শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায়
শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় হল। সুস্থতা ভালো থাকলেই মনের শান্তিটা ও বুঝা যায়। এইজন্য আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হবে আর শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় হচ্ছে নিয়মিত ব্যায়াম করা। আবার সুস্থ থাকার জন্য খাবারের তালিকা রয়েছে। আসুন জেনে নিই শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় গুলো।
নিয়মিত ব্যায়াম করা গোসল করা দাঁতের যত্ন নেওয়া আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এতে খুব সহজে অসুখ আমাদের শরীরের প্রবেশ করে না।
ভূমিকা
ঠিকভাবে সুস্থ থাকতে হলে নিয়মিত ব্যায়াম করা শরীর চর্চা করা পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের মস্তিষ্ক ভালো রাখে শরীরে দুর্বলতা কমায় শরীর সুস্থ রাখে। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় রয়েছে অনেক।ভাবে সুস্থ থাকলে সবকিছুই ভালো লাগে পথ জীবনের পথ চলাটা খুব সহজ হয়ে যায় ভাবে সুস্থ থাকলে কোন রোগ আমাদের শরীরে বসবাস করতে পারেনা। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে প্রতিদিন সুন্দর ভাবে পথ পরিচালনা করা যায়। আমাদের শারীরিক মানসিক ও সামাজিক সুস্থতায় হচ্ছে সুন্দর জীবন যাপনের মূলধারা।
সুস্থ থাকার জন্য খাবারের তালিকা
সুস্থ থাকার জন্য অবশ্যই আমাদের খাবার খেতে হয়ে কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে সে খাবারে সঠিক পুষ্টিগুণ আমরা পাচ্ছি কি সে খাবার কি আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর না কি প্রয়োজনীয় ভিটামিন । জীবন কে সুখময় সুন্দর ভাবে গড়ে তুলতে হলে প্রয়োজন সুস্থ সতেজ ও সবল দেহ। এজন্য আমাদের পুষ্টির দরকার আছে।যে সকল খাদ্য দেহের সঠিক বৃদ্ধি জনশক্তি ক্ষয়পূরন ঘটায় সেই খাদ্য কে বলা হয়।
পুষ্টিকর খাদ্য।খাদ্য তে সঠিক ছয়টি উপাদান থাকে যেমন মিনারের, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন, পানি এবং ফ্যাট।এই উপাদান গুলোই শরীর সুস্থ রাখে অনেক কাজে শক্তি জোগায়। সঠিকভাবে কাজ করার জন্য সুষম খাবার প্রয়োজন।সকালের খাবার ভাত রুটি, খিচুড়ি, পাউরুটি, মুড়ি অথবা পরোটা এগুলোতে শর্করার প্রয়োজন পূরন হয়।ডিম একটা খেতে হবে মাংস দুই টুকরা এবং সবজি খেতে হবে।
আমিষের প্রয়োজন পূরন হয়।দুপুরের খাবার দুপুরের খাবার সাধারণত দুইটা বেজেই খেয়ে নেওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি ভালো। প্রথমে ভাত এক প্লেট অথবা রুটি ডাল, মাংস এক থেকে দুই টুকরা সবজি ডিম একটা এগুলোতে পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে।রাতের খাবার রাতে তো আটটার মধ্যে খাবার খাওয়াই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। রাতের খাবারে ভাত না খাওয়া ভালো ভারতে বদলে রুটি কিংবা পরোটা খাওয়া সাথে সবজি, ডিম, মাছ এক টুকরা আর সারাদিনে অনেক পরিমাণে পানি খেতে হবে।
সুস্থ থাকার জন্য ব্যায়াম
প্রতিদি অল্প সময় হলেও ব্যায়াম করুন। যেমন হাঁটা, দৌড়ানো, সাইকেল চালানো ইত্যাদি। আদিম যুগের মানুষ খাবারের জন্য পশুদের পিছে ধাওয়া করতো।তাদের কে পানির জন্য অনেক দূরে যেতে হতো। সেই সব জীবন গুলো অনেক পেছনে ফেলে এসেছি। এখন আমরা কোথাও যাওয়া বাদে ঘরে বসেই সব কিছু পায় খাবার এবং পানি। আমাদের প্রতিদিন সকালে ৪০ হাঁটার প্রয়োজন এতে আমাদের শরীর সুস্থ থাকে।আরেকটা ব্যায়াম হলো সাইকেল চালানো, সাইকেল চালানো একটি দারুন ব্যায়ম।
দড়িলাফ বা আপনি এমনিতে ও লাফালাফি করতে পারেন । ব্যায়ামের মধ্যে সেরা হলো হাঁটাহাঁটি করা। বা আমারা সিঁড়ি দিয়ে বারবার উঠা নামা করতে পারি এটি একটি খুব ভালো ব্যায়াম। হাঁটাহাঁটি করলে অতিরিক্ত চর্বি গলে যায়। সাঁতার কাটা একটা ব্যায়াম।আপনি ব্যায় যেভাবেই করুন না কেন তখন যদি আপনি শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিকমতো চালাতে না পারেন তখনই বুঝে নিবেন আপনার সঠিক ভাবে ব্যায়াম হচ্ছে না। বিভিন্ন ধরনের ব্যায়ামের মধ্যে দিয়ে আমরা সঠিক নিয়মে সুস্থ সবল থাকতে পারি।
সুস্থ থাকার কয়েকটি উপায়
সারাজীবন সুস্থ থাকার চাবিকাঠি হলো লাইফ মেডিসিন।যা খুবই সহজ কাজ। কেবলমাত্র ডায়েটে সুস্বাস্থ্যকর পরিবর্তন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন।শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় আর সেই সাথে নিজেকে কিভাবে স্ট্রংস রাখতে পারবেন সেটা জানুন। আপনার স্বাস্থ্য কিভাবে আপনি বজায় রাখবেন তার পদ্ধতি আপনার নিজেকে বেছে নিতে হবে।পড়ে দেখুন কোনটি আপনার জন্য সঠিক কার্যকারী।
১. ব্যায়াম
২. রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাওয়া
৩. সকালে খুব তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠা
৪. নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া
৫. ধূমপান বা অ্যালকোহল পান করবেন না
৬. শরীরের ওজন সঠিক নিয়মে বজায় রাখা
৭. প্রতিদিন গোসল করা
৮. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়া
৯. নিজের দাঁতের যত্ন নেওয়া
১০. সঠিক নিয়মে খাবার খাওয়া
বয়স অনুযায়ী খাদ্য তালিকা
বয়স যতো বাড়তে থাকে, খাবারের তালিকা ও ধীরে ধীরে পছন্দ অপছন্দ পরিবর্তন হতে থাকে। ২০_৩০ বছর বয়সীদের খাবার তালিকা এই বয়সে বাইরে ঘুরাফেরা পড়াশোনা, বন্ধুদের সাথে ঘোরাঘুরি চাকরি নানা ধরনের ব্যস্ততা নিয়ে জীবনটা ঘুরতে থাকে। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় যেমন নিয়মিত ব্যায়াম করা পর্যাপ্ত পানি খাওয়া। আর এই সময়টাকে সঠিক কার্যসিদ্ধির জন্য প্রয়োজন শরীরে সঠিক পুষ্টি।
২০_৩০ বছর বয়সী মানুষেরা ৩০ শতাংশ পরিমাণে ফাস্টফুড খাবার খেয়ে থাকে। এতে করে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ বসবাস করে যেমন গ্যাস্টিক, শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ক্যান্সারের মতন আরো অনেক রোগ। মূল যে পুষ্টি গুলো আমাদের শরীরে জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয় প্রোর্টিন, পটাশিয়াম, ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড।নিয়ত খাবারের মধ্যে থাকা দরকার আখের গুড়, কিসমিস, দুধ ডিম, আপেল, কমলা, এবং কাঠবাদাম চিনাবাদাম ইত্যাদি।
সুস্থ থাকার জন্য করনীয়
সুস্থ থাকার জন্য আমাদের জীবনধারা আর কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। ওজন কমানো ব্যায়াম করা নিয়মিত ডাক্তার দেখাতে হবে মানসিক টেনশন কম রাখতে হবে। অ্যালকোহল পান করা যাবে না। পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমাতে হবে।ওজন কমান আপনার উচ্চতা অনুযায়ী ওজন যদি বেশি বা কম হয় তাহলে সেটাকে অন্তরে আনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ওজন কমার সাথে সাথে আমাদের শরীরে নানা ধরনের রোগ হতে পারে । এইজন্য ওজন কমাতে চাইলে অবশ্যই ব্যস্ত কর খাবার পুষ্টি ও ব্যায়ামের প্রয়োজন আছে। স্বাস্থ্যকর খাবার এর সথে দুইটি বিষয় জড়িত। ১ নাম্বার হচ্ছে কি খাচ্ছেন আর ২ কিভাবে খাচ্ছেন। খাবারের তালিকায় প্রতিদিন শাক সবজি ও ফল থাকা প্রয়োজন। কারন শাক সবজি তে চর্বি কম পরিমাণে থাকে কিন্তু ভিটামিন বেশি থাকে।
এতে আমাদের নিয়মিত শাক সবজি খেতে হবে । আর খাবার সব সময় আস্তে আস্তে চিবিয়ে খেতে হবে আর খাবার সময় অন্য কোনো কাজ করা যাবে না নিয়মিত অবশ্যই পরীক্ষা করে নিতে হবে। মানসিক চাপ সব সময় কম রাখতে হবে মানসিক চাপের কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে বিষয়ে করে হৃদরোগ হয় মানসিক চাপ অনেক সময় সময় এর উপরে প্রভাব ফেলে।
মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায়
আপনার মানসিক শান্তি অস্থির উন্নতি করতে পারে। আপনার মেজাজ উন্নত করে । নিয়মিত ডাক্তার দেখানো ব্যায়াম সঠিক খাবার ও ঘুম আপনার মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। শরীরের পুষ্টিগুণে যেমন বিশেষ গুরুত্ব দেই ঠিক তেমনি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য প্রতিনিয়ত ব্যায়াম গোসল করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।যাতে কোনো মানসিক সমস্যা সৃষ্টি না হতে পারে।
জ্বর মাথাব্যথা এগুলো হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এতে করে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। আর অবশ্যই দাঁতের যত্ন নিতে হবে দাঁত মাজা গোসল করা সঠিক পুষ্টিকর খাবার খাওয়া খুবই দরকারি। মানসিক স্বাস্থ্য রাখার প্রধান উপায় হল ঘুম দিতে হবে।রাতে খুব তাড়াতাড়ি ঘুমাতে হবে এবং সকালে তাড়াতাড়ি উঠতে হবে। এতে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।প্রতিদিন ব্যায়াম করা হা হাটাহাটি করা সাঁতার কাটা সাইকেল চালানো অথবা সিঁড়ি বেয়ে ওঠা নামা করা। ব্যস্ত কর ডায়েট খাবার খাওয়া শাক সবজি ও ফলমূল বেশি করে খাওয়া। মোবাইল ফোন অতিরিক্ত ব্যবহার না করা ইত্যাদি।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় গ্রাহক শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার এই বিভিন্ন উপায় কি আপনার জানা ছিল। যদি এই শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় আপনাদের ভালো লাগে তবে চেষ্টা করবেন নিজেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ রাখার নিয়মিত ব্যায়াম করা। যাব তো পানি খাওয়া দাঁতের যত্ন চুলের যত্ন ও ত্বকের যত্ন নেওয়া। নিজেও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকুন এবং আপনার আত্মীয়-স্বজন সবার সাথে শেয়ার করে দিন। এবং তাদের কেউ শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কে পরামর্শ দিন।
Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url