য অনেক ভালো এমনকি খেজুরে আমাদের চুলের সমস্যা ও দূর করে

খেজুর আর দুধ নিয়মিত খেলে আমাদের ত্বক ভালো থাকবে এমনকি চুলও ভালো থাকবে। খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার খেজুর আমাদের আলসার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। খেজুর মেশানো দুধ খেলে দুধের উপকারিতা বেড়ে যায় খেজুর খাওয়া রক্তের জন্য ভালো। দুধে ক্যালসিয়ামের উৎস তার সঙ্গে খেজুর খেলে পুষ্টি ক্যালসিয়াম দুটোই বেড়ে যায় যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী আমরা বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকেও বাঁচতে পারি।

দুধের সাথে খেজুর খেলে অনেক পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়।ডাক্তারদের মতে শীতকালে দুধ আর খেজুর একসাথে খেলে শরীরে ঠান্ডা কম লাগে। প্রতিদিন দুধ খেজুর খেলে শরীরের দুর্বলতা দূর করে শরীরকে শক্তিশালী করে তোলে। আমরা অনেকে আছি যারা ওজন বাড়াতে চান সে ক্ষেত্রে খেজুর দুধ খাওয়া আপনার জন্য খুবই উপকারী এতে আপনার ওজন খুব সহজেই বেড়ে যাবে।

খেজুর আমাদের শরীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে। শরীরের দুর্বলতা দূর করে।খেজুর হৃদরোগের জন্য খুবই উপকারী একটা ফল দুধে যেমন রয়েছে ক্যালসিয়াম ভিটামিন সি তেমন খেজুরে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ শরীরের দুর্বলতা দূর করে মাথা ঘোরা শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে সমাধান দেয় খেজুর

অনেকেই আছে যারা খুব অল্প বয়সে চোখের সমস্যায় ভোগে তাদের দৃষ্টিশক্তি অনেকটা কমে যায় এজন্য ডাক্তাররা পরামর্শ দেয় খেজুর ও দুধ খাওয়ার জন্য এতে করে চোখের সমস্যা দূর হয়। দুধ ও খেজুর খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব উপকারী অনেকে আবার দুধে ভিজানো খেজুর খেতে ও বেশি পছন্দ করে। খেজুর আর দুধে রয়েছে অধিক পুষ্টিগুণ ও ভিটামিন।এক গ্লাস দুধে দুই তিনটা খেজুর মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে খেয়ে নিন এতে করে আপনার ঘুম ভালো হবে গ্যাস্টিকের সমস্যা নানা ধরনের সমস্যা থেকে এর সমাধান পাবেন। আপনার স্বাস্থ্য ও ঠিক থাকবে।

অতিরিক্ত খেজুর খেলে কি হয়

অতিরিক্ত খেজুর খেলে গ্যাস্টিকের সমস্যা ডায়রিয়া পেট ফাঁপা সমস্যা হতে পারে খেজুরে ফাইবার থাকে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে আর এই ফাইবার অতিরিক্ত হয়ে গেলে সমস্যা হতে পারে। আর খেজুরে সালফাইট এই নামক রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। মিষ্টির উৎস হিসাবে খেজুরকে বলা হয়। আর খেজুর বিভিন্ন জাতের হয়। আরে খেজুর দিয়ে বিভিন্ন ধরনের শরবত ডেজার্ট সালাত খাওয়া যায়।

তবে খেজুর অতিরিক্ত খেলে সমস্যাও হতে পারে। খেজুরে যেমন অতিরিক্ত পুষ্টিগুণ ভিটামিন রয়েছে খেজুর অতিরিক্ত খেলে তেমন সমস্যাও রয়েছে। এইজন্য খেজুর খাওয়ার আগে সতর্কভাবে খাওয়া উচিত যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা খেজুর খাবার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন আপনার কতটুকু খেজুর খাওয়া উচিত কতটুকু খেলে আপনার সমস্যা।

আর খেজুর মিষ্টি জাতীয় একটি খাবার। এটি ডায়াবেটিসের জন্য খুবই খারাপ। বেশি খেলে পেটের সমস্যা ওজন বেড়ে যাবে শ্বাসকষ্টের সমস্যা গ্যাস্টিকের সমস্যা নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে পেট ফাঁপা ডায়রিয়া ইত্যাদি আরো অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে। আমাদের শরীরের জন্য অতিরিক্ত কোন জিনিসই ভালো না সব কিছুর একটা নিয়ম বা মাপ আছে এই নিয়ম আর মাপ অনুযায়ী খেলে আমাদের শরীরে কোনরকম সমস্যা হয় না। এতে স্বাস্থ্য ভালো থাকে কোন ধরনের রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে না।

ওজন কমাতে অনেকেই খেজুর খান । কিন্তু খেজুর অতিরিক্ত খেলে ওজন বেড়ে যায়। এই জন্য প্রতিদিন খেজুর না খাওয়াই ভালো। অতিরিক্ত খেজুর খাওয়া যাবেনা। আর আমরা রমজান মাসে বেশি খেজুর খেয়ে থাকি আর এই খেজুর অতিরিক্ত খেলে শরীরের ক্ষতি অনিবার্য। খেজুরে রয়েছে ফাইবার ক্যালরি এর ফলেই ওজন বেড়ে যায়।

খেজুরে ক্যালরি রয়েছে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা আছে। আর অতিরিক্ত খেজুর খেলে বদহজম পেটের সমস্যা হতে পারে। আরে খেজুর থেকে এলার্জির সংক্রমণ শুরু হয় হাঁপানি সমস্যা ভয়াবহ হতে পারে যদি অতিরিক্ত খেজুর খাওয়া হয়। আজুর যেমনটা সুস্বাদু তেমনটা স্বাস্থ্যের জন্য অতিরিক্ত খেলে খুবই খারাপ। অতিরিক্ত খেজুর খাওয়া বিভিন্ন ধরনের রোগের লক্ষণও হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে খেজুরের নানা ধরনের উপকার রয়েছে কিন্তু খেজুর সকলের জন্য উপকারী নয়। এতে সমস্যা বাড়তেই থাকে। খেজুর অতিরিক্ত খেলে কিডনির সমস্যা হতে পারে যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তারা খেজুর থেকে দূরে থাকুন আর কিডনি রোগীদের খেজুর থেকে দূরে থাকাই ভালো। গর্ভবতী অবস্থায় খেজুর অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া যাবেনা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেজুর খেতে হবে।

খেজুর শুকনো খাবার নিয়ম

খেজুরে রয়েছে ফাইবার যা বদ হজম দূর করে। কষ্ট কাশি ভিন্ন যাদের সমস্যা রয়েছে বা নানা ধরনের পেটের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত খেজুর খান এতে সমস্যার সমাধান পাবেন শুকনো খেজুর নানা ধরনের ওষুধের মত কাজ করে। খেজুরে রয়েছে ফ্রুকটোজ যা আমাদের রক্তে মিশার সাথে এনার্জি যোগায় ক্লান্তি দূর করে আর প্রতিনিয়ত খেজুর খেলে এই সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়।

তাই যখনই ক্লান্তি লাগবে তখন ওই আপনি দু একটি খেজুর খেয়ে নিতে পারেন। শুকনো খেজুর খাওয়া বেশ উপকারী আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য এতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি পাই। চোখের সমস্যা চুলের সমস্যা, মাথাব্যথা এলার্জি ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি পেয়ে থাকি। এই শুকনো খেজুর খেয়ে। আমাদের বয়সের ছাপ ত্বকেই পড়ে আর এই ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত বেশি হয় শীতকালে তাই ত্বকের জন্য খেজুর কে কাজে লাগাতে পারেন। আপনি যদি নিয়মিত শুকনো খেজুর খান তাহলে ত্বকের যে কোনো সমস্যা থেকে বাঁচতে পারেন।

ত্বকের ফ্যাকাসে ভাব কমাতে শুকনো খেজুর কার্যকারী খেজুরে রয়েছে ভিটামিন নানা রোগ নিমন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে এই শুকনো খেজুর। খেজুরে রয়েছে ক্যালসিয়াম যা আমাদের হারকে মজবুত করে সেই সঙ্গে আমাদের স্বাস্থ্য ও ভালো রাখে। আমাদের শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি আয়রনের ঘাটতি মেটাতে ও সাহায্য করে এই শুকনো খেজুর ।

খেজুর খেলে হজম শক্তি বাড়বে খেজুরে রয়েছে নানা ধরনের পুষ্টিগুণ যা খাদ্য পরিপাকে বিশেষভাবে সাহায্য করে। কৃমি রোধ করে।খেজুর শরীরের কোলেস্টেরল কমায় হৃদরোগ প্রতিরোধ করে এইজন্য নিয়মিত শুকনো খেজুর খাওয়া অভ্যাস করা আমাদের জরুরী। এছাড়াও খেজুর আমাদের শীতকালে নানা ধরনের সমস্যা দূর করে সর্দি কাশি জ্বর ঠান্ডা লাগার সমস্যা দূর করে।

তাই আমরা শীতের সময় প্রতিদিন নিয়ম করে শুকনো খেজুর খাবো। এই শুকনো খেজুরে রয়েছে মিনারেল ভিটামিন যা শিখতে আমাদের শরীরকে পরিবর্তন করে এ জন্য আমাদের প্রতি দিনই খেজুর খাওয়ার নিয়ম করা উচিত শুকনো খেজুর চর্বি কমায়। কোলেস্টেরল দূর করে। শুকনো খেজুর দেহের পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণ করে পাশাপাশি দেহের শক্তি যোগায়

দিনের শুরুতে খেজুর খাওয়া উচিত। রমজান মাসে আমরা সারাদিন রোজা রেখে সন্ধ্যার সময় খেজুর খাই এতে করে আমাদের শরীরের ক্লান্তি দূর হয় আর এই শুকনো খেজুর খেয়ে আমরা নানা ধরনের উপকার পেয়ে থাকি। এজন্য প্রতিদিন আমাদের নিয়ম করে শুকনো খেজুর খাওয়া উচিত এতে আমাদের স্বাস্থ্য মন সবকিছুই ভালো থাকে।

খেজুর খেলে কি ওজন বাড়ে

খেজুর থেকে ওজন বাড়ার জুড়ি নাই। ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে খুবই প্রয়োজনী। স্বাস্থ্যের জন্য খেজুর অনেক উপকারী। ডাক্তাররা বলেন খেজুর উপকারি হলেও আমাদের সবার শরীরের জন্য তা ভালো নয়। খেজুর কাদের জন্য বেশি উপকারী আসুন জেনে নিই। খেজুরে রয়েছে আয়রন ভিটামিন আরো নানা পুষ্টিগুণ। খেজুর খেলে অনেক ধরনের সমস্যা বাড়ে।

খেজুর একটি অত্যন্ত পুষ্টিগুণ ফল। আমাদের শক্তির উৎস। আমাদের প্রতিদিন ২_৩ টা খেজুর খাওয়া উচিত। এটি আমাদের শরীরের শক্তি জোগায়। এছাড়া বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পায় যেমন হৃদরোগ ডায়রিয়া গলা ব্যথা চোখের সমস্যা কোষ্ঠকাঠিন্য ইতিহাস বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পায়। খেজুর অনেক সময় পেট ভরার অনুভূতি দেয় এইজন্য খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমে যায়।

খেজুরে রয়েছে চিনির পরিমাণ বেশি। খেজুর মিষ্টি জাতীয় খাবার এতে ওজন খুব সহজেই বেড়ে যায়। এইজন্য হুজুর আমাদের অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে। খেজুরে রয়েছে ফাইবার প্রচুর পরিমাণে সেজন্য খুব তাড়াতাড়ি ওজন বেড়ে যায়। খেজুরের মধ্যে চর্বি থাকে ফ্যাটি অ্যাসিড সেজন্য আপনি প্রতিদিন ২-৩ খেজুর খেতে পারবেন।

খেজুরে প্রচুর পরিমাণে চিনির পরিমাণ থাকে। খেজুরে রয়েছে ক্যালোরি তার পরিমাণ প্রায় ২.৮ গ্রাম। সেজন্য অধিক পরিমাণে খেজুর ওজন বাড়িয়ে দেয়। সেজন্য প্রতিদিন আমরা নিয়ন্ত্রণ রেখে খেজুর খাব। আবার অতিরিক্ত খেজুর খেলে শারীরিক সমস্যা হতে পারে যেমন শ্বাসকষ্ট এলার্জি এইরকম আরো নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে।

আর অতিরিক্ত ওজন আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকমের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ায়। আর ওজন যদি না বাড়ে সেজন্য সকালের নাস্তা চিনি যুক্ত খাবার না রাখাই ভালো। আর খেজুরে খুব দ্রুত ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। খেজুরে রয়েছে আঁশ। কখনোই অতিরিক্ত খেজুর খাওয়া যাবে না। অতিরিক্ত খেজুর খেলেই ওজন বেড়ে যাবে আর ওজন বাড়লে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ বসবাস করবে এতে আমাদের স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি হয়।

ওজন বাড়ালে সাধারণ ডাইবেটিস হৃদরোগ স্ট্রোক এগুলো সমস্যায় বেশি হয়। সেজন্য যাতে না বাড়ে সেগুলো খাবার থেকে আমরা দূরে থাকবো সবসময়। আর অতিরিক্ত কোনো খাবার খাওয়া উচিত নয় এতে করে সমস্যা আরো বেশী বাড়ে। সমস্যার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অতিরিক্ত কোন কিছু আমরা খাব না। সবকিছু নিয়ম অনুযায়ী খাবার চেষ্টা করব। যেকোনো জিনিস খাবার আগে ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে। নার শরীরের কন্ডিশন অনুযায়ী ডাক্তার বলে দিবে আপনি কতটুকু খেতে পারবেন কোনটা আপনার খাওয়া উচিত।

খেজুর খেলে কি প্রেসার বাড়ে

খেজুরে রয়েছে আয়রন অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন আর এই কয়টি উপাদান আমাদের ব্লাড প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণে রাখে। খেজুরের পুষ্টিগুণ আমাদের শরীরে অনেক ধরনের রোগ থেকে রক্ষা করে। আমাদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন ২-৩ টি খেজুর খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খেজুরে খেলে বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়

যেমন রক্তচাপ মাথাব্যথা অ্যালার্জি স্ট্রোক হৃদরোগ আরো বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে বাঁচা যায়। খেজুর নিয়মিত খেলে আমাদের স্বাস্থ্য নিমন্ত্রণে থাকে। এইতো ওজন বেড়ে যায় না আর অতিরিক্ত ওজন বাড়ায় ক্ষেত্রে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বাঁধে। খেজুর সারা বছরই পাওয়া যায় তবে রমজান মাসের একটু বেশি পাওয়া যায় রমজান মাসে খেজুরের চাহিদা একটু বেশিই হয়।

সারাদিন রোজা রাখার পর খেজুর খেলে শরীরের দুর্বলতা কাটে। আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী আমাদের শরীর স্বাস্থ্য সবকিছুই ঠিক থাকে। কোন রোগ বাসা বাঁধতে পারে না। দুর্বলতা কাটায় এই খেজুর খেজুর খেলে চুল পড়া কমে মাথা ব্যথা কমে এলার্জি সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সেজন্য ডাক্তাররা পরামর্শ দেয় প্রতিদিন একটি মানুষের দুই থেকে তিনটি খেজুর খাওয়া উচিত। এই খেজুর আমাদের মস্তিষ্ক ও ভালো রাখে।

খেজুরে যেমন অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। খেজুর খেলে আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারও রয়েছে। খেজুরে প্রেসার বাড়ে না । খেজুর আমাদের ব্লাড প্রেসার কে নিমন্ত্রণে রাখে বার্থডে দেয় না। খেজুর খেলে ঘুম ভালো হয় শরীরে কোনরকম সমস্যা থাকে না। ডাক্তাররা বলেছেন গর্ভ অবস্থায় প্রথম সপ্তাহ পর থেকে পাঁচটি করে খেজুর খেলে মা ও সন্তানের জন্য খুবই উপকারী।

যে নারী গর্ভাবস্থায় জোর খায় তার বাচ্চা সুস্থ সবল থাকে এবং সন্তান জন্ম দেওয়াটাও তার কাছে খুবই সহজ হয়ে যায় কোন কষ্ট পেতে হয় না মাকে। খেজুরে থাকে ভিটামিন সি খেজুর আমাদের প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে হাটকে স্বদেশ রাখে স্ট্রোক ঝুঁকি কমায়। স্বাস্থ্যের পক্ষে খেজুর খুবই উপকারী একটি ফল। খেজুরে রয়েছে ভরপুর পুষ্টিগুণ আয়রনের উৎস।

প্রতিদিন আমাদের খাবারের তালিকায় যদি খেজুর রাখা হয় তাহলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। খেজুর খেলে আমাদের চোখে কোন সমস্যা হয় না চোখের রেটিনা ও ভালো থাকে। খেজুর খেলে আমাদের অতিরিক্ত ওজন ও বাড়ে না শরীর স্বাস্থ্য মন সবকিছুই ঠিক থাকে খেজুর একটি উপকারী ফল যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই আমরা চেষ্টা করব প্রতিদিন দুই থেকে তিনটা খেজুর খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে ।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় গ্রাহক খেজুরের উপকারিতা অপকারিতা ও দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত এ সর্ম্পকে গোপন তথ্য কি আপনাদের জানা ছিল যদি খেজুর সম্পর্কে এই তথ্য আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে আজ থেকে নিয়মিত খেজুর খাওয়া শুরু করুন। কারন খেজুর আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় তাই নিজেও খান এবং অন্যদেরকে খাওয়ার পরামর্শ দেন ।আমার এই তথ্য যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে আপনাদের আপনজনদের সাথে এটি শেয়ার করে দিতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url