আখের গুড়ের শরবত খাওয়ার উপকারিতা
আখের গুড়ের শরবত খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকের জানা নাই। আখের গুড়ে আছে অধিক ক্যালোরিফিক যা আমাদের শরীর কে গরম রাখে। আখের গুড় খেলে শরীরের মাত্রা ঠিক রাখে। ম্যাগনেসিয়াম,ভিটামিন বি, পটাশিয়াম গুড় থেকে শরীরের ফাইবার। আখের গুড়ে রয়েছে অধিক পরিমাণে শতকরা ও ক্যালরি। আর এই আখের গুড় খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে এমনিতে না খেয়ে শরবত করে খাওয়া।গুড় আমাদের রক্তস্বল্পতা সমস্যা দূর করে।আসুন জেনে নিই আখের গুড়ের শরবত খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।
আখের গুড় আমাদের শরীরের মেদ গলিয়ে ফেলে। শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত কোলেস্টেরল কমাতে এ আখের গুল খুবই প্রয়োজনী। আখের গুড়ের শরবত খাওয়ার উপকারিতা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ভূমিকা
আখের গুড় আমাদের ঠান্ডা লাগার সমস্যা যেমন জ্বর সর্দি কাশি শরীরের তাপমাত্রা অধিক পরিমাণে বাড়িয়ে দেয়। এই আখের গুড় শরীরে তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। দূরে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন বি এছাড়া বিভিন্ন রকমের পুষ্টিগুণ। আখের গুড় আমাদের ওজন কমাতে খুবই উপকারী।আয়ুর্বেদে বলা আছে আখের গুড়ের শরবত খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। হয়
গুড় কে বিভিন্ন ধরনের ওষুধের সাথে তুলনা করা হয়। গুড় খেলে আমাদের শরীরে অ্যালার্জি বাড়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি পেয়ে থাকি। গুড় আমাদের ত্বকের সমস্যা দূর করে। করে রয়েছে অধিক পরিমাণে ভিটামিন ও ক্যালরি।আখের গুড়ের রয়েছে শতকরা ক্যালরি ডায়রিয়া রোগীর জন্য আখের গুড়ের স্যালাইন খাওয়ানো খুবই উপকারী।
আখের গুড় খাওয়ার নিয়ম
গুড় সরাসরি খাওয়ার চেয়ে অন্যভাবে খাওয়ার বিশেষ উপকারিতা রয়েছে। আখের গুড়ের শরবত খাওয়ার উপকারিতা অনেক আমরা গুড় এমনিতে না খেয়ে শরবত খেলে বসে উপকার পাবো।বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন পিঠে পুলিতে আমরা গুড় ব্যবহার করে থাকি পিঠের স্বাদ বাড়ানোর জন্য। আমাদের স্বাস্থ্যের উপকারে গুড় কে আমরা চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে পারি।
গুড়ে আছে প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, আয়রন।আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে এই উপাদানগুলোর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। নিজেকে সুস্থ রাখতে প্রায় মানুষ নিয়মিত গুড় খাই। দুধের সাথে গুড় খেলে শরীরের দুর্বলতা কাটে। গুড় আমরা শীতকালেই বেশি পেয়ে থাকি। আর এই শীতের গুড় দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করা হয়।
এই গুড়ে রয়েছে ভরপুর পুষ্টিগুন ।গুড় আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি জিনিস। গুড় শরবত হিসেবে খাওয়া ভালো। দিন সকালের যদি হালকা গরম পানিতে গুড় মিশিয়ে লিবু দিয়ে খাওয়া হয় তাহলে ওজন কমে যায়।গুড় শববর বা দুধের সাথেই খেলেই বেশি উপকারী। আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রতিদিন সকালে চেষ্টা করব গুড় খাওয়ার।
গুড় খেলে কি সুগার বাড়ে
গুড় সম্পর্কে 99 পার্শেন মানুষের ধারণা নেই।বা যেটা জানে ভুল। কিছু শর্তের পড়ে নির্ভর করছে গুড় খেলে কি আপনার ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রনে থাকবে কি থাকবে না। গুড় থেকে ফলের বিভিন্ন ধরনের উপকার পাওয়া যায় । গুড়ের খনিজ ভিটামিন গুলি ইনসুলিন রেজিস্টান্স কমাবে ফলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ খুব সহজ হবে।
আমাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খুব সহজ হয়ে যাবে। আখের গুড়ের শরবত খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আমরা জেনেছি। চিনির থেকে গুড় খাওয়া অনেক বেশি ভালো। এতে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে।এইজন্য গুড়কে চিনি থেকে অনেক বেশি পুষ্টিকর বলে সহায়ক করা হয়। গুড় ও চিনির একইভাবে তৈরি হয়। তবে চিনি থেকে খেজুরের রস জ্বাল করেই তৈরি হয় গুড়।
গুড় খেলেই কখনোই সুগার বাড়ে না গোল খেলে ওজন গুড় আমাদের মস্তিষ্ক ভালো রাখে শরীরের এনার্জি যোগায়। গুড়ের পুষ্টিগুণ অধিক পরিমাণে বেশি।গুড়ে রয়েছে অতিরিক্ত খনিজ তাই আমার ভেবে নিই গুড় চিনি থাকে কম ব্লাড সুগার। চিনির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৬৫ সেখানে গুড়ের গ্লাইসেমি ইনডেক্স ৮৪ মানে চিনির থেকে গুড়ে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি।
ফলে বলাই যায় গুড় খুব দ্রুত সুগার বাড়াবে। ইনসুলিন হচ্ছে আমাদের শরীরে থাকা হরমোন। তবে চিন্তার বিষয় নয় একটু নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলে অনায়াসে এর রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।কোনো গুড় ব্লাড সুগার কমাবে আবার কোন গুড় ব্লাড সুগার বাড়াবে। তাই আমাদের উচিত বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে গুড় খাওয়া।
আখের গুড় খাওয়ার উপকারিতা
আখের গুড় একটি মিষ্টি জিনিস যা তৈরি করা হয় আখ থেকে। চিনির বিকল্প হিসেবে বলা হয় আখের গুড়।গুড়ে থাকে ক্যালোরি আখের গুড় কে সবাই পুষ্টিকর খাবার হিসেবেই জানি কারন গুড়ে রয়েছে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। গোল সাধারণত তিন ধরনের হয় এটা তরল মিহি ও দানাদার।
আরে তরল দুধ আমাদের সবার কাছে খুবই প্রিয় আর মিহি গুড় গ্রামের লোকজনের বেশি প্রিয়। ঘুরে অধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। গুড় আমাদের রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে গুড় খেলে হজম খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। গুড় যদি আপনি প্রতিদিন খান তাহলে আপনার দৃষ্টি শক্তি বাড়ে। ওর আমাদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
গুড় আমাদের মস্তিষ্কের উপকারিতা জন্য খুব ভালো।ওজন কমাতে গুড়ের কোন বিকল্প নেই গুণের হয়েছে অধিক পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুড় আমাদের হাঁপানি রোগের জন্য বেশ উপকারী। আখের গুড়ি রয়েছে শতকরা ও ক্যালরি প্রচুর পরিমাণে যা ডায়রিয়া রোগীকে আখের গুঁড়ের স্যালাইন খাওয়ালে খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যায়। আর গুড়ে থাকা এই ক্যালরির কারনে খুব দ্রুত ওজন বাড়তে সাহায্য করে। শীতকালে গুড় খেলে শরীরের তাপমাত্রা ঠিক থাকে এখানেই শেষ নয় ঘুরে রয়েছে আরও একাধিক উপকারিতা যা খুবই ভালো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য।
গুড় ও চিনির পার্থক্য
গুড় যেমন আখের রস থেকে তৈরি হয় ঠিক তেমনি চিনিও কিন্তু আখের রস থেকে তৈরি হয়ে থাকে। দূরে থাকে গ্লুকোজ ক্যালরি ফরফরাস। প্রতিদিন এর কোন না কোন খাবারে আমরা মিষ্টি ব্যবহার করি এর বেশিরভাগই ব্যবহার করি হয় চিনি নয়তো গুড়। চিনিতে আছে গ্লুকোজ আর ঘুরে আছে গুজের সাথে ক্যালরি লৌহ ফরফরাস।
ছাড়া ঘুরে প্রোটিন ও থাকে চিনি ও গুড়ের মাঝে প্রশ্ন উঠলে অবশ্যই গুড় এগিয়ে থাকবে। সাধারণত চিনি প্রতিদিনই ব্যবহার করে থাকি বিশেষ করে চা খাওয়ার সময় অবশ্যই চিনি ব্যবহার করি। তবে এই চিনি কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর এটার এ কথাটি সবারই জানা। গুড় ও চিনির পুষ্টিগুণের পার্থক্য রয়েছে। আখের রস থেকে গুড় এবং চিনি তৈরি হয়।
যদি উপকারিতার কথা বলা হয় তাহলে গুড়ের উপকারিতা চিনির থেকে বেশি। একটি শতকরা যা বিশেষ করে প্রাকৃতিক ভাবেই তৈরি হয়। আর চিনিতে ব্লিচিং ব্যবহার করা হয় বলে চিনিতে রাসায়নিক থাকে। আবার কখনো কখনো চিনিতে কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তবে চিনির মতন কেমিক্যাল দিয়ে কিন্তু ঘর তৈরি হয় না।
এটি খুব সাধারণ উপায়ে তৈরি করা হয়। এজন্য আমাদের রক্তশূন্যতায় গুড় খুবই উপকারী কারণ গুড়ে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম,আয়রন,ও সেলেনিয়াম। গুড়ের মধ্যে কার বড় হাইটেক খনিজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন ও থাকে। চিনির ভিতরে ক্ষতিকারক ক্যালরি বেশি থাকে যা খুব তাড়াতাড়ি আমাদের ওজন বাড়িয়ে দেয়।
গোল খেলে হাঁপানি সর্দি কাশি বুকের ব্যথা সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাই। যেকোনো খাবার হজমে গুড় বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। অবশেষে দেখা সব মিলিয়ে দেখা যায় চিনির থেকে গুড় অধিক পরিমাণে বেশি ভালো গুড় খেলে স্বাস্থ্য ঠিক থাকে আর চিনিতে ক্ষতিকর দিকগুলোই বেশি রয়েছে। চিনি খেলে ডায়াবেটিসের সমস্যা হতে পারে রক্তের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে কিন্তু গুড় খেলে এই সমস্যাগুলো হবে না।
আখের গুড় খেলে কি ওজন বাড়ে
আখের গুড়ে রয়েছে ফাইবার ভিটামিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের জন্যই খুবই ভালো এছাড়া গোল খেলে হজম খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যায় ক্যালরি এর সাথে সাথে শরীরে অতিরিক্ত টক্সিন ও বের করে দেয়। প্রতিদিন সকালে গোর্খা শরীরের জন্য ভালো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে তবে গুড় অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া কখনোই ভালো না।
আখের গুড়ে ওজন খুব তাড়াতাড়ি কমিয়ে দেয়। আখের গুড় খেলে ওজন বাড়ে না। আমাদের হজমের জন্য খুব ভালো কাজ করে। গুড় খেলে ওজন কখনোই বাড়বে না চিনির বদলে যদি গুড়ের শরবত খাওয়া হয় তাহলে আমাদের পেট ঠান্ডা থাকে ঘুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন মিনারেল প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় শুনলে অবাক হবেন যে গুড় আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতেও খুব উপকারী।
গুড় আমাদের লিভারকে ভালো রাখে সর্দি-কাশির খুবই উপকারী এই গোল গুড়ে রয়েছে পটাশিয়াম সোডিয়াম যার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। ঘুরে অ্যাসমা সমস্যা ভালো হয়ে যায় এমনকি যাদের কোমরে ব্যথা তারা এই গুড় খেলে খুব তাড়াতাড়ি ব্যথা ভালো হয়ে যায় শরীরের এনার্জি বাড়িয়ে দিতে গুড়ের কোন বিকল্প নেই। কথায় বলা যায় গুড় আমাদের ওজন নিমন্ত্রনে রাখে গুড় খেলে কখনোই ওজন বাড়ে না।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় গ্রাহক আখের গুড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এই গোপন তথ্য আপনাদের জানা ছিল কি যদি এই আখের গুড় সম্পর্ক তথ্য আপনাদের ভালো লাগে তবে আজ থেকে আখের গুড় খাওয়া শুরু করে দিন এতে আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে রক্তের সমস্যা দূর করে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে আমাদেরকে দূরে রাখে এতে করে আমাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। নিয়মিত গুড় খান এবং আপনার আত্মীয়-স্বজন সবার সাথে শেয়ার করে দিন। তাদেরকে নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দেন
Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url