কপিরাইটিং জিনিসটা আসলে কি সেই সম্পকে জানুন
প্রিয় পাঠক আপনাদের মাঝে অনেকেই হয়তো জানেনা কপিরাইটিং জিনিসটা আসলে কি ও ব্যাকরণগত ভুল সংশোধনের উপায় সম্পকে জানেনা আসুন তাহলে আমরা জেনে নিই সঠিক তথ্যটা। কপিরাইটিং হচ্ছে কাউকে কিছু জিনিস বুঝিয়ে শুনিয়ে বলা বা সেই জিনিসটা বুঝিয়ে কিনিয়ে নেওয়া। এই বিষয়টাকে কপিরাইট বলা হয় কপিরাইট বিভিন্ন রকমের হতে পারে।
ব্যবসা পরিচালনা করতে পণ্য সার্ভিসের জন্য কপিরাইট করা সবচেয়ে বেশি ভালো। এছাড়াও কপিরাইট বলতে আমাদের বাস্তব জীবনের চারপাশের সবকিছুকে আমরা পরিষ্কার ও সহজ ভাষায় বলতে পারাটাকেই কপিরাইট বলে।
কপিরাইটিং জিনিসটা কি
কপিরাইটিং বলতে আমরা বুঝি ব্যবসা বা সার্ভিস বাড়ানো। ব্যবসা বা সার্ভিস বাড়ানোর জন্য মানুষ কপিরাইটিং করে যে কোন পণ্য বা প্রোডাক্ট। বর্তমান যুগের সবাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর ওপরে নির্ভর করে। এখানে যে যত ভালো মার্কেটিং করতে পারবে তার ব্যবসা তত উন্নতি হবে। ব্যবসা তে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রয়েছে একজন কপিরাইটারের ।
সাধারণত কপিরাইট বলতে বোঝায়। আপনার কাছে একটি ফোন আছে আপনি সেই ফোনটা বিক্রি করবেন সেই ফোনের গল্প আপনি আপনার একটি বন্ধুর সামনে বললেন। এমন ভাবে বললেন যা তার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো এবং সে চিন্তা করল সেই ফোনটি সে কিনবে এটাই হচ্ছে মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি। কাউকে বুঝিয়ে সুুঝিয়ে কোন জিনিসকে কিনিয়ে দেওয়াকে বলা হয় কপিরাইটিং। বাস্তব জীবনে চারপাশে যা ঘটে তা যদি আমরা সহজভাবে প্রকাশ করি তাহলে সেটি অনেক ভালো হবে একটি পণ্য কিনে নেওয়ার মতন বিষয়। তাহলে অবশ্যই বুঝে গেছেন কপিরাইট আসলে কি?
গ্রামাটিক্যাল বা ব্যাকরণগত ভুল সংশোধন
আমরা সাধারণত মোবাইলের স্পেলিং ও মেসেজ চেক করা দেখেছি। তবে আমরা কখনো ব্যাকরণ চেক করা দেখিনি। ব্যাকরণগত ভুল শুধরে দেওয়ার জন্য নতুন প্রযুক্তি আনছে গুগল। google ডকস লেখা ব্যাকরণগত ভুল খুব সহজেই সংশোধন করে দিবে গুগল এর নতুন প্রযুক্তি। গ্রামার বা ব্যাকরণগত ভুল সংশোধন আমরা দুই রকম ভাবে করতে পারি। আমাদের যে ব্রাউজার গুলো রয়েছে সেগুলো ইংরেজি খুব ভালোভাবে সাপোর্ট করে কিন্তু বাংলা সাপোর্ট করে না।
আমরা যদি গ্রামাটিক্যাল ভুলগুলো সংশোধন করতে চান তাহলে আমাকে আলাদা করে সফটওয়্যার বা অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে। আসুন আমরা জেনে নিই গ্রামাটিক্যা বেসিক নিয়ম গুলো। আপনার পোস্টে যেগুলো ভুল থাকলে সেগুলোর নিচে লাল কালির মতন একটি দাগ হয়ে যাবে আন্ডারলাইন হয়ে মার্ক হয়ে যাবে। এগুলো সংশোধন করার জন্য আপনাকে লেখা নিচে যে লাল আন্ডার লাইনগুলো রয়েছে সেগুলোই রাইট ক্লিক করেন তাহলে সঠিক বানান টা চলে আসবে।
এভাবেই আপনি ইংরেজি ভুলগুলো সংশোধন করতে পারবেন। গ্রামাটিক্যাল ভুলগুলো এভাবে সংশোধন করা যায়। এবার আসুন ব্যাকরণগত ভুল সংশোধন করে কিভাবে জেনে নিই। আপনি যখন পোস্ট লেখেন তখন অবশ্যই আন্ডারলাইন করে লেখেন আপনার কম্পিউটারে যদি অভ্র কিবোর্ড থাকে তাহলে আপনি স্টার্ট মেনুতে ক্লিক করে আপনাকে টাইপ করতে হবে avro spell checker তারপর ওপেন করে। আপনি যেগুলো আন্ডার লাইন করে লিখেছিলেন সেগুলোকে স্পেন চেক নামে যে অপশন আছে সেটাতে ক্লিক কররেন তাহলে আমাদের সঠিক বানান টা চলে আসবে এভাবেই আপনি খুব সহজে ব্যাকরণ ভুল সংশোধন করতে পারবেন।
প্লেইজারিজম কি
প্লেইজারিজম জিনিসটা হচ্ছে মনে করেন আপনি একটি লেখা লিখেছেন আপনার ওয়েবসাইটে বা কোন একটি পোস্ট সেই পোস্টের পুরো অংশ কোন একজন ব্যক্তি তার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে দিয়ে দিয়েছে। আবার অন্য কেউ মনে করেন যে পুরো পোস্ট কপি করেনি অর্ধেক পোস্ট কপি করে তাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করেছে আবার এরকমটা ও হতে পারে।
আপনার লেখার পুরোটা কপি করেনি বা অর্ধেকও কপি করেনি লেখার মাঝে কিছু অংশ বিশেষ কপি করেছে একটা প্যারাগ্রাফ কপি করে তাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করেছে এইসব বিষয় গুলোকে প্লেইজারিজম বলে। প্লেজারিজম মানে আইডিয়া বোঝায় অন্যের আইডিয়া নিজের নামে প্রকাশ করাকেই সাধারণত প্লেইজারিজম বলে।
এছাড়াও যদি কোন প্রতিষ্ঠানের গবেষণা সম্পাদন কর্ম হুবহু অথবা আংশিক কিছু পরিবর্তন করে নিজের নামে প্রকাশ করে সেটাকেই বলা হয় প্লেইজারিজম। আপনি যদি অন্যের যেকোন লেখা চুরি করে নিজের নামে প্রকাশ করেন তাহলে সেটা প্লেইজারিজম হয়। প্লেইজারিজম এর বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে আসুন তাহলে আমরা কয়েকটি প্রকারভেদ সম্পর্কে জেনে নিই।
- Direct plagiarism
- Paraphrase plagiarism
- Mosaic plagiarism
- Self plagiarism
Direct plagiarism আপনি যদি অন্যের লেখা একদম সেম ভাবে কপি করে নিজের নামে প্রকাশ করে দেন কোন রেফারেন্স ছাড়াই তাহলে সেটাকে বলা হয় direct plagiarism.
Paraphrase plagiarism আপনি যদি অন্যের লেখা কিছুটা পরিবর্তন করে নিজের মতন করে কিছুটা লেখেন তারপরে সেটা নিজের নামে প্রকাশ করেন তাহলে সেটাকে বলা হয় paraphrase plagiarism.
Mosaic plagiarism কোন জায়গা থেকে যদি আপনি সরাসরি লেখা কপি করে তার কোন কোটেশন ছাড়াই বা চিহ্ন ব্যবহার না করে নিজের নামে চালিয়ে দেন সেটাকে বলা হয় Mosaic plagiarism.
Self plagiarism আপনার নিজের আগের লেখাগুলো যদি আপনি কিছুটা পরিবর্তন করে আবার নতুন করে প্রকাশ করেন তাহলে সেটাকে বলা হয় self plagiarism.
Buying কিওয়ার্ড র্যাংক কি
Buying কিওয়ার্ড বলতে কেউ কোন কিছু লিখে গুগলে সার্চ দেয়। দেওয়ার পরে সেটা কোন একটা প্রোডাক্ট হতে পারে এই সম্পর্কে জানতে চাই সেটা ভালো কি খারাপ এটার উপকারিতা কি ও ওটা আসল কি নকল। আর আপনি এই সকল কাস্টমারদের কে টার্গেট করবেন যারা এসব লেখে সার্চ দিবে। আপনার টার্গেট থাকবে ওই সকল ব্যক্তিদের জন্য পোস্ট লেখা। আর পোস্টের মধ্যে সেই প্রোডাক্টটা আপনি কিভাবে বিক্রি করবেন সেই সংক্রান্ত ব্যাপার গুলো রাখতে হবে।
আপনি যে শুধু নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন এরকমটা ও না। আপনি অন্যের প্রোডাক্ট ও বিক্রি করতে পারবেন এভাবে তারপরে ইনকাম করতে পারবেন যেটাকে বলা হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি এরকম একটা পোস্ট লিখতে পারেন আসল মধু চেনার উপায় নকল মধু চেনার উপায় সেটা লিখে যদি আপনি google এর rank করতে পারেন তাহলে যেটা হবে আপনার ওই ব্যক্তি যখন লিখে সার্চ করবে শুরুতেই আপনার পোস্ট চলে আসবে।
এর পরে আপনি আপনার পোস্টের ভিতর ব্যাখ্যা করবেন আসল মধু চেনার উপায় বা নকল মধু চেনার উপায়। এই জিনিসটা ব্যাখ্যা করার পর আপনাকে তার কাছে মধু বিক্রি করতে হবে কারণ সে মধু কিনবে বলেই পোস্টটা পড়তে এসেছে। আপনার যদি মধু বিক্রি করার কোন ব্যবসা থেকে থাকে সেই পেজের লিংক পোস্টে যুক্ত করে দিতে পারেন। তারপরে বলতে পারেন যে এই পেজ থেকে আপনি মধু কিনতে পারেন এটি আসল মধু ভেজালমুক্ত মধু।
এভাবেই যদি আপনি পোস্ট লিখে লিঙ্ক করে দেন তাহলে মানুষ আপনার থেকে মধু কিনবে। আপনি যদি এভাবে পোস্ট লেখেন তাহলে খুব ভালো রকমের মধুর ব্যবসা করতে পারবেন। আবার আপনি অন্য কারো ব্যবসা করতে পারেন আপনার পোস্টের ভিতর অন্য কারো পেজের লিংক দিয়ে বলতে পারেন এই পেজের মধু সবচেয়ে বেশি ভালো। সে ক্ষেত্রে আপনার পেজ থেকে যে মধু কিনবে তার লাভের কিছু অংশ আপনি পাবেন। এভাবেই কিন্তু আপনি আই ইনকাম করতে পারেন। এই ব্যাপারটা কে মাথায় রেখে আপনি বিভিন্ন রকমের অ্যাড বা যে কোন জিনিস বিক্রি করতে পারেন।
আর্টিকেল স্পিনিং ও স্ক্রাপিং কি
স্পিনিং আপনারা হয়তো স্পিনিং এই শব্দটার সাথে অনেকেই কমবেশি পরিচিত রয়েছেন। আর্টিকেল স্পিনিং বলতে একটি আর্টিকেল থেকে অন্য আরেকটি আর্টিকেল তৈরি করাকে বোঝায়। নতুন আর্টিকেল টা ভিন্ন। প্রথম যে আর্টিকেল টা ছিল সেটার মতন সেম শব্দ থাকবে না অন্য কোন শব্দ থাকবে এক কথায় বলা হয় সেটাকে রিপ্লেস করা হবে। মোটকথা হচ্ছে বর্তমানে একটি আর্টিকেল লেখা আছে সেটার ভিতরে ২০০০ শব্দ লেখা আছে সেখান থেকে ১০০০ শব্দের অন্য অর্থ বন্ধক শব্দ দিয়ে চেঞ্জ করে একটি আর্টিকেল তৈরি করা হলো তাহলে আমরা এরকম আর্টিকেল কেই আর্টিকেল স্পিনিং বলি।
আর্টিকেল স্ক্রাপিং আমরা কোন একটা কিওয়ার্ড দিয়ে স্ক্রাপিং করলে সেই বিষয়ে একটি আর্টিকেল লিখে দিবে যেকোনো সফটওয়্যার দিয়ে এটাকেই বলা হয় আর্টিকেল স্ক্রাপিং। আপনি শুধু কিওয়ার্ড দিয়ে দিবেন আর অটোমেটিক আর্টিকেল তৈরি হয়ে যাবে। এরকম কাজকেই আমরা বলি আর্টিকেল স্ক্র্যাপার। আপনার যদি মনে হয় আপনি আর্টিকেল স্ক্রাপিং কিভাবে করবেন আপনি যদি গুগল গিয়ে সার্চ দেন আর্টিকেল স্ক্রেপার ওয়েবসাইট লিখে যদি সার্চ দেন তাহলে দেখবেন বিভিন্ন রকমের সফটওয়্যার চলে আসবে বা অনেকগুলো ওয়েবসাইট আপনাকে ফ্রিতে স্ক্রাপিং করতে দিবে। এর জন্য আপনাকে কোন টাকা পয়সা দিয়ে কিনতে হবে না। তবে একটি কথা আপনি যদি আর্টিকেল স্ক্র্যাপিং করেন তাহলে অনেক সময় আপনার আর্টিকেলের সঠিক তথ্য না আসতে পারে। আর এটা যদি গুগল বুঝতে পারে তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটের সমস্যা হতে পারে।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক এত সময় আপনি জেনে গেছেন কপিরাইট জিনিসটা কি ও ব্যাকরণগত ভুল সংশোধন আর্টিকেল স্ক্র্যাপিং ও স্পিনিং কি বিভিন্ন ধরনের তথ্য জেনে গেছেন। আসলে কপিরাইট বলতে বোঝাই যে কোন পণ্য বা প্রোডাক্ট আপনি মানুষের সামনে উপস্থাপনা করে সেটি তাকে কিনিয়ে নেওয়া। আর প্লাইজারিজম বলতে আমরা কোন লেখাকে কপি করে নিজের নামে প্রকাশ করাকেই বুঝি। আমার লেখা আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। আপনাদের যদি কোন মন্তব্য থাকে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url