দূরপাল্লার জন্য সবচেয়ে ভালো বাইক কোনটি
প্রিয় গ্রাহক আপনারা হয়তোবা জানেন না দূরপাল্লার জন্য সবচেয়ে ভালো বাইক কোনটি ও সবচেয়ে আরামদায়ক বাইক কোনটি আসুন তাহলে আমরা জেনে নিই। আমরা সব সময় দূরপাল্লার জন্য একটি ভ্রমণ শক্তিশালী বাইক খুঁজি প্রতিটি বাইকের ভালো-মন্দ রয়েছে আপনি কেনার সময় অবশ্য মজবুত টেক্সটাইল গতি দেখে বাইক কেনা সবচেয়ে বেশি ভালো দূরপাল্লার জন্য।
বাইকের মধ্যে ইয়ামাহা হোন্ডা সুজুকি বিভিন্ন ধরনের বাইকের জনপ্রিয়তা রয়েছে প্রায় সব দেশে। এছাড়াও রয়েছে ইন্ডিয়ান ব্র্যান্ডের কিছু বাইক যেমন hero টিভিএস মাহিন্দ্রা ইত্যাদি।
ভূমিকা
আপনি যদি একটু স্পীড বাইক পছন্দ করেন তাহলে আপনাকে সিসি বাইকের দিকে যেতে হবে। তারপরেও ১৫৫ সিসির বাইক অনুমোদিত নয় আমাদের দেশে। বাজাজ, পালসার, ফেজার, সুজুকি জিক্সার এগুলো জনপ্রিয় বাইক অনেক বেশি পরিচিত। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি এই বাইকগুলোয় বিক্রি হয় ভালো বাইক চেনার উপায় হচ্ছে বাইক অবশ্যই কেনার সময় আপনাকে শক্তিশালী টেক্সটাইল ও মজবুত বাইক দেখে কিনতে হবে।
দূরপাল্লার জন্য সবচেয়ে ভালো বাইক কোনটি
বাইক আমাদের সবার পছন্দ এই বাইক নামক গাড়িটা আমরা সবাই কমবেশি চালাই। আর এখন আমরা এই বাইক অনেক দূরে দূরে গিয়ে থাকি। এখন আমাদের দেশে অনেক ধরনের বাইক আছে যে বাইক গুলো চালিয়ে অনেক দূরে জাওয়া যায় খুব কম সময়ে। আগে ছিল ৮০ সিসি ১০০ সিসি ১২৫ সিসি যে গুলোতে কোন জায়গায় যেতে অনেক সময় লাগতো কিন্তু এখন আমাদের দেশে বিভিন্ন কোম্পানির বাইক আসেছে।
এই বাইকে করে আগের থেকে অনেক সময়ে অনেক দূরে যাওয়া যায়। এখন আমাদের দেশে যেসব বাইক গুলো আছে সেগুলোর নাম হচ্ছে সুজুকি, ইয়ামাহা, টিভিএস, হোনডা এই কোম্পানির বাইক গুলো বেশি চলে আমাদের দেশে। সুজুকি, ইয়ামাহা, হোনডা এই কোম্পানির বাইক গুলো নিয়ে খুব সহজে দূর পাল্লার জন্য অনেক ভালো। এগুলো চালিয়ে অনেক আরাম ১০০ ২০০ কিলো চালানোর পরেও আপনার কোনো রকম সমস্যা হবে না।
তবে ইস্পোট বাইকে বেশি দূরে রাইড করে যাওয়া একটু কষ্টের হয়। কারণ সেগুলোতে সামনের দিকে ঝুকে বসতে হয় যে কারণে আপনার মাজা ধরে যাবে একটু ব্যাথা হবে। তবে এই কোম্পানির আরও অনেক বাইক আছে ১৫০ সিসির সোজা হয়ে চালাতে পারবেন সেগুলো যদি আপনি দূরপাল্লার জন্য ব্যবহার করেন তাহলে আপনার কোন সমস্যা হবে না।
নতুন বাইক কেনার পর করণীয়সবচেয়ে আরামদায়ক বাইক কোনটি
আমাদের দেশে অনেক রকম বাইক আছে কিন্তু কোন বাইক চালিয়ে আরাম পাবেন সেটা সবাই জানেন না। আরামদায়ক বাইক গুলো হচ্ছে যেগুলো বসার সিট সমান থাকে সামনের দিকে ঝুকে বসতে হয় না। যে কারণে আপনার শরীরের ভর আপনার সামনের দিকে পরে না। বসার ছিট সমান থাকে হ্যান্ডেল উচু সামনে ঝুকে বসা লাগে না সেগুলো বাইক রাউড করে সব থেকে বেশি আরাম পাবেন।
১০০ সিসির যেসব বাইক আছে সেগুলোতে আরাম পাবেন চালিয়ে। ১২৫ সিসির মধ্যে অনেক বাইক আছে যেগুলো আপনাকে সামনের দিকে ঝুকে বসা লাগবে না। যেসব বাইক রাইড করে আপনি আরাম পাবেন সেসব বাইক গুলো টিভিএস, বাজাজ, হোনডা, ইয়ামাহা আরও অনেক কোম্পানি আছে এই সব কোম্পানির বড় ছোট সব রকম বাইক আছে।
১০০ থেকে ১২৫ সিসি বাইক যে গুলো থাকে সেই বাইক যদি আপনি কিনে থাকেন তাহলে আপনি কোন রকম সমস্যা ছারাই অনেক সময় চালাতে পারবেন। এগুলো চালিয়ে অনেক আরামদায়ক। ডিসকোভার, গিলামার, টিভিএস মেট্রো, সুজুকি, টিভিএস রাইডার, পালসার ইত্যাদি আরও কিছু বাইক আমাদের দেশে আছে যেগুলো চালিয়ে অনেক আরামদায়ক লাগে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বাইক কোনটি
আমাদেশে এখন সবরকম বাইক বেশি বিক্রি হয় কমবেশি। কারণ বাজারে যেটার দামকম থাকে দেখতে সুন্দর সেই বাইকটা বেশি আগ্রহ করে কিনতে। ইয়ামাহা, টিভিএস, বাজাজ, হোনডা এই কোম্পানির বাইক মূলত বেশি বিক্রি হয়। আগে আমাদের দেশে ইয়ামাহা কোম্পানির নিজের কোন সোরুম ছিলো না কিন্তু এই ইয়ামাহা কোম্পানির বাইক গুলো বাংলাদেশের প্রতিটা জায়গায় দেখা যায়।
এই কোম্পানির বাইক গুলো যেমন দেখতে তেমনি আছে এই বাইকের স্পিড। বাজাজ কোম্পানি ভারতের দিক থেকে হলেও বাজাজের পালসার ও ডিসকোভার বাইক আমাদের দেশে আগে থেকেই ছিলো। এই ২টা বাইক আগে থেকেই আমাদের দেশের রাস্তা কেরে নিয়েছে এবং এই বাইক গুলো নাম করা বাইক হিসেবে চলে এবং বিক্রি হয় অনেক।
আমাদের দেশ যখন থেকে স্বাধীন হয়েছে তারপরে থেকেই আমাদের দেশে সুজুকি কোম্পানি ব্যবসা শুরু করে ছিলো। এখন আমাদের দেশে সব থেকে বেশি চলছে সুজুকি, ইয়ামাহা, টিভিএস, বাজাজ এই কোম্পানির বাইক গুলো এখনো আমাদের দেশে সবসময় বিক্রি হয়ে খাকে। সাধারণ মানুষের কাছে বাইক মানে হচ্ছে বেশি বিক্রিত আর ব্যবহিত বাইক।
ভালো বাইক চেনার উপায়
আমরা সবাই বাইক ব্যবহার করি। কিন্ত আমাদের মধ্যে অনেকে আছে বাইক হলেই হলো কিন্তু আমরা ভালো বাইক চিনবো কি করে এটা বুজতে পারে না। সবাই কিন্তু নতুন বাইক কিনতে পারে না অনেকে আছে পুরানো বাইক খুজে কিন্তু পুরানো বাইক কিনতে গেলে সবাই বুজতে পারে না যে বাইক কোনটা ভালো হবে কোনটার কনডিশন কেমন থাকবে। পুরাতন বাইক কেনার আগে বাইকের ইঞ্জিন চেক করতে হবে গাড়ির সাউন কেমন এগুলো চেক করতে হবে।
পুরাতন বাইকের ক্ষেত্রে অনেক কিছু চেক করে তারপরে বাইক কিনতে হয়ে। আর আপনি যদি নতুন বাইক কিনেন তাহলে সেগুলো অতোটা ভাবা লাগে না। নতুন বাইক কিনে আপনি ৪ ৫ বছর কোন কিছু ভাবা ছারাই চালাতে পারবেন। নতুন বাইক গুলোর মধ্যে কোম্পানির আর গাড়ির মডেল এর পার্থক্য ছাড়া আর কোন পার্থক্য দেখা যায় না। আপনি যখন পুরাতন বাইক কিনবেন তখন গাড়ির ইঞ্জিন, রং অরজিনাল আছে কি? এটাই চেক করে নিবেন।
১২৫ সিসি তেল সাশ্রয়ী মোটরসাইকেল
বাইক কেনার আগে এখন মানুষ এটা ভাবে যে গাড়িতে তেল কেমন খাবে তেল সাশ্রয়ী হবে কি। আমাদের দেশে তেল সাশ্রয়ী আবার অনেক গতি সুন্দর এমন কিছু বাইক আছে যেগুলো এখনকার বাজারে মানুষের চাহিদা অনেক বেশি। আমাদের দেশে এখন ১২৫ সিসি অনেক কোম্পানির বাইক আছে। টিবিএস রাইডার ১২৫, ডিসকোভার ১২৫, হোনডা লিভো ১২৫, সুজুকি জিএসএক্স, এই ধরনের বাইক গুলোতে মাইলেজ ভালো পাবেন।
আপনি যদি ১০০ সিসির বাইক গুলো ব্যবহার করেন তাহলে আপনি লিটারে ৬০ তেকে ৭০ কিলো করে মাইলেজ পাবেন। এই গাড়ি গুলো তেল খুব কম খায় আবার তেল সাশ্রয়ী করে। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির বাইক আছে। যারা বাইক কিনবে সবসময় তেল সাশ্রয়ী গাড়ি খুজে।১০০ ও ১২৫ সিসি বাইক এর মধ্যে অনেক বাইক আছে যেগুলো তেল সাশ্যয় করে। ১২৫ সিসি বাইকের মধ্যে টিভিএস, ডিসকোভার, লিভো এই বাইক গুলো তেল সাশ্রয় করে। আবার পারফান্সেস অনেক ভালো দেয়। এই বাইক গুলোতে ৬০ ৭০ মাইলেজ পেয়ে থাকবেন সবসময়। আমাদের দেশের অনেক মানুষ এখন তেল সাশ্রয় বাইক খুজে।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় গ্রাহক বাইক সম্পর্কে আপনাদের হয়তো অনেক তথ্য জানা হয়ে গেছে দূরপাল্লার জন্য সবচেয়ে ভালো বাইক ও বাইক চেনার উপায় সম্পর্কে জেনে গেছেন বাইক আমরা সবাই বাইক লাভার তবে বাইক কেনার সময় আমাদেরকে অবশ্যই বাইকের বেশ কিছু দিক খেয়াল করে কেনাই ভালো। এছাড়াও এমন বাইক কেনা উচিত যেটা আপনি ব্যবহার করে আরাম পান।
অবশেষে বলা যায় তেল সাশ্রয়ী বাইক কিনাটাই অনেক বেশি। বাইক সম্পর্কে আমার লেখা আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটি ভিজিট করতে পারেন আপনাদের যদি কোন মন্তব্য থাকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url