পাসপোর্টের মেয়াদ থাকতে কি রিনিউ করা যায়

পিয় পাঠট আসুন জেনে নিই পাসপোর্ট এর মেয়াদ থাকতে কি রেনু করা যায় ও পাসপোর্ট আমাদের কি কি কাজে লাগে সেই সম্পর্কে। পাসপোর্ট নামটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু এটার কাজ কি এটা কিভাবে ব্যবহার করে ও কি কাজে লাগে এটা হয়তো আমরা সবাই জানি না। পাসপোর্ট আমারা ব্যবহার করি যখন বাইরে কোন জায়গায় যায় তখন যেমন মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, কাতার এমন আরও অনেক দেশ আছে যেসব দেশে আমরা যদি যায় তাহলে আমাদের পাসপোর্ট লাগে। আবার যারা বাইরের দেশে ঘুরতে যেতে চাই তাদের ও পাসপোর্ট লাগে।
পাসপোর্টের মেয়াদ থাকতে কি রিনিউ করা যায়
পাসপোর্ট এটা বাইরের দেশে যাবার একটা ভোটার কার্ড বললে চলে। আমাদের দেশে যেমন ভোটার কার্ড দেখলে বুজতে পারে সব। তেমনি যারা বাইরে যায় তাদের জন্য এটা একটা ভোটার কার্ড।

ভূমিকা

আমরা সবাই কিছু না কিছু কাজের জন্য পাসপোর্ট বানাই। পাসপোর্ট কি কাজে লাগে। এগুলো হয়তো সবার জানা থাকে না। আপনি কাতার জাবেন কিভাবে পাসপোর্ট বানাবেন কবে পাবেন কত টাকা লাগবে অনেকে মনে করে যে এগুলো করতে মনে হয় অনেক টাকা লাগে। আপনি যদি আর্জেন্ট পাসপোর্ট বানাতে দেন তাহলে ১০ দিনের মধ্যে আপনার পাসপোর্ট হয়ে যাবে।

কিন্তু এতে আপনার একটু টাকা বেশি লাগবে।পাসপোর্ট বানাতে হলে আগে আপনাকে একটা ফরম পুরন করা লাগবে সেটা আপনি যেকোন কম্পিউটারের দোকান থেকে করতে পারবেন। কিংবা কম্পিউটারের দোকান ফরম তুলে আপনি নিজেও সেটা করতে পারবেন। তারপর সেটা নিয়ে আপনাকে পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে। আপনার ফিঙ্গার দিতে হবে। তারপরে আপনার ছবি তুলবে।

পাসপোর্টের মেয়াদ থাকতে কি রিনিউ করা যায়

আমরা যারা ব্যবসায়ী বা চিকিৎসা পড়াশোনার কাজে বিভিন্ন দেশে যাই সে ক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই একটি প্রমাণ পত্র দরকার আর সেই প্রমাণ পাত্রটা হচ্ছে পাসপোর্ট। সাধারণত ৫ নম্বর পোর্টের যখন ৬ মাস থাকতে রিনিউ করা ভালো। আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ থাকতে থাকতে আপনাকে রিনিউ জন্য আবেদন করতে হবে। আমরা যারা নতুন পাসপোর্ট বানাই প্রয়োজন শেষে রেখে দেয়।

আবার যখন কোন দরকার হয় তখন সেটাকে কাজে লাগায়। আপনি চাইলে পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ হলেও এক মাস পর গিয়ে আপনি এটা রিনিউ করে নিতে পারবেন তবে এটা সম্পূর্ণটা নির্ভর করছে আবেদনকারীর ইচ্ছার ওপরে। বাংলাদেশের সব জায়গাতে পাসপোর্ট অফিস রয়েছে আর সেই অফিস থেকেই আপনার পাসপোর্ট এর কার্যক্রম ঠিক করে নিতে হবে।

সেজন্য আপনাকে অনলাইন পাসপোর্ট রিনিউ করার ফর্ম পূরণ করতে হবে আপনি এটি নিজেও করতে পারেন এরপর আপনাকে ই পাসপোর্ট নিতে হবে। ই পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য অবশ্যই আপনার পরিচয় পত্র থেকে সঠিক তথ্য অনুসারে করতে হবে। আর আপনি যদি অনলাইনে পাসপোর্ট রিনিউ করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে হবে সেজন্য আপনার এমআরপি পাসপোর্ট অপশনে গিয়ে বিস্তারিত তথ্য গুলো নিতে হবে।

এরপর আপনি কিসের জন্য নতুন পাসপোর্টের আবেদন করছেন সেই বিষয়গুলো আপনার কাছ থেকে জানতে চাওয়া হবে সে ক্ষেত্রে আপনার কাছে অনেকগুলো অপশন আসবে আপনার পাসপোর্টের কি মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে বা হারিয়ে গেছে বা তথ্য পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন না নষ্ট হয়ে গেছে বা অন্যান্য বিষয়গুলো আপনি বেছে নিতে পারবেন যেকোনো একটা সবচেয়ে ভালো হয় যে মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে এই অপশনটি সিলেক্ট করে নিলে।

এরপরে কাজ হল আপনার পুরনো পাসওয়ার্ড দেখে পাসপোর্ট আবেদনের তারিখ ও মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখগুলো লিখতে হবে এরপর ধাপে ধাপে স্বাভাবিক পাসপোর্ট এর মতন আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। পাসপোর্ট এর মেয়াদ থাকা অবস্থায় রিনিউ করে নিতে হবে। এছাড়াও যদি দেখা যায় আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তাহলে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও আপনি এটা রিনিউ করে নিতে পারবেন। আপনার ইচ্ছা মতন আপনি পাসপোর্ট রিনিউ করে নিতে পারবেন।

আপনি যখন মনে করবেন তখনি পাসপোর্ট রিনিউ করা যাবে। এটার কোন নির্ধারিত টাইম নাই। তবে মেয়াদ যখন ৫ থেকে ৬ মাস হবে তখন রিনিউ করতে দেওয়া সব চেয়ে বেশি ভালো। ই-পাসপোর্ট যখন রিনিউ করবেন তখন অবশ্যই আপনার পাসপোর্টে দেওয়া তথ্যর সাথে আপনার পরিচয় পত্রের মিল থাকা লাগবে। অবশেষে বলা যায় আপনি পাসপোর্ট এর মেয়াদ থাকলেও রিনিউ করতে পারবেন ও মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও রিনিউ করতে পারবেন এতে কোন সমস্যা হবে না।

পাসপোর্ট রিনিউ করতে কত টাকা লাগে

পাসপোর্ট রিনিউ করবেন কিন্তু কত টাকা লাগবে এটা নিয়ে ভাবছেন। আপনি পাসপোর্ট বানানোর সময় যে টাকা দিয়ে পাসপোর্ট বানিয়েছেন এখনো সেই টাকাই লাগবে। তবে এখানে ২টা বিষয় আছে আপনি কত বছরের জন্য পাসপোর্ট রিনিউ করবেন। এটা আপনার উপরে নির্ভর করবে। পাসপোর্ট মূলত ২ ভাগে রিনিউ করা যায়। প্রথম আপনি যদি ৫ বছরের জন্য রিনিউ করেন ৪৮ পাতার তাহলে খরচ একটু কম থাকে।

৪ থেকে ৪৫০০ আর আপনি যদি ৬৪ পাতার করেন তাহলে আপনার ৬ থেকে ৬৫০০ এরকম একটা খরচ হবে। আর আপনি যদি মনে করেন যে না একবারে ১০ বছরের জন্য তাহলে এতে আপনার একটা সুবিধা আপনাকে ১০ বছরের আগে এটা নিয়ে আর টেনশন করতে হবে। ১০ বছরের জন্য যদি রিনিউ করেন তাহলে ৪৮ পাতার জন্য নিবে ৫৫০০ থেকে ৬০০০ টাকার মতো। আর আপনি যদি ৬৪ পাতার করেন তাহলে আপনার লাগবে ৭৫০০ থেকে ৮০০০ টাকার মতো। এগুলো আপনার নিজের উপরে নির্ভর করবে আপনি কত পাতার করবেন কয় বছরের জন্য করবেন।

পাসপোর্ট আমাদের কি কি কাজে লাগে

পাসপোর্ট আমাদের অনেক কাজে লাগে পাসপোর্ট এক ধরনের ভ্রমন করার নথিপত্র। এটি প্রতিটা দেশের সরকারকতৃক জারি করা হয়। এটি আমাদের দেশে যেমন ভোটার কার্ড আছে তেমনি এটা বাইরের দেশে জাবার জন্য আমাদের একটা ভোটার কার্ড। এটি ব্যবহার করা হয় কখন যখন আমরা দেশের থেকে আরেক দেশে ঘুরতে যায় ঠিক তখন আমাদের পাসপোর্ট লাগে।

এছাড়াও বিভিন্ন চিকিৎসার কাজে মানুষ বাইরে যায় লেখাপড়ার জন্য বাইরে যায় বিভিন্ন কারণে বাইরে গেলে এই পাসপোর্ট আমাদের লাগবেই। যখন আপনি বাইরের দেশে যাবেন ঠিক সে সময়ে এই পাসপোর্ট দরকার হবে। আপনি বাংলাদেশের নাগরিক আপনি যখন বাংলাদেশের বাইরে যাবেন তখন অবশ্যই এই পাসপোর্ট দরকার পরবে। তখন বাইরের যাবার জন্য এটা আপনার ভোটার কার্ড হিসেবে কাজ করবে।

কারন এটাতে আপনার সব তথ্য দেওয়া থাকবে । পাসপোর্টে থাকে আপনার ছবি, স্বাক্ষর, জন্ম সাল ও তারিখ সব কিছুই এটাতে থাকে। পাসপোর্ট বানানোর সুবিধা আপনি যখন ভ্রমন করতে যাবেন বাইরে তখন আপনাকে ভিসা চেকিং এর লাইনে দারাতে হবে না যখন আপনি গেটে প্রবেশ করবেন তখনি আপনার ছবি তুলে নিবে আর সেই ছবি আপনার পাসপোর্ট সাথে মিলাবে।

পাসপোর্ট আবেদন ফরম ডাউনলোড

পাসপোর্ট আবেদন ফরম কিভাবে ডাউনলোড করবেন। পাসপোর্ট আমাদের অনেক কাজে লাগে। এটা কিন্তু আমাদের সবসময় থাকে না। এটা বানাতে হবে তাহলে আমাদের থাকবে। পাসপোর্ট মূলত বাইরে ভ্রমন কাজে বেশি ব্যবহার করা হয়। কিভাবে আমরা পাসপোর্ট বানাবো কি করা লাগবে পাসপোর্ট বানানোর জন্য এরকম প্রশ্ন সবার মনে থাকে। পাসপোর্ট করতে আমাদের লাগে নাগরিক কার্ড, ছবি, স্বাক্ষর, বাসার টেক্স এর কাগজ,। 

পাসপোর্ট বানানোর ফরম পূরন করতে গেলে আপনার এই বিষয় গুলো লাগবে। সেখানে আপনার সব তথ্য দিতে হবে। তারপরে ব্যাংকে টাকা জমা দিলে আপনার পাসপোর্ট আবেদন ফরম টা পাবেন। আবেদন ফরম পাওয়ার পর আপনাকে পাসপোর্ট অফিস গিয়ে জমা দিতে হবে। আবেদন ফরম ডাউনলোড করাল জন্য প্রথমে আপনাকে একটা কম্পিউটার দোকানে যেতে হবে। সেখানে তাদের বললে তারা আপনার আবেদন করে দিবে। আপনার থেকে সব রকম তথ্য নিয়ে। সব কিছু হয়ে গেলে তারা আপনার আবেদন ফরমটা ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে দিবে।

পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগবে

পাসপোর্ট করতে কয় টাকা লাগে হয়তো সবার জানা নাই। যারা নতুন পাসপোর্ট করবেন তারা এটা জানতে পারবে তখন যখন টাকা জমা দিবেন। পাসপোর্ট হচ্ছে সরকারকতৃক একটা বাইরে ভ্রমন করার নাগরিক কার্ড। আপনি নতুন পাসপোর্ট করবেন কয় টাকা লাগে জানেন না। নতুন পাসপোর্ট ৪৮ পাতার ৫ বছরের মেয়াদে যদি পাসপোর্ট করেন তাহলে খরচ হবে।

৪ থেকে ৪৫০০ টাকার মতো। ৫ বছরেই যদি ৬৪ পাতার করেন তাহলে ৫ থেকে ৫৫০০ টাকার মতো খরচ হবে। ১০ বছরের মেয়াদে ৪৮ পাতা করলে খরচ হয় ৬ থেকে ৬৫০০ মতো আর ৬৪ পাতা করলে খরচ হবে ৭ থেকে ৭৫০০ টাকার মতো। তবে আমাদের মনে হয় ১০ বছরের মনে করাটা ভালো একবার করে নিলে ১০ বছর আর আপনাকে পাসপোর্ট নিয়ে ভাবা লাগবে না।

লেখকের মন্তব্য

পাসপোর্ট আমরা কি কাজে ব্যবহার করি। এই বিষয়ে হয়তো অনেক তথ্য জেনে গেছেন। পাসপোর্ট সাধারণ তো আমরা বাইরে কোথাও ভ্রমণের জন্য ব্যবহার করি নয়তো চিকিৎসার জন্য বাইরে যাওয়ার জন্য অথবা লেখাপড়ার জন্য বাইরে গেলে পাসপোর্ট লাগে এছাড়াও যারা বাইরে থাকে তাদের জন্য পাসপোর্ট লাগে। আমরা ভ্রমন কাজে বা বাইরে জাবার সময় কাজে লাগে। এটা একটা নাগরিক কার্ড । আপনি কোন দেশের নাগরিক সেটা জানার জন্য এই কার্ডটি লাগে এছাড়াও আপনার সব তথ্য সেই কার্ডে থাকে। পাসপোর্ট সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য নিয়ে লেখা আমার আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url