কোন ভিটামিনের অভাবে গা ঘামে
আসুন আমি জেনে নিই কোন ভিটামিনের অভাবে গা ঘামে ও শীতে ঘাম হওয়া কোন রোগের লক্ষণ। ভিটামিন বি ১২ অভাবে অতিরিক্ত গা ঘামে। অধিকাংশই মানুষ অতিরিক্ত গরমের যন্ত্রণায় ভুগেন এতে হাত-পা মুখ ঘেমে যায়। ঘামের বিরক্তিকর অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে অবশ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেয়া উচিত।
ঘাম হচ্ছে খুবই অসহ্যজনক একটি বিষয়। এই ঘাম থেকে বাঁচতে বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন ধরনের ক্রিম থেরাপি ও ইনজেকশন দিয়ে থাকেন। ঘাম দূর করার জন্য।
ভূমিকা
ঘাম শারীরিক দুর্বলতা থেকে হয়ে থাকে। সেজন্য পুষ্টিকর খাবার খেতে হয় যেমন শাক-সবজি ও ফলমূল বেশি পরিমাণে খেতে হয়। এছাড়াও আয়োডিন যুক্ত খাবার খেলে ঘাম কম হয়। যেমন ব্রকলি গরুর মাংস সাদা পেঁয়াজ ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের খাবার বেশি বেশি খেলে ঘাম কম হয়। ঘাম সাধারণত ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে হয়। তাছাড়া গরমের সময় ঘাম হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এই ঘামের পরিমাণ হয়তো কারো কারো বেশি আবার কারো কম। ঘাম যেমন একটি বিরক্তি কর ঠিক তেমনি একটি বিভিন্ন ধরনের রোগের কারণও হতে পারে। এছাড়াও ঘাম বেশি হলে শরীরে ক্লান্তি চলে আসে।
কোন ভিটামিনের অভাবে গা ঘামে
অনেকেই হয়তো জানে না কোন ভিটামিনের অভাবে গা ঘামে ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে গা ঘামে। ঘাম একটি খুবই বিরক্তিকর জিনিস। অতিরিক্ত ঘাম মানুষের মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে। শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্লান্তি চলে আসে এছাড়া বিভিন্ন ধরনের রোগও হতে পারে। যেসব খাবারে ভিটামিন বি ১২ বেশি থাকবে সেগুলো খাবার খাওয়া উচিত। তাহলে ঘাম কম হবে যেমন ডিম দুধ কলা সবুজ শাক ছোট মাছ ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের খাবার।
তাছাড়া বেশি করে পাকা ফলমূল যেমন পেঁপে তরমুজ আম কামরাঙ্গা খেলে ঘাম কম হয়। শারীরিক দুর্বলতা দূর হয়ে যায়। আয়োডিন যুক্ত খাবার যেমন মাছ মাংস ব্রকলি পেঁয়াজ খেতে পারেন। তাছাড়া সারাদিনে যদি পর্যাপ্ত পানি পান করেন তাহলে ঘাম খুবই কম হয়। হাতে পায়ে বিভিন্ন ধরনের পাউডার দিয়া থেকে বিরত থাকুন কারণ পাউডার দিলে ঘাম আরো বেশি বেড়ে যায়।
যদি অতিরিক্ত ঘাম হয় তাহলে হাত-পা ও মুখে বেশি বেশি করে পানি দিন। এছাড়াও ঘাম হওয়ার আরো কয়েকটি বিশেষ কারণ রয়েছে যেমন দুশ্চিন্তার রাগ উত্তেজনা বিভিন্ন ধরনের কারণে ঘাম হতে পারে। ঠান্ডা পরিবেশেও অনেকের হাতে পা ঘেমে যাই। এছাড়াও অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন করলে ঘাম হতে পারে।
শীতে ঘাম হওয়া কোন রোগের লক্ষণ
গরমের দিনে ঘাম হওয়া একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া কিন্তু অনেকের আবার শীতের সময়ও ঘাম হয়। এই পরিস্থিতি থেকে আপনাকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। আপনার যদি বিভিন্ন রকম রোগের সমস্যা হয়ে থাকে যেমন হাটের সমস্যা তাহলে শীতে ঘাম হবে। আর আপনি গরম অনুভব করবেন এছাড়াও শ্বাসকষ্ট সমস্যা হতে পারে।
হাডে যদি ব্লগ থাকে তাহলে শরীরের অতিরিক্ত ঘাম হবে। গরমের সময় সবার কমবেশি ঘাম হবে এটা স্বাভাবিক তবে সব সময় ঘাম হওয়াটা স্বাভাবিক নয়। অনেকে আবার রাতে ঘুমিয়ে থাকলে ঘেমে যাই। অতিরিক্ত ঘাম এটি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের রোগের লক্ষণ। যারা স্নায়ুর রোগে আক্রান্ত হন তাদের অনেক ঘাম হয়। এছাড়াও কয়েক রকমের ক্যান্সারও হতে পারে।
যদি রাতে ঘাম হয় পাশাপাশি জ্বর হয় তাহলে ওজন কমে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। শীতের সময় ঘাম হলে শরীরের ওজন কমে যায় অথবা থাইরয়েডের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। শীতে ঘাম হওয়ার কিছু কারণ হলো তেল মশলা জাতীয় খাবার খাওয়া ডায়াবেটিস কিডনির জন্য খুবই খারাপ এইসব কারণেই শীতে ঘাম হয়। ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে গা ঘামে।
অতিরিক্ত ঘাম দূর করার ঘরোয়া উপায়
গ্রীষ্মকালের সময় গরম একটু বেশি পড়ে। এই গরমে যন্ত্রণায় অনেকেই ভোগে থাকেন পায়ের তালু বগল অতিরিক্ত ঘেমে যাই। এটি এক ধরনের রোগ যা স্নায়ু পদ্ধতির জন্য বিশেষ করে হয়ে থাকে। আর ঘাম হয় সাধারণত ভিটামিন বি ১২ অভাবে তাই যেসব খাবারের ভিটামিন বি ১২ থাকে আমাদের উচিত সেগুলো খাবার গ্রহণ করা। দুধ কলা সবুজ শাকসবজি মাছ ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের খাবারে ভিটামিন বি ১২ থাকে।
এছাড়া ভিটামিন বি পরিবার বি ওয়ান বি টু বি থ্রি। বেশি বেশি শাক-সবজি ও পাকা ফলমূল খাবেন যেমন আম কামরাঙ্গা পেঁপে তরমুজ যা আমাদের ঘামের জন্য খুবই উপকারী ।শরীরের দুর্বলতা থেকে ঘাম হয়ে থাকে। আবার পুষ্টিকর খাবার না খেলে ও ঘাম বেশি হয়ে থাকে। অতিরিক্ত ঘাম হলে আয়োডিন যুক্ত খাবার খেতে থেকে বিরত থাকতে হবে।
আয়োডিন যুক্ত খাবার যেমন গরুর মাংস পেঁয়াজ লবণ এগুলো খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন। তাছাড়াও হাতে পায়ে মাখার জন্য কোন ক্রিম পাউডার ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকুন। পাউডার ব্যবহার করলে ঘাম বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেয় অতিরিক্ত ঘাম হলে মেডিসিন নিতে অথবা ক্রিম ইনজেকশন এমনকি থেরাপি নিতে বলেন সারা জীবনের সমস্যায় একটি হচ্ছে ঘাম।
নিয়মিত যদি ব্যায়াম করা হয় তাহলে শরীর ঝরঝরে থাকে। তাছাড়া নিয়মিত হাঁটাচলা করাও ভালো ছোট ছুটি কাজ করতে হবে আর প্রচুর পরিমাণে পানি খেলে ঘাম কম হবে। ঘাম নিয়ন্ত্রণ করার ঘরোয়া উপায় হচ্ছে বেকিং সোডা। বেকিং সোডা নিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে সে মিশ্রণটি হাতে পায়ে ও বগলের ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে তাহলে উপকার পাওয়া যাবে। তাছাড়া চন্দন যদি ব্যবহার করা হয় তাহলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে। চন্দন বেটে একটি পেস্ট তৈরি করে ঘাম যে স্থানে বেশি হয় সেখানে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট লিখে দিলে তারপরে ধুয়ে ফেললে ঘামের সমস্যা অনেকটাই কমে যায়।
ঘুমানোর সময় শরীর ঘামে কেন
রাতে ঘুমানোর সময় শরীরের তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়। সেজন্য ঠান্ডার সময়ও অতিরিক্ত ঘাম হয়। আর গরমের দিনে অধিকাংশ মানুষে মাত্রা অতিরিক্ত ঘেমে যায়। কারণ গরমে ঘাম হওয়াটাই খুব স্বাভাবিক। রাতে ঘাম হওয়ার কারণ যদি অতিরিক্ত রাত জাগা হয় তাহলে রাতে ঘাম হয়। ঘাম নিয়ন্ত্রণ করার উপায় হল তাপমাত্রা কম থাকা বা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ঘুমান তাহলে ঘাম হওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
রাতে ঘুমানোর সময় ঘাম কমানোর কিছু উপায় রয়েছে যেমন মসলাদার খাবার অ্যালকোহল এগুলো বাদ দেওয়া। রাতে ঘুমোনোর সময় অবশ্যই নরম বিছানার চাদর ও বালিশের কাভার ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও বালিশের নিচে বরফের ব্যাগ রাখতে পারেন। তবে নির্দিষ্ট সময় মতন বদল করে নিতে হবে। তাছাড়াও উচ্চ রক্তচাপের কারণে যদি ওষুধ খাওয়া হয় তাহলে ঘাম হতে পারে। রাতে ঘাম হওয়ার ওষুধ সম্পর্কে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আর যদি রাতে ঘাম হয় তাহলে খুবই একটা বিরক্ত লাগে। কারণ রাত্রে তো মানুষ নিশ্চিন্তে একটু ঘুমায় আর যদি ঘাম হয় তাহলে বারবার ঘুমটা ভেঙে যেতে পারে।
মাথা ঘামলে কি চুল পড়ে
মাথায় ঘাম জমলে তৈলাক্ত হয়ে যায়। সেজন্য চুল পড়ে যায়। গ্রীষ্মকালে সবচেয়ে বেশি গরম পড়ে আর এই গরমে সবাই অতিরিক্ত মাত্রায় ঘেমে যায়। তবে কেউ বা একটু বেশি কেউ একটু কম। শরীরের সাথে সাথে মাথা ঘেমে যায়। আর মাথা ঘেমে চিরুনিতে চুল উঠে আসে অনেক। কিন্তু যদি ঘরোয়া একটি প্যাক বানিয়ে মাথায় ব্যবহার করা হয় তাহলে চুল ঝরে পড়ে না। একটি পাত্রে লেবুর রস নিতে হবে তাতে অল্প কিছু জল সাথে হবে।
এরপর হালকা করে মাথাতে মেসেজ করতে হবে। তারপরে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে দেওয়ার পর তেল দিতে হবে মাথায়। তেল দিয়ে ১০-১৫ মিনিট রাখার পরে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিতে হবে। যদি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এইভাবে ব্যবহার করা হয় তাহলে চুল পড়া খুব সহজে কমে যায়। ঠান্ডার সময় চুল কম পড়ে কারণ মাথা ঠান্ডা হয়ে থাকে তখন। গরমে মাথা ঘামলে যদি চুলে খুশকি থাকে তাহলে সমস্যা বেড়ে যায়। চুলের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায়।
লেখকের মন্তব্য
গরমের সময় কম-বেশি সবারই গা ঘেমে যায়। কারো বা অতিরিক্ত বেশি কারো একটু কম তবে সবার গা ঘেমে যায়। এতে শরীরে অনেক ক্লান্তি চলে আসে। ভিটামিন বি ১২ অভাবে আমাদের গা ঘেমে যায় । আবার অনেকের দেখা যায় যে শীতের সময় গা ঘামে এটি একটি রোগের লক্ষণ যাদের শীতে গা ঘামে তাদের হয়তো ডায়াবেটিস বা থাইরয়েড সমস্যা আছে।
সেজন্য শীতের সময়ও গা ঘেমে যাই। এটি একটি রোগের লক্ষণ। শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত হয়ে গেলে গা ঘেমে যাই তবে যদি ভিটামিন ও আয়োডিন যুক্ত খাবার খাওয়া হয় তাহলে গা ঘামে না তাই আসুন আমরা গরমের সময় ভিটামিন ও আয়োডিন যুক্ত খাবার খাই যাতে আমাদের গা ঘামার সমস্যা দূর হয়ে যায়।
কারণ এতে থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে। আজ থেকে নিজেও সাবধান হয় এবং অন্যদেরকেও সাবধান করে দিই। আমার লেখা এই আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে প্রতিদিন নিত্যনতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। কোন ভিটামিনের অভাবে গা ঘামে এই লেখা যদি ভালো লাগে তাহলে আপনার আত্মীয়-স্বজন সবার সাথে শেয়ার করে দিতে পারেন।
Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url