সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন
প্রিয় গ্রাহক আপনি হয়তো সৌদি আরবের কোম্পানিতে ভিসা আবেদন ও সৌদি আরব বড় কোম্পানির নাম খুঁজছেন তবে সঠিক তথ্যটা পাচ্ছেন না আসুন তাহলে সঠিক তথ্যটা জেনে নিন। সৌদি সরকার সব রকম ভিসা চালু করে দিয়েছেন সৌদি আরব যাওয়ার জন্য। A.C.C কোম্পানি A.C.E.C কোম্পানি JUSSUR EMDAD কোম্পানি এগুলো হচ্ছে সৌদি আরবের বড় কোম্পানির নাম।
সৌদির ভিসা আবেদনের জন্য আপনার একটি পাসপোর্ট অবশ্যই লাগবে যার থাকতে হবে নিম্ন দুই বছর এছাড়াও আপনার লাগবে ছবি ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের। ভোটার আইডি কার্ড এছাড়াও শিক্ষাগত যোগ্যতা। আর আপনি কোন কোম্পানিতে কাজে যাচ্ছেন সেই কাজের অভিজ্ঞতা।
ভূমিকা
২০২১ সালে করনা মহামারীর জন্য অনেক দেশের ভিসায় বন্ধ ছিল। এরপরে ২০২২ সালে এটা স্বাভাবিক অবস্থায় আসে ভিসা চালু করে দেয় সৌদি আরব। বাংলাদেশে অনেক মানুষই সৌদি আরবের জান কাজের জন্য। এদেশের মানুষ সবাই চাই সৌদি আরবের ভিসায় যেতে কিন্তু অনেকেই জানে না সৌদি আরবের কোম্পানির ভিসা আবেদন কিভাবে করতে হয়। সৌদি আরবের কোম্পানির ভিসা কিন্তু ফ্রি আবেদন করা যায়। তবে খাদ্দামা ভিসার জন্য প্রায় এক লক্ষ টাকার বেশি মতন খরচ হবে। সৌদিতে যাওয়ার জন্য এখন প্রায় সব রকমের ভিসা চালু রয়েছে আপনি সব রকমের ভিসাতে সৌদি আরব যেতে পারবেন।
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন
সৌদি আরবে এখন ভিসা চালু আছে। বাংলাদেশের অনেক মানুষ এই কোম্পানি ভিসায় জেতে চায়। কিন্তু তাদের মনের ধারনা কিভাবে সৌদি আরবের কোম্পানির ভিসা আবেদন করতে হয়। আসুন তাহলে জেনে নিই কিভাবে ভিসা আবেদন করতে হয়। প্রায় করোনা মহামারীর কারণে অনেক দেশের ভিসা বন্ধ ছিল বিগত এক বছর পর ভিসা চালু হয়েছে এখন সব দেশেরই ভিসা পাওয়া যায়। সৌদি আরব যাওয়ার জন্য।
বাংলাদেশ কর্মীদের ভিসা সব ধরনের খরচ যে তাকে নিয়ে যাবে তার করার কথা। কিন্তু দালালের মাধ্যমে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে অনেকগুলো টাকা দিতে হচ্ছে সৌদি যাওয়ার জন্য। এই পরিস্থিতিতে সৌদি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশী কর্মীদের সরাসরি কাগজ দখিল করে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন। ভিসা আবেদনের জন্য ত্রিশটিরও বেশি মন্ত্রণালয় একটি প্ল্যাটফর্ম সংযোজন করেছেন। বাইরের বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা পর্যটন ওমরা হজ ব্যবসা-বাণিজ্য ভ্রমণ যে কোন ভিসার আবেদনের জন্য এই প্লাটফর্মটি ব্যবহার করতে পারবেন
সৌদি আরবের বড় কোম্পানি নাম
যারা সৌদির প্রবাসী হতে যাচ্ছেন তাদের অবশ্যই জানা উচিত সৌদির কোম্পানির নাম তাদের জন্য জানাটা খুবই জরুরী। না জেনে যদি অনেক স্বপ্ন নিয়ে সৌদিতে পা রাখেন তাহলে প্রতারিত হতে পারেন এরকম ঘটনা অনেক আরও ঘটেছেন দালালের মাধ্যমে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে ফিরে এসেছেন। সেজন্য সৌদি আরব যাওয়ার আগে আপনাকে কোম্পানির নাম বেতন ছুটি বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে আগে জেনে নিতে হবে।
সৌদি আরবে অনেকগুলো কোম্পানি রয়েছে ছোট থেকে বড়। যেখানে বাংলাদেশের অধিক শ্রমিক কাজ করে। যদি আপনার সৌদির কোম্পানির নাম না জানা থাকে তাহলে দালাল আপনার থেকে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির ভুয়া নাম বলে অনেকগুলো টাকা হাতিয়ে নিবে সেজন্য এর হাত থেকে রেহাই পেতে আসুন আমরা জেনে নিই সৌদি আরবের কোম্পানির নামগুলো।
- সৌদি আরামকো
- সৌদি বেসিক ইন্ডাস্ট্রিজ
- আলমোরাই
- আরব ন্যাশনাল ব্যাংক
- মারেন
- ব্যাংক সৌদি ফ্রান্সি
- আলিনমা ব্যাংক
- সৌদি ব্রিটিশ ব্যাংক
- আল রাজি ব্যাংক
- সৌদি বিদ্যুৎ কোম্পানি
- রিয়াদ ব্যাংক
- সৌদি টেলিকম কোম্পানি
- সাম্বা ফাইনান্সিয়াল গ্রুপ
- সৌদি basic industries
সৌদি আরব ক্লিনার ভিসা বেতন কত
বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছরে হাজার হাজার মানুষ সৌদিতে যাই সেখানে নানা ধরনের কাজের জন্য। সৌদি আরবে ক্লিনার এর কাজ করার জন্য নিয়োগ দেওয়া হয় অনেক সময়। এর জন্য আপনাকে ভিসা বানিয়ে সেখানে যেতে হবে। সৌদি আরবের সবচেয়ে সহজ একটি কাজ সেটি হলো ক্লিনার যেখানে আপনি কোম্পানি বাসা বাড়ি এয়ারপোর্ট বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানের কাজ করতে পারবেন। আসুন তাহলে আমরা জেনে নিই সৌদি আরবে ক্লিনার ভিসার বেতন কত।
ক্লিনার ভিসার বেতন এই কাজের জন্য আপনাকে বেশ ভালই একটি বেতন দেয়া হয়। এক কথায় বলতে গেলে আপনি মোটামুটি ধরনের বেতন পাবেন। ক্লিনার এর কাজ করলে আপনি মাসে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা বেতন পেতে পারেন সেটি কোম্পানির ক্ষেত্রে। এছাড়া বাসা ও অফিসে বেতন পাবেন আপনার কাজের ওপর নির্ভর করে। আপনি যত বেশি কাজ করতে পারবেন আপনাকে তারা ততো বেশি বেতন দিবে। এয়ারপোর্ট ক্লিনার এর বেতন হতে পারে ৩৫ থেকে ৪০ হাজারের মতো।
সবশেষে বলা যায় আপনার কাজের উপরে ভিত্তি করে ভিসা প্রদান। অনেক সময় দেখা যায় যে কোন ভিসাতে আপনি মার্কেট বা অফিসের ক্লিনারের কাজ করতে পারবেন। এ কাজের জন্য আপনাকে ২৫ থেকে ৩০ হাজারের মধ্যে বেতন দেয়া হবে। এছাড়াও আপনার যেতে খরচ হতে পারে সাড়ে চার লাখ। আশা করি এখন ক্লিনার ভিসা সম্পর্কে আপনার অনেক তথ্য জানা হয়ে গেছে।
সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি
সৌদি আরবে সবাই কমবেশি জাতে চান। কিন্তু কো কাজের বেতন বেশি দিবে এটা সবাই জানে না এটা জানার জন্য সবাই নেট গুগোল আবার ইউটিউব দেখে জানার জন্য। আমাদের দেশের মানুষ চায় কম কাজ করে বেশি বেতন এর কাজ কিংবা কম কাজ করবে কিন্তু বেশি বেতন নিবে। সৌদি আরবে এমন কিছু কাজ আছে যেগুলো আপনি যদি শিখে যেতে পারেন তাহলে কম বেশি ভালো মানের বেতন এর কাজ করতে পারবেন।
যেসব কাজ গুলো শিখে গেলে প্রবাসে ভালো বেতন পাবেন সেসব কাজ গুলো অটোমোবাইল, ইলেকট্রিশিয়ান, ওয়েডিং আরও কিছু কাজথাকে যে সব কাজ গুলো যদি শিখে আপনি প্রবাসে জেতে পারেন তাহলে মাস শেষে একটা ভালো অংকের টাকা উপাজন করতে পারবেন। কারণ সৌদিতে এসব কাজের দক্ষতার মূল্য বেশি।
আপনি যে কোন কাজ শিখে যদি সৌদি কিংবা আরও বিভিন্ন দেশে জেতে পারেন তাহলে আপনি সব কাজেই ভালো একটা বেতন পাবেন। প্রতি বছরে সৌদি আরব থেকে নিয়োগ দেয় কিছু দক্ষতার মানুষ এর জন্য। সে সব দক্ষতার মধ্যে যদি আপনিও আপনার দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে আপনারো ভালো বেতন হবে। সেখানে সব কাজের বেতন ভালো থাকে কিন্ত আপনাকে আপনার দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত
সৌদি আরবে প্রায় অনেক ধরনের কোম্পানি রয়েছে। যেমন কাজ ঠিক তেমনি আপনার বেতন হবে সৌদি আরবে কোম্পানির ভিসা অনুযায়ী আপনার বেতন। আপনি যদি ড্রাইভিং বিষয় যেতে চান তাহলে আপনার এক রকমের বেতন হবে আপনি যদি সুপার মার্কেটের ভিসা যেতে চান তাহলে আপনার আরেক রকমের বেতন হবে। তাছাড়া আপনি যদি লেবার ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনার বেতন অন্যরকম হবে।
সব কাজে আলাদা আলাদা বেতন দেয়া হয়। ডাইভিং ভিসায় গেলে আপনি মাসে ২০০০ রিয়াল পর্যন্ত পাবেন। এছাড়া সুপার মার্কেটে ১৩০০ থেকে ১৪০০ রিয়াল পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন। বছরের শুরুতে সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা গুলো চালু করা হয়। যেখানো হাজার হাজার মানুষ নিয়োগ দিয়ে থাকে। কোন কোম্পানিতে গেলে ভালো বেতন পাবেন এগুলো ভাবেন সৌদি আরবে কমবেশি সব কোম্পানিতে ভালো একটা বেতন দেয়।
যারা সৌদি আরবে কোম্পানি ভিসায় জেতে তাদের এন্জেসির মাধ্যমে আগে জানতে হবে। তারপর সেখানে ভিসার আবেদন করতে হবে কিংবা এন্জসির মাধ্যমে ভিসা কিনতে হবে। আপনার থাকতে হবে কাজের অভিঙ্গতা তাহলে আপনার জন্য ভালো কারন যে কোন জায়গায় গেলে আপনার কাজের অভিঙ্গতা দেখবে তারপরে আপনার বেতন কত হবে জানাবে।
অভিঙ্গতার উপরে আপনার বেতন কম বেশি হবে। সৌদি আরবে অনেক বড় বড় কোম্পানি আছে সেগুলোতে আপনার কাজের অভিঙ্গতা দেখে বেতন দিবে। অনেকে আছে সৌদি আরবে মাসে ১ লক্ষ টাকা আনকাম করতে পারে আবার অনেকে আছে মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করে। এগুলো কোম্পানি আর নিজের অভিঙ্গতার উপরে নির্ভর করে।
লেখকের মন্তব্য
অবশেষে বলা যায় আপনি যদি সৌদিতে যেতে চান তাহলে আপনাকে যে কোন কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে আপনি যদি অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজ করেন তাহলে আপনি ভাল টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আর অবশ্যই যাওয়ার আগে বড় কোম্পানিতে যাওয়ার চেষ্টা করবেন সৌদি আরবে অনেক বড় বড় বিভিন্ন রকমের কোম্পানি আছে।
সেখানে গেলে আপনি অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তাহলে আশা করি জেনে গেছেন সৌদি আরবের ভিসা আবেদন কিভাবে করতে হয় এছাড়া সৌদি আরবের কোম্পানির ভিসা বেতন কেমন বিভিন্ন ধরনের তথ্য সম্পর্কে। আমার লেখা আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন।
Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url