কাঁচা রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা

কাঁচা রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেকের জানা নেই। খাবারের টেষ্ট বাড়ানোর জন্য প্রায় সব রান্নাতেই রসুন মশলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কাঁচা রসুন খাওয়ার নিয়ম ও ভিন্ন রয়েছে।রসুন খেলে স্ট্রোক হার্ড হৃদরোগ আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে আমরা বাঁচতে পারি। রসুনে রয়েছে অধিক পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। নিয়মিত কাঁচা রসুন খেলে আপনার ইমিডন সিস্টেমকে শক্তিশালী করবে। রসুনে রয়েছে রাসায়নিক উপাদান অ্যালিসিন-এর গুণাবলী। তাই আসুন কাঁচা রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
কাঁচা রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত জানুন
প্রতিদিন নিয়ম করে কাঁচা রসুন চার কোয়া খেলে রক্ত সঞ্চালনক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। রসুন ভাইরাস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কাঁচা রসুন খেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয় না যেমন জ্বর সর্দি কাশি।

ভূমিকা

রসুনে রয়েছে আয়ুর্বেদিক গুণ। রসুন রক্তে কম কোলেস্টেরল বজায় রাখতে সহায়ক। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে খুবই উপকারী এই রসুন। রসুনে রয়েছে অধিক পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। রসুন সাধারণত আমরা মসলা হিসেবেই খেয়ে থাকি কিন্তু এটা কাঁচা খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে।

রসুন আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। মানুষের স্বাস্থ্যর জন্যও বেশ উপকারী। রসুন খেলে স্ট্রোক হার্ড হৃদরোগ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে উপকার পাওয়া যায়। কাঁচা রসুন খেলে ক্যান্সার আমাদের শরীরের বাসা বাঁধে না। রসুনের মধ্যে অনেক ওষুধি গুণ রয়েছে। আজকে আমরা জানবো রসুন খাওয়ার সঠিক নিয়ম।

কাঁচা রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা 

কাঁচা রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক রয়েছে। রসুন যেমন রান্নার কাজে মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয় তেমনি রয়েছে এর ঔষধি গুণাবলী। যখনই হাই ব্লাড প্রেসার কম করার কথা আমাদের মাথায় আসে প্রথম মতো যে উপাদানের কথা আমাদের মনে পড়ে সেটি হলো রসুন। এই রসুন আমাদের হার্ডের জন্য বিশেষ উপকারী। এছাড়া অসংখ্য উপকারিতা রয়েছে এই রসুনে।

যদি নিয়মিত এই কাঁচা রসুন খাওয়া হয় তাহলে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা আপনি পেতে পারেন। প্রতিদিন যদি ৪ কোয়া রসুন আপনি কান্ট্রিনিউ যদি দুই মাস পর্যন্ত যদি খেতে পারেন তাহলে আপনার Systolic blood pressure 7 point পর্যন্ত কমে যায় এবং Diastolic blood pressure 5.4 point পর্যন্ত কমে যায়। Systolic প্রেসার অর্থাৎ উপরের প্রেসার 7 পর্যন্ত কমতে পারে। এবং Diastolic প্রেসার অর্থাৎ 5.4 পর্যন্ত কমতে পারে। সেজন্য প্রতিদিন রসুন অবশ্যই আপনি খেতে পারেন আপনার ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোল রাখার জন্য।

আপনি যদি প্রতিদিন ৪ কোয়া করে রসুন খেতে পারেন। তাহলে ব্লাড প্রেসার ক্যান্সার হার ডায়াবেটিস
এই ধরনের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন। যদি আপনি কাঁচা রসুন খান তাহলে আপনার লিভার ও ভালো থাকবে। লিভার ভালো রাখার কাজে বেশ উপকারী এই কাঁচা রসুন।রসুন খাওয়ার সাথে সাথে আপনাকে ডায়েট মেনে চলতে হবে তবে আপনার রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা কমে যাবে।

আমার মতে রসুন খাওয়ার সঠিক নিয়ম বা কার্যকারি পদ্ধতি হলো। ৪ টি রসুনের কোয়া আপনি ছাড়িয়ে নিবেন। সেটি মুখের মধ্যে দিয়ে চিবিয়ে খান তারপর এক গ্লাস হালকা গরম পানি খেয়ে নেন। কিন্তু সমস্যা হলো অনেকেই রসুন চিবিয়ে খেলে ঝাঁজ লাগে তাই সবাই রসুন কাঁচা খাওয়া পছন্দ করে না। অনেকে আবার রসুনের গন্ধ সহ্য করতে পারেনা।

তাই তারা রসুন চিবিয়ে খেতে পারে না। সে ক্ষেত্রে আমার মতামত আপনারা একটি কাজ করবেন ৪ টি রসুনের কোয়া নিয়ে থেঁতো করে নিবেন। তারপর ট্যাবলেট ওষুধ গিলে খাওয়ার মত করে কুসুম গরম পানি দিয়ে খেয়ে নিবেন। ফলে আপনি যে রসুনের গন্ধটা পান বা যে ঝাঁজ পান সে সমস্ত ইস্যু এড়িয়ে চলতে পারবেন।

কাঁচা রসুন খাওয়ার নিয়ম

একটি ঝাঁজ যুক্ত মসলা যা রান্নার স্বাদ কে দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়। রসুন এ রয়েছে আয়রন ও লৌহ যা আমাদের স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়। এই সিদ্ধ রসুন প্রতিদিন আমাদের খাবারের তালিকায় রাখলে বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি আমরা সিদ্ধ রসুন খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। ক্যান্সার প্রতিরোধ সিদ্ধ রসুন খাওয়ার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। কাঁচা রসুনের 

সিদ্ধ রসুন আমাদের ইমিউনিটি শক্তিশালী করে তোলে। ব্রেন ভালো রাখে। রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। ডি-টক্সিফাই করে এই সিদ্ধ রসুন। সিদ্ধ রসুন আমাদের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। পেটের কৃমি ধ্বংস করে। শরীরের ঠান্ডা সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে এই সিদ্ধ রসুন। হজমের সমস্যা দূর করে পেটের সমস্যা দূর করে বমি ভাব আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে উপশম করে। সিদ্ধ রসুন প্রতিরক্ষা সিস্টেমের উন্নতি করতে সাহায্য করে। নিয়মিত রসুন খেলে শরীরে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া গুলো উন্মুক্ত হয়।

রসুন প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে থেকে মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। হচ্ছে এক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক। শরীর থেকে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া দূর করে। সিদ্ধ রসুন আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। অনেকেরই দেখা যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে তারা যদি নিয়মিত সিদ্ধ রসুন খায় তাহলে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে সাহায্য করবে এই রসুন।

যাদের আবার হজমের সমস্যা রয়েছে তারাও প্রতিদিন এই সিদ্ধ রসুন খেতে পারেন। রসুন দুই ভাবেই খাওয়া যায় কাঁচা এবং সিদ্ধ যাদের কাঁচা খেতে সমস্যা তারা সিদ্ধ করে খেতে পারেন। রসুন এ রয়েছে সেলেনিয়াম ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে ক্যান্সার প্রতিরোধ সাহায্য করে এই সিদ্ধ রসুন রসুন রক্তে পরিশোধন করে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে এই রসুনের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এছাড়াও সিদ্ধ রসুনে প্রচুর উপকারিতা রয়েছে। আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে প্রতিদিন নিয়ম করে সিদ্ধ রসুন খাওয়া উচিত এতে স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

রসুন খেলে কি গ্যাস হয়

রসুন খেলে গ্যাসের সমস্যা বেড়ে যায়। তাই যাদের গ্যাসের সমস্যা রয়েছে তাদের রসুন এড়িয়ে চলাই ভালো। সবার খাবারে যে সবার গ্যাস হবে এমন কিন্তু নয়। নিজেই লক্ষ্য করুন আপনার কোন খাবারে গ্যাসের সমস্যা বেশি হচ্ছে। সে খাবারটি কম খান। অনেকেই মনে করে রান্নাতে তেল মশলা বেশি হলেই বোধ হয় গ্যাসের সমস্যা হয়।

এই গ্যাসের সমস্যার মূলে থাকে রসুন। রসুন আমাদের গ্যাসের সমস্যা অতিরিক্ত বাড়িয়ে দেয়। গ্যাস যদি আপনার দৈনন্দিন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে রসুন এড়িয়ে চলাই আপনার জন্য ভালো। যাদের ডায়াবিটিস রয়েছে তাদের জন্য রসুন সমস্যা জনক হয়ে উঠতে পারে। পরিমাণ মতন খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব।

অনেকের রক্ত পাতলা এমন সমস্যা হলে ভুল করে ও রসুন খাবেন না। কারন রসুন খেলে তাতে সমস্যা
আরো বেড়ে যায়। যেকোনো সমস্যার ঝুঁকি কমাতে রসুন এড়িয়ে চলুন। রসুনের মধ্যে থাকে অধিক পরিমাণে ফ্রুকটান। এটি সহজেই পেটের ভিতরে সৃষ্টি করে ফেলে। আমাদের প্রতিদিনের রান্নায় তেল মসলা বেশি হয়ে যায় সেজন্য হজমের সমস্যা হয় এর সাথে সাথে গ্যাস লেগেই থাকে আর গ্যাস হলে খুবই কষ্ট হয়।

বুকে ব্যথা করে পেট ফেটে যায় শরীরে একটা অস্থিরতা লেগেই থাকে সবসময়। আর গ্যাস মোটেও একটা ভালো জিনিস না। গ্যাসের সমস্যা হলে আমাদের হার্টের চাপ পড়ে সেখান থেকে হার্ড অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাই। অনেক সময় নানা ধরনের ওষুধের কারণেও আমাদের গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।

যাদের হজম শক্তি খুব বেশি কম তাদের গ্যাস অবলম্বনের সম্ভাবনা কিন্তু বেশি থাকে। আবার অনেক সময় খাবারও এর জন্য দায়ী হয়। রসুন বেশি খেলে পেটে গ্যাসের সমস্যাও বেশি হয়। কেন বিভিন্ন ধরনের খাবার থাকে যা খাওয়া মাত্র গ্যাসের সমস্যা শুরু হয় তাই যেসব খাবারে গ্যাসের সমস্যা রয়েছে সেগুলো আমাদের এড়িয়ে চলায় সবচেয়ে ভালো।

খালি পেটে রসুন খেলে কি হয়

খালি পেটে রসুন খেলে লিভার ভালো থাকে। একজন শক্তি ঠিক রাখে খালি পেটে রসুন খেলে আমাদের মানসিক চাপও নিয়ন্ত্রণের থাকে। রসুন বা Garlic যে যেই নামে চিনেন না কেনো। আমরা সাধারণত রসুনকে মসলা হিসেবে বেশি ব্যবহার করে থাকি। প্রাচীনকাল থেকে এর বৈশিষ্ট্য গুলির কারণে অনেক রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।

রসুন রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়। একটু রান্নার সাদ বাড়ায় না অনেক রোগের ওষুধ হিসাবে এটি ব্যবহার করা হয়। খালি পেটে রসুন খেলে আমরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি। রসুনে রয়েছে ভিটামিন বি ১, ভিটামিন বি ২, ভিটামিন বি ৩, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন সি, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়াম একটি বড় উৎস।

রসুন একটি প্রাকৃতিক জিনিস। রসুন আমরা বিভিন্ন সময় বাচ্চাদের সর্দি কাশি হলে রসুনের সাথে একটু তেল গরম করে দিয়ে বুকের আশেপাশে দিয়ে থাকি তাদের যে কফ থাকে সেটা কিন্তু বেরিয়ে আসে। তাছাড়াও তাদের হাঁটুতে ব্যথা হয় ওই জায়গাতে একটু ভালো করে খাঁটি সরিষার তেল নিয়ে দুই থেকে তিন কোয়া রসুন নিয়ে হালকা গরম করে যখন একটু লাল কালার হয়ে যাবে। সেটা যদি ব্যাথা স্থানে লাগান তাহলে ব্যাথাটা অনেকটাই কমে যায়।

কেউ যদি দুই থেকে তিন মাস খালি পেটে রসুন খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। তাদের হার্ট অ্যাটাক ক্যান্সারের মতো বড় বড় সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারে। খালি পেটে রসুন খেলে আমাদের রক্তচাপ কন্ট্রোল করে। খালি পেটে রসুন খেলে সুগার হৃদরোগ হাই ব্লাড প্রেশার ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে এই রসুন। একগুচ্ছ রোগের সমাহার এ রোগে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়।

 বিজ্ঞানীদের মতে রসুনের মধ্যে অ্যালিসিন নামে একটি কম্পাউন্ড থাকে তা ইনসুলেনের খনন বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে সুগার কমে খুব সহজে। এক্ষেত্রে খালি পেটে প্রতিদিন দুই থেকে তিন কোয়া রসুন খেতে হবে। আর এ রসুন চিবিয়ে খেতে না পারলে কুচি কুচি করে কেটে ট্যাবলেট ওষুধের মতন হালকা গরম পানি দিয়ে গিলে খেতে হবে।

খালি পেটে রসুন খেলে তা আমাদের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। আপনার যদি LDL কোলেস্টেরল বেড়ে যায় সেক্ষেত্রে প্রতিদিন দুই থেকে তিন কোয়া রসুন খাওয়ার অভ্যাস করুন। রসুন HDL বাড়াতে সাহায্য করে। খালি পেটে রসুন আমাদের হৃদরোগে সম্ভাবনা কমায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মত অনুযায়ী বিশ্বের সব মৃত্যুর কারন হল হৃদরোগ তা ১১ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী 17.3M মানুষ মারা যায় হৃদরোগে যার 70% উন্নয়নশীল দেশের মানুষ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, 2030 সালে 22.5M প্রান হারাতে পারে হৃদরোগে। তাই আপনার হৃদ যন্ত্র কে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন খালি পেটে দুই থেকে তিন কোয়া রসুন খেতে পারেন। কারন রসুনের মধ্যে সালফার ও মনোসালফার বায়ো এক্টিভ মিশন থাকে যা আমাদের হৃদরোগে কে প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রাখে।

রাতে রসুন খেলে কি হয়

রসুন এমন একটি জিনিস যা প্রতিটি খাবারেই ব্যবহার করা যেতে পারে। জাতীয় খাবারের মধ্যে প্রথম উপকারী হচ্ছে রসুন। খালি পেটে রসুন খাওয়ার সবচেয়ে বেশি উপকারী আমরা যারা প্রতিদিন নিয়মিত খালি পেটে রসুন খায় তারা বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে বাঁচতে পারি। ধরনের কোলেস্টেরল থাকে এই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রসুন সরাসরি ভাবে কাজ করে যারা রসুন নিয়মিত খাচ্ছেন তারা একটি ভালো অভ্যাস গড়ে তুলেছেন।

ঘুমানোর আগে রসুন খেলে কোলেস্টেরল কম হয়। রসুন শরীরের ক্ষতি করে কোলেস্টেরল কমায়। এছাড়া রসুন আমাদের ওজন কমাতে বিশেষ ভাবে ভূমিকা পালন করে। সকালে রসুন খাওয়া স্বাস্থ্যের উপকারী। বিশেষজ্ঞরা বলেন খালি পেটে রসুন খেলে শরীরের ভিতর আ্যান্টিবায়েটিক সৃষ্টি করে থাকে। বিভিন্ন রোগ থেকে শরীরকে সুরক্ষা দেয়।

আমাদের সুস্থ রাখতে রসুনের কোন বিকল্প নাই। শুধু তাই না বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগের কারণে হঠাৎ মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে এই রসুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু এর কোয়া ছাড়িয়ে সাথে সাথে না খেয়ে ৫ মিনিট রেখে তারপরে খাওয়াটাই সবচেয়ে উপকারী। রসুনের রয়েছে অধিক মাত্রায় ক্যালসিয়াম কপার ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম ভিটামিন এ বি আর সি আয়রন। তাই গোয়া অবস্থায় জল দিয়ে রসুন খেলে বিভিন্ন ধরনের উপকারে লাগে।

রাতে ঘুমানোর আগে রসুন খেলে শরীরের উপস্থিত বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদান টক্সিন বেরিয়ে যায়। সেই সাথে ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ আশঙ্কা কমে যায়। লিভারের কার্যক্ষমতা ও বৃদ্ধি পায়। এখানেই শেষ না নিয়মিত রসুন খেলে নানা উপকার পাওয়া যায়। রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না শরীরের প্রতিটি অংশে রক্ত সরবরাহ সুন্দরভাবে হয় সেদিকে খেয়াল রাখে এই রসুন।

ঠান্ডা লাগার সমস্যা দূর করে এই রসুন। স্টমাককে ঠান্ডা রাখে পেটে যাদের গ্যাস হয় তারা নিয়মিত রসুন খেলে এই ধরনের অসুবিধা কমে যায়। আনসার প্রতিরোধ করে এই রসুন কারণ রসুন এ রয়েছে অ্যান্টি ক্যান্সার এজেন্ট। ফাঙ্গাল ইনফেকশন শরীরের কোথাও সংক্রমণ হলে পরিমাণ মতো রসুনের কোয়া নিয়ে সেখানে ভালো করে ঘষে দিলে দেখবেন নিমিষেই কমে যাবে। এই ধরনের সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি যদি নিয়মিত আমরা রাতে রসুন খাই।

লেখকের মন্তব্য 

প্রিয় গ্রাহক রসুন খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে এই গোপন তথ্য জানা ছিলো কি আপনার। যদি এই রসুন সম্পর্কে তথ্য আপনাদের ভালো লাগে। তবে আজ থেকেই প্রতিদিন ২-৩ কোয়া রসুন খাওয়া শুরু করেন এবং আপনার বন্ধু আত্মীয়-স্বজনদের সাথে শেয়ার করে দেন। এবং তাদেরকেও রসুন খাওয়ার পরামর্শ দেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url