কুমড়োর বীজ কাঁচা খেলে কি হয়

আমাদের মাঝে অনেকেই হয়তো জানেনা কুমড়োর বীজ কাঁচা খেলে কি হয় প্রতিদিন কতটুকু খাওয়া উচিত। কাঁচা কুমড়ার বিচি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস। এছাড়াও রয়েছে অধিক পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব সহজেই বাড়িয়ে দেয়। আসুন কুমড়োর সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জেনে নিন।
কুমড়োর বীজ কাঁচা খেলে কি হয়


কাঁচা কুমড়ার বীজ খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। এমনকি হৃদরোগ ছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকে খুব সহজে কমিয়ে দেয়।

ভূমিকা

কুমড়ার বীজ খেলে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও কুমড়ো বীজ বিভিন্ন রকম ভাবে খাওয়া হয়। কুমড়ার বীজ কেউ সকালে নাস্তা সঙ্গে খাই কেউ বা ভেজে খায় অথবা সালাতের সঙ্গে মিশিয়ে খাই। এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। বীজ দেখতেও যেমন সুন্দর খেতেও অনেক বেশি সুস্বাদু এর পুষ্টিগুণ খুবই বেশি।

কুমড়োর বীজ খেলে বিভিন্ন ধরনের বড় বড় রোগের ঝুঁকি কমে। কারণ কুমড়োর বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও রয়েছে খনিজের পরিমাণ ও ভিটামিন এ। ভিটামিন এ যা আমাদের চোখের জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখে চোখে রোদ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব সহজে বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও রয়েছে ওমেগা থ্রি অ্যাসিড।

কুমড়ার বীজ কাঁচা খেলে কি হয়

কুমড়োর বীজ খেলে বিভিন্ন ধরনের রোগের হাত থেকে বাঁচা যায়। এছাড়াও বড় বড় রোগের ঝুঁকি কমে কুমড়ার বীজ অনেকে অনেক রকম ভাবে খেতে পছন্দ করেন। তবে কাঁচা অবস্থায় খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত। কুমড়ার বীজে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান।

ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, জিন্স, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যা পুষ্টির উৎস। কুমড়োর বীজ কাঁচা খেলে আমাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমে যায়। শরীরের ব্যথা কমে যায়। খুব সহজেই ব্যথা কমিয়ে দেয় এই কুমড়োর বীজ। কুমড়ার বীজ একটি প্রাকৃতিক উপাদান এটি খেলে আমাদের স্বাস্থ্যের কোন ক্ষতি হয় না।

হার্ট ভালো রাখতে কুমড়োর বীজে রয়েছে বিশেষ ভূমিকা। কুমড়োর বীজ ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত একটি খাবার যা আমাদের রক্তে কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয় এবং উচ্চ রক্তচাপ খুব সহজেই কমিয়ে দেয়। সেজন্য আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায় হৃদ যন্ত্র ভালো থাকে। বুক জ্বালাপোড়া এছাড়া বমি বমি ভাব ও কমে। যদি কুমড়োর কাঁচা বীজ খাওয়া হয়  কাঁচা বীজ মাংসপেশীর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করে দেয়।

এছাড়াও চুল লম্বা করতে রয়েছে বিশেষ ভূমিকা। অ্যামিনো এসিড যা আমাদের চুলের বৃদ্ধি বাড়িয়ে দেয়। চুল লম্বা করতে সাহায্য করে। কুমড়োর বীজ আপনি কাঁচা খেতে পারেন নয়তো সালাদ হিসেবে খেতে পারেন নয়তো ভেজে ও খেতে পারেন তবে তেল দিয়ে ভাজা যাবে না অবশ্যই শুকনো ভাজতে হবে যদি তেল দিয়ে ভাজেন তাহলে এর পুষ্টিগুণ কমে যায়।

প্রতিদিন কতটুকু কোমরের বীজ খাওয়া উচিত

কুমড়োর বীজে রয়েছে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কুমড়োর বীজে। এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও প্রোটিন উপাদান রয়েছে। ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, ফসফরাস ও প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি রয়েছে। কুমড়ার বীজে থাকে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।

বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। প্রতিদিন একটি মানুষ কুমড়োর বীজ ১০ থেকে ১৫ টির মতন খেতে পারবেন। তবে এটি তেলে না ভেজে এমনি ভাজা খাওয়াটা স্বাস্থ্যসম্মত। এছাড়াও যদি রোদে শুকিয়ে খাওয়া হয় সেটাও আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো
কুমড়ার বীজ খেলে ঘুমের সমস্যা দূর হয়ে যায় ঘুম খুব ভালো হয়। একজন সুস্থ ব্যক্তির জন্য কুমড়োর বীজ খাওয়াটা খুবই উপকারী। 

কুমড়োর বীজ খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। এছাড়াও কুমড়োর বীজ আমাদের কোলেস্টেরল মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। কুমড়ার বীজে থাকা ভিটামিন ই আমাদের ইমিউনিটি বাড়িয়ে দেয়। কুমড়ার বীজ খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। কারণ কুমড়োর বীজ রক্তের শতকরা মাত্রা বাড়িয়ে দেয় না শতকরার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

সেজন্য কুমড়ার বীজ খেলে ডায়াবেটিস ভালো হয়ে যায়। কুমড়োর বীজ খেলে হাড় মজবুত হয়। কুমড়োর বীজ থাকা ক্যালসিয়াম আমাদের হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে। তাছাড়াও কুমড়োর বীজ আমাদের হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। সেজন্য সুস্থ থাকলে আপনাকে অবশ্যই প্রতিদিন কুমড়োর বীজ ১০ থেকে ১৫ খেতে হবে।

কুমড়ার বীজের উপকারিতা

মিষ্টি কুমড়া মিষ্টি কুমড়া একটি সবজি আমরা সবজি হিসাবে এটিকে রান্না করে খেয়ে থাকি। এটির রং অনেকটা হলুদ এবং সবুজ। এটি সারা বছরই প্রায় পাওয়া যায়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, কপার, ভিটামিন ই, ফাইবার, আয়রন ও জিংক বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান।

কুমড়ার বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি এই ক্যালোরি আমাদের সুস্থ থাকতে খুব বেশি প্রয়োজন। প্রতিদিন আপনি ১০ থেকে ১৫ টি কুমড়োর বীজ খেতে পারেন। এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কুমড়ার বীজ আপনি বিভিন্ন রকম ভাবে খেতে পারেন রোদে শুকিয়ে ড্রাই ফুড হিসেবেও খেতে পারেন হয়তো বা ভেজে খেতে পারেন অথবা সালাত করে খেতে পারেন নয়তো রান্না করে খেতে পারেন।

আপনি যেভাবেই খান না কেন এটির পুষ্টিগুণ সবসময় একই থাকে। কুমড়োর বীজ প্রতিদিন যদি খাওয়া হয় তাহলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এবং শরীরের ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে কুমড়োর বীজ। আর আমাদের শরীরের যদি ইমিউনিটি ভালো থাকে তাহলে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করা খুব সহজ হয়ে যায়। কুমড়ার বীজের বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে এর মধ্যে কয়েকটি হল।

ডায়াবেটিস কুমড়োর বীজ যদি প্রতিদিন খাওয়া হয় তাহলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। কুমড়ার বীজে থাকা ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম আমাদের রক্তের শতকরা বাড়িয়ে দেয়। সেজন্য ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কুমড়ার বীজ খুবই উপকারী।

ওজন কুমড়োর বীজ রয়েছে ফাইবার ও প্রোটিন। ফাইবার আর প্রোটিন আমাদের পেট ভরে রাখতে সাহায্য করে। কুমড়োর বীজ যদি খাওয়া হয় তাহলে অনেক সময় ধরে পেট ভরা থাকে সেজন্য ক্ষুধা লাগে না। আর এ কারণে আমাদের ওজন খুব সহজেই কমে যায়।

হাড় মজবুত কুমড়োর বীজে রয়েছে ক্যালসিয়াম আমাদের হাড়ের জন্য খুবই উপকারী। কুমড়োর বীজ যদি ১০ থেকে ১৫ টি নিয়মিত খাওয়া হয়। তাহলে আমাদের মাংসপেশীর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যায়। হার মজবুত রাখে এমনকি মস্তিষ্ক ভালো রাখে।

কুমড়ার বীজ খাওয়ার নিয়ম

সুস্থ জীবন যাপন কে না চায় সবাই চায় সুস্থ জীবন যাপন করতে। আর সুস্থ জীবন যাপন করলে মনও ভালো থাকে। আপনি যদি সুস্থ জীবন যাপন করতে চান তাহলে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে। ভিটামিন ও প্রোটিন আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় এমন কিছু খাবার রাখতে হবে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

এর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে কুমড়ার বীজ। আপনি যদি প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ টি মিষ্টি কুমড়ার বীজ খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব সহজে বেড়ে যাবে। কুমড়োর বীজ কে বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায় আপনি চাইলে এটি ড্রাই ফুড হিসেবেও খেতে পারেন। সকালে নাস্তায় অথবা বিকালের নাস্তায় নয়তো সন্ধ্যার সময় খেতে পারেন। 

এটি তেল দিয়ে ভাজলে এর পুষ্টিগুণ একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। সেজন্য এটি রোদে শুকিয়ে খেতে পারেন। তাছাড়া তেল বাদে এমনি শুকনো ভেজে নিয়ে খেতে পারেন তাহলে এর পুষ্টিগুণ পাওয়া যাবে। কুমড়োর বীজ খাওয়ার নিয়ম বিকালে নাস্তায় অথবা সন্ধ্যায়। অনেকে আবার সালাত হিসাবেও খেয়ে থাকেন। অথবা রান্না করেও খাওয়া যায় এই বীজ।

মিষ্টি কুমড়োর বীজ খাওয়ার অপকারিতা

আমরা সবাই জানি মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা সম্পর্কে। মিষ্টি কুমড়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও ত্বক ঘুম হৃদযন্ত্র ও ডায়াবেটিসের জন্য বিশেষভাবে উপকারী এই মিষ্টি কুমড়ার বীজ। চোখের যত্নে রয়েছে বিশেষ ভূমিকা । তাছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা খুব সহজে দূর করে দেয়। মিষ্টি কুমড়ার বীজ গর্ভবতী মায়েদের জন্য মিষ্টি কুমড়ার বীজ খুবই উপকারী একটি খাবার।

মিষ্টি কুমড়ার বীজে আছে ভিটামিন, নিয়াসিন, আঁশ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আয়রন, ভিটামিন বি ৬, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন এ যা আমাদের ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি কমায় মিষ্টি কুমড়ার বীজ । তবে এর যেমন উপকারিতা গুণ অনেক রয়েছে তেমন এর কিছু অপকারিতা ও রয়েছে। তবে এর অপকারিতা গুণগুলো খুবই কম।

মিষ্টি কুমড়া যদি বেশি পরিমাণে খাওয়া হয় তাহলে গর্ব অবস্থায় মায়ের সমস্যা হতে পারে। এমনকি সন্তানেরও বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও মিষ্টি কুমড়া খেলে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। এলার্জি সমস্যা হতে পারে এমন কি পেট ফাঁপা বমি বমি ভাব বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে । সেজন্যে অবশ্যই মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে খাওয়াটা উচিত।

লেখকের শেষ কথা

মিষ্টি কুমড়ার বীজ হলো একটি স্বাস্থ্যকর খাবার আমরা যদি এটি প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ টা খেয়ে থাকি তাহলে আমাদের দেহের বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি কমে যায়। এমনকি এটি আমাদের ত্বকের জন্য খুব ভালো এছাড়াও চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে মিষ্টি কুমড়ার বীজ। এছাড়াও ক্যান্সার হৃদরোগ ডায়াবেটিস বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। সেজন্যে আসুন মিষ্টি কুমড়ার বীজ আমরা প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ টি খাবার অভ্যার্স করি নিজেও খাই এবং অন্যদেরকেও খাবার পরামর্শ দিই।

এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী । আর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কে না চাই আমরা সবাই চাই যে আমাদের দৈনন্দিন জীবন খুব ভালো কাটুক। তবে দৈনন্দিন জীবন ভালো কাটার জন্য আপনি কি খাচ্ছেন কতটুকু খাচ্ছেন সে বিষয়ে একটু খেয়াল রাখতে হবে। আমার লেখাটি  যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। এবং আপনার আত্মীয় স্বজন সবার সাথে শেয়ার করে দিতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url