প্রতিদিন একটি করে টমেটো খেলে কি হবে
অনেকের হয়তোবা জানা নেই প্রতিদিন একটি করে টমেটো কি হবে ও টমেটো খেলে কি ওজন কমাতে সাহায্য করে। আসুন তাহলে সঠিক তথ্যটা জেনে নিও। টমেটো খেলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকার হয় যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়ে যায় এ ছাড়া টমেটো আমাদের রক্তশূন্যতা দূর করে দেয় এছাড়াও টমেটো খেলে মেদ খুব সহজেই ঝরে যায়।
টমেটোতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন যা আমাদের দৃষ্টি শক্তি বাড়িয়ে দিতে বিশেষভাবে সাহায্য করে এছাড়াও টমেটো আমাদের ওজন কমাতে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ভূমিকা
টমেটো আমরা কাঁচা অবস্থায় খেয়ে থাকি অথবা বিভিন্ন ধরনের রান্নাতে টমেটো ব্যবহার করে থাকি টমেটো রান্নাতে ব্যবহার করলে রান্নার স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায় এছাড়া টমেটো দিয়ে সালাত বানানো যায়। এর পুষ্টিগুণ রয়েছে অনেক বেশি। ওজন নিয়ন্ত্রণে টমেটো রয়েছে বিশেষ ভূমিকা এছাড়া কিডনির সমস্যা ও ডায়াবেটিস সমস্যা খুব সহজেই দূর করে দেয়। এছাড়া টমেটো আমাদের চোখের দৃষ্টি ভালো রাখে খালি পেটে টমেটো খেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যায় গর্ব অবস্থায় টমেটো খাওয়ার অনেক বেশি উপকারিতা রয়েছে। অবস্থায় টমেটো হলে মা ও শিশু ভালো থাকে।
প্রতিদিন একটি করে টমেটো খেলে কি হয়
টমেটো সারা বছরই পাওয়া যায় তবে শীতকালে একটু বেশি পাওয়া যায় টমেটো। আর শীতকালে টমেটোর স্বাদ সবচেয়ে বেশি থাকে টমেটো বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা হয়। কেউবা কাঁচা অবস্থায় খায় অথবা সালাত বানিয়ে খায় নয়তো বিভিন্ন ধরনের রান্নাতে ব্যবহার করে খাই। টমেটোতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, কোলিন পটাশিয়াম, ফসফরাস, কপার ও খনিজ।
টমেটো আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। টমেটো হচ্ছে একটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল এটি খেলে শরীরের শক্তি বেড়ে যায় ও শরীরের ক্লান্তি দূর করে। টমেটো যদি নিয়মিত খাওয়া হয় তাহলে শরীরে রক্তশূন্যতা সমস্যা দূর হয়ে যায়। আপনি প্রতিদিন এ দুইটি করে টমেটো খেতে পারবেন তাহলে হজমের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়ে যাবে টমেটো খেলে রক্ত পরিষ্কার থাকে।
টমেটোতে থাকা ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে এছাড়াও টমেটোতে রয়েছে পটাশিয়াম যা আমাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং রূহ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। অনেকে আবার টমেটোর স্যুপ খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে টমেটোর স্যুপ খেলে সর্দি কাশি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যায়। আমরা যদি প্রতিদিন একটি করি টমেটো খায় তাহলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি কমে যাবে।
টমেটো কি ওজন কমাতে সাহায্য করে
টমেটো হচ্ছে একটি সুস্বাদু সবজি ও ফলাফল বলা হয় অনেকে আবার টমেটো কে সুপার ফ্রুট বলে। টমেটো খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়। টমেটো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য যেমন উপকারী ঠিক তেমনি আমাদের ত্বকও চুলের যত্ন বিশেষভাবে উপকারী। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় দুই থেকে তিনটি টমেটো রাখা যায় ২ থেকে ৩ টমেটো খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।
টমেটোতে রয়েছে ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম যা আমাদের হাড় কে মজবুত রাখে। দৃষ্টি শক্তি বাড়ানোর জন্য টমেটো রয়েছে অপরিসীম ভূমিকা। ছোট থেকে বড় সবাই টমেটো খেতে পছন্দ করে। টমেটো খেলে আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। টমেটোতে ক্যালরির পরিমাণ অনেক বেশি কম থাকে। প্রতিদিন যদি আপনি দুই থেকে তিনটা কাঁচা টমেটো খান তাহলে ওজন খুব সহজেই কমে যাবে। এছাড়াও যারা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছেন তারা টমেটো রস খেতে পারেন।
তাহলে খুব দ্রুতই ওজন কমে যাবে। প্রতিদিন এক গ্লাস টমেটো রস যদি খান তাহলে ওজন কমে যাবে । টমেটোর স্যুপ আপনি যদি প্রতিদিন টমেটোর স্যুপ খান তাহলেও আপনার ওজন কমে যাবে। আপনি যদি প্রতিদিন টমেটোর সালাদ বানিয়ে খান টমেটো কে ছোট ছোট করে কেটে পেঁয়াজ মরিচ ও বিট লবণ দিয়ে সালাত বানিয়ে খান তাহলে খুব সহজে আপনার ওজন কমে যাবে। যারা ডায়েটে রয়েছে তারা এভাবে সালাত বানিয়ে খেতে পারে।
সকালে খালি পেটে টমেটো খাওয়ার উপকারিতা
টমেটোতে থাকা ক্যালসিয়াম আমাদের হাড়কে শক্ত রাখে। শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় টমেটো রাখা উচিত। টমেটো যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে সালাদ হিসেবে খাওয়া হয় তাহলে তা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী হয়। টমেটো খেলে কৃমির সমস্যা থাকে না। এছাড়াও টমেটো আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে দেয় খুব সহজে।
আপনি যদি খালি পেটে টমেটো খান তাহলে হজমের সমস্যা দূর হয়ে যায় এছাড়া গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়ে যায় যাদের গ্যাসের সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন সকালে কাঁচা টমেটো খেতে পারেন তাহলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। সারা বছরই টমেটো পাওয়া যায়। এটি বিভিন্নভাবে খাওয়া যায় কেউ আবার এটি সবজি হিসেবে রান্না করে খাও কেউ স্যুপ বানিয়ে খায় অথবা টমেটোর সালাদ বানিয়ে খেতে সবাই পছন্দ করে।
ছোট বড় সব বয়সের মানুষই টমেটো খেতে পছন্দ করে ত্বকের উজ্জ্বলতায় এর রয়েছে বিশেষ ভূমিকা টমেটো যদি প্রতিদিন সকালে খাওয়া হয় তাহলে উত্তর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আপনি দুইটি করে টমেটো খেতে পারবেন। যারা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন তারা এভাবে সকালে দুইটি করে টমেটো খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। যাদের সর্দি-কাশির জ্বর রয়েছে তারা টমেটো সালাদ বানিয়ে খেতে পারেন।
টমেটোর সালাতের সাথে পেঁয়াজ মরিচ ও বিট লবণ দিয়ে মাখিয়ে খেতে হবে তাহলে সর্দি-কাশি সমস্যা দূর হয়ে যাবে। টমেটো আমাদের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে টমেটোতে রয়েছে ভিটামিন এ যা আমাদের চোখের জন্য খুবই ভালো। প্রতিদিন যদি টমেটো খাওয়া হয় তাহলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়। আরো দাঁতের জন্য টমেটো অনেক বেশি উপকারী। টমেটো থাকা ক্যালসিয়াম আমাদের হাড়কে শক্ত করে।
টমেটো খেলে কি গ্যাস হয়
আমরা সবাই জানি টমেটো হচ্ছে একটি ভিটামিন ও পুষ্টিকর সবজি এবং খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু। টমেটো সালাদ বা কাঁচা নয়তো রান্না করে খাওয়াই এর জুরি মেলা ভার। টমেটোতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ। এছাড়া আছে ভিটামিন এ প্রচুর পরিমাণে। এছাড়া টমেটো রূপচর্চার জন্য ব্যবহার হয় সূর্যের রশ্মি থেকে আমাদের ত্বকের রক্ষা করে। টমেটো আবার সস হিসাবেও খাওয়া যায়।
আপনি যে কোন খাবারের সাথে টমেটো সস বানিয়ে খেতে পারেন টমেটো একটি মুখরোচক ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার। টমেটো তো আছে কেরোটিনয়েড। আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে টমেটো খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। এছাড়া ও কিডনিতে সমস্যা হতে পারে টমেটো বেশি খেলে বুক জ্বালাপোড়া পেট ব্যথা ও হজমের সমস্যা হতে পারে। যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তাদের অতিরিক্ত টমেটো না খাওয়াই উচিত।
টমেটোতে রয়েছেন ম্যালিক এসিড। গ্যাস্টিক ও বধহজনের সমস্যা এড়িয়ে চলতে আপনাকে অবশ্যই অতিরিক্ত পরিমাণে টমেটো খাওয়া যাবেনা। টমেটো খেলে অ্যালার্জি হতে পারে। যাদের অ্যালার্জি সমস্যা আছে তারা টমেটো এড়িয়ে চলবেন।যাদের অ্যালাজি্ তাদের যদি টমেটো দেওয়া হয় তাহলে ত্বকের চুলকানি ও ফুসকুড়ি বের হয়। এছাড়াও সর্দি কাশিতে যদি টমেটো খাওয়া হয় তাহলে গলা চুলকায় ও জিব্বা ফুলে যায় এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
টমেটোতে রয়েছে অক্সালেট ও ক্যালসিয়াম যা আমাদের শরীরে বেড়ে গেলে কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিডনিতে এমনকি পাথর ও তৈরি হতে পারে। টমেটোতে রয়েছে সালমোনেলা এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া যা ডায়রিয়ার সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। যারা অতিরিক্ত পরিমাণে টমেটো খাবেন তাদের এই সমস্যা হতে পারে। সেজন্য উচিত আমাদের অল্প পরিমাণে টমেটো খাওয়ার। প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি টমেটো খেলে এ ধরনের সমস্যা হবে না দুই থেকে তিনটি টমেটো আমাদের শরীরকে ভালো রাখে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
গর্ভাবস্থায় টমেটো খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভ অবস্থায় টমেটো খাওয়ার নিরাপদ কিন্তু আপনাকে অতিরিক্ত পরিমাণে টমেটো খাওয়া যাবেনা অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে সমস্যা হতে পারে এছাড়া এমনিতে গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভের শিশুর ভিটামিন এ, ও আয়রন খুব বেশি প্রয়োজন হয় শরীরে। গর্ভাবস্থায় টমেটো খাওয়ার বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে আসুন জেনে নিই।
ক্যালরি গর্ভবতী মহিলাদের যখন অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যায় ঠিক সে সময়ে তারা ক্লান্তি বোধ করে তবে টমেটো খেলে ক্লান্তি খুব সহজেই দূর হয়ে যায়।
ভিটামিন ই আমাদের রোদে পোড়ার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা প্রতিরোধ করতে টমেটোর রস ব্যবহার করা উচিত কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন এ যা আমাদের রোদে পোড়া থেকে প্রতিরোধ করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
পটাশিয়াম গর্ব অবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ হলে আপনাকে নিয়মিত টমেটো খেতে হবে তাহলে এই উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমিয়ে দিবে।
ফাইবার আমরা হয়তোবা সবাই জানি টমেটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এটি আমাদের হজমের সমস্যা খুব সহজে দূর করে দেয় আবার ফাইবার যদি অতিরিক্ত বেড়ে যায় তাহলে সমস্যা হতে পারে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট টমেটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
লেখকের মন্তব্য
টমেটো সম্পর্কে আপনাদের হয়তোবা অনেক তথ্য জানা ছিল না আশা করি এখন টমেটো সম্পর্কে অনেক তথ্য জেনে গেছেন। গর্ভাবস্থায় টমেটো খাওয়ার উপকারিতা ও টমেটো সকালে খালি পেটে খাওয়ার উপকারিতা। এছাড়া প্রতিদিন কয়টি করে টমেটো খাওয়া যাবে সেই বিষয়গুলো অবশ্যই জেনে গেছে না টমেটো হচ্ছে এক ধরনের সবজি যেটা কাঁচা অবস্থাতেও খেতে পারি।
এছাড়াও রান্না করেও খেতে পারি। বিভিন্ন ধরনের খাবারের সাথে টমেটোর সস বানিয়ে খেতে পারি। এক কথায় বলা যায় টমেটো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী। টমেটো খেলে বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি কমিয়ে যাই। আসেন তাহলে চেষ্টা করি দিনে দুইটি করে টমেটো খাওয়ার জন্য। টমেটো সম্পর্কে লেখা আপনাদের ভালো লাগে তবে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন।
Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url