দৈনিক কত গ্লাস পানি পান করা উচিত
দৈনিক কত গ্লাস পানি পান করা উচিত ও কতক্ষণ পরপর পানি খাওয়া উচিত সঠিক তথ্য টা হয়তো বা জানেন না আসুন সঠিক তথ্যটা জেনে নিন। পানি পানির অপর নাম আমরা সবাই জানি জীবন পৃথিবীতে বেশিরভাগই পানি আছে পৃথিবীর মতো আমাদের শরীর ও আমাদের শরীর ও বেশিরভাগ পানি রয়েছে। প্রতিদিন ১০ গ্লাসের বেশি পানি খাওয়া উচিত। আপনি আধাঘন্টা পরপর পানি খেতে পারেন।
আমাদের শরীরে শ্বাস-প্রশ্বাস ও ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে আসে পানি। আমাদের শরীরে প্রায় সাত ভাগের বেশি পানি থাকে। সেজন্য আমাদের পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত।
ভূমিকা
বেচে থাকতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে পানি পান করতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি যদি পান না করে তাহলে আমরা হয়তো বা বেঁচে থাকতে পারবো না। পৃথিবীর মতো আমাদের শরীরও বেশিরভাগ পানি রয়েছে। পানি আপনি সবসময়ই খেতে পারবেন যখন আপনার পিপাসা লাগবে ঠিক সে সময়ে পানি খেতে পারবেন। পানি খাওয়ার জন্য নির্ধারিত কোনো সময় নেই।
আপনি সারাদিনের দশ গ্লাস পানি খেতে পারবেন আমাদের শরীরে বিভিন্ন অংশে পানি থাকে। শরীরের বিভিন্ন ধরনের কাজের ওপর পানি নির্ভর করে। হজমের কাজে পানির রয়েছে বিশেষ ভূমিকা পানি খেলে হজমের সমস্যা দূর হয়ে যায় যদি আপনি পর্যাপ্ত পানি পান না করেন তাহলে বিভিন্ন রোগ হতে পারে শরীরে আবার যদি প্রয়োজনের থেকে বেশি অতিরিক্ত পানি খেয়ে ফেলেন তাহলেও ক্ষতি হতে পারে।
দৈনন্দিন কত গ্লাস পানি পান করা উচিত
দৈনিক আমাদের ১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। একটি সুস্থ মানুষের সারাদিনে দশ গ্লাসের বেশি পানি পান করা উচিত । পৃথিবীতে যেমন বেশিরভাগই পানি আছে ঠিক তেমনি আমাদের শরীরে ও বেশিভাগ পানি আছে। আমরা সবাই জানি পানির অপর নাম জীবন আমাদের বেঁচে থাকতে হলে অবশ্যই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। প্রাপ্তবয়স্কদের দিনে দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করা উচিত।
যদি আবহাওয়া ঠান্ডা থাকে তাহলে আপনি ২ লিটার পানি পান করতে পারেন আর যদি আবহাওয়া খুব গরম থাকে তাহলে আপনি ৩ লিটার পানি পান করতে পারেন এছাড়াও বিভিন্ন কাজের ফাঁকে আপনি যদি অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন তাহলে বেশি পানি পান করতে পারেন। গ্রীষ্মকালে সবচেয়ে বেশি পানি পান করা হয় কারণ গ্রীষ্মের রোদে প্রচন্ড তাপ থাকে আর এই প্রচন্ড তাপে আমাদের শরীর ঘেমে শরীরের সমস্ত পানি বের হয়ে যায়।
তখন পানির চাহিদা বেড়ে যায়। শীতকালে সাধারণত আমরা কমবেশি সবাই পানি খুব অল্পই পান করি কারণ পানি প্রচন্ড ঠান্ডা থাকে শীতকালে যেহেতু অনেকে পানি গরম করে খায় তাও পরেও গরম করে খেলেও পর্যাপ্ত পানি খেতে পারে না খুব অল্পই পানি খায়। এছাড়াও পর্যাপ্ত পানি খেতে হলে অবশ্যই আপনাকে আপনার ওজনটা জানতে হবে।
আপনার ওজন কতটুকু তারপরে নির্ভর করে আপনি কতটুকু পানি খেতে পারবেন নিজের ওজনকে দুই দিয়ে ভাগ করে আপনি আপনার পানির পরিমাণ বের করতে পারবেন। আপনি যদি অতিরিক্ত পানি পান করেন তাহলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিবে। সেজন্য আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত।
কতক্ষন পরপর পানি খাওয়া উচিত
আমরা জানি একজন সুস্থ মানুষের দিনে দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করা উচিত। আমাদের শরীরে প্রায় ৬০ ভাগ পানি রয়েছে। পৃথিবীতে যেমন অনেক বেশি পানি রয়েছে ঠিক তেমনি আমাদের শরীরেও পানি বেশি রয়েছে। সাধারণত আপনি খাবার খাবার ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগে অথবা খাবার খাওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরে পানি খেতে পারবেন এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
খাবার খাওয়ার সাথে সাথে পানি খাওয়া উচিত নয় এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকরও হতে পারে খাবার খাওয়া ১০-১৫ মিনিট খেতে হবে নয়তো ১০-১৫ মিনিট পরে আপনি পানি খেতে পারবেন। গ্রীষ্মকালের পানির চাহিদা বেড়ে যায় কারণ গ্রীষ্মকালে গরমের তাপে মানুষ বেশি বেশি পানি পান করে আবার যারা বেশি পরিশ্রম করে তারাও বেশি পানি পান করে কারণ পরিশ্রম করার সময় শরীরে পানি ঘাম হয়ে বের হয়ে যায়।
আমরা হয়তোবা জানি যে সুষম খাদ্যের উপাদানে একটি পানি থাকে। আমাদের দেহের ৬০ শতাংশ পানি তবে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পানির চাহিদা কমতে থাকে। দৈনিক দশ গ্লাস পানি খাওয়া উচিত এতে আমাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। আমাদের দেহের বিভিন্ন অংশে পানি থাকে। আপনি কতটুকু পানি খাবেন তা আবহাওয়ার পরে নির্ভর করে এছাড়াও আপনার ওজনের পড়ে নির্ভর করে আপনি কতটুকু পানি খাবেন।
সকালে খালি পেটে যদি পানি খাওয়া হয় তাহলে আমাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা খুব সহজে দূর হয়ে যায় অনেকে আবার সকালে খালি পেটে চা খান তবে চা খাওয়ার থেকে পানি খাওয়া সবচেয়ে বেশি ভালো। পানি আমাদের হজমের সমস্যা দূর করে এছাড়াও আপনি যদি হালকা গরম পানি খান তাহলে এটির অনেক বেশি উপকারিতা রয়েছে।
রাতে কতটুকু পানি খাওয়া উচিত
শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই পানি খেতে হবে পানির কোন বিকল্প নেই আপনাকে সুস্থ থাকতে হলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে সারাদিনে আপনি দশ গ্লাস পানি খেতে পারেন অথবা দুই থেকে তিন লিটার পানি খেলে আপনি সুস্থ থাকবেন পানি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য যেমন উপকারী ঠিক তেমনি আমাদের তখন সুন্দর রাখে। খাবার ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগে পানি খাওয়া সবচেয়ে বেশি ভালো।
এছাড়া যদি আপনি খাবার ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর পানি খান সেটাও আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো তবে রাত্রে পানি খাওয়া বেশি ভালো নয়। আপনি যদি ঘুমানোর আগে বেশি পানি খান তাহলে আপনার ঘুমের সমস্যা হতে পারে ঘুম থেকে বারবার সজাগ হতে পারেন এছাড়াও হিট যন্ত্রের গতি খুব সহজে বেড়ে যেতে পারে তাছাড়া রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে এতে করে হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে যায়।
আপনি যদি রাতে বেশি পানি পান করেন তাহলে। আমাদের কিডনি স্বাভাবিকের থেকে ধীর গতিতে কাজ করে রাত্রে রাত্রে ঘুমানোর আগে যদি আপনি অনেক বেশি পানি খান তাহলে কিডনিতে চাপ পড়তে পারে এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে কিডনির রোগ হওয়ার সমস্যা হতে পারে। সেজন্য ঘুমোনোর আগে পানি পান না করাই ভালো ঘুমানোর আধা ঘন্টা আগে আপনি পানি পান করতে পারেন।
শরীরকে সঠিকভাবে কাজ করানোর জন্য পর্যাপ্ত পানি খাওয়াট সবচেয়ে বেশি জরুরী। অনেকেই দেখা যায় ঘুমোনোর আগে পানি পান করে তারপরে ঘুমাতে যান। কিন্তু ঘুমোনোর আগে যদি পানি পান করেন তাহলে প্রস্রাবের চাপ বাড়তে পারে সেজন্য আপনাকে বারবার হয়তো বা বাথরুমে যেতে হবে সেজন্য সঠিক ভাবে ঘুম হয় না সবার আধা ঘন্টা আগে আপনাকে পানি পান করতে হবে।
তাহলে এটি আমাদের হার্টের জন্য ও কিডনির জন্য সবচেয়ে বেশি ভালো রাতে যদি আপনি পানি পান করেন তাহলে কোলেস্টেরলের ঝুঁকি থেকে যায় এতে আপনার ওজন বেড়ে যেতে পারে। সেজন্য অবশ্যই রাখতে পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকবো। রাতে ঘুমানোর আধা ঘন্টা আগে পানি খেয়ে ঘুমাতে যাব।
দিনে কতটুকু পানি পান করা উচিত
সারাদিনে আপনার দশ গ্লাস পানি পান করতে পারবেন। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ সারাদিনে দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করতে পারবেন এবং পানি নির্ভর করে আপনার ওজনের পড়ে আপনার ওজন অনুযায়ী আপনাকে পানি খেতে হবে তবে শীতকালের থেকে গ্রীষ্মকালে আবহাওয়া গরম থাকার জন্য মানুষ পানি বেশি খাই। যারা রোদে গরমে কাজ করে বা শরীর ক্লান্ত থাকে তখন তারা বেশি পানি খায়।
গ্রীষ্মকালে প্রাণীর চাহিদা বেশি বেড়ে যায় গ্রীষ্মকালের চওড়া রোদের জন্য শরীরে পানিগুলো সব ঘাম হয়ে বের হয়ে আসে । শরীরে পানি থাকে না আর এজন্য বেশি বেশি পিপাসা লাগে। শীতকালে পানির চাহিদা অনেক কম হয় কারন পানি অনেক ঠান্ডা হয়ে থাকে আর শীতের জন্য কেউ ঠান্ডা পানি খেতে চায় না এছাড়াও শীতের দিনে যতই কাজ করা হোক না কেন শরীর ঘেমে পানি বের হয়ে যায় না সেজন্য শীতে পানি অনেক কম পান করা হয়।
পানি খেলে হজমের সমস্যা দূর হয়ে যায়। পর্যাপ্ত পানি পান করলে আমাদের শরীরে পানির ঘাট দিয়ে খুব সহজেই পূরণ হয়ে যায় এছাড়াও আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খান তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়ে যায় এমনকি হৃদযন্ত্র ভালো থাকে কোন অতিরিক্ত কোলেস্টেরল কমে যায়। পানি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় পানি হচ্ছে আমাদের শরীরের একটি বিশাল বড় ভূমিকা পালন করে।
পানির ঘাটতি পূরণের জন্য দৈনিক ২ থেকে ৩ লিটার পানি খাওয়া উচিত। ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানি পান করা সবচেয়ে বেশি ভালো। এছাড়া খাবার খাওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগে পানি পান করলে হজমের কাজে ভাল হয়। আমাদের শরীরে যদি পানি প্রস্রাব হয় না এমনকি প্রস্রাব হলুদ আকারের হতে পারে সেজন্য আমাদেরকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে।
পানি কখন খাওয়া ভালো
সকালে খালি পেটে পানি খাওয়া সবচেয়ে বেশি ভালো সকালে যদি খালি পেটে পানি খাওয়া হয় তাহলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকে না এছাড়া পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা খুব সহজে দূর হয়ে যায় এমনকি আপনি রাত্রেও দুপুরে খাবার খাওয়া ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগে পানি খেতে পারবেন নয়তো খাবার খাওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর পানি খেতে হবে এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
আপনি যদি রাত্রে ঘুমানোর আগে পানি খান তাহলে কিডনি ওই হৃদরোগের সমস্যা হতে পারে এমনকি ঘুমের ও সমস্যা হতে পারে বারবার প্রসাবের কারণে আপনার ঘুম নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সেজন্য অবশ্যই ঘুমোনোর আধা ঘন্টা আগে আপনাকে পানি খেতে হবে। নয়তো রাতে খাবার খাওয়া ১০ মিনিট আগে না হয় ১০ মিনিট পরে পানি খেতে হবে। পানি সারা দিনে দুই থেকে তিন লিটার খাওয়া যায়।
এছাড়াও আপনার ওজন অনুযায়ী আপনাকে পানি খেতে হবে আপনার ওজন যদি বেশি হয় তাহলে আপনাকে বেশি পানি খেতে হবে। আমরা সাধারণত গ্রীষ্মকালের চওড়া রোডে বেশি বেশি পানি পান করে থাকি আর শীতকালে খুব কম পানি পান করা হয়। সকালে যদি পানি খাওয়ার অভ্যাস করে তোলেন তাহলে পাকস্থলী ভালো থাকবে এমন কি হজমে সমস্যাও দূর হয়ে যাবে এছাড়া আপনি পানি খালি খালি পান না করে হালকা গরম পানি যদি খান তাহলে এটি শরীরের জন্য বেশি উপকারী হবে।
আমাদের শরীরে প্রায় ষাট ভাগ পানি রয়েছে। আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খান তাহলে পানির শূন্যতা দেখা দিতে পারে। কেউ যদি অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়ার পর বেশি পানি খেয়ে ফেলে তাহলে শরীরের লবণের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে সেজন্য আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়ে যায় এমনকি শরীরের ক্লান্তি খুব সহজে দূর হয়ে যায়।
লেখকের মন্তব্য
পানির অপর নাম জীবন আমরা হয়তোবা অনেকেই জানি। আমাদের বেঁচে থাকতে হলে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে পানি ছাড়া আমরা কখনোই বাঁচতে পারব না অবশেষে দেখা যায় সারাদিনে আমাদের ১০ গ্লাস পানি খাওয়া উচিত। এছাড়া আপনার ওজন অনুযায়ী আপনি পানি খেতে পারেন আপনার ওজনকে দুই দিয়ে ভাগ করার পর যা আসবে ঠিক ততটুক পরিমাণে আপনাকে পানি খেতে হবে। পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হজমের সমস্যা দূর হয়ে যায়।
এমনকি পানি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে না খাওয়া হয় তাহলে শরীরে পানি শূন্যতা হয়ে যায় এ থেকে মৃত্যু হতে পারে সেজন্য আজ থেকে অবশ্যই আমরা পর্যাপ্ত পানি খাওয়া শুরু করব নিজেই খাবো এবং অন্যদেরকেও খাওয়ার পরামর্শ দিব। আমার লেখা আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন আমার লেখা আপনাদের ভাল লাগলে অবশ্যই আপনার আত্মীয়-স্বজন সবার সাথে শেয়ার করে দিতে পারেন।
Setu24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url