প্রতিদিন মসুর ডাল খেলে কি মোটা হয়

অনেকের মনে প্রশ্ন থেকে যায় প্রতিদিন মসুর ডাল খেলে কি মোটা হয় এবং মসুরের ডাল বেশি খেলে কি রোগ হয়। আসুন তাহলে জেনে নিন সঠিক তথ্যটা। মসুরের ডাল আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। ওজন কমানোর জন্য অনেকেই মসুরের ডাল খাই। আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে প্রতিদিন মসুরের ডাল খান তাহলে কিডনির সমস্যা হতে পারে। সেজন্য আপনাকে সঠিক নিয়মে মসুরের ডাল খেতে হবে যাতে কোন সমস্যা না হয়।

যারা ওজন কমানোর কথা চিন্তা করেন। তারা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মসুরের ডাল রাখতে পারেন। মসুরের ডাল খেলে খুব সহজে ওজন কমে যায়।

মসুরের ডাল হচ্ছে ভিটামিন মিনারেল ও ফাইবার সমৃদ্ধ একটি খাবার যা আমাদের শরীরে কোলেস্টেরল কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি খুব সহজে কমায়। মসুরের ডাল খেলে ওজন অনেকটা বেশি কমে যায়। আপনি যদি আবার অতিরিক্ত পরিমাণে মসুরের ডাল খেয়ে ফেলেন তাহলে কিডনির সমস্যা হতে পারে। সেজন্য আপনাকে সঠিক নিয়মে মসুরের ডাল খেতে হবে। মসুরের ডাল যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী ঠিক তেমনি আমাদের ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারী। মসুরের ডালের পুষ্টিগুণ রয়েছে অনেক বেশি। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো।

ওজন কমানোর জন্য অনেকে অনেক রকম ব্যায়াম করে এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খাবার থেকে বিরত থাকে। আপনি যদি ওজন কমানোর জন্য মসুরের ডাল খান তাহলে আপনার ওজন খুব সহজেই কমে যাবে। মসুরের ডাল হচ্ছে পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি ডাল যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী। আপনি ডায়েটে মসুরের ডাল রাখতে পারেন। মসুরের ডাল আছে প্রোটিন ও ভিটামিন যা আমাদের ওজন কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

 

আমাদের দেহের বারতি ওজন কমানোর জন্য অনেকে অনেক রকম উপায় খুঁজে বেড়ায়। এ ছাড়া ব্যায়াম দৌড়াদৌড়ি সাঁতার কাটা ও জিমে যাই। এসবের পাশাপাশি আপনাকে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে যা খেলে আপনার ওজন খুব সহজে কমে যাবে। আপনি যদি নিয়মিত মসুরের ডান খান তাহলে আপনার ওজন খুব সহজে কমে যাবে। ওজন কমানোর জন্য আপনাকে কোন জিমে যাওয়া লাগবে না।

মসুরের ডাল খুব সহজে আমাদের মেদ ঝরিয়ে দেয় ওজন কমানোর ক্ষেত্রে মসুরের ডালের বিকল্প নেই। অনেক কম ফ্যাট থাকে এছাড়া থাকে ফাইবার যা আমাদের হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয় এর সাথে সাথে ওজন কমাতেও সাহায্য করে। যারা ওজন কমাতে চান তাদের খাদ্য তালিকায় প্রোটিন থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আর মসুরের ডলের সবচেয়ে বেশি প্রোটিনের মাত্রা থাকে। মসুরের ডাল খেলে বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি কমে যায়।

এছাড়াও মসুরের ডালে আছে ফাইবার যা খেলে আপনার অনেক সময় ধরে পেট ভরা থাকবে ক্ষুধা থাকবে না। সেজন্য আপনার ওজন খুব সহজে কমে যাবে। ওজন কমানোর জন্য মসুরের ডাল রান্না করে খেতে হবে অথবা খিচুড়ি বিরিয়ানি তৈরি করতে পারেন মসুরের ডাল দিয়ে তাহলে আপনার ওজন খুব সহজে কমে যাবে। মসুরের ডাল আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, ফাইবার, পটাশিয়াম, আয়রন, ও অ্যামিনো এসিড রয়েছে।

মসুরের ডাল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। মসুর ডালে রয়েছে প্রয়োজনে খনিজ ভিটামিন ছাড়া রয়েছে ফাইবার যা আমাদের ওজন কমানোর কাজে বিশেষভাবে সাহায্য করে। মসুরের ডাল আমাদের শরীরে অতিরিক্ত মেদ খুব সহজে কমিয়ে দেয় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। হজমের সমস্যা দূর করে দেয়। পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা খুব সহজেই কমিয়ে দেয় মসুরের ডাল।

আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে মসুরের ডাল খান তাহলে আপনার কিডনিতে সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও কিডনিতে পাথর হতে পারে। যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তারা মসুর ডাল খাওয়া থেকে একটু সাবধান থাকবেন। মসুরের ডালে খেলে আমাদের হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাদের পেটে গ্যাস রয়েছে তারা মসুরের ডাল খেতে পারবেন। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে মসুরের ডাল খেলে আপনার পেটে গ্যাস তৈরি হবে অনেক বেশি।

সেজন্য মসুরের ডাল আপনাকে কম কম খেতে হবে। প্রায় সব বাড়িতে দেখা দেয় মসুরের ডাল প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় থাকে। আমরা জানি মুসুরের ডাল খুবই স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। তবে এটি আপনার জন্য ক্ষতিকার ও হতে পারে। আপনার যদি কিডনির সমস্যা থাকে এছাড়া পেটের সমস্যা থাকে তাহলে এটি আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। হজম শক্তিতে সমস্যা হতে পারে। আপনার যদি পেটে কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনার মসুরের ডাল না খাওয়াই ভালো। বিশেষজ্ঞদের মতে বলা হয় যে যাদের কিডনির সমস্যা ও পেটে সমস্যা এছাড়া গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তাদের মসুরের ডাল এড়িয়ে চলাই ভালো।

মসুরের ডাল আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয় এছাড়া মসুরের ডাল যদি নিয়মিত মুখে মাখা হয় তাহলে ত্বক ফর্সা হয়ে যায়। ত্বকে জমে থাকা ময়লা খুব সহজে বের হয়ে যায়। ত্বকের যত্নে আপনি মসুরের ডালের ফেসপ্যাক বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে অনেক বেশি ভালো ফলাফল পাবেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বেড়ে যাবে।

যারা ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভুগছেন তারা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ত্বকের পরিচর্যায় মসুর ডাল কে বেছে নিতে পারেন। মসুর ডালকে সারারাত পানিতে ভিজিয়ে পরের দিন সকালে পানি গুলো ছেঁকে নিয়ে মসুরের ডালের একটি পেস্ট বানাতে হবে। সে পেস্টের সাথে আপনি এক চামচ দুধ অথবা বাদাম তেল দিতে পারেন তারপরে একসাথে সব মিক্স করে আপনি মুখে মাখিয়ে রাখতে পারেন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট এরপর ভালোভাবে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

প্রতিদিন যদি এভাবে আপনি মসুর ডালের ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা খুব সহজে বেড়ে যাবে। মসুর ডাল বেটে দুধের সঙ্গে হলুদ ও নারিকেল তেল মিশিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে মুখে কয়েক মিনিট লাগিয়ে রাখেন তারপরে নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন আপনার মুখ অনেকটা বেশি পরিষ্কার হয়ে গেছে। ত্বকে কোন ধুলোবালি নেই। এছাড়াও যাদের ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক তারা সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মসুরের ডালের ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন।

যাদের ত্বক অনেকটা বেশি মৃত কোষে ভরে গেছে সেই মৃত কোষ গুলোকে সরিয়ে ফেলতে আপনাকে মসুরের ডাল ব্যবহার করতে হবে। মসুরের ডাল আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনে। নিমিষেই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয় মসুরের ডাল। আপনি যদি মসুরের ডালের সাথে হলুদ মিক্স করে একটি পেস্ট বানিয়ে মুখে দেন তাহলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বেড়ে যাবে। এবং ত্বকের জেল্লা ফিরে আসবে এক কথায় বলা যায় আমাদের ত্বকের যত্নে মসুরের ডালে রয়েছে বিশেষ ভূমিকা।

আমরা হয়তোবা জানি যে মসুরের ডালে অ্যালার্জি থাকে। মসুরের ডালে যেমন উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমনি মসুরের ডাল খেলে এলার্জির সমস্যা হতে পারে। আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে মসুরের ডাল খান তাহলে আপনার এলার্জির সমস্যা হবে। যাদের অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে তারা মসুরের ডাল না খাওয়াই ভালো। মসুরের ডালে আছে ফাইবার যা আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করে।

এছাড়াও মসুরের ডাল আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন, প্রোটিন, ফাইবার আয়রন, পটাশিয়াম, থাকে । মসুরের ডাল আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকিও কমে দেয়। ডায়াবেটিসের রোগীরা প্রতিদিন তাদের খাদ্য তালিকায় মসুরের ডাল রাখতে পারবেন কারণ সুরের ডালে কোলেস্টেরল অনেক বেশি কম থাকে।

এছাড়াও গর্ব অবস্থায় মসুরের ডাল খাওয়া যায়। মসুরের ডালের রয়েছে আয়রন লোহা যা প্রেগনেন্সির সময়ে খুবই জরুরী। এছাড়া মসুরের ডাল দেহের প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করে তাই বিশেষজ্ঞরা প্রেগনেন্সির সময় মসুরের ডাল খাওয়ার পরামর্শ দেয়। মসুরের ডাল খাওয়া ভালো তবে অতিরিক্ত পরিমাণে মসুরের ডাল খাওয়া একদমই উচিত না। যাদের এলার্জি সমস্যা রয়েছে তাদের মসুরের ডাল থেকে দূরে থাকাই ভালো। এছাড়াও অতিরিক্ত পরিমাণে মসুর ডাল খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে।

বাজারে গেলে দেখা যায় বিভিন্ন দোকানে অনেক রকমের ডাল পাওয়া যায়। তবে ডালের সবচেয়ে বেশি হচ্ছে মসুরের ডাল মসুরের ডালের স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে অনেক বেশি। আমাদের দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় মসুরের ডাল প্রায় মানুষের খেয়ে থাকে। মসুরের ডাল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার তৈরি করা হয়। মসুরের ডালে রয়েছে অধিক পরিমাণে প্রোটিন ও পুষ্টিগুণ মসুর ডাল খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়।

নিয়মিত মসুরের ডাল খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। মসুরের ডালে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ফাইবার যা আমাদের বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি খুব সহজেই কমিয়ে দেয়। এছাড়াও রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে বিশেষভাবে সহায়ক। বলতে গেলে পৃথিবীর সব মানুষেরই জনপ্রিয় একটি খাবার হচ্ছে মুসুরির ডাল মসুরের ডালের রয়েছে নানা ধরনের স্বাস্থ্য উপকারীতা।

মসুর ডালে রয়েছে ভিটামিন বি, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাগাজিন, ফাইবার, প্রোটিন, ও ক্যালোরি । এক কথায় বলা যায় মসুরের ডাল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী। এর পুষ্টিগুণ আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মসুরের ডাল রাখলে আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এছাড়াও ক্যান্সারের ঝুঁকি খুব সহজে কমিয়ে দেয় আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী।

অবশেষে বলা যায় যে মসুরের ডাল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী। নিয়মিত যদি মসুরের ডাল খাওয়া হয় তাহলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা কমে যায় মসুরের ডাল আমাদের হজমের কাজে সাহায্য করে। এছাড়াও মসুরের ডাল আমাদের ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারী। যাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে না।

তারা যদি মসুরের ডাল ব্যবহার করে তাহলে ত্বকের উজ্জ্বলতা খুব সহজেই বেড়ে যাবে।সবশেষে বলা যায় মসুরের ডাল যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ঠিক তেমনি আমাদের ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারী। মসুরের ডাল সম্পর্কে আমার লেখা আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন।