দিনে কতটুকু সূর্যমুখী বীজ খাওয়া যাবে
দিনে কতটুকু সূর্যমুখী বীজ খাওয়া যাবে এ সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। এছাড়াও সূর্যমুখী ফুলের বীজ খেলে কি হয় এটাও হয়তো অনেকেই জানে না। আসুন তাহলে সঠিক তথ্যটা জেনে নিন। আপনি যদি সূর্যমুখীর বীজ প্রতিদিন ১০০ গ্রাম খেতে পারেন তাহলে শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। এর পাশাপাশি আমাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। সূর্যমুখীর বীচের রয়েছে ভিটামিন বি, থিয়ামিন, ও নিয়াসিন। বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি কমে যায়। তবে সব সময়ের থেকে শীতকালে এটি খাওয়া বেশি উপকারী।
আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন আমাদের সূর্যমুখী বিজ খাওয়া উচিত কারণ সূর্যমুখী বীচে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান।
ভূমিকা
সূর্যমুখী বীজ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এছাড়া সূর্যমুখী তেল আমাদের ত্বকের জন্য উপকারী। প্রতিদিন আপনি ১০০ গ্রাম সূর্যমুখী বীজ খেতে পারেন। এটি আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। সূর্যমুখী বীচে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান যেমন ও ভিটামিন এ ভিটামিন ই বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। সূর্যমুখী বীজ খেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে বাঁচা যায়। এছাড়াও সূর্যমুখী তেলে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা। নিয়মিত যদি সূর্যমুখী বীজ খাওয়া হয় তাহলে শরীরে পুষ্টির কোন অভাব হবে না পুষ্টির চাহিদা খুব সহজে পূরণ হয়ে যাবে। এছাড়া নানা রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দিবে।
দিনে কতটুকু সূর্যমুখী বীজ খাওয়া যাবে
সূর্যমুখী বীজ আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। সূর্যমুখীর বীজে রয়েছে সোডিয়াম যা আমাদের শরীরের সোডিয়ামের চাহিদা পূরণ করতে বিশেষভাবে সহায়ক। সূর্যমুখীর বিচ আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকমের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে দেয়। এছাড়াও সূর্যমুখী বীজে থাকে ভিটামিন আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। এছাড়া ক্যান্সারের ঝুকি কমাতে বিশেষভাবে সহায়তা করে।
সূর্যমুখী বীজ খেলে ডায়াবেটিসের রক্তের শতকরা নিয়ন্ত্রণে থাকে। সেজন্য ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন সূর্যমুখীর বীজ খাওয়ার পরামর্শ দেয় বিশেষজ্ঞরা। সূর্যমুখীর বীজ হচ্ছে একটি স্বাস্থ্যকর খাবার । সূর্যমুখীর বীজ গর্ভবতী মায়েদের জন্য অনেক উপকারী ও স্বাস্থ্য কর একটি খাবার। সূর্যমুখীর বীজ খেলে হজমের সমস্যা দূর হয়ে যায়। এটি হজমের জন্য খুবই ভালো কাজ করে এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড যা গর্ভবতী মায়েদের জন্য উপকারী।
এতে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড শিশুর মস্তিষ্ক ভালো রাখে। এছাড়াও অধিকাংশ মানুষই আমরা অ্যালার্জির সমস্যায় ভুগি সূর্যমুখীর বীজ যদি প্রতিদিন নিয়ম করে খাওয়া হয় তাহলে অ্যালার্জি সমস্যা দূর হয়ে যায়। এছাড়া শরীরে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া গুলোকে খুব সহজে বের করে দেয় এই সূর্যমুখীর বীজ। সূর্যমুখীর বীজে রয়েছে ক্যালসিয়াম যা আমাদের হাড় মজবুত রাখে। এছাড়াও গর্ভবতী অবস্থায় সূর্যমুখীর বীজ খাওয়ার বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে।
সূর্যমুখীর বিজ সব সময় খাওয়া যায় তবে শীতের সময় এটি খেলে শরীরে ঠান্ডা লাগে না সর্দি-কাশি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা খুব সহজে দূর হয়ে যায় সূর্যমুখী তেল যদি শীতকালে ব্যবহার করা হয় তাহলে আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। সূর্যমুখীতে থাকা আয়রন আমাদের রক্তের স্বল্পতা বাড়িয়ে দেয়। আপনি চাইলে প্রতিদিন হালকা গরম দুধের সাথে সূর্যমুখী বীজ গুঁড়া মিশিয়ে খেতে পারেন এটি খেলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর হয়ে যায়। সুস্থ থাকতে হলে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আমাদের সূর্যমুখের বীজ খেতে হবে প্রতিদিন ১০০ গ্রাম সূর্যমুখীর বীজ খেতে পারেন।
সূর্যমুখী ফুলের বীজ খেলে কি হয়
সূর্যমুখী ফুলের বীজ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। সূর্যমুখী বীজ হচ্ছে একটি স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার। সূর্য মুখের বীচে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান। সূর্যমুখী বিচে রয়েছে ভিটামিন যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এবং শরীরকে বিভিন্ন ধরনের রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। প্রতিদিন যদি আপনি নিয়ম করে সূর্যমুখীর বীজ খান তাহলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়ে যায়।
সূর্যমুখী হচ্ছে একটি ফুল কিন্তু এর বীজে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপকারী উপাদান। দিনে আপনি ১০০ গ্রাম সূর্যমুখী বিজ খেতে পারেন। অনেকেই আবার যেকোনো রান্নার সাথে সূর্যমুখীর বীজ ব্যবহার করে রান্নার স্বাদ বাড়ানোর জন্য। তবে শুধু রান্নার জন্যই নয় সূর্যমুখীর বীজ আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। সূর্যমুখী বীজ থেকে তেল হয় সেই তেলও আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
বিভিন্ন জায়গাতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয় কারণ এর বীজ খুবই উপকারী আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য। সেজন্য সূর্যমুখী ফুল চাষ করা হয় সূর্যমুখী ব্রিজ থেকে মাখন ও তৈরি হয়, যারা মাখন খেতে পছন্দ করেন বা বাটার খেতে পছন্দ করেন তারা সূর্যমুখীর বীজে তৈরি মাখন বা বাটার খেতে পারেন এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী খেতেও যেমন সুস্বাদু ঠিক তেমন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
সূর্যমুখী বীজে রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্সে ও ভিটামিন সি ভিটামিন ই এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন উপাদান তাছাড়া। সূর্যমুখীর বিজে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, আয়রন,ও ফসফরাস ইত্যাদি সূর্যমুখীর বিচ আমাদের হাটের জন্য ভালো। এছাড়া ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। এক কথায় বলা যায় সূর্যমুখী বীজ প্রতিদিন খেলে আমাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন ১০০ গ্রাম আমাদের সূর্যমুখের বীজ খাওয়া উচিত।
বিভিন্ন বীজের উপকারিতা
যেকোনো বীজ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় রক্তের কোলেস্টেরলের কমাই দিতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। বিভিন্ন ধরনের বীজে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান ও ভিটামিন। বিভিন্ন ধরনের বীজ আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। বীজ আমাদের স্বাস্থ্যর জন্য উপকারী ঠিক তেমনি আমাদের ত্বকের জন্য উপকারী। তাহলে আসুন জেনে নেই বিভিন্ন ধরনের বীজ সম্পর্কে।
চিয়া বীজ চিয়া বীজে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির উৎস রয়েছে ক্যালরি প্রোটিন ফাইবার ওমেগা 3 ফ্যাটি এসিড যা আমাদের প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। চিয়া বিজ যদি প্রতিদিন খাওয়া হয় তাহলে রক্তের শতকরা কমে যায় এছাড়াও হজমের সমস্যা দূর করে। চিয়া বীজে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এটি আমাদের স্বাস্থ্য ও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। কে আবিদ খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায় স্টক ও হৃদরোগের ঝুঁকি খুব সহজে কমিয়ে দেয় চিয়া বীজ।
মিষ্টি কুমড়ার বীজ আমাদের খুব পরিচিত একটি বীজ হচ্ছে মিষ্টি কুমড়ার বীজ যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে ফাইবার ক্যালরি ফ্যাটি এসিড আউন্স বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির উৎস এ ছাড়া রয়েছে ফসফরাস ম্যাগনেসিয়াম জিংক আয়রন। হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে বিশেষ ভূমিকা এছাড়া মিষ্টি কুমড়া যেমন খেতেও সুস্বাদু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো ঠিক তেমনি আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী ত্বকের ব্রণ ও কালো বলিরেখা খুব সহজেই দূর করে দেয়।
তিল বীজ তিল বীজ হচ্ছে ভিটামিন ও পুষ্টিগুণে ভরপুর এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে দেয় বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে আমাদেরকে দূরে সরিয়ে রাখে তিন বীজ প্রতিদিন যদি খাদ্য তালিকায় দিল বীজ রাখা হয় তাহলে আমাদের স্বাস্থ্যের সাথে সাথেও চুলের যত্ন রয়েছে তিন বীজের বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা।
সূর্যমুখী বীজ কিভাবে খেতে হয়
সূর্যমুখীর বীজ আপনি বিভিন্ন রকম ভাবে খেতে পারেন এটি আমাদের পেটের সমস্যা দূর করে দেয়। যাদের পেটে সমস্যা রয়েছে হজমের তারা এটি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন তাহলে হজমের সমস্যা দূর হয়ে যায়। সূর্যমুখীর বীজ আপনি হালকা গরম দুধে মিশিয়ে খেতে পারেন এটি খেলে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। সূর্যমুখী বীজ খেলে আমাদের হাড় শক্ত থাকে।
এছাড়াও আপনি চাইলে সূর্যমুখীর বীজ স্যুপ এর সাথে খেতে পারেন অথবা বিভিন্ন ধরনের সালাতের সাথেও খেতে পারেন। সূর্যমুখীর বীজ খেলে বিভিন্ন রকমের ব্যথা খুব সহজে দূর হয়ে যায়। এটিকে অনেকে সকালের নাস্তা হিসেবেও খেয়ে থাকেন। শুধু এটি খেলে আমাদের শরীরে এনার্জি যোগায় যেকোনো ধরনের কাজের শক্তি বেড়ে যায়। এছাড়াও যদি আপনি সূর্যমুখীর বীজ খান তাহলে অনেক সময় পেট ভরা থাকে।
সেজন্য আমাদের ক্ষুধা লাগে না আর আমাদের ওজন খুব সহজে কমে যায়। সূর্যমুখী বীজ খেলে দৃষ্টি শক্তি বেড়ে যায় চোখের রেটিনা ভালো থাকে। সূর্যমুখী বীজে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি ও ভিটামিন উপাদান। ক্যালোরি, কার্বোহাইডেট, ফাইবার, স্বাস্থ্যকর চর্বি ও প্রোটিন রয়েছে। এই সব উপাদান আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয় সূর্যমুখীর বীজ যদি আপনি প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় রাখেন তাহলে হার্ট অ্যাটাক ও হৃদরোগের ঝুঁকি খুব সহজে কমে যায়।
সূর্যমুখী বীজে রয়েছে ভিটামিন এ এটি আমাদের রক্ষা করে এবং স্ট্রোক ও বিভিন্ন ধরনের বড় বড় রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। এছাড়াও হজমের সমস্যা খুব সহজে দূর করে দেয়। এতে রয়েছে ফাইবার যা আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজমের সমস্যা খুব সহজে দূর করে দেয়। সূর্যমুখীর বীজ খেলে ওজন খুব সহজে কমে যায় যারা ডায়েটের রয়েছেন তারা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সূর্যমুখীর বীজ রাখতে পারেন।
সূর্যমুখীর বীজ খেলে শরীরের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল খুব সহজে বের হয়ে যায়। দিনে আপনি ১০০ গ্রাম সূর্যমুখী বীজ খেতে পারবেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে সূর্যমুখী বীজে রয়েছে বিশেষ পুষ্টি উপাদান ও আন্টি অক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। রক্তে শতকরার মাত্রা কমিয়ে দেয় কারণ সূর্যমুখের বীচে রয়েছে ফাইবার যা গ্লুকোজ কমিয়ে দেয় এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।
সূর্যমুখী তেলের উপকারিতা
সূর্যমুখীর বীজ থেকে সাধারণত তেল পাওয়া যায় এই তেলে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ। এই তেল আমাদের ত্বকের যত্নে অনেক বেশি উপকারী। সূর্যমুখী তেল আমাদের ত্বকে মশ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে। সূর্যমুখী তেলে রয়েছে ভিটামিন ই আর এই ভিটামিন ই আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। আমরা ত্বকের যত বিভিন্ন ধরনের দামি দামি লোশন ব্যবহার করে থাকি।
আমরা যদি এই দামী দামী ক্রিম লোশন না ব্যবহার করে সূর্যমুখী তেলের সাথে ব্যবহার করি তাহলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়। ত্বকে সূর্যের রশি থেকে রক্ষা করে সূর্যমুখী তেল। সূর্যমুখী তেল ব্যবহার করলে সানস্ক্রিম এর কাজ হয় মুখে যদি ব্রণ থাকে তাহলে তা খুব সহজে ভাল হয়ে যায়। এছাড়াও ত্বকের তারুণ্য ও উজ্জ্বলতা ধরে রাখে ভিটামিন ই আমাদের ত্বকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে।
আপনি যদি সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন সূর্যমুখী তেল ত্বকে ব্যবহার করেন তাহলে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে পাবেন। যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তারা সোয়াবিন তেল খেলে তাদের হার্টের সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া সয়াবিন তেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। আপনি যদি প্রতিদিন রান্নার কাজে সূর্যমুখী তেল ব্যবহার করেন তাহলে হৃদরোগের সমস্যা ভালো হয়ে যায়।
এছাড়াও শরীরের দুর্বলতা কেটে যায় সূর্যমুখী তেল রান্নাতে ব্যবহার করলে গ্যাস্টিকের সমস্যাও দূর হয়ে যায়। স্বাস্থ্যসম্মত তেল সূর্যমুখীর তেলকে বলা হয় অনেকেই এই তেল রান্নার কাজে ব্যবহার করে এই তেল যেমন আমাদের ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারের ঠিক তেমনি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য। যাদের অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে তারা সূর্যমুখীর তেল ব্যবহার করতে পারেন।
তাহলে সর্দি কাশি খুব সহজে দূর হয়ে যায়। রোগ প্রতিরোধ করতে সূর্যমুখী তেল বিশেষভাবে সহায়ক এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে আমাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। এছাড়া সূর্যমুখী তেল আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়। সেজন্য সুস্থ থাকতে ও ত্বকের যত্নে সূর্যমুখীর তেল আমাদের জন্য খুবই উপকারী।
লেখকের মন্তব্য
সূর্যমুখী আমরা সাধারণত সূর্যমুখী ফুল হিসেবেই চিনে আসি কিন্তু এর বীজে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। সূর্যমুখীর বীজ থেকে তেল তৈরি হয় আর এই তেল আমাদের ত্বকের জন্য খুব উপকারী। সূর্যমুখীর তেল ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি কমে যায়। সূর্যমুখীর তেলে রয়েছে ভিটামিন ই যা আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও সূর্যমুখী তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়।
প্রতিদিন ১০০ গ্রাম সূর্যমুখী বীজ খাওয়া যাবে সূর্যমুখীর বীজ খেলে আমাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। সেজন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সূর্যমুখীর বীজ অথবা সূর্যমুখী তেল রাখা খুবই জরুরী। আজ থেকে নিজের স্বাস্থ্য ও ত্বকের যত্নের সূর্যমুখী তেল ও বীজ খাওয়া শুরু করি, এবং অন্যদেরকেও খাওয়ার পরামর্শ দিই সূর্যমুখীর বীজ সম্পর্কে আমার লেখা আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালোলাগে তাহলে প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। আমার লেখা যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে আপনার আত্মীয়-স্বজন সবার সাথে শেয়ার করে দিতে পারেন।
Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url