অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করলে কি হয়
অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করলে কি হয় অনেকের জানা নেই আবার মোবাইল ফোনের কি কি ক্ষতি হয় সে সম্পর্কে জানা নেই আসুন তাহলে সঠিক তথ্যটা জেনে নিই অতিরিক্ত ব্যবহার করলে আমাদের ঘুমের সমস্যা ও ব্রেনের সমস্যা হতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার করলে মানুষের কর্ম ক্ষমতা চিন্তাশক্তি অনেক বেশি কমে যায়। এছাড়াও চোখের সমস্যা হতে পারে অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার করলে।
অতিরিক্ত যদি স্মার্টফোন ব্যবহার করা হয় তাহলে শরীরের সাথে সাথে ত্বকের ও সমস্যা হতে পারে। তাকে বিভিন্ন ধরনের ড্রাক সাকেল ও কালো কালো দাগ দেখা দিতে পারে চোখের নিচে।
ভূমিকা
মোবাইল ফোন বা স্মার্টফোন আমাদের প্রজন্মকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে আবার এর থেকে উপকার হচ্ছে আপনি যদি দীর্ঘ সময় একটি মানুষের সাথে ফোনে কথা বলেন তাহলে আপনার মাথা ও ঘাড়ে সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও যদি মোবাইল ফোনে সারারাত ধরে চ্যাটিং করেন তাহলে মোবাইলের আলোটা সরাসরি চোখে গিয়ে পড়ে চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে মোবাইল ফোনের ভালো দিকগুলো হয়েছে মোবাইল ফোন থেকে আমরা সারাদেশের বিভিন্ন ধরনের তথ্য গুলো জানতে পারি। দইয়ের খারাপ প্রভাবটা আমাদের ছাত্র জীবনের সবচেয়ে বেশি পরে পড়ালেখা বাদ দিয়ে ফোন দিয়ে দিনরাত ২৪ ঘন্টা অনেকেই পড়ে থাকে।
অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করলে কি হয়
স্মার্ট ফোন আমাদের সবার ঘরে ঘরে স্মার্টফোন আছে তবে আগে কিন্তু স্মার্টফোন সবার ঘরে ছিল না তবে এটি ব্যবহার করে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয় মানুষ। মোবাইল ফোন যদি অনেক সময় ধরে ব্যবহার করা হয় তাহলে শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। ঘন্টার পর ঘন্টা অনেক মানুষই ফোন ব্যবহার করে তবে এই ফোন ব্যবহার করতে গিয়ে তারা যে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হয়তো বা তারা সেটা এখনো বুঝতে পারছে না।
পরবর্তী সময়ে দেখা যাবে যে তাদের মাথাব্যথা ও চোখের সমস্যা হতে পারে। তেজস্ক্রিয় একটি পদার্থ হচ্ছে মোবাইল বা স্মার্টফোন যা আমাদের শরীরে ক্ষতি করতে পারে এছাড়া ফোনের কারণে আমাদের ক্যান্সার টিউমার হতে পারে। অতিরিক্ত যদি মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হয় তাহলে ত্বকের ও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে ফোন ব্যবহার করলে আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য একদমই ভালো থাকে না।
তাই আমাদের উচিত কম কম ব্যবহার করা অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার করলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বর্তমানে বড় মানুষের থেকে ছোটদের ফোনের প্রতি বেশি আকর্ষণ থাকে অনেকেই ছোট বাচ্চাদের হাতে স্মার্টফোন দিয়ে রেখে দেয় কিন্তু এই স্মার্টফোন দেয়ার জন্য তাদেরও শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। একটু ভেবে দেখবেন এখন কার সময়ে ছোট্ট দের মাথা ও চোখে সমস্যা হয়।
ফোনের দিকে যখন অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকা হয় তখন এটি চোখের পড়ে একটি খারাপ প্রভাব ফেলে এতে চোখে ঝাপসা দেখা যায় ও চোখ জ্বালাপোড়া চোখে ব্যথা করে। চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতে অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার না করাটাই ভালো অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার করলে চোখে তার প্রভাব পড়ে সেটা থেকে মাথাতে সমস্যা হতে পারে। আপনি যদি অন্ধকার রুমে বসে থেকে ফোন ব্যবহার করেন তাহলে ফোনের স্ক্রিনের আলো অনেক বেশি বেড়ে যায় আর চোখে বেশি প্রভাব ফেলে।
ফোনে কি কি ক্ষতি হয়
মোবাইল ফোন আমাদের অনেক সমস্যার কারণ এছাড়াও মোবাইল ফোন আমাদের জীবনযাপন চলাফেরা কে একদম সহজ করে তুলেছে। আমরা ঘরে বসে থেকে বিভিন্ন খবর শুনতে পাই ও দেশের বাইরের বিভিন্ন ধরনের তথ্য খুব সহজেই জানতে পারি স্মার্টফোন ব্যবহার করে। স্মার্টফোনের ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য পেতে পারি এতে যেমন সুবিধা আছে ঠিক তেমনি এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
স্মার্টফোন আমাদের স্বাস্থ্যকে ঝুঁকিতে ফেলেছে। অতিরিক্ত যদি ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকানো হয় তাহলে ঘাড়ে ব্যথা চোখে ব্যথা শুরু হতে পরে। এছাড়াও স্মার্টফোন আমাদের উচ্চ রক্তচাপ টিউমার ও ক্যান্সারের মতো বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় স্মার্টফোন বড়দের সাথে সাথে ছোটদেরও অনেক বেশি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে শারীরিক। আসুন জেনে নিই স্মার্টফোনের কিছু ক্ষতিকর দিকগুলো।
ব্রেন ক্যান্সার আপনি যদি স্মার্টফোন অনেক বেশি ব্যবহার করেন বা ইন্টারনেটে ঢুকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য মেসেঞ্জার চ্যাটিং সোশ্যাল মিডিয়া বেশি বেশি ব্যবহার করেন তাহলে ফোনের স্কিনের আলো টা সরাসরি আপনার চোখে পড়ে চোখ থেকে মাথাতে সমস্যা সৃষ্টি হয় আর সে থেকে ব্রেন টিউমারের সমস্যা থেকেই যায়। অতিরিক্ত যদি আপনি ফোন ব্যবহার করেন তাহলে ব্রেন টিউমারের সমস্যা খুব সহজেই দেখা দিতে পারে।
ঘুমের সমস্যা আমরা সবাই জানি আমাদের ঘুমের প্রয়োজন আছে সাত থেকে আট ঘন্টা তবে আপনি যদি অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ঘুম সহজে আসবেনা অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার করতে করতে দেখবেন কখন সময় পার হয়ে গেছে সে সময় আপনার আর ঘুম আসবে না অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার করলে যেমন মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় ঠিক তেমনি আমাদের ঘুমে ও প্রভাব ফেলতে পারে অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার করলে।
ত্বকের ক্ষতি স্মার্টফোনের ভিতরে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু থাকে আর সেই জীবাণুগুলো আপনি যখন স্মার্টফোন ব্যবহার করেন ঠিক তখনই আপনার ত্বকে প্রবেশ করে ত্বকে প্রবেশ করে ত্বকের স্বাস্থ্য নষ্ট করে ফেলে। অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার করার কারণে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে যায় এছাড়া ত্বকে ব্রণ ও বিভিন্ন বলিরেখা দেখা যায় ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যায়।
মাথা ব্যথা আপনি যখন ফোন ব্যবহার করছেন ঠিক সেসময়ে আপনার মাথাতে তার প্রভাবটা পড়ছে যে আপনি কতটুকু ফোন দেখছেন ফোনের স্ক্রিনের দিকে কতটুকু তাকিয়ে আছেন সে প্রভাবটা আপনার মাথার উপরে গিয়ে পড়ে আর মাথার উপরে যখন প্রভাবটা পড়ে ঠিক সে সময় মাথাব্যথা সমস্যা সৃষ্টি হয়। মাথা ব্যথা থেকে মাথাতে বিভিন্ন ধরনের রোগের ও সৃষ্টি হতে পারে সেজন্য অবশ্যই আমাদেরকে ফোন একটু কম ব্যবহার করতে হবে।
হাতে ব্যথা আপনি যখন ফোন হাত দিয়ে ধরে আছেন তখন দেখবেন হাত দিয়ে ধরতে ধরতে হাতে ব্যথা শুরু হয়ে যায় নিশ্চয়ই যখন অতিরিক্ত ফোন দেখেন ঠিক ৩ থেকে ৪ ঘন্টা যদি আপনি একইভাবে ফোন ধরে থাকেন তাহলে হাতের কব্জিতে ব্যথা শুরু হতে পারে এছাড়াও যন্ত্রণার অনুভূতি হতে পারে।
চোখের ক্ষতি আমরা সবাই জানি যখন স্মার্ট ফোন ব্যবহার করা হয় তার স্কিনের দিকে তাকালে সর্বপ্রথম আমাদের প্রেসার টা পরে চোখে একটানা যদি আপনি স্কিনের উপরে তাকিয়ে থাকেন তাহলে চোখের পলক ফেলেন না এতে চোখের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে চোখে আচ্ছা দেখাও চোখে ব্যথার মতন সমস্যা খুব সহজেই হয় এছাড়া চোখের সাথে ঘাড় ব্যথা শুরু হতে পারে আপনি যদি অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার করেন।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায়
আমরা বিভিন্ন প্রয়োজনে সব সময় ফোন ব্যবহার করে থাকি বর্তমানে ফোনের ব্যবহার প্রায় ৯৯ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি তরুণ সমাজ কারণ ফোন থেকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য ভিডিও এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খবর পাওয়া যায় এক জায়গাতে বসে থেকে প্রায় এক মিনিটে অনেকগুলো তথ্য খুব সহজেই জানা যায়। এছাড়াও দেশের বাইরে কোথায় কি হচ্ছে কখন কি ক্ষতি হচ্ছে এগুলা খবরও খুব সহজে স্মার্টফোন দিয়ে পাওয়া যায়।
কিন্তু এই অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার করার ফলে আমাদের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হচ্ছে সেটা আমরা নিজেরাও হয়তো বা বুঝতে পারি কিন্তু বোঝার পরও নিজেরা কখনো চেষ্টা করি না যে এর ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচা যায় কিভাবে। আসুন তাহলে সেই সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিন ন স্মার্টফোন আমাদের চোখের সমস্যা করতে পারে চোখের ব্যাথা ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে।
এই সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে অবশ্যই মোবাইল ফোন টিকেট ট্রাক মোডে রাখতে হবে ডার্ক মুড করে আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন। বর্তমানে সময়ে আমাদের মোবাইল ফোনের সবারই ডার্ক মোড অপশনটি আছে। আপনি যখন রাত্রে ফোনটি ব্যবহার করবেন তখন ট্রাক মোড করে রাখলে ফোনের রংটা একেবারে কালো হয়ে যায় এ থেকে আপনার চোখের সমস্যা বা ক্ষতি কর দিক থেকে রেহাই পাবেন।
স্কিনের উজ্জ্বলতা কমে যায় আমাদের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে যদি অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার করা হয় ফোনে থাকে কিছু ব্যাকটেরিয়া আর সে ব্যাকটেরিয়া গেল আমরা যখন ফোন ব্যবহার করি ঠিক তখনই আমাদের স্ক্রিনে চলে যায় সে থেকে স্কিনের উজ্জ্বলতা কমিয়ে দেয় বিভিন্ন ধরনের বলিরেখাও দেখা দিতে পারে সে ক্ষেত্রে আপনার করণীয় অবশ্যই স্মার্টফোনটিকে পরিষ্কার করে রাখতে হবে পরিষ্কার করে রাখলে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া জীবাণু ফোনে থাকে না।
সে থেকে স্কিনের কোন সমস্যা হতে পারে না। শিশুদের ক্ষতি শিশুরা অনেক সময় ফোন দেখে অনেক সময় ধরে। এতে তাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে শিশুদের বেশি প্রভাব তাদের মস্তিষ্কের উপরে পড়ে সেজন্য অবশ্যই শিশুদেরকে ফোন থেকে দূরে রাখব তাহলে এটি তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হবে। আমরা যদি একটু সতর্কতা অবলম্বন করে মোবাইল ফোন ব্যবহার করি তাহলে সে ক্ষতিকর দিকগুলো থেকে আমরা নিজেই নিজেদেরকে বাঁচাতে পারি।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের ভালো দিকগুলো
মোবাইল ফোন আমাদের ঘরে বসে থেকে আমরা বিভিন্ন ধরনের তথ্য খুব সহজেই জানতে পারি বিভিন্ন দেশের অবস্থা কোথায় কি হচ্ছে আবহাওয়া খবর ও বিভিন্ন ধরনের সিমের অফার যাবতীয় সব জিনিস আমরা এই ফোন থেকে জানতে পারি ফোনের মেসেঞ্জার থেকে আমরা সবাই কথা বলতে পারি চ্যাটিং করতে পারি আমাদের যোগাযোগ খুব সহজ হয়ে যায়।
- খুব সহজে আমরা আত্মীয়-স্বজনের বন্ধু-বান্ধবের সাথে যোগাযোগ করতে পারি
- স্মার্ট ফোন থেকে আমরা যেকোনো বিষয়ে অনেক সহজেই জানতে পারি
- স্মার্ট ফোন থেকে আমরা বিভিন্ন ধরনের তথ্য খুঁজে বের করতে পারি
- ব্যবসার বিভিন্ন ধরনের তথ্য জানতে পারি এছাড়াও কিভাবে ব্যবসা করে লাভবান হওয়া যায় সেটাও জানতে পারি
- বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষার ফলাফল ও পরীক্ষার রেজাল্ট জানতে পারি
- কোথায় ভর্তি হবে ভর্তি ফরম কখন ছাড়ে সেগুলো আবেদন করতে পারি ফোন থেকে
- বিভিন্ন ধরনের ইউটিউব ভিডিও তৈরি করে facebook থেকে ইনকাম করতে পারা যায়
- এছাড়াও ফোন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হওয়া যায়
- যেকোনো ধরনের বই পাওয়া যায় এবং সে বইগুলো পড়া যায়
- বাসের টিকিট ট্রেনের টিকিট স্মার্টফোন থেকে কাটা যায়
- কোথায় সবচেয়ে বেশি ভালো ডাক্তার আছে কোন রোগের জন্য কোন ডাক্তার ভালো সে খবর জানা যায়
- ফোন থেকে বিভিন্ন ধরনের গেম খেলে টাকা ইনকাম করা যায়
মোবাইল ফোন যেমন আমাদের ক্ষতিকর ঠিক তেমনি আমাদের অনেক কিছু সুবিধা রয়েছে মোবাইল ফোনে এই সুবিধা গুলো আমরা যদি মোবাইল ফোন না থাকতো অনেক কষ্টে তথ্যগুলো জোগাড় করতে হতো তবে স্মার্টফোন হাতের কাছে থাকার জন্য কোন তথ্য জন্য কষ্ট করা লাগে না রুমে বসে থেকেই বিভিন্ন ধরনের তথ্য খবর আমরা জানতে পারি। এক কথায় বলা যায় স্মার্টফোন আমাদের জীবনকে খুব সহজ করে তুলেছে।
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনে অনেক বেশি ক্ষতিকর দিকগুলো রয়েছে বর্তমানে ফোনে বিভিন্ন ধরনের গেমস এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস রয়েছে যেগুলো নিয়ে আমরা সবসময়ই বেশি বেশি সময় দিয়ে থাকি তবে ছাত্র জীবনে আমাদের সময় গুলো অবশ্যই পড়াশোনার প্রতি দেয়া উচিত। এই গেম বিভিন্ন ধরনের সাইট বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আমাদের ছাত্র জীবনের পরে অনেক বেশি প্রভাব ফেলছে।
আগের থেকে এখন স্মার্টফোনের ব্যবহার অনেক বেশি বেড়ে গেছে প্রতিটা পরিবারে স্মার্টফোন ব্যবহার করে এমন ব্যক্তি রয়েছে স্মার্টফোনের যেমন অনেক বেশি ভালো দিক রয়েছে ঠিক তেমনি এর ক্ষতিকর দিকগুলো রয়েছে যা আমাদের ছাত্র জীবনের প্রভাব ফেলে ছাত্র জীবনটা হচ্ছে পড়াশোনা করে নিজে কিছু একটা করা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া তবে আমরা যদি ফোন দিয়ে সবসময় বসে থাকে তাহলে আমাদের পড়াশোনার ক্ষতি হতে পারে।
বেশিরভাগ ছাত্রদেরকে দেখা যায় পড়াশুনার প্রতি মনোযোগ না দিয়ে তারা ফোন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের গেমস খেলতে ব্যস্ত থাকে এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ফেসবুক ভিডিও ইউটিউব ভিডিও ও instagram নিয়ে সবসময় পড়ে থাকে। ছাত্র জীবনে আপনি যদি ফোন অতিরিক্ত ব্যবহার করেন তাহলে চোখের সমস্যা হতে পারে চোখে ব্যথা চোখে ঝাপসা দেখা এ ধরনের সমস্যা রয়ে যায়।
এছাড়াও চোখ থেকে সরাসরি মাথাতে তার প্রভাব ফেলে মস্তিষ্কে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে যেমন ব্রেন টিউমার এছাড়া আপনি যদি অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার করেন তাহলে মেজাজ খিটমিটে হয়ে থাকে অতিরিক্ত ফোন আমাদের দৃষ্টি শক্তি কমিয়ে দেয়। আপনি যদি নিজের দৃষ্টি ভালো রাখতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ফোন কম ব্যবহার করতে হবে এছাড়া ফোন ব্যবহার করলে ঘুমের সমস্যা হতে পারে।
আপনি অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার করলে ঘুমের সমস্যা হবে এটি একটি স্বাভাবিক বিষয়। ছাত্র জীবনের সাথে ফোন এমন ভাবেই জড়িয়ে গেছে যে ছাত্ররা মাঝেমধ্যে কাজ ফাঁকি দিয়ে তারা ফোন নিয়ে পড়ে থাকে এছাড়াও অনলাইনে কাজ করে। মোবাইল ফোন যদি শিক্ষার কোণের কাজে লাগানো যেত তাহলে মোবাইলে ফোনের অপকারিতা ছাত্র জীবনের থাকত না। অবশ্যই ফোন ব্যবহার করলে একটু কম ব্যবহার করাই উচিত যাতে আমাদের শারীরিক ও মানসিক কোন সমস্যা না হতে পারে এছাড়াও ছাত্র জীবনে যাতে কোনো প্রভাব না ফেলে।
লেখকের শেষ কথা
অবশেষে বলা যায় যে ফোন আমাদের ক্ষতিও করে এছাড়া খুন আমাদের অনেক বেশি উপকার লাগে দৈনন্দিন জীবনে চলতে গেলে ফোন আমাদের প্রয়োজন স্মার্টফোন ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের তথ্য আমরা খুব সহজেই পেয়ে যায় এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার আইডিয়া প্লেনের টিকিট ট্রেনের টিকিট এছাড়াও বিকাশ থেকে পেমেন্ট করা সবকিছুই আমরা ফোন থেকে করতে পারি।
সবশেষে দেখা যায় ফোনের ক্ষতিকর দিক গুলোর থেকে উপকারিতা একটু বেশি আছে। এরপরও আমাদেরকে ফোন ব্যবহার করলে অবশ্যই অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার করা যাবে না যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকু ব্যবহার করতে হবে অযথা সময়ে ফোন ব্যবহার করা একদমই ঠিক না এতে আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। আমার লেখা আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে নতুন নতুন তথ্য পেতে প্রতিদিন আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন।
Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url