মালয়েশিয়া যেতে কোথায় যোগাযোগ করতে হবে

মালোশিয়াতে অনেকে টুরিস্ট ভিসায় আবেদন করে। আবার অনেকে মালয়েশিয়াতে শ্রমিক হিসেবে যেতে চান তবে শ্রমিক হিসেবে যেতে হলে আপনার সর্বনিম্ন বয়স ২১ থাকতে হবে। মালোশিয়া যেতে হলে অবশ্যই আপনাকে সরকারি ভাবে যাওয়াটাই সবচেয়ে বেশি ভালো। সরকারের উপায়ে যদি আবেদন করেন তাহলে কম খরচে আপনি মালয়েশিয়া নিয়োগ দিতে পারবেন। আপনি আপনার জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসে গিয়ে প্রবাসী অ্যাপের মাধ্যমে মালেশিয়া চাকরি জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আপনি যদি মালয়েশিয়া যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই আপনার জেলা কর্মসংস্থানের কাছে অথবা জনশক্তি অফিসে গিয়ে প্রবাসী অ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন কারণ মালোশিয়াতে এখন বিভিন্ন কোম্পানির চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছেন। মালয়েশিয়ায় গেলে অবশ্যই আপনাকে সরকারিভাবে যাওয়া উচিত সরকারিভাবে গেলে অনেক টাকা খরচ হয় না কম টাকাতেই হয়ে যায়।

সর্বোচ্চ একজন ব্যক্তির ৮০ টাকা খরচ হয়। আর এই খরচটা হবে আপনার মেডিকেল টেস্ট ও পাসপোর্ট খরচ স্যার এজেন্সি সার্ভিস চার্জ স্মার্ট কার্ড বীমা এছাড়া অন্যদিকে বিমান ভাড়া মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা সবকিছুর খরচ গ্রহণ করবে যে প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিবে সেই প্রতিষ্ঠান। একজন মালয়েশিয়া যাওয়ার ব্যক্তি সরকারিভাবে যদি যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে এক লাখের ওপরে খরচ হতে পারে সেজন্য সরকারিভাবে যাওয়ার চেষ্টা করাটাই সবচেয়ে বেশি ভালো। সরকারিভাবে মালয়েশিয়া যেতে বিভিন্ন রকমের তথ্য লাগে।

এছাড়াও সরকারিভাবে মালয়েশিয়া যেতে হলে আপনাকে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এই  সতর্কতা যদি আপনি অবলম্বন না করেন তাহলে আপনি হয়তো বা সরকারি ভাবে যেতে পারবেন না আপনাকে অবশ্যই সরকারি সতর্কতা মেনে যেতে হবে আসুন তাহলে জেনে নিন সে সতর্কতা গুলো কি?

মালোশিয়ার ভিসা নিবন্ধন চেক করার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন যে আসলে আপনার ভিসা হয়েছে কিনা। অন্য দেশে যাওয়ার জন্য অবশ্য ভিসা আবেদন করতে হবে। তারপরে অপেক্ষা করতে হবে যে ভিসা হয়েছে কি সেজন্য। মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য হয়তোবা অনেকেই ভিসা আবেদন করেছেন কিন্তু চিন্তায় আছেন যে এই ভিসা কত দিন পর পাব কবে পাবো। ভিসা চেক করার জন্য আপনাকে কিছু ডকুমেন্ট দিতে হবে।

সেগুলো হচ্ছে ভিসা অ্যাপ্লিকেশন নাম্বার ও কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন নাম্বার এই দুইটি নাম্বার থাকলে আপনি ভিসা হয়েছে কিনা খুব সহজেই চেক করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি চাইলে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করতে পারবেন। আপনি যদি কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ভিসা অ্যাপ্লিকেশন নাম্বার দিয়ে সার্চ করেন তাহলে আপনার ভিসা হয়েছে কিনা সেটা জানতে পারবেন। আপনি খুব সহজে এ পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। সাধারণত মালয়েশিয়া যাওয়ার দুই ধরনের ভিসা হয়ে থাকে একটি হচ্ছে কলিং আরেকটি হচ্ছে নরমাল আর একটা হচ্ছে ই ভিসা।

মালোশিয়া যেতে হলে আপনাকে বিএমইটির কার্যালয়ে গিয়ে ভিসা আবেদন করতে হবে। আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং আপনি যে কাজে যাবেন সে কাজের দক্ষতা। আপনার এনআইডি কার্ড এছাড়াও সকল প্রকার ডকুমেন্ট নিয়ে আপনাকে বিএমইটির কার্যালয়ে ভিসার আবেদন করতে হবে। বাংলাদেশে বর্তমানে ৪২ টি বি এম আই টি কার্যালয় রয়েছে।

এছাড়াও আপনি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে আপনার দক্ষতা অনুযায়ী অনলাইন ভিসার আবেদন করতে পারবেন খুব সহজে। বাংলাদেশের ভিতরে ১১ টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে মালয়েশিয়ান ভিসা আবেদন করার জন্য। আপনার যদি ভিসা আবেদন হয়ে যায় তাহলে আপনাকে মোবাইল নাম্বারের মাধ্যমে খুব সহজে জানিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়াও আপনি চাইলে আমি প্রবাসী অ্যাপের মাধ্যমে ভিসা আবেদন করতে পারবেন। এর জন্য আপনার কে বাইরে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নাই।

ঘরে বসে আপনি আপনার স্মার্টফোন দিয়ে প্রবাসী নামক অ্যাপ এ মালয়েশিয়ার ভিসা আবেদন করতে পারবেন। প্রথমে আপনাকে google এ গিয়ে আমি প্রবাসী নামের অ্যাপসটি ডাউনলোড করে নিতে হবে। এরপরে আপনার পাসপোর্টটি স্ক্যান করে অন্যান্য তথ্য প্রদান করে বিএমইটির রেজিস্ট্রেশন কমপ্লিট করতে হবে। আপনার তথ্য যাচাই করার জন্য তারা 72 ঘন্টা সময় নিবে।

যদি যাচাই করা হয়ে যায় তাহলে আপনার থেকে ৩০০ টাকা ফ্রি নিবে আর এই ফ্রি আপনি বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন। আমি প্রবাসী একটি লগইন করার পর অনেকগুলো আপনি চাকরির অপশন পাবেন আপনি যে কাজে দক্ষতা অর্জন করেছেন আপনি সেটি পছন্দ করে নিবেন। তারপর সাবমিট করে দিবেন যদি সাবমিট হয়ে যায় তাহলে আপনি ওয়েব মেসেজ ইনবক্স থেকে জানতে পারবেন। ‌ এই ভাবেই খুব সহজে ঘরে বসে আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা যায়।

১৮ টি এজেন্সি থেকে শুরু হয়েছে মালয়েশিয়ার কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া। এছাড়াও মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য আমি প্রবাসী নাম দিয়েও নিবন্ধন করা যাই এটি খুব সহজ একটি উপায় যারা মালয়েশিয়া যাবেন তারা এভাবে নিবন্ধন করতে পারবেন। মালয়েশিয়ায় ভিসা প্রসেসিং বাংলাদেশের সব স্থানে অনেকগুলো এজেন্স কোম্পানী রয়েছে।

তবে বিভিন্ন ভাগের মালয়েশিয়া প্রসেসিং এজেন্সির তালিকা দেওয়া আছে ট্রাভেল টুরিস্ট এর মাধ্যমে মালয়েশিয়া যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনি ভালোভাবে জেনে নিবেন বর্তমানে এখন অনেকগুলো এজেন্ট রয়েছে যারা মানুষের টাকা হাতিয়ে নেয়। মালয়েশিয়ার এজেন্সি গুলোর নাম এখন আমরা জেনে নিব আসুন তাহলে জেনে নিন।

প্রিয় গ্রাহক এত সময় অবশ্যই জেনে গেছেন মালয়েশিয়ার যেতে কোথায় যোগাযোগ করতে হবে ও মালয়েশিয়ান নিবন্ধন সম্পর্কে ও মালয়েশিয়া যেতে কি কি কাগজ লাগে। মালয়েশিয়া যাওয়ার এজেন্সি সব রকম তথ্য জেনে গেছেন। মালয়েশিয়া যেতে হলে অবশ্যই আপনাকে সরকারি নিয়মে যাওয়াই ভালো। সরকারি নিয়মে গেলে আপনার কম খরচ হবে। আপনি কম খরচে যেতে পারবেন।

আর যদি বেসরকারিভাবে যান তাহলে বিভিন্ন ধরনের দালালের হাতে পড়তে পারেন এতে আপনার টাকা নষ্ট হবে আপনাকে হয়রানি করাবে। অনেক অতএব আপনি সরকারিভাবে মালয়েশিয়া যেতে পারেন সরকারিভাবে যেতে হলে অনেকগুলো এজেন্সি রয়েছে সে এজেন্সির মাধ্যমে যোগাযোগ করে আপনি যেতে পারবেন। আমার লেখা আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন আপনাদের যদি কোন মন্তব্য থাকে তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন।