শসা কি কিডনির জন্য ক্ষতিকর
অনেকের মনে হয়তো এই প্রশ্ন থেকে যায় শশা কি কিডনির জন্য ক্ষতিকর শসা খেলে কি পেটে গ্যাস হয় এছাড়া আরো বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন থেকে থাকে শসা আমাদের শরীরের বর্জ্য পদার্থগুলো বের করে ফেলে খুব সহজে এ ছাড়া শসাতে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, কপার ও আঁশ যা আমাদের শরীর ও ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা খুব সহজে দূর করে দেয়।
কিডনি ও রক্ত পরিষ্কার করতে শসা আমাদের শরীরে বিশেষ ভূমিকা পালন করে চোষা খেলে কিডনির বিভিন্ন ধরনের সমস্যার হাত থেকে বাঁচা যায়।
ভূমিকা
আমাদের শরীর ও কিডনির জন্য শসা হচ্ছে খুবই কার্যকরী একটি খাবার। শসা আমাদের শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় খুব সহজেই শসা খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে এমন কি কিডনি ও পরিস্কার থাকে যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেয় তাদেরকে সারাদিনে দুই থেকে তিনটে শসা খাবার পরামর্শ দেয়।
শসাতে রয়েছে ক্যালরি, লৌহ, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম এছাড়াও বিভিন্ন জলীয় পদার্থ। শসা কে অনেকে সবজি হিসেবেও রান্না করে খাই তবে সবজি থেকে যদি শসা কাঁচা অবস্থায় খাওয়া হয় তাহলে সেটা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। শসাতে তবে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, গ্লুকোজ, ভিটামিন সি, খনিজ পটাশিয়াম, সোডিয়াম, দস্তা ও ক্যালরি।
শসা কি কিডনির জন্য ক্ষতিকর
যত দিন যাচ্ছে তত মানুষের বিভিন্ন ধরনের রোগ বেড়েই যাচ্ছে এই রোগ বাড়ার মূল কারণ হচ্ছে আপনি কোন খাবার খাচ্ছেন সেই খাবারে কতটুকু ভিটামিন প্রোটিন মিনারেল আছে সে খাবার কি আমাদের জন্য ক্ষতিকর সেটা কি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো সবকিছুই নিজের ভিতর নিজের সুস্থতা সব সময় নিজের কাছেই।
কিডনি রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে তবে যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে।কিডনি পরিষ্কার করতে শসা রয়েছে বিশেষ ভূমিকা আমাদের কিডনি পরিষ্কার করতে শসা বিশেষভাবে সাহায্য করে। শরীরের দূষিত পদার্থ গুলো খুব সহজে বের করে দেয়। শসা তে হয়েছে হাইড্রেটেড টকিন যা আমাদের কিডনি সুস্থ রাখে।
আমরা সারা দিনে যে খাবারটি খায় সে অনুযায়ী আমাদের শরীরের গঠন তৈরি হয়। শরীরের বিভিন্ন ধরনের চাহিদা মেটাতে শসা খুবই উপকারী তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি যা আমাদের শরীরের দুর্বলতা কাটিয়ে তোলে।আমাদের শরীরে প্রতিদিন যে ভিটামিন প্রয়োজন হয় তার বেশি ভাগে শসাতে আছে। কারণ শসা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় খুব সহজেই।
শসা খেলে আমাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা দূর হয়ে যায় শসা রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। শসা তে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম এছাড়াও আঁশ যা আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে সেজন্য আমাদের হার্ট ও ফুসফুস ভালো থাকে। তার সাথে থাকা প্রচুর পরিমাণে পানি আমাদের দেহের ওজন কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
শসা খেলে কি পেটে গ্যাস হয়
প্রতিদিন শসা খেলে আমাদের শরীরের ওজন খুব সহজেই কমে যায় এছাড়াও শসা খেলে হজমের সমস্যা দূর হয়ে যায়। শসা আমাদের কিডনির জন্য বিশেষ করে খুবই উপকারী। কিডনির সমস্যা হলে বিশেষজ্ঞরা সবসময় বেশি বেশি শসা খেতে বলে শসা আমাদের কিডনি পাথর গলাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। অনেকে মনে করে শসা কিডনির জন্য ক্ষতিকর।
তবে শসা আমাদের কিডনির জন্য খুবই উপকারী। শসা তবে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার, পটাশিয়াম ও আঁশ। শসা সারাবছরই পাওয়া যায় শসা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো শসা আমাদের ওজন কমাতে খুবই উপকারী রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে শসা রয়েছে বিশেষ ভূমিকা এছাড়া শসা শরীরের শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করে।
শসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল শসা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য যেমন উপকারী ঠিক তেমনি আমাদের ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারিতা রয়েছে এই শসাতে। শসা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব উপকারী যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা যদি নিয়মিত শসা খায় তাহলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাছাড়া শসা খেলে গ্যাসের সমস্যা ভালো হয়ে যায় শসা আমাদের হজমের জন্য খুব ভালো কাজ করে।
শসা কখন খাওয়া ভালো
শসা সারা বছরই পাওয়া যায় এতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। তাছাড়াও শসা আমাদের কিডনির জন্য ক্ষতিকর নয়। আমাদের শরীরে টনিক যুক্ত করতে সাহায্য করে এই শসা এছাড়াও শসা কে সবজি হিসেবে রান্না করে খাওয়া হয় শসাতে রয়েছে ডিটক্স যা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে। এমনকি শসা তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জল বা মিনারেল ভিটামিন সি।
এছাড়াও বিভিন্ন উপাদান যা আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। শসাতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম ও ফাইবার যা আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। সকালে খাবার খাবার পর শসা খাওয়া সবচেয়ে বেশি ভালো অথবা খাবারের সাথে শসার সালাদ খেতে পারেন। শসা আমাদের হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয় এছাড়াও শসা রূপচর্চার কাজেও বিশেষ প্রয়োজনীয় এছাড়া কিডনি রোগীদের জন্য শসার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
শসা তে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম থাকে সেজন্য যদি প্রতিদিন নিয়ম করে শসা খাওয়া হয় তাহলে ওজন খুব সহজেই কমে যায়। এছাড়াও শসার স্যুপ খেতে পারেন অথবা শসার জুস হিসাবেও খেতে পারেন শসা কেটে খোসা ছাড়িয়ে ব্লেন্ডারে ভালো করে ব্লেন্ড করে তারপর হালকা লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। শসা তে রয়েছে ভিটামিন সি যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় শসা খেলে ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়। শসা যেহেতু হজমের কাজের সাহায্য করে তাই রাতে ঘুমানোর ঘুমোনোর ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগে শসা খাওয়াটাই সবচেয়ে ভালো।
শসা ও খিরার পার্থক্য
শসা বা খিরা দুইটাই সারা বছর পাওয়া যায়। শসার চাষ সারা বছরই হয়ে থাকে এটি সবজি হিসেবেও চাষ করে থাকে অনেকে। শরীরের নানা উপকারিতার সাথে সাথে রূপচর্চা রয়েছে এর বিশেষ ভূমিকা। শসা তে রয়েছে ফাইবার প্রোটিন ভিটামিন মিনারেল সোডিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ও দস্তা বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ যা আমাদের স্বাস্থ্য ও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
এছাড়া শসা কিডনির জন্য ক্ষতিকর না। শশা আর কিলার মধ্যে দুইটি পার্থক্য শসা খেতে তেতো হয় না এছাড়াও শসার আকার একটু বড় হয়। খিরা খেতে অনেকটাই তিতা লাগে আর খিরার সাইজ একটু ছোট হয়। তবে দুটি আমাদের শরীর ও ত্বকের জন্য উপকারী। শসা আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে শসাতে রয়েছে ফাইবার এলিমেন্টস যা আমাদের শরীরে পানির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় এবং শশা কলেজরল নিয়ন্ত্রণে রাখে শসা তে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম আমাদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে খুব সহজেই এমনকি শসা আমাদের বাড়িয়ে দেয়।
ত্বকের শসার উপকারিতা
শসা আমাদের ত্বকের আদ্রতা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া নিয়মিত শসা ব্যবহার করলে ব্রণের সমস্যা খুব সহজে দূর হয়ে যায় তাছাড়া ত্বক জ্বালাপোড়া করলে শসার রস লাগিয়ে রাখলে সে জ্বালাপোড়া খুব সহজে কমে যায়। শসা যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ঠিক তেমনি আমাদের ত্বকের জন্য বেশ উপকারী রোদে পোড়া দাগ ছোপ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা।
শসার রস দিলে খুব সহজে দূর হয়ে যায়। শসা আমাদের শরীরকে অনেকটা ঠান্ডা রাখে। ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা তুলে ধরতে শসার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে দাগ মুক্ত ত্বকের জন্য শসার রস মধু অথবা হলুদের সাথে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ত্বকের লাগিয়ে রাখলে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের দাগছপ দূর হয়ে যায় তবে এটি নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে।
শসা আমাদের ত্বকে হাইড্রেটেড রাখে এছাড়াও যদি গোলাপ জলের পানির সাথে গো শসার রস মিশিয়ে ত্বকে লাগানো হয় স্প্রে করা হয় তাহলে ত্বক উজ্জ্বল থাকে। অনেকের আবার দেখা যায় যে চোখের নিচে কালো দাগ থাকে তবে শসার রস নিয়মিত মুখে মাখলে এই দ্যাগ খুব সহজেই দূর হয়ে যায় কেউ যদি ফর্সা হতে চাই সেক্ষেত্রে শসার রস লেবু কিংবা মধুর সাথে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে।
নিয়মিত মাখলে তো খুব সহজেই ফর্সা হয়ে যায়। এছাড়াও ত্বকের বিভিন্ন ধরনের জীবাণু থেকে রক্ষা করে এই শসা শসাতে যেমন ত্বকের উপকার হয় ঠিক তেমনি আমাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকেও আমরা মুক্তি পেতে পারি যেমন কিডনি রোগ হজমের সমস্যা কোষ্ঠকাঠি রয়েছে এরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় গ্রাহক শসা সম্পর্কে আপনাদের এই তথ্য জানা ছিল কি যদি জানা না থাকে অবশ্যই জেনে গেছেন শসার বিশেষ উপকারিতা কিডনির জন্য শসা ক্ষতি করে কিনা এবং শসা ও খিরার মধ্যে পার্থক্য কি? শসা হচ্ছে আমাদের স্বাস্থ্যকর একটি খাবার যা সবজি হিসাবে খাওয়া হয়। কিন্তু এই শসা রান্না করে খাওয়ার থেকে কাঁচা অবস্থায় খাওয়া সবচেয়ে বেশি উপকারী।
শসা আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে সমাধান দেয় কিডনি রোগীদের জন্য শসা খাওয়ার পরামর্শ দেয় বিশেষজ্ঞরা। সেজন্য আজ থেকে প্রতিদিন সঠিক নিয়মে শসা খাওয়া শুরু করুন নিজেও খান এবং অন্যদেরকেও খাওয়ার পরামর্শ দিন শসা সম্পর্কে আমার লেখা আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে নিয়মিত নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন এবং সবার সাথে শেয়ার করে দিতে পারেন।
Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url